Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ দেশের পথে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ । সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২৩ নাবিককে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে জাহাজটি।

এর আগে ওই বন্দরে জাহাজে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে কয়লা খালাস করে জাহাজটি ২৭ এপ্রিল মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর মিনা সাকার থেকে ৫৬ হাজার চুনাপাথর লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে জাহাজটি। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকও আসছেন একই সঙ্গে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে কার্গো খালাস করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।

মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।

এর আগে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



মাগুরায় নানা আয়োজনে বিশ্ব 'মা' দিবস পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:শেখ হাসিনার বারতা- নারী পুরুষ সমতা" এই শ্লোগান নিয়ে মাগুরায়  নানা আয়োজনে বিশ্ব "মা" দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। ১২মে রবিবার সকালে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মহিলা কর্মকর্তার কার্যালয় ও জাতীয় মহিলা সংস্থার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য র্্যালী বের হয়ে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ চন্দ্র মণ্ডল এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গনি, মৎস্য কর্মকর্তা মীর লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম ঝন্টু,  শ্রীপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার অধিকারী, শ্রীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানজিরা ইসলাম হেমা, জাতীয় মহিলা সংস্থার প্রশিক্ষনার্থী বৃষ্টি খাতুনসহ অন্যরা। জেলার শালিখা, মহম্মদপুর ও সদর উপজেলায় অনুরূপ কর্মসুচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়।

আরও খবর



তিতাস গ্যাসের চাকরি পেয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চাকরীতে সম্প্রতি নিয়োগ প্রাপ্ত এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিতাস গ্যাসে কর্মরত ঐ প্রেমিকের নাম মিজানুর রহমান তৈয়ব। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে। তার পিতার নাম মোজাম্মেল হাওলাদার। 

ঘটনা বিবরনে জানা গেছে সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য ঢাকায় থাকতো। চাকরির এক পরীক্ষার হলে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মিজানের। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ও পরে প্রেমিকাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে মিজান। তিনমাস পূর্বে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকুরি হয় তাঁর। চাকুরির পর থেকে ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করে তার মোবাইল নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার ব্লক করে দেয়। কোনভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণী গত ১৭ এপ্রিল প্রেমিকের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। মিজানুর রহমান তৈয়ব নামের তিতাস গ্যাসের কর্মীর গ্রামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৫ দিন যাবত অনশন করছেন ঢাকা মিরপুর-১০ থেকে আসা সাদিয়া জান্নাত নামের এই তরুণী। এ ঘটনায় প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে প্রেমিক।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, আমি অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকুরি করছি। মিজানের চাকরির পূর্বে তার প্রতিমাসের খরচ আমার থেকে নিয়েছে। আমি ওকে বিশ্বাস করে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ভালো রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় মিজান আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমাদের সম্পর্ক অস্বীকার করতেছে।

তরুণী আরও বলেন, আমি বিয়ের দাবিতে মিজানের বাড়িতে এসেছি। আমাদের বিয়ে হবে না হয় আমি লাশ হয়ে এই বাড়ি থেকে যাবো।

মিজানের বাবা ও বড় ভাই বলেন, আমরা মেয়েকে নিরাপদে আমাদের বাসায় রেখেছি। মিজান পালিয়ে আছে। তার সকল মোবাইল নম্বর বন্ধ করে রেখেছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে তাকে এনে বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ওমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমি খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গিয়েছি। মেয়ে ও ছেলের পরিবারের বক্তব্য শুনেছি। মিজানকে এনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে তার পরিবারকে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে।

চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরিন হক বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম অনশকারী সাদিয়া জান্নাতকে মিজানের বাবার জি

ম্মায় রেখেছেন।


আরও খবর



সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর



সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৫জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারীপক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনা সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
রবিবার (১৯ মে) সকালে এস.এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি)  সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস তিনি বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা,নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার,নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়। একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।এসময়ে উপস্থিত ছিলেন,কামরুন নাহার,  ফেরদৌসী আখতার,পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি। 

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,বেসরকারি চ্যানেল ২৪ এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক হীরক গুণ,এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না,প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক যমুনা প্রবাহ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার নওশাদ আহমেদ,দৈনিক বিপ্লবী সময়  পাবনা জেলা প্রতিনিধি সাবেক বার্তা সম্পাদক এম.এ ছালাম, দীপ্ত টিভি পাবনা  জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম, দৈনিক বিবৃতি পাবনা নির্বাহী সম্পাদক কাজী বাবলাসহ সিরাজগঞ্জ ও পাবনা গণমাধ্যম কর্মী বৃন্দ ।

আরও খবর



মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

মিরসরাই প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে আবারো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পাওয়া গেছে। গ্রেনেডটি দেখে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেন তানভীর নামে এক তরুণ। পরে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ও বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এসে এটির বিস্ফোরন ঘটনায়। রবিবার ( ১৯ মে) উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের গনকছরা গ্রামে আদি মোহনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। 


এর আগে গত মঙ্গলবার একই ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধার কবর খুঁড়তে গিয়ে মাটির নিচে পাওয়ার গেলো আস্ত এক গ্রেনেড। পরে তা ধ্বংস করা হয়েছে।

গনকছরা এলাকার বাসিন্দা তানভীর হোসেন জানান, আমার বাড়ির পাশে পানি যাওয়ার পথে একটি লোহার মধ্যে মরিচা পড়া বস্তু দেখতে পাই। দেখতে অনেকটা আজমনগর এলাকায় পাওয়া গ্রেনেডের মত হওয়ায় জরুরী সেবা নম্বরে ফোন দিলে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এসে বিস্ফোরন ঘটায়। 

হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার সোনা মিয়া বলেন, গত মঙ্গলবার আমার এলাকায় কবর খুঁড়তে গিয়ে গ্রেনেড পাওয়া যায়। আজ গনকছরা এলাকায় একই জিনিসের সন্ধান মিলে। 
আমার ধারণা ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ছোড়া কোনো কারণে হয়তোবা বিস্ফোরণ হয়নি,দীর্ঘ সময় মাটিচাপা থাকার কারণে উপরের আবরণের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, হিঙ্গুলী ইউনিয়নের গনকছরা এলাকায় গ্রেনেড পাওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরে বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে খোলা মাঠের মধ্যে এটি বিস্ফোরন ঘটান। 

আরও খবর