Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

কিশোর গ্যাং বিভিন্ন গ্রুপের অতিষ্ঠ মানুষ, গ্রেপ্তার গ্যাংয়ের ৩৭ কিশোর

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৩০৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:বাবা গ্রুপ, ০০৭ গ্রুপ, জাউরা গ্রুপ, ভোল্টেজ গ্রুপ,ডি কোম্পানি ও জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ বিভিন্ন নামে গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং গ্রুপ। প্রতি গ্রুপে আনুমানিক ১০/১৬ জন করে কিশোর। টাকার বিনিময়ে মারামারি, দখলবাজি, পিকেটিং, ছিনতাই, ডাকাতি, খুনসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে থাকে। তাদের ক্ষমতার জাহিরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ।গত বৃহস্পতিবার মাত্র ৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। এলাকাবাসী ও র‌্যাব-১ সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। তাদের নামে বেনামে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন গ্রুপ। বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার, উঠতি বয়সি ছেলেদের মাঝে ক্ষমতা বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপের সাথে অন্য গ্রুপের মারামারি করা বহুল আলোচিত ঘটনায় পরিনত হয়েছে।

গ্যাং সদস্যরা এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করার জন্য উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে দল বেধে ঘুরে বেড়ায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়, পথচারীদের উত্ত্যক্ত করে এবং ছোট খাটো বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের উপর চড়াও হয়ে হাতাহাতি- মারামারি করে। এছাড়াও তারা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য একই এলাকায় অন্যান্য গ্রুপের সাথে প্রায়সই কোন্দলে লিপ্ত থাকে। তাদের এই ধরনের চলাফেরার কারণে সাধারণ লোকজন তাদের অনেকটাই এড়িয়ে চলে। এই এড়ানোর বিষয়টিকে তারা তাদের ক্ষমতা হিসেবে ভাবে এবং কোন ঘটনায় কেউ কোন প্রতিবাদ করলেও ক্ষমতা জাহির করতে মারামারি করাসহ অনেক সময় খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। সস্প্রতি র‌্যাব-১ এর গোয়েন্দা অনুসন্ধানে রাজধানীর মহাখালী, বিমানবন্দর, বনানী, গাজীপুর ও

টঙ্গী থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় কতিপয় কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা গড়ে তুলেছে বাবা গ্রুপ, ০০৭ গ্রুপ, জাউরা গ্রুপ, ভোল্টেজ গ্রুপ, ডি কোম্পানি ও জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ নামে বেনামে বিভিন্ন গ্রুপ। প্রত্যেক গ্রুপের আনুমানিক সদস্য ১০/১৫ জন সদস্য রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের নামে পেশীশক্তি প্রদর্শন করে আসছে। মাদক সেবন, সাইলেন্সারবিহীন মোটরসাইকেল চালিয়ে বিকট শব্দ করে জনমনে ভীতির সঞ্চার, স্কুল-কলেজে বুলিং, র‌্যাগিং, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও শেয়ারসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজে লিপ্ত কিশোর গ্যাং। তারা টাকার বিনিময়ে যে কোন পক্ষের হয়ে মারামারি, দখলবাজি, পিকেটিং করে। যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিশ্চিত ক্ষতির মুখে ধাবিত করছে। এরই প্রেক্ষিতে কিশোর গ্যাং এর বিপথগামী সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে সস্প্রতি র‌্যাব-১ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাত ৭টার থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব-১। মাত্র ৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে রাজধানী ঢাকার মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গি ও গাজীপুর এলাকা থেকে ‘০০৭ গ্রুপের দলনেতা আল-আমিন, জাউরা গ্রুপের দলনেতা মাহাবুব, বাবা গ্রুপের দলনেতা সাদ, ভোল্টেজ গ্রুপের মনা, ডি কোম্পানি- (লন্ডন পাপ্পু চালায়) আকাশ ও আমির হোসেন গ্রুপ’ জাহাঙ্গীর গ্রুপ ওরফে বয়রা জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ বিভিন্ন কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাসেল, আরাফাত, রবিন, আল-আমিন, ইসলাম, জুয়েল, রবিউল, মুরাদ, মাহাবুব, সাদ, রোহান, মনা, হৃদয়, ওবায়েদ, জিসান, আকাশ, ঈমন, রমজান, সজিব, শাকিব, রাজিব, আমির হোসেন, শাহজাহান সাজু @ রাসেল, জিলাদ মিয়া, হৃদয়, রায়হান, বাবু মিয়া, শাহজাহান, জালাল মিয়া,লামিম মিয়া, রাকিব, হিরা মিয়া, ইমরুল হাসান, সাকিন সরকার রাব্বি, সুজন মিয়া, খাইরুল, রাহাত। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাজা, ২৪টি মোবাইল, ১টি ব্লেড, ১টি কুড়াল, ১টি পাওয়ার ব্যাংক, ৫টি রড, ১৬টি চাকু, ৩টি লোহার চেইন, ১টি হাতুড়ী, ১টি মোটরসাইকেল এবং ২৪ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) মোঃ মাহফুজুর রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টাকার বিনিময়ে যে কোন পক্ষের হয়ে মারামারি, দখলবাজি, পিকেটিং, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল মর্মে স্বীকার করে। কিশোর গ্যাং এর বিপদগামী সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও সিন্ডিকেটে কমছে ধানের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে অতিরিক্ত টোল বা খাজনা আদায়ের কারনে প্রতি ঘন্টায় কমছে ধানের দাম বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। এক মন ধানে ৮ টাকা করে খাজনা আদায় করছেন হাট ইজারাদার মাসুদ ও তার লোকজন। পৌর এলাকার তালন্দ হাটে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এতে করে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন।জানা গেছে, তানোর পৌরসভা থেকে প্রতি বছর হাটটি নিলাম হয়। এবার নিলামে রাজশাহীর গুড়িপাড়া এলাকার মাসুদ পেয়েছেন। পাওয়ার পর থেকেই সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত খাজনা বা টোল আদায় করে থাকেন। 

সপ্তাহে বুধবার ও রবিবার তালন্দ হাট বার। হাটে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ভ্যানে করে ধান বিক্রি করতে আসেন। প্রতি হাটে প্রচুর পরিমানে ধান কেনা বেচা হয়।মফিজ নামের এক কৃষক বলেন, তালন্দ হাটে ধান বিক্রি করতে এসেছিলাম বাড়তি দাম পাওয়ার আসায়। কিন্তু গত হাটে একমন ধান প্রকার ভেদে ১২৭০ টাকা থেকে ১২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ বুধবারে কমে ১২৪০ টাকা থেকে ঊর্ধ্বে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার একমন ধানে ৮ টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনেই ধানের দাম কমে যাচ্ছে।

দুলাল নামের এক কৃষক বলেন এক মন ধান বিক্রি করার জন্য এসেছে। ধাম বেশি পাব বলে দুপুর থেকে প্রচন্ড খরতাপের মধ্যে বসে ছিলাম। কিন্তু বাড়তি দাম নেই। যতই বেলা ঘনিয়ে আসছে ততই ধানের দাম সিন্ডিকেটের কারনে কমে যাচ্ছে। একমন ধান বিক্রি করেছি ১২৫০ টাকায়। ধানের দাম কমে গেলেও বাজারে নিত্যপন্যের দাম প্রচুর। একমন ধান বিক্রি করে প্রয়োজন মত বাজার করা যায় না। অবাক করার বিষয় সবকিছুর দাম বেশি হলেও ধানের দাম কম। আবার মড়ার উপর খাড়ার ঘা একমন ধানে খাজনা দিতে হচ্ছে আট টাকা করে।সিদ্দিক নামের আরেক কৃষক জানান, ১২ মন ধান বিক্রি করেছি। একমন ধানের দাম লেগেছে ১১৮০ টাকা। আর কিছুক্ষণ পর এদামও পাওয়া যাবে না।আরেকজন জানান, একমন ধানে আট টাকা তো নিচ্ছেই আবার একটি হাঁসে ২০ টাকা করে খাজনা আদায় করে থাকেন। খাজনা আদায় কারী উত্তম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ৮ টাকা খাজনা অনেক কম নেয়া হচ্ছে। সরকারি রেটে খাজানা আদায় করলে আরো বেশি হবে। সরকারি তালিকা দেখতে চাইলে তিনি দেখতে পারেননি।

সুত্র জানায়, হাটে খাজনা বা টোল আদায়ের তালিকা সাটাতে হবে। সে অনুযায়ী খাজনা আদায় করতে হবে। কিন্তু কোন নিয়মই মানছেন ইজাদার ও পৌর কর্তৃপক্ষ। বাজার মনিটরিং না থাকার কারনে ইচ্ছে মত টোল বা খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যদি নিয়োমিত মনিটরিং ব্যবস্থা বা অভিযান দিলে এত বেপরোয়া ভাবে খাজনা আদায় করতে পারত না। সবকিছু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। 
মুল ইজারাদার মাসুদ জানান,  এক মনে আট টাকা খাজনা আদায় অনেক কম হয়েছে। প্রতি হাটে ২০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাহলে এত বেশি টাকায় হাট নিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি হাটে নেই সাক্ষাতে কথা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 

পৌর মেয়র ইমরুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী খাজনা আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি টাকা আদায় না করলে বেতনভাতা দেয়া হবে কোথাই থেকে। সরকারি তো বেতন দেয় না। পৌরসভার রাজস্ব থেকেই বেতন দিতে হয়। আর সরকারি নিয়মে আদায় হলে বেতন ভাতা হবে না।

আরও খবর



রূপগঞ্জে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃগ্রীষ্মের শুরু থেকেই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। গতকাল ২৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টায় রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার রূপসী গন্ধর্বপুর সাইনবোর্ড ঈদগাহ মাঠে সাইনবোর্ড ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করা হয়। ইসতিসকার নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য অশ্রæ সিক্ত চোখে প্রার্থনা করেছে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

অনাবৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ হাহাকার করছে। এ কারনে নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে তীব্র গরম থেকে পানাহ চেয়ে রহমতের জন্য দোয়া পরিচালনা করা হয়। এ ইসতিসকার নামাজের ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন গন্ধর্বপুর বড় মসজিদের ইমাম মুফতি শাকির মাহমুদ। 

দুই রাকাত নামাজের পূর্বে নসিহতপূর্ণ আলোচনা করা হয়। নামাজে আদায় শেষে আল্লাহতালার দরবারে দুই হাত তুলে কান্না জড়িত কন্ঠে মোনাজাত করেন মুসুল্লিরা। অসহনীয় তীব্র রোধ ও চলমান প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারণে অতিষ্ঠ মানুষ সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের জন্য দুহাত তুলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন।

শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ইসতিসকার নামাজে অংশ নিয়েছে অসংখ্য মানুষ।মোনাজাতে জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণীসহ সকলকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

এছাড়াও মুড়াপাড়ার দড়িকান্দী, দাউদপুরের বেলদী, রূপগঞ্জের শিমুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুরুপ ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। 

   -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ফুলবাড়ীর পল্লীতে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিট বাড়ী দখলের চেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির সমশের নগর গ্রামে জমিজমার বিরোধ কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ীঘর ভাংচুর, জমি দখলের চেষ্টা, অগ্নিসংযোগ, মারপিটে আহত-২।

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির সমশের নগর গ্রামের মৃত্যু মিনহাজুল হকের পুত্র প্রতিবন্ধী মোঃ গহিন এর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সমশের নগর গ্রামের মৃত্যু আমির উদ্দীনের পুত্র মোঃ সালাম বাবু (৩৫); মৃত্যু কেফার উদ্দীন এর পুত্র মোঃ মনির হোসেন (৬০); মোঃ মনির হোসেন এর পুত্র মোঃ ফয়জুর (৩৫); মোঃ কালাম এর পুত্র মাহাবুর (৪০); মৃত্যু মমিনুল বোদ পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৬); মোঃ আজিবর রহমান এর পুত্র সুমন (৩৬) সর্ব সাং-সমশের নগর ফুলবাড়ী, দিনাজপুর। তারা দলবদ্ধ হয়ে গত ২৬/০৪/২০২৪ইং তারিখে দুপুর সাড়ে ১২টায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তারা লাঠি শোটা নিয়ে একই গ্রামের মৃত্যু মিনহাজুল হক এর পুত্র প্রতিবন্ধী গহিন (৫০) ও মিনহাজুল হক এর পুত্র সেকেন্দার আলী (৪৭) কে বেধম মারপিট করে এবং বাড়ী দখল করার চেষ্টা করে। অবশেষে বাড়ী তে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় ৯৯৯ এ ফোন দিলে ফুলবাড়ী থানা থেকে এএসআই জামেদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে আসেন। এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ঐ দুই জন ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

প্রতিবন্ধী গহিনের ভাই হাফেজ মোঃ বেলাল হোসেন জানান, আমি ঐ সময় মসজিদে নামাজ পড়াচ্ছিলাম খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যাই। সেখানে দেখি চারদিক থেকে লাঠি শোটা নিয়ে বাড়ীতে হামলা করছে। আমি নিরুপাই হয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাই।

১৯৬৩ সাল থেকে ঐ জায়গায় আমার ভাই ও আমার পরিবার বসবাস করে আসছে। তারা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে নি। এই ঘটনায় ফুলবাড়ী থানার এএসআই জামেদুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত শুক্রবার ৯৯৯ ফোনে ফোন পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই এবং পরিস্থিতি শান্ত করি। এ বিষয়ে ভুক্তভুগি প্রতিবন্ধী গহিন এর পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলি। মামলা হয়েছে কিনা তা বলতে পারব না। প্রতিবন্ধী মোঃ গহিন উল্লেখ্য ব্যক্তিদের নাম দিয়ে ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছেন।এই ঘটনায় প্রতিবন্ধী গহিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ন্যায় বিচারের দাবী করেছেন।


আরও খবর



অপরিপক্ব লিচুতে সয়লাব ভোলায় বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:জ্যৈষ্ঠ মাসে লিচুর মতো সুস্বাদু ফলে ভরে ওঠে বাজার। শুরু হচ্ছে এই রসালো ফলের মৌসূম। সপ্তাহখানেক পরে বাজারে আসবে পরিপক্ব লিচু। তবে এরই মধ্যে ভোলার বাজারগুলো ছেয়ে গেছে টক-মিষ্টি স্বাদের অপরিপক্ব লিচুতে। বুধবার ভোলার চকবাজার ও নতুন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, চকবাজার ও নতুন বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানে সবুজাভ ও হালকা লাল রঙের লিচু পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি মৌসূমে পাওয়া লিচুর তুলনায় এগুলোর আকার কিছুটা ছোট। মান ও আকারভেদে প্রতি ১০০ লিচুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। অনেক ক্রেতাকেই এসব লিচু কিনতে দেখা গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, এসব লিচু রাজশাহী, যশোর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসে। 

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে পাওয়া বেশিরভাগ লিচুই আসছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে। এছাড়া মাদ্রাজি জাতের এসব লিচুর বেশিরভাগই এখনও পরিপক্ব হয়নি। এই কথা বিক্রেতারাও স্বীকার করেছেন। যে কারণে এসব লিচুর স্বাদও টক-মিষ্টি। 

জানা যায়, রাজশাহী, নাটোর ও দিনাজপুরের বোম্বাই ও বেদানা লিচু আরও এক সপ্তাহ পর বাজারে উঠবে। সেসব পরিপক্ব লিচুর আকার এখনকার তুলনায় বড় হবে, তেমনি স্বাদও মিষ্টি হবে। সেসব লিচুর রঙ হবে লাল। তবে পরিপক্ক লিচুর দাম এখনকার মতোই হবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

নতুন বাজারের লিচু বিক্রেতা হারুন বলেন, এখন যেসব লিচু বাজারে আছে সেগুলো পুরোপুরি মিষ্টি না; কিছুটা টক মিষ্টি স্বাদের। মিষ্টি লিচু সপ্তাহখানেক পরে আসবে। চক বাজারের বিক্রেতা ইলিয়াস বলেন, বছরের প্রথম লিচু বাজারে উঠেছে, ক্রেতাও আছে মোটামুটি। আরও ১০ দিন পর আরও ভালো লিচু আসবে। তখন বিক্রিও বাড়বে। 

সুমন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, সোনারগাঁও ও গাজীপুর থেকে লিচু আসছে। এগুলো একটু টক-মিষ্টি স্বাদের। দিনাজপুরের লিচু আরও পরে উঠবে। তবে তখন দাম ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর চায়না লিচুর দাম হতে পারে প্রতি ১০০ লিচু ১ হাজার টাকা। এখন বাজারে এই ধরনের লিচু নেই। এটা আরও পরে উঠবে। 

এদিকে, বাজারে এখনও পরিপক্ব লিচু না উঠলেও অনেক ক্রেতাকে পরিবারের জন্য অপরিপক্ক লিচু কিনতে দেখা যায়। আবার লিচু পরিপক্ব না হওয়ায় অনেক ক্রেতাকে সেগুলো কেনা থেকে বিরত থাকতেও দেখা যায়। শাহাদাত হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, বছরের প্রথম লিচু উঠেছে। ঘরে ছোট ছেলে মেয়ে আছে। তাদের জন্য বছরের প্রথম লিচু কিনলাম।

চকবাজারে বাজারে ফল কিনতে আসা আবুল কালাম আজাদ লিচু না কিনতে বিরত থাকেন। তিনি বলেন, আমার বাড়ি বরিশাল চাকরির সুবাদে ভোলায় থাকি। বাজারে এখন যেসব লিচু উঠছে সেগুলো পরিপক্ব নয়। ঝড়ে ডাল ভেঙে যেসব লিচু পড়েছে, সেগুলোই বাজারে এনে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার অনেক মুনাফালোভী বিক্রেতা কাঁচা লিচু বাজারে নিয়ে আসছেন এবং তারা এগুলোর সাথে ফরমালিন যুক্ত করে খোলা বাজারে বিক্রি করছে, এগুলোর স্বাদ মিষ্টি নয়। এসব লিচু খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, বিষ যুক্ত এ-সব ফলমূল প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও বাজার মনিটরিং এর অভাবে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যেন কেউ নেই।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




পোরশায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ,পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় মনসা(৩৮) নামের এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মনসা নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের খোকার ছেলে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার সারাইগাছী-আড্ডা সড়কের বন্ধুপাড়া মোড় সংলগ্ন ব্রিজের নিচ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ছাওড় ইউপির খাতিরপুর গ্রামের আত্মীয়ের বাড়িতে ২দিন আগে বেড়াতে এসেছিলেন মনসা। রোববার সন্ধার পর থেকে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয়রা তার লাশ ব্রিজের নিচের পানিতে ভাঁসতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। মনসা মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর