Logo
আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

হজের খরচ কমল বেসরকারি পর্যায়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ২১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সরকারি ব্যবস্থাপনার মতো বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরে একটি হোটেলে হাবের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা’ করেন হাবের সভাপতি এম‌ শাহাদাত হোসেন তসলিম।

প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। ২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালের হজের সাধারণ প্যাকেজের খরচ কমেছে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা।

২ নভেম্বর সরকারিভাবে ২০২৪ সালের হজের সাধারণ ও বিশেষ দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক। সরকারিতে সাধারণ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা থেকে নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন। নিবন্ধনের টাকা জমা নেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে)।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন।

জেনে নিন বিশেষ হজ প্যাকেজের বৈশিষ্ট্যগুলো:

প্যাকেজ আপগ্রেডেশন, অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে মক্কার হোটেলে ২ ও ৩ সিটের রুম নেওয়া যাবে। মক্কায় হারাম শরীফের চত্বর থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ মিটারের মধ্যে উন্নতমানের হোটেল। মদিনায় মারকাজিয়া এলাকায় আবাসন ব্যবস্থা। এক রুমে সর্বোচ্চ ৪ সিট থাকবে। মিনায় ‘এ’ ক্যাটাগরির তাঁবুতে আবাসন ও বুফে খাবার ব্যবস্থা। মিনা-আরফাহ মুজদালিফা-মিনায় যাতায়াতে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বাসে সিট নিশ্চিত করা হবে।


আরও খবর



আত্রাইয়ে তীব্র গরম,দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:বৈশাখের শুরুর দিন থেকেই নওগাঁয় আত্রাইয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। সকাল থেকে সূর্য যেন আগুন ছড়াচ্ছে চারদিকে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তাপমাত্রা বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।বিশেষ করে গাড়ি চালক ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট বেড়েছে অনেক বেশি।

তীব্র গরমে ছন্দপতন ঘটেছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। জীবিকার তাগিদে প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করেও তারা ঘর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘসময় কাজ করতে না পারায় এবং রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় ভাটা পড়েছে তাদের আয়ে।

শনিবার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সূর্যের প্রচন্ড তাপে নাজেহাল অবস্থায় রিকশাচালক, পথচারী, হকার, ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা বাইরে আছেন। রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় গামছা ও কেউবা আবার মাথায় মাথাল ব্যবহার করছেন। আবার গরমে হাঁপিয়ে ওঠা অনেকে ক্লান্তি দূর করতে সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে শরবত পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের সিএনজি চালক রায়হান আলী বলেন, সকাল ১১টার পর থেকে রোদের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয় আমাদের। অন্যদিকে, আগের মতো ভাড়া পাওয়া যায় না।

আবার বেশি সময় ধরে রিকশা চালানোও যায় না। অল্পতেই পানি পিপাসা পায়। এত কষ্টের মধ্যেও আমাদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে রাস্তায় বের হতে হয়। কষ্ট পাচ্ছে প্রাণিকুল। এদিকে কৃষকদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মাঠের কার্যক্রম।উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, কাঠ ফাটা রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কৃষকদের। খুব বেশি সময় মাঠে থাকা যায় না। অন্যদিকে শুকিয়ে যাচ্ছে নওগাঁর নদ-নদীর পানি। ফলে চাষাবাদে ব্যবহারের জন্য পানি পেতে কষ্ট পেতে হবে চাষিদের। সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জনজীবন।

শাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী মতিউর রহমান তিনি বলেন, আগে এরকম গরম দেখিনি। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। একটু হাঁটার পরপরই বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। গরমে দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় কমে গেছে।

শনিবার নওগাঁয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



মাদক কারবারে সাবেক এমপি বদির ২ ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে জানানো হয়েছে,মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা: বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা। সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও বলেন, মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে থাকবে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান,জানিয়েছেন জাতীয় ঈদগাহের জামাতসহ ঢাকার সব ঈদ জামাতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হাবিবুর বলেন, প্রধান জামাতে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। জাতীয় ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকায় এসবি সদস্যরা ইকুইপমেন্ট দিয়ে ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি, ড্রোন পেট্রলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করবেন। ডিবি-এসবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোশাকে অবস্থান করবেন।

এখন পর্যন্ত ঈদ ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার আগাম খবর নেই। তারপরও সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে যোগ করেন।

ট্রাফিক ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে ১০টি জায়গায় পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে ৮টি রাস্তা ডাইভারশন দেওয়া হবে, যাতে কোনো রকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদের নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন।

এ ছাড়া, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না।

নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যেকোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সারা দেশের সার্বিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ঈদে ডিএমপি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। কেএনএফের বিষয় পাহাড়ে, ডিএমপি এলাকায় কোনো শঙ্কা নেই। যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কেএনএফের সংশ্লিষ্টতা ছিল তাদেরও তৎপরতা নেই।

বাসের বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা বাস মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করেছি। সবাই বলেছেন, তারা কোনোভাবেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নেবেন না।

তিনি আরও বলেন, ডিএমপি এলাকার কাউন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশি প্রহরা রয়েছে, যেন অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিতে পারি।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে চোরাই কয়লা কান্ডে ২ জনের মৃত্যু: আহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত সোর্স পরিচয়ধারী ও তার গডফাদার নিয়ন্ত্রণে রেখে দীর্ঘদিন যাবত করছে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি। তাদের নেতৃত্বে সরকারের কোটিকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, পেয়াজ, চিনি, গরু, মহিষ, কসমেটিকস ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে একেরপর এক ঘটছে মৃত্যু ও সহিংসতার ঘটনা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিন মোকাম, দশঘর, বারেকটিলা, কড়ইগড়া, রাজাই, নয়াছড়া, রজনী লাইন ও বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা, চুনাপাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, ঘোড়া, নাসিরউদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, জামাল মিয়া, রুসমত আলী, নাজির মিয়া, নজরুল মিয়া, সাইকুল, আশরাফ, হাছান আলী, শাহিবুর মেম্বার, বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং।

এমতাবস্থায় সকাল ৬টায় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে নায়ছড়া এলাকার ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অন্যদিকে একই সময় বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট, বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট, কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি, লাকমা ও বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা ও সুন্দরবন এলাকা দিয়ে একই সময় ওই গডফাদারের নেতৃত্বে কয়লা, চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলা আসামী আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামাল, বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শামসুল মিয়া, শরাফত আলী, ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং।

এমতাবস্থায় লালঘাট সীমান্তে চোরাই কয়লা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।

এছাড়াও গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮), গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পাচাঁরকৃত ১টন অবৈধ চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচাঁরকৃত অন্যান্য অবৈধ মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা সোর্স পরিচয়ধারী ও তাদের গডফাদার উত্তোলন করলেও তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ।

এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন দুই চোরাকারবারীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান- থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই, সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। মৃত দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাগুরায় পথচারীদের মধ্যে ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তীব্র গরমে,জীবিকা নির্বাহে ব্যস্ত পথচারী,অটোরিকশা ও রিকশা চালকদের মধ্যে বিশুদ্ধ ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। মাগুরায় ৪১° উত্তপ্ত খরার হাত থেকে রেহাই পেতে,পথচারী ও জীবিকা নির্বাহে ব্যস্ত মাগুরা শহরের অটোরিকশা ও রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করে এলাকায় আলোচনায় উঠে এসেছে ফাউন্ডেশন। তারা এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখবে বলে জানান কর্মকর্তারা।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪