Logo
আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম
মধুপুরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শঙ্কা রূপ নিল বাস্তবে, প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী রানুর ভরাডুবি বিপুল ভোটে বিজয়ী হাবিব গোদাগাড়ীতে আবারোও রাসেল ভাইপারের দেখা, আতঙ্কে কৃষকরা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল, অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ ডেসকোর প্রিপেইড রিচার্জ সেবা দুই দিন বিঘ্নিত হবে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমার মন্তব্য নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২৯ মে ১১১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি জুরাইনে টিআই ইসমাইল ফুটপাত দখলমুক্ত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছেন দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় চলছে ভোট

ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:প্রচন্ড তাপদাহ থেকে বাঁচতে ও এস ডিজি অরিজনের লক্ষ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানায় বৃক্ষরোপণ করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।

উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মুশফিকুর রহমান বাবুল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফারহানা রহমান মুক্তা,ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফারজানা রহমান শিমলা। ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজম এর নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন ছাত্রলীগ নেতা আসাদ সরকার ,সোহানুর রহমান শাওন,শাহিনুর, মেহেদী হাসান। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল জানান সারাদেশে ছাত্রলীগের পাঁচ লক্ষ বৃক্ষ রোপনের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়,তারই ধারাবাহিকতায় ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ বৃক্ষ রোপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তাদের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম আযম জানান প্রচন্ড তাপদাহ থেকে বাঁচতে গাছের বিকল্প নেই, কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী আমরা বৃক্ষরোপণের মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করব।


আরও খবর



চেয়ারম্যান শের আলম কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আনোয়ার পারভেজ টিংকু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ২৯৫জন দেখেছেন

Image

রুবেল মিয়া:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল  উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শের আলম কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা পায়েল হোসেন মৃধা,  সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এড. আশরাফ উদ্দিন মন্তু, আওয়ামী লীগের নেতা আবুল কাশেম,  ইসরাফিল শাহ যুবলীগ নেতা তৌহিন প্রমুখ। গত  ৮ ই মে ২০২৪ খ্রি. অনুষ্ঠিত ১ ধাপের নির্বাচনে  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত মো. শের আলম মিয়া।  

আনোয়ার পারভেজ টিংকু গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, সারাদেশে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে, কিন্তু সরাইল   উন্নয়ন বঞ্চিত। এবার সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত ছেলে শের আলম কে সর্বস্তরের জনগণ বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, শের আলম সরাইলের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে, এবং সে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সহ জনকল্যাণে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি। আমি তার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করছি।

      -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর



মুজিবনগরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ,আহত-১৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহাজনপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে তোতার সমর্থক ইসলাম শেখের (৬০) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্যান্যরা হলো তোতা গ্রুপের রাজন আলী (২৬), শাহাজাহন আলী (২৫), আব্দুস সাত্তার (৫৫) আনারুল ইসলাম (৫০) ও মিলু গ্রুপের রাসেল শেখ (২৩), শাহেদ আলী (২৫), শাহাবুদ্দীন (৫০), উজ্জ্বল (৩২), রমজান আলী (২১), মেহেরাব হোসেন (২২), সৌরভ মেম্বার (৪৭), হাবিবুর রহমান (২২)।

রফিকুল ইসলাম তোতার দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আমাম হোসেন মিলুর কিছু সমর্থক আমাদের মহাজনপুর বাজারের একটি অফিসে হামলা চালায়। এ সময় অফিস ভাংচুর করে। তারপরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমাদেও ৫ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ইসলাম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে আমাম হোসেন মিলুর দাবি, তার সমর্থকরা একটি অফিস উদ্বোধনের জন্য রফিকুল ইসলাম তোতার অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় তোতার সর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ৮ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মুজিবনগহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত্ব বলেন, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তবে অফিস ভাংচুরের বিষয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী একে অপরকে দোষারপ করছেন। ঘটনাস্থলে সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে। ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু,আহত ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১০জন। মৃত শ্রমিকরা হলো- জেলার ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও-গনেশপুর গ্রামের আনছার উদ্দিনের ছেলে দুলন মিয়া (২৮) ও পাশের বাহাদুরপুর গ্রামের মুসলিম মিয়ার ছেলে কুদ্দুস মিয়া (২৫)। এঘটনায় গুরুতর আহত ৬জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আজ সোমবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের সীমান্তে অবস্থিত চেলা নদীর সোনাপুর-পূর্ব চাইরগাঁও নামক স্থানে এই বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (২০ মে) ভোরে স্টিলবডি ইঞ্জিনের নৌকা নিয়ে শ্রমিকরা সীমান্তের চেলা নদী বালি উত্তোলন করতে যায়। এমতাবস্থায় সকাল ৯টা থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হলে শ্রমিকরা বৃষ্টিতে ভিজেই তাদের কাজ করতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে বৃষ্টির পরিমানও বাড়তে থাকে।

পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাত শুরু হয়। ওই সময় নৌকায় বালি বোঝাই করার সময় শ্রমিক কুদ্দুস মিয়ার ওপর বজ্র পড়লে সে ঘটনাস্থলে মারা যায়। আর তার সাথে ১১জন শ্রমিক আহত হয়।

পরে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দুলন মিয়াকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। অন্যান্য আহতদের মধ্যে ৬জনের অবস্থা গুরুতর দেখে তাদেরকে ভর্তি করা হয়। আর বাকী আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



খাগড়াছড়ি তিন উপজেলার নির্বাচনি শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে প্রচারণা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ  নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ি জেলার তিন  উপজেলা খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা,পানছড়ি নির্বাচনি শেষ মূহুর্তে প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে প্রতিটি  জনপদ । তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। 

তবে পানছড়িতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। আঞ্চলিক সংগঠনের দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপির ভোট বর্জন ও আওয়ামী লীগেরও প্রার্থী না থাকায় ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই ভোটারদের মাঝে।

বিএনপির ভোট বর্জনের মুখে প্রচণ্ড তাপদাহ, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদে প্রার্থীদের প্রচারণা চলছে। 

আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৪১টি। মোট ভোটার ৯২ হাজার ৮৬৪ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৭ হাজার ৮৯৫ ও নারী ভোটার ৪৪ হাজার ৯৬৯ জন।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম (আনারস), সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. আকতার হোসেন (মোটরসাইকেল), গোলাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা (কৈ মাছ) জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুশীল জীবন ত্রিপুরা (টেলিফোন) ও ভারত প্রত্যাগত নেতা সন্তোষিত চাকমা (দোয়াত কলম) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আসাদ উল্লাহ (বই), ক্যাউচিং মারমা (তালা), মো. আবু হানিফ (টিয়াপাখি), মো. এরশাদ হোসেন (চশমা) ও শাহাবুদ্দিন সরকার পেয়েছেন (টিউবওয়েল) প্রতীক।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কল্যাণী ত্রিপুরা (কলস), নিউসা মগ (প্রজাপতি) ও নিপু ত্রিপুরা (ফুটবল) নিয়ে নির্বাচন করছেন।

দিদারুল আলম ৩২ বছরের রাজনীতি ক্যারিয়ারে দুই মেয়াদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।মানুষের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিতে তিনি কাজ করছেন। খাগড়াছড়ি সদর  উপজেলাকে স্মাট উপজেলা করার লক্ষ্যে এবছর নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন  তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই তিনি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগে ব্যস্থ সময় পার করছেন। নির্বাচনের বিষয়ে তিনি জানান, নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হলে তিনি জয় লাভ করবেন।নির্বাচিত হলে উপজেলা পরিষদকে সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে জানান।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ এর বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান আকতার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে  উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই তিনি  খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।তিনি দীর্ঘ ৫বছর উপজেলা পরিষদের ভাইস- চেয়ারম্যান থাকা কালীন সময়ে উপজেলার  প্রতিটি ইউনিয়নে সরকারের উন্নয়ন জনগনের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি।  আমি দীর্ঘদিন মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছি।নির্বাচনে জনগন যদি আমাকে নির্বাচিত করে আমি উপজেলার অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করবো। পাশাপাশি নতুন প্রকল্পকের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদকে আধুনিক স্মাট উপজেলা পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলবো।

গোলাবাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা (কৈ মাছ) প্রচার চালাচ্ছেন প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায়। তিনি বিগত ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন।আমাকে নির্বাচিত করে আমি উপজেলার অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করবো।

দীঘিনালা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দুই জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দীঘিনালা উপজেলার ভোট কেন্দ্র ৩৬টি। মোট ভোটার ৯০ হাজার ১৯৪। পুরুষ ভোটার ৪৬ হাজার ৮১ জন ও নারী ভোটার ৪৪ হাজার ১১২ জন। দুর্গম নাড়াইছড়িতে ভোটার সরঞ্জাম যাবে হেলিকাপ্টারে।

দীঘিনালায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাশেম (আনারস) ও ইউপিডিএফ প্রসীত সমর্থিত প্রার্থী ধর্ম জ্যোতি চাকমা (মোটরসাইকেল)। দুই প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় সরগরম দীঘিনালার প্রত্যন্ত জনপদ। উভয় প্রার্থীই জয়ে আশাবাদী। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও বসে নেই।

দীঘিনালায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোস্তফা কামাল মিন্টু (টিউবওয়েল), সোলাইমান (টিয়াপাখি ) ও সুসময় চাকমা (চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সীমা দেওয়ান (কলসী) ও বিলকিছ বেগম পেয়েছেন (প্রজাপতি) প্রতীক।

পানছড়ি উপজেলা পরিষদে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়নি। সেখানে দুই আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ প্রসীত ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পানছড়ি উপজেলার ২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টিতে শূন্য ভোট ও অপর কেন্দ্রে মাত্র একটি ভোট পড়ে। পানছড়িতে মোট ভোটার ৫৬ হাজার ৫ ভোট। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৮ হাজার ২৪ ভোট ও নারী ভোটার ২৭ হাজার ৯৮০ ভোট।

পানছড়িতে চেয়ারম্যান পদে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক সমর্থিত প্রার্থী মিটন চাকমা (আনারস) ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ইউপিডিএফ প্রসীত সমর্থিত চন্দ দেব চাকমা (কাপ-পিরিচ) নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ সমর্থিত প্রার্থী পানছড়ির প্রত্যন্ত এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালালেও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের প্রচারণা বাজার কেন্দ্রিক। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই আঞ্চলিক দলের প্রার্থীর কারণে এ উপজেলার সাধারণ ভোটাররা নির্বাচনের দিন সংঘাতে আশঙ্কায় আতঙ্কিত। দুই আঞ্চলিক দলের প্রার্থী নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও বিএনপির বর্জন ও আওয়ামী লীগেরও প্রার্থী না থাকায় ভোট নিয়ে আগ্রহ নেই ভোটারদের মাঝে।

মিটন চাকমা তিনি নির্বাচিত হলে সহাবস্থান ও উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন। অপরদিকে চন্দ্র দেব চাকমা বলেন, অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে তিনিই নির্বাচিত হবে।

পানছড়িতে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে লোকমান হোসেন (বৈদ্যুতিক বাল্ব), জয়নাথ দেব (তালা), সৈকত চাকমা (টিউবওয়েল) ও কিরণ ত্রিপুরা পেয়েছেন (চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিতা ত্রিপুরা ফুটবল) ও সুজাতা চাকমা (কলস) প্রতীক নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

রির্টানিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জোনায়েদ কবীর সোহাগ বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এ ব্যাপারে সকল প্রার্থীর সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

আরও খবর