Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাইকা’র সহায়তায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা উন্মোচন করল এনসিডিসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৩৬৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :সম্প্রতি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের (এনএইচএন) কারিগরি সহায়তায় উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) নিয়ে জাতীয় নির্দেশিকার দ্বিতীয় সংস্করণ উন্মোচন করল নন- কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি)। নির্দেশিকাটি বাংলাদেশি চিকিৎসকদের উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে এবং প্রয়োজনীয় ও উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ নন-কমিউনিকেবল ডিজিস (এনসিডি) রিস্ক ফ্যাক্টর জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৬৯ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বিদ্যমান সাধারণত ২৩.৫ শতাংশ, পুরুষদের মধ্যে ২৪.১ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ২৩.০ শতাংশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং সবার জন্য মানসম্পন্ন জীবনযাত্রার উন্নয়নে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উচ্চ রক্তচাপ একটি গুরুতর ব্যাধি যা হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক ব্যাধি ঝুঁকি তৈরির পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের কার্যকর চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এ রোগ শনাক্ত ও প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে বাংলাদেশে একাধিক বিদেশি নির্দেশিকা দেশে থাকলেও কোন নির্দেশিকাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তৈরি করা হয়নি।

এ প্রেক্ষিতে, এনসিডিসি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় নির্দেশিকা (প্রথম সংস্করণ) তৈরি করে। প্রথম সংস্করণ তৈরিতে এনসিডিসি প্রখ্যাত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নির্দেশিকা পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ নির্দেশিকাটি তৈরি করে। মেডিসিনের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক অর্জন এবং হালনাগাদ তথ্য, প্রমাণ ও অনুশীলনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় সংস্করণের উন্মোচন করা হয়।

এনসিডিসি প্রোগ্রামের কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এনসিডিসি’র ব্যবস্থাপনা মডেলের প্রচারণায় এনসিডিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে জাইকার কারিগরি সহায়তামূলক প্রকল্প ‘স্ট্রেন্দেনিং হেলথ কেয়ার সিস্টেমস ফর অর্গানাইজিং কমিউনিটিজ,’ যা এসএইচএএসটিও নামে পরিচিত এবং এ প্রকল্প শেষ হয় ২০২২ সালে। অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে গৃহীত প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে জাইকা প্রকল্পের ফলস্বরূপ জাতীয় এ নির্দেশিকা উন্মোচন নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে। এছাড়াও, জাইকা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অব্যাহত সহযোগিতার ভিত্তিতে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে 'অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’ নামে একটি নতুন সফল প্রকল্প উন্মোচন করা হয়ে।

নির্দেশিকা উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন। তিনি অনুষ্ঠানে সকল অতিথি ও অংশগ্রহণকারীকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া, জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ কোমোরি তাকাশি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আওয়াল (রিজভি) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।


আরও খবর



সৈয়দ আফজাল হোসেনকে নিয়োগ দিল বিএটি বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএটি বাংলাদেশের কোম্পানি সেক্রেটারি ও সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সেল হিসেবে সম্প্রতি সৈয়দ আফজাল হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। করপোরেট অনুশীলনের (করপোরেট প্র্যাকটিস) ক্ষেত্রে ৭ বছর ও আইন (মামলা-মোকদ্দমা) বিষয়ে তার ১২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া, দীর্ঘ কর্মজীবনে তার টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স, ভ্যাট-ট্যাক্স, করপোরেট, বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানের মতো বিভিন্ন খাতে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। বিএটি বাংলাদেশে ২০১৭ সালে লিটিগেশন এন্ড কমার্শিয়াল কাউন্সেল হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি।

এ বিষয়ে সৈয়দ আফজাল হোসেন বলেন, “বিএটি বাংলাদেশের বর্ধিত লিডারশিপ টিমের অংশ হতে পেরে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত; শত বছরের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে আমার আইনি জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। সবার জন্য সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমি আইনের বিধিমালার অধীনে থেকে জটিল আইনি পরিস্থিতির সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।”

আফজাল যুক্তরাজ্য থেকে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করেন; ইউনিভার্সিটি অব লেস্টার থেকে এলএলবি (সম্মান), ইনস অব কোর্ট স্কুল অব ল থেকে বার ভোকেশনাল কোর্স ও সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে প্রফেশনাল অ্যান্ড লিগ্যাল স্কিলসে পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসে দক্ষ।

একইসাথে, তিনি ব্যারিস্টার-এট-ল’ (ইংল্যান্ড ও ওয়েলস), সিইডিআর (যুক্তরাজ্য) এর স্বীকৃত মধ্যস্থতাকারী ও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। তিনি অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন, বার অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশন সহ অসংখ্য পেশাদার সংস্থার সদস্য।

সৈয়দ আফজাল হোসেন বিএটি বাংলাদেশে তার সমৃদ্ধ আইনি জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করে নিজেকে লিডারশিপ টিম ও প্রতিষ্ঠানের অপরিহার্য সদস্য করে তুলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আইনি শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা ও প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠানের সফলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।


আরও খবর



মাদকের দিকে যেন যুব সমাজ না ঝুকে এ জন্য সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে রাণীশংকৈলে: এমপি সুজন

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃদলীয় পরিচয়ে কেউ যদি মাদক ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কোঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঠাকুরগাও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন । গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাণীশংকৈল এর ধর্মগড় ইউনিয়নের চেকপোষ্ট বাজারে জনকল্যান ফাউন্ডেশ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া দেবীগঞ্জ - ধর্মগড় স্থল বন্দর চালুর ব্যপারে চেষ্টা চলছে। এক সময় মানুষ বলতো বিদুৎ দাও কিন্তু এখন কেউ বিদ্যুৎ চায় না। এখন সবাই পাকা রাস্তা চায়। এ জন্য আমি রাস্তা নিয়ে কাজ করছি। দুই তিনিটা রাস্তা টেন্ডার পর্যায় নিয়ে গেছি। যেভাবে বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ নিয়ে গেছি সে ভাবে সবার বাড়ির সামনে রাস্তা নিয়ে যাবো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখা হাসিনা বার বার ক্ষমতায় থাকার ফলে যে পরিবর্তন হচ্ছে এতে আমরা উন্নত রাষ্ট্র পরিনত হবো। জননেত্রী যত দিন থাকবে তত দিন আমরা ভালো থাকবো। আমি মনে করি আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি কেউ হারাতে পারবে না। এমন কাজ করা যাবে না যা জননেত্রীর বদনাম হয়। মাদকের দিকে যেন যুব সমাজ না ঝুকে এ জন্য সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। 

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, রাণীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রকিবুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধাপক সইদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারি প্রধান শিক্ষক মোকসেদুর রহমান।

আরও খবর



বিকাশের টাকা উদ্ধার করে দিল যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অপারেশন মামুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃরাজধানী যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার  এক ব্যক্তির ভুলে বিকাশের অন্য নম্বরে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) মোঃ ওহিদুল হক মামুন এর তত্ত্বাবধানে বিকাশে অন্যত্র চলে যাওয়া ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিক  ওই ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হয়। 


মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) এর কক্ষে ডেকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ভুলে চলে যাওয়া টাকা প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী যাত্রাবাড়ী থানা কোনাপাড়া  এলাকার বাসিন্দা ছোটন হোসেন কাঙ্ক্ষিত নম্বরের পরিবর্তে ভুলবশত ওপর একটি বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে ছোটন হোসেন যাত্রাবাড়ী থানায় ইন্সপেক্টর অপারেশন মামুনের কাছে বিষয়টি জানান। বিকাশ নাম্বারটি যাচাই করে দেখা যায় সেটি যাত্রাবাড়ী থানার আওতাভুক্ত এক ব্যক্তির। পরে সেই ব্যক্তিকে ডেকে এনে ভূল হওয়া ২০ হাজার  টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন। 

অহিদুল হক মামুন বলেন, "পুলিশের ইউনিফর্ম পড়ে দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে সবসময় গর্ববোধ করি, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের ধর্ম, তাই সব সময় চেষ্টা করি ভালো কিছু করার"।

ভুক্তভোগী ছোটন হোসেন বলেন, ভুল নম্বরে যাওয়া টাকা ফিরে পেয়ে আমি খুবই খুশি। দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) অহিদুল হক মামুনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

যাত্রাবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) ওয়াহিদুল হক মামুন একজন মানবিক পুলিশ হিসেবে সকলের নিকট সুপরিচিত। তিনি একজন চৌকস মেধাবী কর্মকর্তা।তার কর্মকালীন সময়ে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরমান আলী খানের সার্বক্ষনিক তদারকি ও দিক নির্দেশনায় ওহিদুল হক মামুন এর টিম ওয়ার্কের কারনে ফৌজদারী অপরাধ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং উদ্ধার জনিত মামলার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে বহুগুন। পুলিশ বাহিনীর চাকরির সুবাদে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ করেন।তার সাফল্যের পালকে যুক্ত আছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মেডেল ।


আরও খবর



বেনজীর আহমেদ মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দিলেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সাবেক পুলিশের মহাপদির্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ হাইকোর্ট মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন।মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় তা অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই দিন তার দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। লিখিত ওই আবেদনে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চান তিনি। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।


আরও খবর



দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য সকলকেঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়াম মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি।

সাংগ্রাই উৎসবের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মারমা যুবক যুবতিদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির শুভ সুচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী’র সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক মিজ মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সোহেল আহমেদ, বিজিবি রাঙ্গামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার), রাঙ্গামাটি সদর পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, দুদক রাঙ্গামাটির উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহি উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি  বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, বৈসাবী উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন না। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়। এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত। এদিন মুরব্বীদের কাছ থেকে আশির্বাদ চাওয়া হয়। তাই এটি সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকল ভাষাভাষী ও সকল ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন- লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সকল ভাষাভাষি গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমান করে আমরা শান্তি চাই সম্প্রীতি চাই ঐক্য চাই। তাই দেশের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সামিল করার ক্ষেত্রে সকলকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

আরও খবর