Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পের জটিলতা কাটছেই না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :অনুমোদনের দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা ফাইভ–জি সরবরাহ করার জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান ও উপযোগী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জটিলতা যেন কাটছেই না।

আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা এবং পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার মতো নানা অভিযোগের মধ্যে গেল ৮ নভেম্বর প্রকল্পের দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন করা হয়। যেখানে দরপত্রে অংশ নেয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে চুক্তির পর এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্রের মাধ্যমে সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা ক্ষেত্রে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়েছে, একইভাবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করার ক্ষেত্রেও সেটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’  বাস্তবায়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই বাস্তবায়ন জরুরি।

দেশে ফাইভজি চালুর জন্য ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হয় ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এতে সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪৬৩ কোটি টাকা। সরঞ্জাম সরবরাহে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে দরপত্রের প্রি-বিডিং মিটিং হয়। পরে সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যের দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্রটি উন্মুক্ত করে।

দরপত্রে প্রস্তাব দাখিল করে তিনটি কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড, জেডটিই করপোরেশন এবং নকিয়া সলিউশন। আর্থিক প্রস্তাবের তথ্য অনুযায়ী, ফাইভজি প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য হুয়াওয়ে ৩২৬ কোটি টাকা দরপত্র দাখিল করে। জেডটিই দাখিল করে ৪১৫ কোটি টাকা এবং নকিয়া ৫৭৯ কোটি টাকার। সেই হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেডটি’র তুলনায় ৯০ কোটি টাকা কমে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারবে হুয়াওয়ে। আর প্রকল্পে সরকারের অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনায় ১৩৭ কোটি টাকা কমে দরপত্র দাখিল করেছে হুয়াওয়ে, যার পুরোটাই সরকারের সাশ্রয় হবে।

কারণ দীর্ঘজটিলতার মধ্যে দিয়ে আসা প্রকল্পটি এখনই আলোর মুখ দেখবে কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে প্রকল্পের শুরু থেকেই চলা জটিলতাকে দায়ী করছেন তারা। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে আইন ও বিধি লঙ্ঘন, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা ও পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগের বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন তারা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্যমতে, দরপত্র আহ্বানের সব শর্ত পূরণ করার মাধ্যমেই তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তিনটি কোম্পানির সবাইকে যোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটিও। তবে এরপরই শুরু হয় জটিলতা। দরপত্রগুলোর মূল্যায়ন করে গত ৬ এপ্রিল বিটিসিএলের কাছে প্রতিবেদন পাঠায় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি)। প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়ে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার অনুমতির জন্য সুপারিশ করে তারা। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকল্প কার্যালয় প্রধান (হোপ) অর্থাৎ বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান চৌধুরী দুটি দরদাতার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠান টিইসির কাছে।

সরকারি ক্রয় নীতিমালা-২০০৮ এর নিয়ম অনুযায়ী, কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন করতে হবে প্রকল্প পরিচালককে। কিন্তু ২৪ দিন পর তিনি টিইসির কাছে ব্যাখ্যা চান।

টিইসি ব্যাখ্যা দিলেও গত ১৮ মে প্রকল্প পরিচালকের অফিস জানায়, প্রাপ্ত উত্তর সন্তোষজনক নয়। এরপর কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন না করে ক্রয়কারী কর্তৃক বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে নির্দেশনা দেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী।

এরপর ৪২ দিন পার হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত ২৫ মে প্রকল্প কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককের কাছে নথি পাঠানো হয়। তিনি এখতিয়ার এবং বিধি বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের ‘দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের’ নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (এ ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ) দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুমোদন বা কারণ ব্যাখ্যা ছাড়া দরপত্র বাতিল করে পুনঃমূল্যায়ন বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের নির্দেশ দিতে পারেন না।

আবার, তিন জন দরদাতার মধ্যে দুই জনের সার্টিফিকেটের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তিনি পুরো দরপ্রস্তাবই বাতিল করেন, যা বিধি বর্হিভূত।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী পিপিআর-২০০৮ -এ বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন পরে পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেটি অনুসরণ করেননি তিনি।

গত ২৪ জুলাই বিটিসিএলের বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত কার্যপত্রের ওপর আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, হোপের মাধ্যমে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিধি ও প্রক্রিয়াগত স্পষ্ট বিচ্যুতি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালার আলোকে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে দরপত্র বাতিলের বিষয়ে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর আদেশের বিরুদ্ধে হুয়াওয়ে অভিযোগ দাখিল করে। গত ৯ অক্টোবর এই অভিযোগের ওপর শুনানি করে সেন্ট্রাল প্রকিওরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)।

সব পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেওয়ার পর ২২ অক্টোবর সিপিটিইউ দরপত্র বাতিলের আদেশ অকার্যকর ঘোষণা করে। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার পর আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। প্রকল্পের ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধান আসাদুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যদের (যদি থাকে) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়সহ বিটিসিএল বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে আসাদুজ্জামানকে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিটিসিএল থেকে তার মূল প্রতিষ্ঠান টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে বদলি করা হয়।

রিভিউ প্যানেল এবং বোর্ডের নির্দেশনার পর দরদাতাদের আর্থিক প্রস্তাব ২৬ অক্টোবর খোলা হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ওই নোটিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হলে ২২ অক্টোবর আদালত সিপিটিইউ-এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সংক্ষুব্ধ হিসেবে আসাদুজ্জামান রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত সিপিটিইউ এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ দেওয়া রুল আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতের এই আদেশের পর ৮ নভেম্বর আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়।

জানা গেছে, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি সম্মতি দিলেও মন্ত্রীর পরামর্শে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দরপত্র বাতিল করে দেন। কেননা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাতিলের পক্ষে ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  এটা বিধির লঙ্ঘন। কারণ, দুজনের কেউই মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন না। তারা কীভাবে বাতিলের পক্ষে মত দেন, সে প্রশ্ন ওঠে।

আগের দরপত্র বাতিলের পক্ষে থাকা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বরাবরই বলে আসছেন এ দরপত্রের মাধ্যমে আসলে ২০১৫ সালের পুরনো মডেলের যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে, যা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অচল হয়ে যা্বে বলে আশঙ্কা তার। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে ২৯.৮ টেরাবাইট।  সে তুলনায় টেন্ডারে সেকেন্ড-প্রতি ১২৬.২ টেরাবাইট ক্যাপাসিটি’র সংস্থান রাখা হয়েছে।  সুতরাং, এই ক্যাপাসিটির ব্যান্ডউইথ দিয়ে ২০৩০ সালের চাহিদা মিটিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

ফলে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ দরপত্র বাতিল করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট অধিকাংশই। তাদের মতে,  প্রকল্প প্রণয়নের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রায় ২৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দরপত্রটির কারিগরি নির্দেশ প্রণয়ন হতে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ মাস সময় লেগেছে। এখন যদি দরপত্র বাতিল করে নতুন করে সব কিছু করা হয়, তা শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। যা একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় এবং অপরদিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্য অর্জন বিলম্বিত হবে।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে নৌকা মনোনীত প্রার্থী'র সাথে রাণীশংকৈল আ'লীগের মত বিনিময় সভা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠাকুরগাঁও -৩ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার পার্থী পীরগঞ্জ আ'লীগের সভাপতি সাবেক এমপি ইমদাদুল হকের সাথে রাণীশংকৈল উপজেলা আ'লীগের মত-বিনিময় সভা বুধবার ( ৬ ডিসেম্বর) রাণীশংকৈল উপজেলা আ'লীগ দলীয় কার্যলয় মাঠে উপজেলা আ'লীগের সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় বক্তব্য রাখেন,পীরগঞ্জ আ'লীগ সভাপতি ও নৌকা মনোনীত প্রার্থী ইমদাদুল হক,  জেলা আ'লীগ সহ-সভাপতি সাবেক এমপি সেলিনা জাহান লিটা,পীরগঞ্জ আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, উপজেলা আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ, পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি আখতারুল ইসলাম, আ'লীগের সহ-সভাপতি  গোলাম রব্বানী, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না,  আ'লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ হোসেন বিপ্লব ও মামুনুর রশীদ এলবার্ট, পৌর মেয়র ও আ'লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান,পীরগঞ্জ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক, উপজেলা আ'লীগ সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান  বাকি,সাবেক মেয়র আলমগীর সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান,জিতেন্দ্র নাথ  শরত চন্দ্র রায়, আব্দুল বারী, রাতোর ইউনিয়ন আ'লীগ সভাপতি মুকুল,ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা,জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল বাতেন স্বপন প্রমুখ। 
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, পৌর আ'লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। 

এছাড়াও অনুষ্টানে পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল  উপজেলা আ'লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকা নেতাকর্মী বৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তারা বলেন, আমাদের দির্ঘ দিনের আশা আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ বছর পর আ'লীগ মনোনীত নৌকা মার্কা পার্থীকে দিয়ে পূরন করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের মাধ্যমে শেখ হাসিনা'র বিজয় সু নিচ্ছিত করে এ আসন উপহার দেওয়া হবে । 

আরও খবর



আ.লীগের মনোনয়নপত্র শেষ দিনে বিক্রি চলছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ  আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জামাদানের শেষ দিন মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর)। সকাল থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির প্রধান কার্যালয়ে। উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান।

আজ শেষদিনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য আসা নেতাকর্মীর সংখ্যাই বেশি।

দেখা যায়, রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে ফুলবাড়ী অভিমুখের সড়ক দিয়ে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে কার্যালয়ের সামনে আসছেন নেতাকর্মীরা। ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে পছন্দের মনোনয়নপ্রত্যাশীর পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদেরকে। বরাবরের মতোই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের। মনোনয়নপত্র নিতে বা জমা দিতে সঙ্গে প্রার্থীসহ মোট তিনজনের বেশি ভেতরে প্রবেশ না করার জন্য মাইকেও বারবার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ফরম সংগ্রহ করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন।


আরও খবর



সিইসির সঙ্গে এসবি প্রধান মনিরুলের বৈঠক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে  ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ‍উপস্থিত ছিলেন। তবে কি বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে তা জানা যায়নি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজিপি, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিকেলে বৈঠক করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।

সেদিন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদকেও ইসিতে দেখা যায়। এরপর সারা দেশে ওসি ও ইউএনওদের বদলির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি জারি করে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, দেশের তিনজন জেলা প্রশাসককে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তবে কোন কোন জেলা প্রশাসককে বদলি করা হচ্ছে সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এর আগে, গত ৭ নভেম্বর সিইসি সাথে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করেন দেশের তিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান।

তারা হলেন-প্রতিরক্ষা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টিএম জোবায়ের এবং এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।

ওই বৈঠকে সিইসি ছাড়া অন্য কেউই উপস্থিত ছিলেন না। তিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান পৃথকভাবে তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুরে মিশ্র ফসলের চাষ করে স্বাবলম্বী চাষিরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃচর রাজিবপুর উপজেলার কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকরা একই জমিতে এক সাথে ৫টি ফসলের চাষ করে সংসারের চাহিদা মিটিয়েও উন্নয়নের আলো জ্বালিয়েছে চরাঞ্চলের চাষিরা। চর রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিবের ডাঙ্গী এলাকাটি কৃষির উপর নির্ভরশীল চাষির সংখ্যা শতকরা ৯৫ জন। শিবের ডাঙ্গী এলাকার সরেজমিন ঘুরে দেখা দেছে একজমিতে ৫টি করে ফসলের চাষ । ৫টি ফসলের মাঝে রয়েছে শীতকালিন বিশেষ প্রয়োজনীয় শাখসবজির চাষ। তারা বলছেন প্রথমে রোপন করা হয় আখ, আখের সাথে সাথে রোপন করা হয় মুলা,বেগুন,মরিচ, লাল শাখসহ ৫ প্রজাতের মিশ্র ফসল। মিশ্র ফসল চাষি ফরজ আলী- নিয়মিত প্রতিবছর ৭৫ শতাংশ জমিতে মিশ্র ফসলের চাষ করেন। তার পরিবার পরিজন এই ৭৫ শতক জমির ফসলের উপর নির্ভরশীল। এই জমিতে প্রতিবছর মিশ্র ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেও আয় করছেন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন ১ লাখ টাকার মুলা বিক্রয় করা হয়েছে, ২ লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করা হয়েছে এছাড়াও মরিচ সবেমাত্র ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি, যদি আকাশ অনুকুলে থাকে তাহলে সবজী থেকে আরও লাখ ২ টাকা আসবে আশা করি। তার দীর্ঘ মেয়াদী আখ থেকে এক থুকে ৩ লাখ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই এলাকার মিশ্র ফসল চাষি কৃষক মাইদুল ইসলাম বলেন ৩৬ শতাংশ জমিতে ৫ ফসলের চাষ করেছি এখান থেকে দের লাখ টাকার সবজী বিক্রি করা হয়েছে আল্লাহর রহমতে সবজীর আবাদ করে লাভবান হয়েছি।

কৃষক বকুল জানান ৩০ শতক জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করে প্রতিবছর খেয়ে দেও ২ লাখ টাকা আয় করতে পেরে আমি ভালো চলতে, পারছি পাশাপাশি এঅঞ্চলের সবজী চাষিরা সবাই স্বালম্বী। কৃষক খাজা মিয়া জানান মিশ্র ফসলের চাষ করে আমাদের পাশাপাশি সবজী ব্যবসায়ীরাও স্বাবলম্বী হয়েছে। তবে যদি এখানকার কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের সহযোগিতা করতেন তাহলে আমরা আরও স্বাবলম্বী হতে পারতাম। এখানে কৃষি কর্মকর্তারা মনের ভুলেও আসেনা যারফলে মাঝেমধ্যে মিশ্র ফসল নিয়ে বিপাকে পরতে হয়। বর্তমান সরকার কৃষিবান্দব সরকার কৃষকদের সবসময়ই সহযোগিতা করে থাকে কিন্ত আমরা তা পাচ্ছিনা । সরেজমিন ঘুরে কৃষকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া কৃষকরা শুধু মিশ্র ফসলের চাষ করেই স্বালম্বী হয়েছে। তবে চরাঞ্চলের কৃষকদের কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কৃষকদের অভিযোগের বিষয়বস্ত হচ্ছে তারা কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে কোন পড়ামর্শ প্রদান করে না। তারা শুধু উপজেলার আনাচেকাচে চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়েই সরকারের বেতন তুলে খায় একারনে তাদের মাঠে দেখা যায়না। এমনটি জানান চর রাজিবপুর উপজেলা কৃষকরা,তারা আরও বলেন হাটবাজারের বীজ কিনতেও পুতারনা হচ্ছে কৃষকরা এসব দেখভাল কে করবে। এবিষয় নিয়ে কথা হয় চর রাজিবপুর উপজেলা কৃষি উদ্ভিদ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম এর সাথে, তিনি বলেন রাজিবপুরে এবার প্রায় আড়াশো হেক্টর জমিতে সবজীর চাষ হয়েছে। আকাশ  অনুকুলে থাকায় সবজীর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দামেও পেয়েছে বেশি। এতে রাজিবপুরে সবজী চাষিরা লাভবান হয়েছে এছাড়াও সবসময় কৃষকদে পাশে থেকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।


আরও খবর

পোরশায় কৃষদের মাঝে রবি শস্য বীজ বিতরণ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

গাংনীর ফুলকপি চাষীদের মাথায় হাত

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




তাহিরপুরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি জমজমাট : কয়লার চালান আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর, চারাগাঁও, বালিয়াঘাট, টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত এখন চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্য। একাধিক মামলার আসামীরা নিজেদেরকে সোর্স পরিচয় দিয়ে এসব সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন সরকারের লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবাধে কয়লা ও চুনাপাথরসহ চিনি, সুপারী, গাছ, গরু, ছাগল, ইয়াবা, মদ, গাঁজা, নাসিরউদ্দিন বিডি ও কসমেটিস পাঁচার করে অনেকেই কোটিপতি হয়েগেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার বীরেন্দ্র নগর সীমান্তের লামাকাটা ও সুন্দরবন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১শ মেঃটন ও গতকাল সোমবার (২০ নভেম্বর) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অবৈধ কয়লা আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লার মালিক, সোর্স ও চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতারের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে সীমান্তের লালঘাট গ্রামের চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী খোকন মিয়া বলেন- ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁরের পর চোরাচালান মামলার আসামী সোর্স রফ মিয়াকে থানার নামে ১ নৌকা (২০ মেঃটন) চোরাই কয়লা থেকে ৩৫ হাজার টাকা, চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের নামে সোর্স সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া ও আইনাল মিয়াকে ১মেঃটন কয়লা থেকে ৮শ টাকা চাঁদাসহ শরাফত আলী ও শামসুল মিয়াকে টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের নামে ১বস্তা (৫০কেজি) ১শ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার টাকা কম দেওয়ার কারণে সোর্সরা আমার ১মেঃটন কয়লা কুপিয়ে নষ্ট করাসহ নৌকার ক্ষতি করেছে। আর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ মিয়া।

বৈধ কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক আবুল বাশার খানসহ আরো অনেকই বলেন- আটককৃত চোরাই চোরাচালান মামলার আসামী রফ মিয়া, সেলিম আহমেদ, লেংড়া জামাল, রবিউল মিয়া, আনিস, আইনাল মিয়া, নেকবর আলী ও শেখ মস্তোফাগংদের। তারা তাদের গডফাদারকে নিয়ে ২বছর যাবত ওপেন সীমান্ত চোরাচালান বাণিজ্য করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তাদের কারণে প্রতিবছর কোটিকোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। তাই প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগী জরুরী প্রয়োজন। এউপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার ও ব্যবসায়ী রাশিদ মিয়া বলেন- আজাদ মিয়া সীমান্তে লুটপাট শুরু করেছে। তার নেতৃত্বে চোরাচালানসহ সবকিছু হচ্ছে। সত্য কথা বললে নানান সমস্যায় পড়তে হয় তাই এব্যাপারে কিছু বলিনা। তাদের কারণে আমরা বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছি। এব্যাপারে শেখ মস্তোফা বলেন- আটককৃত চোরাই কয়লার সব দায় দায়িত্ব সোর্স রফ মিয়ার আর সোর্স লেংড়া জামাল ও তার লোকজনের কয়লা এখনও আটক করা হয়নি। তাদের অনেক কয়লা মজুত করা আছে। আমি এইসব অবৈধ কাজের সাথে জড়িত না।

এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- থানা পুলিশের কোন সোর্স নাই, আমরা বর্তমানে নির্বাচনী কাজ নিয়ে খুবই ব্যস্ত। তাছাড়া সীমান্ত চোরাচালানসহ সবকিছু দেখার দায়িত্ব বিজিবির। তারপরও আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। কেউ আমাদের নাম ভাংগিয়ে কোন অন্যায় করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বীরেন্দ্রনগর কোম্পানীর বিজিবি কমান্ডার নায়েক সুবেদার হাফিজুর রহমান বলেন- আমাদের একজন উপরস্থ কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পাচাঁরকৃত কয়লা উদ্ধার অভিযান চলছে এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর