নিজস্ব প্রতিবেদক:ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাওয়া অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, আওয়ামী লীগের চাওয়া একই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে একমত। নির্বাচনের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যা বলেছে, আমরাও তা-ই চাই।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বিশ্ব’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির এ বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে যত বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, যত অপবাদ ছাড়ানো হয়েছে, সেখানে কিন্তু অনেকে ভেবেছিল বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সাড়া দেবেন না। কিন্তু ইতোমধ্যে শতাধিক পর্যবেক্ষক সাড়া দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত না।
রওশন এরশাদের নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রওশন এরশাদের নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত। কিন্তু তার দল নির্বাচন করছে। এটা জাতীয় পার্টি নির্বাচন বয়কটের মধ্যে পড়ে না।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির জন্য আর স্পেস নেই। দলটি নিজেরাই সেই সুযোগ নষ্ট করেছে। বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তৃণমূল বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ চমক দাবি করে তিনি বলেন, আরও চমকের জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ সময় ১৪ দলীয় জোটের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জোটের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আসন বণ্টনের সুযোগ রয়েছে। জোটও ভেঙে দেওয়া হয়নি। শরীকদের হতাশ করা হয়নি। এখনও আসন বণ্টনের সুযোগ রয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ইস্যুতেও কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। রাষ্ট্রদূতদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে উল্লেখ করে তা মেনে চলার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।