Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

খাগড়াছড়িতে ৫দিনব্যাপী বৈসাবী উৎসবের উদ্বোধন করলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সাথে আমাদের পার্বত্য মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করা।

 শুত্রুবার (৫এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈসাবী উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড  খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. নাজমুল হক,  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো.শানে আলম, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

 প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায় আছেন যারা সংস্কৃতিমনস্ক সৃজনশীল কাজের প্রতি অনুরাগী। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের ফলেই পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

জানিয়ে তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও এর ধারা অব্যাহত রাখতেই রাজধানী ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। বিগত সময়গুলোতে আমাদের যে বৈষম্য বিরাজমান ছিল তা দুর করতে চাই। আগামিতে সাহস নিয়ে, শক্তি নিয়ে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের উন্নয়ন কাজে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

 পাহাড়ীরা বর্ষবরণ উৎসব পালন করে বিভিন্ন নামে। কেউ বৈসু, কেউ সাংগ্রাই আবার কেউ বিজু। বর্ষবরণ উৎসবকে ত্রিপুরারা বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই ও চাকমারা বিজু বলে অভিহিত করে এবং এগুলি বৈসাবি নামে পরিচিত। নতুন বছরের প্রথম দিন বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি পালিত হয় খাগড়াছড়ি, রাংগামাটি ও বান্দরবান জেলায়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবী আনন্দ র‌্যালিতে যোগ দেন। বৈসাবি  বাংলাদেশের  তিন পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব। বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে বাংলা নববর্ষ।

আরও খবর



নবীনগর বিদ্যাকুটে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে,অগ্নিকান্ডে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর বিদ্যাকুটে অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল সহ বসতঘর পুরে ছাই।

উপজেলা বিদ্যাকুট  পশ্চিম পাড়ার একটি  বসত ঘরে অগ্নিকান্ডে নগদ অর্থ স্বর্ণলংকার সহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল সহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েগেছে ।

গেল শুক্রবার দিবাগত রাত, ৮ ঘটিকায় ওয়াহেদ ডিলারের বাড়ির , মরহুম আবু তাহেরের বসতঘরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।


স্থানীয়রা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৮ ঘটিকায় পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে,  বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়,  অগ্নিকান্ডে একটি , বসতঘরের টিভি, ফ্রিজ ও ৪ ডাম চাওলা ,নগদ টাকা ও আসবাবপত্র ও সর্ণলংকার সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সম্পুর্ণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 


মসজিদের মাইকে এলান করার পর প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে , এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে পারেনি , দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতেছে ৷ ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়নি পাকা বিটির  চৌচালা টিনের ঘরের আধুনিক সব সরঞ্জামাদি সহ আসবাবপত্র,


পড়ে খবর পেয়ে নবীনগরের ফায়ার সার্ভিসের ১ টি ইউনিট, ও স্থানীয়রা এসে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মরহুম আবু তাহেরের স্ত্রী বলেন , প্রায় এক বছর পূর্বে  আমার জমি বিক্রি করে  ২২ লাখ টাকা দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছিলাম, 


গত রাতে আগুন লেগে আমার বসতঘরের টিভি, ফ্রিজ ও ৪ ডাম চাওলা ,নগদ টাকা ও আসবাবপত্র ও সর্ণলংকার সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সম্পুর্ণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।


আমি আমার ঘরে নামাজ পড়তে ছিলাম।হঠাৎ একটি শব্দ শুনতে পাই, বের হয়ে দেখি আমার ঘরে আগুণ লেগেছে।আমি চিৎকার করতে দেখে গ্রামের লোকজন আগুন নিবানোর জন্য আসে।আগুন নিবানো হলেও আমার ঘরে আর কিছুই নেই সবই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।আমার শরীরে থাকা কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



শনিবার যেসব জেলায় বন্ধ থাকবে স্কুল-মাদরাসা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তীব্র তাপপ্রবাহে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয় শনিবার শ্রেণী পাঠদানের। তবে ওই দিন খুলছে না ২৫ জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সব জেলা (রাজশাহীর ৭টি ও খুলনার ১০টি)। এছাড়া ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলা।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুরের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার বন্ধ থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে তাপপ্রবাহের কারণে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল। এরপর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। শুক্রবার (৩ মে) সাপ্তাহিক ছুটি।

তবে এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শনিবার থেকে যথারীতি সারাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে ক্লাস চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিন (শুধুমাত্র শুক্রবার ছুটি) মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়।

এরপর ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরদিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।


আরও খবর



মধুপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহায়তা কেন্দ্র ও রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ- টাঙ্গাইলের মধুপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহায়তা কেন্দ্র ও রেজিষ্ট্রেশন বুথের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মধুপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে এ  সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহায়তা কেন্দ্র ও রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল হক চৌধুরী। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো. শরফুদ্দীন, টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবাযের হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, মধুপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান, ধনবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান, মধুপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাকির হোসাইন, মধুপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারহানা শিরিন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মনি শংকর রায় প্রমুখ।

এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীসমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

 -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে ছাগলে গাছের পাতা খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মসজিদের আমগাছের ছাগলে পাতা খাওয়া নিয়ে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি সোমবার(১৫ এপ্রিল) সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের দিগরাম ঘুন্টিঘর এলাকায়। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।নিহত ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন (৪২)। তিনি ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। এসময় আহত হয়েছেন আরও একজন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন। তিনি জানান, স্থানীয় ব্যক্তি সাদেকুল ইসলামের একটি ছাগল মসজিদের আম গাছের পাতা খাই। তা নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন সাদেকুলকে ডেকে বারণ করেন ছাগল ছাড়তে। এনিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাদেকুলসহ আরও কয়েকজন এসে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়। তারা এ সময় মারমুখি আচরণও করে। সভাপতির পক্ষে কথা বলার জন্য রুহুল আমিনকে মারধর করা হয়।

তাকে রড ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। রুহুল আমিনকে বাঁচাতে আসলে নাজিরুল ইসলামও আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রুহুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এঘটনায় রাতেই তিনজনকে আটক করা হয়। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, সাদেকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিন। তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।


আরও খবর



জয়পুরহাটে মাল্টি পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরামের গোল টেবিল বৈঠকে আলোচকরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের নাগরিক সমস্যাগুলো নিয়ে দ্রুত কাজ করে জনগনের সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন  জয়পুরহাটের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা । বিশেষ করে মাদক মুক্ত সমাজ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা , দালাল মুক্ত হাসপাতাল, বাল্য বিবাহ,সুস্থ বিনোদন কেন্দ্র এবং পর্যাপ্ত খেলার মাঠের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানানো হয় ।  

শনিবার জেলার জাকস রিসোর্স সেন্টারে জয়পুরহাট মাল্টি পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ)  আয়োজিত একটি গোল টেবিল বৈঠকে এ বিষয় গুলো উঠে আসে । জয়পুরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট শামছুল আলম দুদুর উপস্থিতিতে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে কার্যকরী পদক্ষেপের ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন এমএএফ সদস্য,   স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র নেতাকর্মী সহ জয়পুরহাটের একাধিক সামাজিক সংগঠন। 

গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতে মাল্টি পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরামের সামাজিক কারযক্রমের উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করা হয়। এতে বিগত দিনের বিভিন্ন কার্যকরী সামাজিক পদক্ষেপ গুলোর ফলাফলা সম্পর্কে অবগত করা হয় ।  মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম একটি বহুদলীয় স্বেচ্ছাসেবী রাজনৈতিক ফোরাম। যেটি বাংলাদেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দল;  আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির পলিটিক্যাল ফেলো ও মাস্টার ট্রেইনারদের সমন্বয়ে পরিচালিত। মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম জয়পুরহাটের প্রেসিডেন্ট খ,ম আবদুর রহমান রনি এর সভাপতিত্বে এ গোল টেবিল স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনাল রাজশাহী অঞ্চলের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার  আসমা আক্তার । 

বৈঠকে উত্থাপিত বিষয় বস্তু সম্পর্কে জয়পুরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব এ্যাডভোকেট শামছুল আলম দুদু বলেন, যে কোন রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তির ঊর্ধ্বে  জনগন এবং তাদের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  যে নাগরিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন , এবং সেসব সমাধানে ইতোমধ্যেই  বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং যেগুলো সম্পর্কে এখনো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নি তা সমাধানে দ্রুতই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।  

জয়পুরহাট এম এ এফ সভাপতি এবং জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জনাব খ ম আব্দুর রহমান রনি বলেন ইউকেএইড এর অর্থায়নে ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল একাউন্টিবিলিটি ফর সিটিজেন এমপাওয়ারমেন্ট ( বি- স্পেইস) প্রকল্পের আয়তায় মাল্টি পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরাম, নাগরিক সমস্যাগুলো সামনে এনে তা সমাধানে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একসাথে কাজ করে চলেছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন নাগরিক ইস্যূতে এমএএফ সফলতা অর্জন করেছে।  

এই আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র অফিসার জনাব আশরুপা হক চৌধুরী , এমএএফ সাধারণ সম্পাদক এবং জয়পুরহাট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাম্মীম আজিজ সাজ,  এমএএফ এর কোষাধ্যক্ষ এবং জয়পুরহাট জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহেদা কামাল এবং এম এ এফ এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব জনাব মনজুরে মওলা পলাশ  প্রমূখ।

আরও খবর