ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে কোল্ড ইনজুরি থেকে বোরো ধানের বীজতলা রক্ষায়সহ চারা লাগাতে স্মার্ট পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শীতে জুবুথুবু বোরো ধানের চারা গাছ রক্ষায় পানি সেচ ও সুতা দিয়ে শিশির ঝরানসহ অনেকেই পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন। প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ৫হাজার ৯শ’জন চাষিকে ধানের বীজ প্রদান করে ‘সিড জার্মিনেটর’ প্রযুক্তি নিয়ে মৌশুমের শুরু থেকে ময়দানে কাজ করছে কৃষি দপ্তর। বৈরি আবহাওয়া মোকাবেলায় থিয়োভিট স্প্রে করে ধানের চারা রোপন করছেন অধিকাংশ চাষি। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে শুরু হয়েছে ধানের চারা লাগানোর কাজ। এ মৌশুমে ৮হাজার ৪শত ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় চাষি রাজ্জাক মোল্লা, শুকুর আলী বলেন, কনকনে ঠান্ডায় ধানের চারা রক্ষায় সন্ধায় পানি সেচ দিয়ে ও সকালে চারা থেকে শিশির ঝরিয়ে দেওয়া হয়। যান্ত্রীক পদ্ধতিতে ধানের চারা লাগানোর জন্য ট্রে পদ্ধতিতে শুকনা বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সন্ধায় ঢেকে রাখা হচ্ছে পলিথিন সেডে। চারা অনেক ভালো হয়েছে।
অঞ্জন ব্যানার্জী জানান, বোর ধারে চারা তোলোর এক দিন আগে থিয়োভিট স্প্রে করেছি, জমিতে অন্যান্য সারের পাশাপাশি জৈবসার প্রয়োগ করে চাষদিয়ে দেড় একর জমিতে চারা লাগানো হয়েছে ৬দিন আগে। অধিকাংশ গাছের চারা শেকড় বিস্তার করেছে।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চাষিদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে স্মার্ট করে গড়ে তোলা হয়েছে। শীতে বীজতলা রক্ষায় পলিথিন সেড, পানি সেচ ও শিশির ঝরান পদ্ধতি অনুসরন করে চারা উৎপাদনে সফল হয়েছেন অধিকাংশ চাষি। প্রতিকুল আবহাওয়ায় ধানের চারা লাগানোর পর যাতে দ্রুত শেকড় বিস্তার করতে পারে তার জন্য পরিক্ষামুক ভাবে চারা তোলার এক দুদিন আগে থিওভিট স্প্রে করতে চাষিদের পরামশ্য দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি জমিতে এ পদ্ধতিতে লাগানো ধানের চারা তুলনামুলক সতেজ অবস্থায় দ্রুত শেকড় গজিয়েছে বলে জানান চাষিরা।