Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

কক্সবাজারে সরকারের মেগা প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৩৫৫জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত পর্যটন নগরী হিসাবে পরিচিত। দেশ-বিদেশের লাখো পর্যটক ভ্রমণ করলেও জেলায় রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিলনা।শীঘ্রই  দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারে চালু হচ্ছে রেললাইন।চলতি বছরের  সেপ্টেম্বরেই চালু হওয়ার হওয়ার কথা রয়েছে ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে ট্রেনের প্রথম ট্রায়াল রান।কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প। প্রকল্পগুলো এই জেলায় হলেও এর সুফল পাবে পুরো দেশ। সাগরের বুকে বিমানবন্দরে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরই সমুদ্র ছুঁয়ে ওঠানামা করবে উড়োজাহাজ। পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে হচ্ছে তেল পরিবহনের জন্য ইনস্টলেশন অব সিংগেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্প। প্রকল্পটি চালু হলে জ্বালানি তেল খালাসে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।এদিকে দেশের গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে মাতারবাড়ীর কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এশিয়ান হাব হিসেবে জাহাজগুলোর জন্য যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে বন্দরটি পরিচিতি পাবে। এতে মহেশখালী দ্বীপ পরিণত হবে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক জোনে। এছাড়া বন্দরের উপকূল ঘেঁষেই মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের ১ হাজার ৪১৪ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এর প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করেছে।।এর বাইরে খুরুশকুলে বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ল্যান্ড বেইজড এলএনজি টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কক্সবাজার, সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র, মেরিন অ্যাকুরিয়াম স্থাপনের মতো প্রকল্পের মধ্য দিয়ে নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।২০১০ সালে ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচলের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু হবে। প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে। এই পথে রেলস্টেশন থাকছে ৯টি। পুরো প্রকল্পের জন্য এক হাজার ৩৯১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় নির্মিত হচ্ছে আইকনিক রেলস্টেশন। সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক স্থাপন ও স্টেশনের কাজ এরই মধ্যে ৮৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সড়কপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে যেখানে সময় লাগে সাড়ে ১১ ঘণ্টা, ট্রেনে পৌঁছাতে সেখানে লাগবে মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টা। কমে আসবে পরিবহন ব্যয়ও। চলতি বছরেই চালু হবে ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচল। আর এর মাধ্যমেই খুলতে যাচ্ছে রেলের দক্ষিণের দুয়ার।ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। ঢাকার সঙ্গে ট্রেনের যোগাযোগ ও দৃষ্টিনন্দন রেল স্টেশন নিয়ে উচ্ছ্বসিত কক্সবাজারবাসী।ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান,  বাড়ির কাছেই আসবে চট্টগ্রাম-ঢাকা যাওয়ার ট্রেন। ফলে সকালে অথবা  রাতে যেকোনো সময় টিকিট কেটেই কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া চট্টগ্রাম - ঢাকায় চলে যেতে পারবো।কক্সবাজারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকতের তীর ঘেঁষে চলছে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের নির্মাণকাজ। সমুদ্রের জলরাশির ওপর রানওয়ের এক প্রান্ত থাকবে। দিনরাত সাগরজল ছুঁয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওঠানামা করবে এই রানওয়েতে। রানওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হলে অনেকটা ভাসমান রানওয়েতে নামবেন বিমানে আসা যাত্রীরা। অবতরণের সময় যাত্রীদের মনে হবে, যেন সাগরেই নামতে যাচ্ছেন তারা। এমন ব্যতিক্রম অনুভূতি দেওয়ার পাশাপাশি কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্বের দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরের তালিকায় স্থান পেতে যাচ্ছে এই বিমানবন্দর।প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে বিমানের রিফুয়েলিংয়ের জন্য সবাই দুবাইকে গেটওয়ে হিসেবে ব্যবহার করে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও ২০০ ফুট বড় রানওয়ে সমৃদ্ধ কক্সবাজার বিমানবন্দর আগামীতে আন্তর্জাতিক আকাশপথের রিফুয়েলিং হাব হবে। রানওয়ে পরিষেবা চালু হলে বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৪৭-এর মতো বড় বিমানগুলো কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হবে।মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের ১ হাজার ৪১৪ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যেখানে প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করেছে। আরও ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। কয়লা পরিবহনের জাহাজ জেটিতে আসার পরিকল্পনা থেকেই মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করে এশিয়ান হাব হিসেবে জাহাজগুলোর জন্য যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে বন্দরটি পরিচিতি পাবে। এতে মহেশখালী দ্বীপ পরিণত হবে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক জোন।একসময় যেটি ছিল অনেকটা অসম্ভব কাজ, এখন তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এরই মধ্যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। চলছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামোর কাজ। ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার বন্দর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এটি চালু হলে মাতারবাড়ীতে ১৬ মিটার গভীরতার জাহাজও ভিড়তে পারবে, যা এশিয়ার এ অঞ্চলে প্রথম।বর্তমান সরকার ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কক্সবাজারের জলবায়ু উদ্বাস্তু ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ গ্রহণ করে। ২০২০ সাল থেকে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বাসস্থান তৈরির কাজ শুরু করে সরকার। ২৫৩ দশমিক ৫৯ একর জমির এই প্রকল্পটিতে এক হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা বিশিষ্ট ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ভবনে রয়েছে ৩২টি করে ফ্ল্যাট, প্রত্যেক ফ্ল্যাটে থাকবে একটি করে পরিবার। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন (মোট ব্যবহারযোগ্য) ৪০৬ দশমিক ৭ বর্গফুট, প্রতিটি তলায় রয়েছে কমন সার্ভিস সুবিধা।প্রকল্পের ১৩৯টি ভবনের মধ্যে এরই মধ্যে ২০টি ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে ১৯টি ভবনে ৬০০টি পরিবার প্রায় তিন বছর ধরে বসবাস করছে। কাজ চলমান থাকা বাকি ভবনগুলোরও কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর মাসে এসব ভবনে উপকারভোগীরা উঠতে পারবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে পুনর্বাসন করা হবে চার হাজার ৪০৯টি পরিবারকে। প্রতিটি পরিবারের জন্য রয়েছে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, সুয়ারেজ লাইন, সোলার প্যানেল, প্রতিটি ভবনে রয়েছে গেস্ট হাউজ, রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন সবকিছু। এছাড়া অভ্যন্তরীণ পাকা রাস্তা ২০ কিলোমিটার।উপকারভোগীদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য একটি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রয়েছে ১৪টি খেলার মাঠ, তিনটি পুকুর, একটি মসজিদ ও একটি মন্দির। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ফাঁড়ি, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও বাফার জোন স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।কক্সবাজারের এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রাজধানী ঢাকার পর সবচেয়ে আধুনিক শহরে রূপ নেবে কক্সবাজার।গত এক যুগ ধরে চলা এসব উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, সরকারের নেয়া নানান উন্নয়নমূলক প্রকল্প বদলে দিয়েছে পুরো কক্সবাজারকে। সবচেয়ে বেশি মেগা প্রকল্প নেয়া হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। এরপরই নেয়া হয়েছে কক্সবাজারে। এসব প্রকল্প বদলে দিয়েছে পুরো কক্সবাজারকে। প্রকল্পগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার হবে একটি উন্নত ও পরিপূর্ণ পর্যটন নগর।তিনি আরও জানান, মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে দেশের সর্বপ্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর জাপানের দুটি ব্যস্ততম বন্দর নিগাতা এবং কাশিমারর আদলে নির্মাণ করা বন্দরটি হতে যাচ্ছে এশিয়ান হাব। বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে মেরিন অ্যাকুরিয়াম স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট। বঙ্গোপসাগরের অপার সম্ভাবনা ও সম্পদ কাজে লাগিয়ে খুলবে নতুন অর্থনীতির দুয়ার।


আরও খবর



বিজিবির কাজে বাধা,ভারতীয় পন্যে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে যুবক আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৮৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলিতে সরকারি কাজে বাধা ও বিজিবির কাছ থেকে ভারতীয় পন্য ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে লিটন (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা। পরে হাকিমপুর থানায় মামলা দায়ের পূর্বক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটককৃত লিটন পৌর শহরের ধরন্দা গ্রামের মৃত আশরাফুল ইসলামের ছেলে। বুধবার বেলা ৩ টায় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট গেটে এই ঘটনা ঘটে।

হিলি আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি’র নায়েক ওমর আলী হাকিমপুর থানায় মামলা দায়ের এজাহারে উল্লেখ করেন, বুধবার দুপুরে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট গেইটের জিরো পয়েন্টে ডিউটি রত থাকা কালিন সময়ে ভারত থেকে এক নারী পাসপোর্ট যাত্রী দুইটি কাপড়ের কালো ব্যাগে ভারতীয় পন্ডস বিউটি ক্রিম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় ওই পাসপোর্ট যাত্রীকে ব্যাগে পন্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে কোন সঠিক উত্তর দিতে না পারায় ওই ব্যাগ দুইটিতে থাকা ৫৮ কেজি পন্ডস ক্রিম হিলি বন্দর শুল্ক অফিসে প্রেরন কালে আসামি লিটন চেকপোস্টের মেইন পিলার ২৮৫/ ১১ এস হইতে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আমার পথ রোধ করে সরকারি কর্তব্য পালনে বাধা প্রদান করিয়া ভারতীয় পণ্য সামগ্রী বোঝায় কালো কাপড়ের ব্যাগ দুটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং আমাকে ধাক্কা মারলে আমি মাটিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পাই। পরে অন্য কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে দুইটি মোবাইল এবং সিমসহ দুইটি সিম জব্দ করা হয়েছে।

এবিষয়ে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল তানজিলুর রহমান বলেন,বিজিবির কাজে বাধা প্রদান, বিজিবি সদস্যকে ধাক্কা মেরে তার কাছ থেকে পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার কোন ভাবে কাম্য নয়। আমি সংবাদ পাওয়া মাত্রই থানা পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত করি। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে এসে সবার সাথে কথা বলেছি।


আরও খবর



হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ল আরও ৩ দিন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:(হিট অ্যালার্ট) মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ল। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া বিভাগ। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে আরও তিন দিনের জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৮ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা (তিন দিন) অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে গত কিছুদিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত ৩১ মার্চ থেকে টানা বইছে এ তাপপ্রবাহ। আগামী মাসের (মে) প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি বেড়ে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ। অধিকাংশ অঞ্চলে তাপদাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত মারামারিতে ১ জনের মৃত্যু,আহত ৭

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৩০জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে এক কৃষক নিহত ও অপর ৭ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যাক্তির নাম নাম আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার(৬২)। সে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে। শুক্রবার বেলা ৮ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অপর আহতরা হচ্ছেন, হারুণ জোমাদ্দার(৫০), লতিফ জোমাদ্দার(৫৫), রশিদ জোমাদ্দার(৪২), আলম হাওলাদার (৭০), লিটন হাওলাদার(৪৫), জামিলা বেগম(৫০) ও মেহেদী হাসান(৩৫)।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের আকস্মিক হামলায় হাকিম জোমাদ্দার নিহত হন বলে তার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার জানিয়েছেন। 

মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার বলেন, বেলা ৭ টার দিকে প্রতিবেশি শহিদুল হাওলাদার ১০-১২ জন লোক নিয়ে তার ভাই হাকিম জোমাদ্দারের ওপর প্রথম দফায় হামলা করে। 

আহত অবস্থায় হাকিম জোমাদ্দার চিকিৎসার জন্য রওয়ানা হলে পথিমধ্যে তাকে আটক করে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার ফাত্তাহ্ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, মারপিটে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নিহত হাকিম জোমাদ্দারের ঘাতকদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।

আরও খবর



আত্রাইয়ে ভূট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:দেশের উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে এবার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন ও বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যবারের তুলনায় এবারে কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। অনুকুল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬শত ৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টা চাষে উপজেলার কৃষকরা বেশি ঝুঁকে পড়ছে। ভুট্টা চাষে খরচ কম অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। উপজেলার শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, কালিকাপুর, মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের এনামুল হক বলেন, ‘আমি আগাম জাতের যে ভুট্টা চাষ করেছি, তা কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এবারে আমার ভুট্টার ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে এর দামও ভালো রয়েছে।’

উপজেলার জাতআমরুল গ্রামের বায়ার ক্রুপসায়েন্স লিমিটেড আত্রাই উপজেলার পরিবেশক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এলাকার যেসব জমিতে পূর্বে বোরোচাষ করা হত সেসব জমির অনেক গুলোতেই আমি এবার ভুট্টা চাষ করছি। বোরোচাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠেনা। কিšুÍ ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও তেমন বেশি থাকে। এ জন্য আমি ভুট্টা চাষে এবার ঝুঁকে পড়েছি।

উপজেলার চৌবাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকা আলু চাষের জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিখ্যাত। উপজেলার সিংহভাগ আলু আমাদের এলাকায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়লেও এর মুনাফা কৃষকরা পায়নি। মুনাফা পেয়েছে মজুদদাররা। তাই এবার ভুট্টা চাষ করছি। আশা করি ফলনও বাম্পার হবে।তবে ন্যায্য দাম পেলে কষ্ট সার্থক হবে।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় ভুট্টার আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করছি ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলার ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মার্জিয়া পারভিন বলেন,এলাকার কৃষকরা যাতে ভুট্টা যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল ভুট্টা উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে ভুট্টাকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমান ঔষধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, ‘ভুট্টা লাগানোর শুরু থেকেই আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এবং সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবার ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় ভুট্টা চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে।


আরও খবর



বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হিলি সীমান্তে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার দিয়েছে বিজিবি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষিবাহিনী (বিএসএফ) কে মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বার্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) সদস্যরা।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১ টায় হিলি সীমান্তের ২৮৫ নম্বর মেইন পিলারের ১১ সাব-পিলার সংলগ্ন চেকপোস্ট গেটের শুন্য রেখায় মিষ্টি উপহার দিয়ে দুই বাহিনীর মাঝে এই শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।

বিজিবি হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েক সুবেদার দোলোয়ার হোসেন বিএসএফের ভারত হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার বেনার্শি দাসের হাতে ৩ প্যাকেট মিষ্টি তুলে দিয়ে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। এসময় উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষি বাহিনীর নারী ও পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েক সুবেদার দেলোয়ার হোসেন জানান,উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষিবাহিনী সদস্যরা যাতে সুসম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে পারে সে লক্ষে প্রতিটি দিবস ও ধর্মীয় উৎসবগুলোতে উভয়ে মিষ্টি উপহার দিয়ে থাকি। আজকেও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তাদের ৩ প্যাকেট মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়েছে।


আরও খবর