Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পের জটিলতা কাটছেই না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৫২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :অনুমোদনের দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা ফাইভ–জি সরবরাহ করার জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান ও উপযোগী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জটিলতা যেন কাটছেই না।

আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা এবং পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার মতো নানা অভিযোগের মধ্যে গেল ৮ নভেম্বর প্রকল্পের দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন করা হয়। যেখানে দরপত্রে অংশ নেয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে চুক্তির পর এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্রের মাধ্যমে সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা ক্ষেত্রে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়েছে, একইভাবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করার ক্ষেত্রেও সেটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’  বাস্তবায়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই বাস্তবায়ন জরুরি।

দেশে ফাইভজি চালুর জন্য ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হয় ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এতে সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪৬৩ কোটি টাকা। সরঞ্জাম সরবরাহে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে দরপত্রের প্রি-বিডিং মিটিং হয়। পরে সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যের দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্রটি উন্মুক্ত করে।

দরপত্রে প্রস্তাব দাখিল করে তিনটি কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড, জেডটিই করপোরেশন এবং নকিয়া সলিউশন। আর্থিক প্রস্তাবের তথ্য অনুযায়ী, ফাইভজি প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য হুয়াওয়ে ৩২৬ কোটি টাকা দরপত্র দাখিল করে। জেডটিই দাখিল করে ৪১৫ কোটি টাকা এবং নকিয়া ৫৭৯ কোটি টাকার। সেই হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেডটি’র তুলনায় ৯০ কোটি টাকা কমে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারবে হুয়াওয়ে। আর প্রকল্পে সরকারের অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনায় ১৩৭ কোটি টাকা কমে দরপত্র দাখিল করেছে হুয়াওয়ে, যার পুরোটাই সরকারের সাশ্রয় হবে।

কারণ দীর্ঘজটিলতার মধ্যে দিয়ে আসা প্রকল্পটি এখনই আলোর মুখ দেখবে কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে প্রকল্পের শুরু থেকেই চলা জটিলতাকে দায়ী করছেন তারা। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে আইন ও বিধি লঙ্ঘন, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা ও পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগের বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন তারা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্যমতে, দরপত্র আহ্বানের সব শর্ত পূরণ করার মাধ্যমেই তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তিনটি কোম্পানির সবাইকে যোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটিও। তবে এরপরই শুরু হয় জটিলতা। দরপত্রগুলোর মূল্যায়ন করে গত ৬ এপ্রিল বিটিসিএলের কাছে প্রতিবেদন পাঠায় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি)। প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়ে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার অনুমতির জন্য সুপারিশ করে তারা। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকল্প কার্যালয় প্রধান (হোপ) অর্থাৎ বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান চৌধুরী দুটি দরদাতার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠান টিইসির কাছে।

সরকারি ক্রয় নীতিমালা-২০০৮ এর নিয়ম অনুযায়ী, কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন করতে হবে প্রকল্প পরিচালককে। কিন্তু ২৪ দিন পর তিনি টিইসির কাছে ব্যাখ্যা চান।

টিইসি ব্যাখ্যা দিলেও গত ১৮ মে প্রকল্প পরিচালকের অফিস জানায়, প্রাপ্ত উত্তর সন্তোষজনক নয়। এরপর কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন না করে ক্রয়কারী কর্তৃক বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে নির্দেশনা দেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী।

এরপর ৪২ দিন পার হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত ২৫ মে প্রকল্প কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককের কাছে নথি পাঠানো হয়। তিনি এখতিয়ার এবং বিধি বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের ‘দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের’ নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (এ ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ) দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুমোদন বা কারণ ব্যাখ্যা ছাড়া দরপত্র বাতিল করে পুনঃমূল্যায়ন বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের নির্দেশ দিতে পারেন না।

আবার, তিন জন দরদাতার মধ্যে দুই জনের সার্টিফিকেটের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তিনি পুরো দরপ্রস্তাবই বাতিল করেন, যা বিধি বর্হিভূত।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী পিপিআর-২০০৮ -এ বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন পরে পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেটি অনুসরণ করেননি তিনি।

গত ২৪ জুলাই বিটিসিএলের বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত কার্যপত্রের ওপর আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, হোপের মাধ্যমে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিধি ও প্রক্রিয়াগত স্পষ্ট বিচ্যুতি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালার আলোকে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে দরপত্র বাতিলের বিষয়ে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর আদেশের বিরুদ্ধে হুয়াওয়ে অভিযোগ দাখিল করে। গত ৯ অক্টোবর এই অভিযোগের ওপর শুনানি করে সেন্ট্রাল প্রকিওরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)।

সব পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেওয়ার পর ২২ অক্টোবর সিপিটিইউ দরপত্র বাতিলের আদেশ অকার্যকর ঘোষণা করে। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার পর আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। প্রকল্পের ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধান আসাদুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যদের (যদি থাকে) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়সহ বিটিসিএল বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে আসাদুজ্জামানকে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিটিসিএল থেকে তার মূল প্রতিষ্ঠান টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে বদলি করা হয়।

রিভিউ প্যানেল এবং বোর্ডের নির্দেশনার পর দরদাতাদের আর্থিক প্রস্তাব ২৬ অক্টোবর খোলা হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ওই নোটিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হলে ২২ অক্টোবর আদালত সিপিটিইউ-এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সংক্ষুব্ধ হিসেবে আসাদুজ্জামান রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত সিপিটিইউ এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ দেওয়া রুল আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতের এই আদেশের পর ৮ নভেম্বর আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়।

জানা গেছে, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি সম্মতি দিলেও মন্ত্রীর পরামর্শে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দরপত্র বাতিল করে দেন। কেননা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাতিলের পক্ষে ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  এটা বিধির লঙ্ঘন। কারণ, দুজনের কেউই মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন না। তারা কীভাবে বাতিলের পক্ষে মত দেন, সে প্রশ্ন ওঠে।

আগের দরপত্র বাতিলের পক্ষে থাকা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বরাবরই বলে আসছেন এ দরপত্রের মাধ্যমে আসলে ২০১৫ সালের পুরনো মডেলের যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে, যা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অচল হয়ে যা্বে বলে আশঙ্কা তার। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে ২৯.৮ টেরাবাইট।  সে তুলনায় টেন্ডারে সেকেন্ড-প্রতি ১২৬.২ টেরাবাইট ক্যাপাসিটি’র সংস্থান রাখা হয়েছে।  সুতরাং, এই ক্যাপাসিটির ব্যান্ডউইথ দিয়ে ২০৩০ সালের চাহিদা মিটিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

ফলে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ দরপত্র বাতিল করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট অধিকাংশই। তাদের মতে,  প্রকল্প প্রণয়নের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রায় ২৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দরপত্রটির কারিগরি নির্দেশ প্রণয়ন হতে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ মাস সময় লেগেছে। এখন যদি দরপত্র বাতিল করে নতুন করে সব কিছু করা হয়, তা শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। যা একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় এবং অপরদিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্য অর্জন বিলম্বিত হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মাঝে পর্নোগ্রাফি বিক্রি, আটক সাত ব্যবসায়ী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর পত্নীতলার বটতলী বাজার এলাকায় পর্ণগ্রাফি সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিক্রয়ের অভিযোগে সাত ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৬ টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার বদলপুর গ্রামের বিরেন চন্দ্র মন্ডলের ছেলে শ্রী কৃষ্ণ বাবু (২৮), একই গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ছেলে  মোকছেদুল মমিন (২৫), বন্দীনাথের ছেলে মনষা (২৮), মধইল গ্রামের ছয়ফুল ইসলামের ছেলে আবদুল করিম (২৩), গুটিন গ্রামের আবদুল গাফফারের ছেলে  আল আমিন (২১), একই গ্রামের জয়রাম উরাওয়ের ছেলে অনুকুল (২৮), মানাষী গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (২২)।

র‍্যাব জানায়, তারা বটতলী বাজার এলাকায় তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অশ্লীল সিনেমা ও ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করত। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ায় তাদের নিজ দোকানে অভিযান চালিয়ে পর্নো ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

আরও খবর



জয়পুরহাটে মাল্টি পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরামের গোল টেবিল বৈঠকে আলোচকরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের নাগরিক সমস্যাগুলো নিয়ে দ্রুত কাজ করে জনগনের সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন  জয়পুরহাটের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা । বিশেষ করে মাদক মুক্ত সমাজ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা , দালাল মুক্ত হাসপাতাল, বাল্য বিবাহ,সুস্থ বিনোদন কেন্দ্র এবং পর্যাপ্ত খেলার মাঠের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানানো হয় ।  

শনিবার জেলার জাকস রিসোর্স সেন্টারে জয়পুরহাট মাল্টি পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ)  আয়োজিত একটি গোল টেবিল বৈঠকে এ বিষয় গুলো উঠে আসে । জয়পুরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট শামছুল আলম দুদুর উপস্থিতিতে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে কার্যকরী পদক্ষেপের ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন এমএএফ সদস্য,   স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র নেতাকর্মী সহ জয়পুরহাটের একাধিক সামাজিক সংগঠন। 

গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতে মাল্টি পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরামের সামাজিক কারযক্রমের উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করা হয়। এতে বিগত দিনের বিভিন্ন কার্যকরী সামাজিক পদক্ষেপ গুলোর ফলাফলা সম্পর্কে অবগত করা হয় ।  মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম একটি বহুদলীয় স্বেচ্ছাসেবী রাজনৈতিক ফোরাম। যেটি বাংলাদেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দল;  আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির পলিটিক্যাল ফেলো ও মাস্টার ট্রেইনারদের সমন্বয়ে পরিচালিত। মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম জয়পুরহাটের প্রেসিডেন্ট খ,ম আবদুর রহমান রনি এর সভাপতিত্বে এ গোল টেবিল স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনাল রাজশাহী অঞ্চলের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার  আসমা আক্তার । 

বৈঠকে উত্থাপিত বিষয় বস্তু সম্পর্কে জয়পুরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব এ্যাডভোকেট শামছুল আলম দুদু বলেন, যে কোন রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তির ঊর্ধ্বে  জনগন এবং তাদের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  যে নাগরিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন , এবং সেসব সমাধানে ইতোমধ্যেই  বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং যেগুলো সম্পর্কে এখনো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নি তা সমাধানে দ্রুতই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।  

জয়পুরহাট এম এ এফ সভাপতি এবং জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জনাব খ ম আব্দুর রহমান রনি বলেন ইউকেএইড এর অর্থায়নে ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল একাউন্টিবিলিটি ফর সিটিজেন এমপাওয়ারমেন্ট ( বি- স্পেইস) প্রকল্পের আয়তায় মাল্টি পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরাম, নাগরিক সমস্যাগুলো সামনে এনে তা সমাধানে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একসাথে কাজ করে চলেছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন নাগরিক ইস্যূতে এমএএফ সফলতা অর্জন করেছে।  

এই আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র অফিসার জনাব আশরুপা হক চৌধুরী , এমএএফ সাধারণ সম্পাদক এবং জয়পুরহাট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাম্মীম আজিজ সাজ,  এমএএফ এর কোষাধ্যক্ষ এবং জয়পুরহাট জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহেদা কামাল এবং এম এ এফ এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব জনাব মনজুরে মওলা পলাশ  প্রমূখ।

আরও খবর



গরমে বেনাপোল বন্দরে আমদানিকৃত আলু পচে যাচ্ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:ভারত থেকে আমদানি করা ৩৭০ মেট্টিকটন আলু বেনাপোল স্থলবন্দরে পচতে শুরু করেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছে এসব আলু রংপুরের একটি বেভারেজ কোম্পানিতে নেওয়া হবে।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রুত খালাস না হলে এসব আলু খাওয়ার অযোগ্য হবার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমদানি করা এ আলু খোলা বাজারে বিক্রি হবে না।

বেনাপোল স্থলবন্দরের একটি সূত্র জানায়, গত ২১ এপ্রিল রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৬টি ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। তবে আমদানি করা আলু ২০০ কিলোমিটার দূরে থেকে লোড করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে কয়েকদিন লেগে যায়। এরপর বেনাপোল বন্দর থেকে তিনদিনেও আলু খালাস না হওয়ায় তীব্র গরমে ট্রাকে থাকা আলু পচে রস পড়তে দেখা গেছে।

আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রংপুরের ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমদানিকারকের স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেডের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয় ভারত থেকে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় এখনো বন্দর থেকে খালাস নিতে পারেননি। কাগজপত্র এলেই খালাস করা হবে আমদানিকৃত এ আলু। বর্তমানে ভারতীয় ট্রাক থেকে এ আলু বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করে রাখা হয়েছে।

আলুবাহী ট্রাকচালক শাহাদৎ হোসেন জানান, ভারতীয় ট্রাক থেকে আলু খালাস করে রংপুরে নিয়ে যাবেন। কিন্তু খালাস না হওয়ায় গরমে বন্দরেই ট্রাকে আলু পচতে শুরু করেছে। দ্রুত খালাস না হলে এগুলো আরও নষ্ট হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। এসব আলুর মান পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৬টি ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আলুর চালানটি এখনও বন্দরে রয়েছে। দ্রুত ছাড়করণের জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।


আরও খবর



সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৫১জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃআসন্ন সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিককে ঘিরে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে।আগামী ২৯মে সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের নির্বাচন । আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে তার পক্ষে প্রতিদিনই নির্বাচনী সংযোগ করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার ২রা মে উপজেলার নিমতলা এলাকায় আবু বকর সিদ্দিক এর পক্ষে গণসংযোগ করেন তার সমর্থকরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবু বক্কর সিদ্দিক এর সহোদর ভাই আনিসুর রহমান খোকন, সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন সুরুজ ,বালুচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মাস্টার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সিরাজদিখান উপজেলার সন্তান আবু বকর সিদ্দিক বালুচরের তিনবারের স্বর্নপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।সাধারণ ভোটারদের অভিমত তিনি একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, এবং দানবীর।বালুচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আবু বক্কর সিদ্দিক ইতোমধ্যেই মন জয় করেছেন সাধারণ মানুষের।সিরাজদিখান উপজেলাকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে আবু বক্কর সিদ্দিক এর বিকল্প নাই। আবু বকর সিদ্দিক এর নির্বাচিত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

 তিনি সিরাজদিখান তথা সমগ্র মুন্সিগঞ্জ জেলার অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। জনপ্রতিনিধি হিসেবে একজন পরিচ্ছন্ন, দুর্নীতিমুক্ত ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি। সিরাজদিখান উপজেলায় আওয়ামী লীগ কে শক্তিশালী করতে বছরে পর বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ।এলাকার মানুষের বিপদে আপদে প্রয়োজনের সময় ছায়ার মতোই পাশে থাকেন। তার মতো ব্যক্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছবে।


আরও খবর



আমতলীতে সওজের ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীর একেস্কুল চৌরাস্তা মোরে বুধবার দুপুরে সওজের জমি দখল করে গড়ে তোলা ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, আমতলী একেস্কুল চৌরাস্তা মোরে সওজের জমি দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী মনির পঞ্চায়েত আলম পঞ্চায়েত,জাকির হাওলাদার, গফফার হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার, মাসুম পঞ্চায়েত, ইউনুছ ফকির ও খলিল ফকিরসহ বিভিন্ন ব্যাক্তিরা সওজের জমি দখল করে ১৫টি ঘর তুলে বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা না সরোনোয় বুধবার দুপুরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান।

আমতলী উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪