Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

খাগড়াছড়িতে পুনাকের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে “বই পাঠ” উৎসব

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি পুনাক এর উদ্যােগে প্রথমবারের মতো  “বই পাঠ” উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রবিবার (১৮ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি পুনাক এর উদ্যােগে পুলিশ লাইন্স স্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে  প্রথমবারের মতো  “বই পাঠ” উৎসব এর উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি  জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) ।

এসময় খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.জসীম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ মো.তফিকুল আলম সহ প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদেরকে দুটি দলে (৬ষ্ঠ - ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে জুনিয়র টিম এবং ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিনিয়র টিম) ভাগ করেন। তিনি নির্ধারিত দুটি দলের জন্য দুটি বই পাঠ করার জন্য নির্ধারণ করে দেন। সিনিয়র টিমকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা “কারাগারের রোজনামচা” এবং জুনিয়র টিমকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার লেখা “আমাদের ছোট রাসেল সোনা” নামক বইগুলো পাঠ করার জন্য প্রদান করা হয়। বই পাঠ শেষে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠ্য বিষয় থেকে ১০টি করে প্রশ্ন লিখতে বলা হয়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলার  পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন,
বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে পেতে বুকের রক্ত দিয়েছেন আমাদের ভাষা শহীদগণ। তাঁদের এই ত্যাগের যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করতে বাংলা ভাষা চর্চার ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসেবে মূলত শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই  এই বই পাঠ উৎসবের জানিয়ে তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশ পুুলিশের” পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো খাগড়াছড়ি জেলার প্রতিটি উপজেলায় এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করেন।

আরও খবর



চেয়ারম্যান ময়নার নির্বাচনী সভায় জনতার ঢল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ইউপিতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নির্বাচনী মত বিনিময় সভায় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জনতার ঢল নামে। শুক্রবার বিকেলের দিকে ইউপির দরগাডাংগা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভা। কলমা ইউপির পূর্ব শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার, বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি আতাউর রহমান, কলমা পশ্চিমের সভাপতি মুনসুর রহমান, সম্পাদক আতাউর রহমান, পূর্ব শাখার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন, আ"লীগ নেতা জিল্লুর রহমান,  আব্দুল হামিদ, হারুনুর রশিদ, আফজাল হোসেন, ইমরান হোসাইন প্রমুখ। এসময় ইউপির আ"লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



স্বাচ্ছন্দ নিরাপদ ঈদযাত্রা জনগণকে উপহার দিবো: হাইওয়ে এআইজিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, নিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশ পুলিশ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে প্লান করে প্রস্তুত রয়েছে। আশা করি বিগত ২-৩টা ঈদযাত্রা যেমন সুন্দর, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত হয়েছে, এবার তার চেয়ে আরেকটু ভাল ঈদযাত্রা করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবাই মিলে যেন এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘœ করতে পারি, সে প্রচেষ্টা আমাদের আছে। আশা করি এবার আমরা সুন্দর একটা স্বাচ্ছন্দ নিরাপদ যানজটমুক্ত ঈদযাত্রা জনগণকে উপহার দিবো।

তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় টকিং ড্রোনের কার্যক্রম উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল আইজি মাহফুজুর রহমান, এডিশনাল ডিআইজি মোস্তাফিজুর রহমান, গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার সীমা রানী, এডিশনাল পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান সাকিব, কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম, নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেনসহ আরো অনেকে।

এআইজিপি আরও বলেন, এক দেড় মাস আগে থেকে ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যতধরণের প্রতিবন্ধকতা থাকে। যেমন কোথাও মেরামতের প্রয়োজন হয়, কোথাও হাটবাজার বসে একধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সেগুলো আমরা সম্প্রসারণের কাজ করে যাচ্ছি। মেরামতের কাজও হয়েছে। কোথাও কোথাও নতুন রাস্তা, মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। সে সমস্ত জায়গাতে এমনভাবে রাখা হয়েছে, যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয়। এবারের ঈদযাত্রার জন্য সমম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা ওয়াচ টাওয়ার করেছি। পুলিশের সাথে বডি অন ক্যামেরা থাকবে। সেই সাথে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। যা কন্ট্রোলরোম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এবার ড্রোনের সংখ্যা ও তার মানও বাড়িয়েছি। এবারের ড্রোন দিয়ে কথা বলে ট্রাফিক নিদের্শনা দিতে পারবো। ফলে সহজেই যানজট রোধ করা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অন্যবারের মতোই বাংলাদেশ পুলিশ, হাইওয়ে, জেলা, মেট্রোপলিটন পুলিশ সমন্বিত নিরাপত্তা মুলক একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এবারের ঈদযাত্রা যাতে ঘরমুখো মানুষ গন্তব্যে তাদের স্বজনের কাছে যেতে পারে। সে যাত্রা যেন নিরাপদ, স্বাছন্ন ও আনন্দদায়ক হয়, সেজন্য আমাদের সরকার সব সময় গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। সরকারী সকল সংস্থাগুলোর মধ্যে একটা সমন্বয় হয়। এরকম অনেকগুলো সমন্বয় মিটিংয়ের মাধ্যমে সড়ক সংশ্লিষ্ট সকলের তরফ থেকে মহাসড়কগুলোতে কোথায় কোথায় চ্যালেঞ্জ আছে? যানজট হতে পারে। সেগুলো আমরা চিহিৃত করে সেই যানজটের জায়গাগুলোতে সমস্যা সমাধান কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এআইজিপি।


আরও খবর



সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা দুঃখজনক: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তার দপ্তর কক্ষে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত।

তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় নিকট অতীতে বাংলাদেশে কোন জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করে।
 
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযু্দ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সকলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম।
 
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরকেই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থাও করেছে। তাঁর সরকারের সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

আরও খবর



খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যখনই সরকারে এসেছি তখনই চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । কারণ খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি দেয়। দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায় এবং একই সঙ্গে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা ও পুরস্কার বিতরণ হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক। খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকেও সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। কারণ, দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধা বিকাশের আরও সুযোগ হবে।

তিনি বলেন, আজ আমাদের এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারাবিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি। আমাদের ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড়রা যারা আজ এখান থেকে শুরু করলো, একদিন তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে নিয়ে আসবে। ছেলেমেয়েরা সারাবছর যেন খেলাধুলা করতে পারে সে জন্য সরকার সব উপজেলায় একটি করে মিনিস্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যকার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অপর ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রধানমন্ত্রী দুই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর



পানি নিষ্কাশনের মুখে নন্দন পার্কের বাঁধ, উৎসবেও জলবদ্ধতায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পানি নিষ্কাশনের মুখে ঈদের আগে নন্দন পার্কের মাটির বাঁধে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ঈদ ও বৈশাখী উৎসবে পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও চরম দুর্ভোগে পড়েন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। নিজেরা মেশিন দিয়ে সেচে কোনরকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবজনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো। এখান থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড়ইছুটি গ্রামে প্রায় দেড়শতাধিক বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা- ময়লাযুক্ত পানি যুগের পর যুগ ধরে কৃষি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু উপজেলার বাড়ইপাড়া ও বড়ইছুটি এলাকার পাশ^বর্তী ঢাকার সাভার উপজেলার কৃষি জমি ভরাট করে গড়ে উঠেছে নন্দন পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিই বড়ইছুটি গ্রামের মানুষের। এছাড়াও ওই পার্কের বিরুদ্ধে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশে বনবিভাগের জমিও জবর-দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই পার্কের পশ্চিম পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেষে অবস্থিত বড়ইছুটি গ্রামটি। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই পার্ক প্রতিষ্ঠা হলেও র্দীঘদিন ধরে পার্কের এক পাশ দিয়ে এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের আগে ওই পানি নিষ্কাশনের মুখে উচু মাটির বাঁধ দেয় নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একমাত্র রাস্তাসহ বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ছে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি। ওই পানি ঠেকাতে কেউ ঘরের পাশে দেয় বাঁধ, আবার কেউ উঠানের পানি সেচে ফেলছেন বাইরে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিশু ও রোগীরা। সৃষ্টি হচ্ছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই। এর সমধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। এর সমাধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে চলে আসে বড় দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ। এ দুটি উৎসবে ওই পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও পার্কের বাধের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন ওই গ্রামের ইফাজাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আফাজ উদ্দিন মোল্লা স্কুল এনড কলেজ, মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসুল্লি ও কারখানার শ্রমিকরা। তাদের ঘরে যেন নেই দুটি উৎসবের আমেজ, আছে চরম দুর্ভোগ আর হতাশা।নিজেদের উদ্যোগে মেশিন দিয়ে সেচে কোন রকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো।স্থানীয় জালাল উদ্দিন, সিলুম উদ্দিন, ফয়সাল সরকার, লিয়াকত সরকারসহ অনেকেই বলেন, এখানে আমাগো বাপ-দাদার বাড়ি। এ পর্যন্ত ময়লাযুক্ত পানি এ দিক দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আগে এ জমি নন্দন পার্কের ছিল না, পরে কিনে নিয়েছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। দুটি উৎসবেও আমাদের মধ্যে কোনো আমেজ নেই। ভাড়াটে মর্জিনা বেগম বলেন, আমি এখানে ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকি। আগে এ রকম ময়লাযুক্ত পানির কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু পার্কের বাঁধের কারণে ময়লাযুক্ত পানির জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ওই পানি আমাদের একটি ঘরেও ঢুকে যায়। ওই পানি সেচে কোন রকমে ঘরে থাকি। আবার ভরে গেলে আবার সেচে ফেলি। এছাড়া টয়লেট ও টিউবয়েলেও যেতে পারি না। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগে এই জলাবদ্ধতা থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী।

এব্যাপারে নন্দন পার্ক কোম্পানি সচিব খাইরুল ইসলাম জানান, আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি পার্কে ঢুকে যাচ্ছে। এতে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এর সমাধানের জন্য দুই বছর ধরে চেষ্টা করতেছি। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের জমি এভাবে কতদিন ফেলে রাখবো। তাই মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়ে আমাদের জমি উন্নয়ন করতেছি। ইউএনও স্যার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরাও তাদের সাথে আছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সব ধরণের বজ্রপানি ঐদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল ভাবে বক্তব্য দিতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ।


আরও খবর