Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী শত্রুতা নয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র, অংশীদারত্ব চান শি জিনপিং ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় আজ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ: কর্মীদের সুরক্ষায় রেলের নির্দেশনা বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায়

গোদাগাড়ীতে পেয়াজ বীজ(থোকা) ক্ষতিগ্রস্থের ঘটনায় মামলা দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৮জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পেয়াজ বীজ(থোকা) ক্ষতিগ্রস্থের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে রাজশাহী আমলী আদালতে দুইজনকে আসামী করে মামলাটি করে ১৩ মার্চ।মামলার আসামীরা হচ্ছেন উপজেলার মাটিকাটা ভাটা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আল মামুন(২৭) ও এন্তাজ আলী ছেলে রফিকুল ইসলাম(৪৭)।মামলায় বাদী উল্লেখ্য করে যে পুর্ব শক্রতার জের ধরে তার তিনবিঘা জমির পেয়াজ বীজ(থোকা) কেটে নষ্ট করে। এতে করে এই কৃষকের ১০লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।কৃষক আব্দুল্লাহ বলেন,আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি জমি লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পেয়াজ বীজ চাষ করে আসছি। জমি জায়গা নিয়ে তার ভাই রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দন্ব সৃষ্টি হয়। এরই জের হিসাবে তার ভাই রফিকুল ও আল মামুন পরিকল্পিতভাবে পেয়াজ বীজের ফসল ক্ষতি সাধিত করেছে।আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তের জন্য গোদাগাড়ী থানায় প্ররণ করেছে। থানার পরিদর্শক(তদন্ত) শম্ভু চন্দ্র মন্ডল বলেন,মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখির করা হবে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই বন্ধু নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মোটরসাইকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধ নিহত হয়েছেন। এসময় অপর এক বন্ধু আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে শেওড়াতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ঢাকার আশুলিয়া থানার গোয়ালবাড়ি এলাকার নুরু ইসলাম খন্দকারের ছেলে শফিকুল খন্দকার ও একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে রায়হান খন্দকার। আহত অপর বন্ধু হলেন, একই এলাকার আকবর খানের ছেলে বিল্লাল খান।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল, রায়হান ও বিল্লাল নামে তিন বন্ধু একটি মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে কালিয়াকৈর-ধামরাই সড়কের উপজেলার শেওড়াতলী এলাকায় সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তিনবন্ধু গুরুতর আহত হন।

তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল ও রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে আহত অপর বন্ধু বিল্লাল খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি (অপারেশন) জোবায়ের আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অপরজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়। তবে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



১৯ রমজানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণার দাবী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’। আজ ৩০ মার্চ, ২০২৪ রোজ- শনিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর সংলগ্ন ঐতিহাসিক শাহবাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে অনুসন্ধিৎসু একদল তরুণের সংগঠন ‘শেকড় সন্ধানী’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।   সভায় আলোচকগণ হিজরী সনের ১৯ রমজানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণা ও পালনের দাবী জানান। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ শফিউর রহমান চৌধুরী এবং অতিথি সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ নিজামুদ্দিন।

শেকড় সন্ধানী’র আহবায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ আসাদুজ্জামান দিবসটির ঐতিহাসিক পটভূমি নিয়ে আলোচনায় বলেন, মধ্যযুগে বাংলা ছিলো এ অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা। কিন্তু ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন শাসকরা ক্ষমতা দখলের পর সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়, নিষিদ্ধ করে বাংলা ভাষাকে।   সেন শাসকরা প্রচার করে, “যে বাংলা ভাষায় কথা বলবে সে নরকে যাবে।  সাধারণ মানুষকে দেবতার ভাষা সংস্কৃতিতে কথা বলতে হবে। ” এর মাধ্যমে সেন রাজারা বাংলা ভাষাকে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করে।  কিন্তু ৬০১ হিজরী সনের ১৯ রমজান তারিখে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সেন শাসক লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বাংলাকে মুক্ত করেন।  এর ফলে শুধু ‘বঙ্গ বিজয়’ হয় না, বরং সেন শাসকরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে যে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিলো, তাও উঠে যায়।  অর্থাৎ বাংলা ভাষা আযাদ বা মুক্তি লাভ করে, সাধারণ মানুষ আবারো বাংলা ভাষা ব্যবহার করার স্বাধীনতা পায়।  তাই এ দিনটি বাংলা ভাষার আজাদী’ দিবস, যা সকল বাংলাভাষী মানুষের জন্য স্মরণীয় একটি দিন। 

মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত একটি মধ্যযুগীয় স্বর্ণমুদ্রা থেকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (রহমতুল্লাহি আলাইহি) কর্তৃক বাংলা বিজয়ের দিন ৬০১ হিজরীর ১৯ রমজান বলে জানা যায়। ঐ সময় এ অঞ্চলে মাস গণনায় হিজরী সন প্রচলিত ছিলো, বাংলা বা গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার ছিলো না। তাই হিজরী সন অনুসারে দিবসটি পালন অধিক যৌক্তিক।

আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট বাংলা ভাষা গবেষক ও গ্রন্থ প্রণেতা মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ যদি না আসতো, তবে হয়ত আমরা এখন বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না, নিজেদের বাঙালী বলে পরিচয় দিতে পারতাম না।  অনেক প্রাকৃত ভাষার মত বাংলা ভাষাও হয়ত হারিয়ে যেতো।  তাই এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।  দিনটির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাই আমরা এ দিনটি পালন করছি ।  আমরা চাই, আমাদের মত রাষ্ট্রীয়ভাবেও এ দিনটি পালন করা হোক।  ১৯ রমজান তারিখকে জাতীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণা করা হোক।

আলোচনায় শেকড় সন্ধানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য, ঢাবির অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, বর্তমান নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা নেই বললেই চলে।  আমরা আমাদের সংগঠন শেকড় সন্ধানীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বাঙালী জাতির শেকড়ে নিয়ে যেতে চাই।  খুঁজে বের করতে চাই, আমাদের প্রকৃত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে।   মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, ঐতিহাসিক ১৯ রমজান দিনটি উদযাপন তাই আমরা কোন হল বা অডিটোরিয়ামে না করে বেছে নিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত মুঘল স্থাপত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহাসিক নির্দশন হযরত হাজী খাজা  শাহবাজ রাহ: জামে মসজিদ প্রাঙ্গণকে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে দোয়েল চত্বর সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৪শ’ বছরের পুরাতন এমন একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা আছে, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানেন না।  আমরা চাই, নতুন প্রজন্ম এসব ঐতিহাসিক নির্দশনগুলো সম্পর্কে জেনে তাদের শেকড়ের সন্ধান লাভ করুক।

আলোচনা সভা শেষে প্রায় ৪শ’ অতিথিকে নিয়ে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় দেশ, জাতি ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর



বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ ৭ এপ্রিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসটি উদযাপন করছে বাংলাদেশও। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিতে: কাজ করি একসাথে’।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো।

এ বছর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সেমিনার আয়োজন, স্যুভেনির প্রকাশ, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কার্যক্রম।

১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন। সেইসঙ্গে গৃহীত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এ আইন। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে নির্ধারিত হয় দিনটি।

দিবসটি ঘিরে প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।


আরও খবর