Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে আকর্ষণীয় অফার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে স্যামসাং নিয়ে এসেছে আকর্ষণীয় নানা অফার। এসব অফার ক্রেতাদের ঈদ উদযাপনের আনন্দ আরও বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে। অফারের ফলে, দেশজুড়ে মানুষ অবিশ্বাস্য ছাড়কৃত মূল্যে স্যামংসায়ের উদ্ভাবনী পণ্য কেনার সুবর্ণ সুযোগ পাবেন।

এই ঈদে, ফ্যানদের পছন্দের স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাকের সুযোগ নিয়ে এসেছে স্যামসাং। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট ব্যাংকের কার্ডে ১৮ মাস ইএমআইয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ, এতে করে প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষ এখন আরও সহজে স্যামসাংয়ের অভাবনীয় উদ্ভাবনের সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পাবেন। এর সাথে, ঈদ উদযাপনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে স্যামসাং চালু করেছে ‘নেভার মাইন্ড’ ক্যাম্পেইন। স্যামসাংয়ের এই ক্যাম্পেইনে রয়েছে ফোন কেনার এক বছরের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্ক্রিনের কোনো ক্ষতির ক্ষেত্রে স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট অফার। স্যামসাংয়ের ফ্যানরা এখন তাদের পছন্দের ডিভাইসের স্ক্রিনের ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির দুশ্চিন্তা থেকে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। অফারটি গ্যালাক্সি এ০৪এস, গ্যালাক্সি এফ২৩, সদ্য উন্মোচিত গ্যালাক্সি এ৩৪ ফাইভজি, এ৫৪ ফাইভজি ও গ্যালাক্সি এ১৪ ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

এছাড়াও, ঈদ অফারের অংশ হিসেবে আকর্ষণীয় এক্সচেঞ্জ অফার নিয়ে এসেছে স্যামসাং। ব্যবহারকারীরা পুরোনো স্মার্টফোনের বদলে নতুন স্মার্টফোন নেয়ার সময় নির্ধারিত স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ৭,০০০ টাকা পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ বোনাস ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি, স্যামসাং স্মার্টফোন কিনলেই থাকছে নির্ধারিত অপারেটরের ক্ষেত্রে ১ বছর পর্যন্ত ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ।

এ বিষয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব এমএক্স বিজনেস মো. মূয়ীদূর রহমান বলেন, “স্যামসাং সবসময় ক্রেতাদের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুসারে উদ্ভাবন নিয়ে আসার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সহজলভ্য করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমাদের এই লক্ষ্যপূরণের পথে আমরা ঈদ অফার ও ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের পথে দেশজুড়ে সবাই যেনো স্মার্ট জীবনযাপন করতে পারেন, তাই আমরা আরও বেশি ক্রেতার কাছে আমাদের উদ্ভাবন নিয়ে পৌঁছাতে চাই।”

আকর্ষণীয় ঈদ অফারগুলো পেতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অনুমোদিত স্যামসাং স্টোরে যেতে হবে। 


আরও খবর



আবার ও আলমের নাটকে নিলয়-মাহি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ছোটপর্দার জনপ্রিয় দুই তারকা নিলয় আলমগীর ও সামিরা খান মাহি। দুজনেই আসছে ঈদের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ জুটি ঈদের জন্য এরইমধ্যে শেষ করেছেন ‘তোমার সাথে আড়ি’ শিরোনামের একটি নাটক। অনামিকা মণ্ডলের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন সময়ের ব্যস্ত পরিচালক জিয়াউদ্দিন আলম।

মাহবুব আলম এর প্রযোজনা নাটকটি নির্মান হয়েছে সিডি ভিশন এর ব্যানারে। নির্মাতা জিয়াউদ্দিন আলম জানান, বিয়ে বাড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ নাটকের গল্প শুরু হয়। সেখানে দেখা যাবে, বরপক্ষের রাফি ও কনে পক্ষের কনার মধ্যে বিয়ে বাড়ির গেটের টাকা পয়সা নিয়ে নানা রকম মজার কাণ্ড ঘটতে থাকে। সম্পর্কে তারা দুজনেই বেয়াই ও বেয়াইন। কিন্তু একটা সময় তাদের দুজের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গল্প নতুন মোড় নেয়। নির্মাতা জিয়াউদ্দিন আলম বলেন আরো বলেন, প্রথমবার অভিনেত্রী মাহিকে নিয়ে কাজ করেছি। দারুণ একটি কাজ হয়েছে। দর্শক ঈদে যে ধরনের কাজ পছন্দ করেন এটি তেমনই বলতে পারি। আশা করি আমার অন্য নাটকগুলোর মতো এটিও দর্শকের ভালো লাগবে। নাটকটিকে আরো অভিনয় করেছেন , চিত্রলেখা গুহ, রকি খান, বাপ্পি আশরাফ, সেলজুক তারিক, সেজুতি খন্দকার সহ ২৫ জন ছেলে ও মেয়ে কাজ করেছেন। নাটকটি শুটিং হয়েছে উত্তরার একটি শুটিং হাউজে।

নাটকটির চিত্রগ্রহনে ছিলেন সাখাওয়াত হোসাইন সাকিব , সম্পাদনা ও কালার করছেন, আরেফিন সরকার , সঙ্গীত আয়োজন করেছেন সজীব দাস।


আরও খবর



মানুষের পাকা রাস্তার চাহিদা বেড়েছে,কাঁচা রাস্তায় মানুষ চলতে চায়না: রাণীশংকৈলে এমপি হাফিজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃমানুষের পাকা রাস্তার চাহিদা বেড়েছে, কাঁচা রাস্তায় মানুষ চলতে চায়না। কিন্তু রাস্তা করতে গেলে কেউ একহাত রাস্তা ছাড়তে চায় না এটা হতে পারেনা। শনিবার (৪মে) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় দুটি পাঁকা রাস্তা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরজিপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজউদ্দীন আহম্মেদ এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, কাজে অভিজ্ঞ লোককে নির্বাচিত করবেন এলাকার উন্নয়ন হবে।

আরজিপি স্কুল হইতে রাঘপপুর এবং সখের টাউন হউতে মোড়ল হাট পর্যন্ত পৃথক ২কিঃমিঃ রাস্তা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাতীয় পাটির ইউনিয়ন সভাপতি একেএম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রকিবুল হাসান, থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা,প্রকৌশলী আনিসুর রহমান,জাতীয় পাটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম,যুগ্ন আহবায়ক আবু তাহের,ইউপি চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায়,বীরমুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক,ইটভাটা মালিক আইনুল হক প্রমুখ।

আরও খবর



কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গ্রামঞ্চলে গ্রামীণফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় বিপাকে গ্রাহকরা সচলের দাবী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃদেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা ভিন্ন স্থানে গ্রামীণফোনের নেটওর্য়াক না পাওয়ায় অকেজো হয়ে পড়েছে গ্রাহকদের গ্রামীণফোন। গ্রামীণ নেটওয়ার্ক সমস্যায় যেসব এলাকা উল্লেখ করা হচ্ছে রৌমারী উপজেলার মহসড়কে পূর্ব অঞ্চটিতে ভোগান্তিতে রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক। পাশাপাশি চর রাজিবপুর উপজেলায়একইভাবে মহাসড়কের পূর্ব অঞ্চলটি বরাবরই গ্রামীণ নেটওর্য়াক বঞ্চিত রয়েছে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক। প্রতিকারের জন্য বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি প্রতিকারকদের কাউকেই। ফলে রৌমারী এবং চর রজিবপুর মিলে প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহক গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বঞ্চিত রয়েছে। দীর্ঘ ৮ থেকে ৯ মাস যাবৎ নেটওয়ার্ক না থাকায় বিভিন্ন কোম্পানির সিমকার্ড ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে বলেও গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে। এদিকে মহাসড়কের পূর্বঅঞ্চলটিতে বিভিন্ন কোম্পানির কয়েকটি টাওয়ার স্থাপন করায় গ্রামীণ নেটওয়ার্ক পির্যয় দেখা দিয়েছেন।

এঅঞ্চলে থাকা গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা গ্রামীণফোন ব্যবহার করছেন, তাদের কেউই এখন আর নেটওয়ার্ক পাচ্ছেন না। নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের বিষয়, ফেসবুক পেইজে গ্রামীণফোন অফিসকে অবগত করা হলেও কোন কাজে আসছেনা।

গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বঞ্চিত এলাকা গুলো পরির্দশন করে জুররী ভিত্ততে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমন প্রত্যাশা করছেন গ্রামীণফেনের গ্রাহকরা। অপরদিকে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের দায়িত্বে থাকা কোনপ্রকার কর্মকর্তা কর্মচারিদের কাউকেই খোজে পাওয়া যাচ্ছেনা ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।


আরও খবর



রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করেনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রকাশিত ৩৭ বছর আগে করা এক রিট খারিজের পুর্ণাঙ্গ রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

১৯৮৮ সালে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তখনই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

রিট আবেদনের ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের মার্চে শুনানি শেষে রিট সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে ৩ বিচারপতি।

আদালত বলেন, এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার রিটকারীদের নেই।


আরও খবর



বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :[ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪] অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ (২৬ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে। বিকেল ৩টা থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে একটি অনবদ্য থিয়েটার পারফরমেন্স ‘নৈঃশব্দ্যে ‘৭১’ পরিবেশিত হয়। এ অনুষ্ঠানে ‘অদম্য শিল্পোৎসব’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী, সেখানে আইআইডি’র তত্ত্বাবধানে সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য সহ আরও নানান শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয় । এছাড়াও থিয়েটার পারফরমেন্স, প্যানেল আলোচনা, ফিল্ম প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, গ্রেআই থিয়েটার কোম্পানির আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জেনি সিলি, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট, ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাসিরুদ্দীন ইউসুফ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ। এছাড়া, সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পের অংশ এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল। বাংলাদেশের শিল্পকলা খাত ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও বোঝাপড়া তৈরিই এই বহুস্তরীয় ডেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য। বৃহত্তর সমাজ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে ব্যবধান কমিয়ে এনে সংযোগ স্থাপন করা এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য। ঢাকা থিয়েটার ও আইআইডির (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অংশীদারিত্বে ২০১৯ সালে চালু হয় প্রকল্পটি।

আয়োজনের প্রথম দিনে অতিথিদের জন্য রমেশ মেয়াপ্পানের ‘৭১ ইন সাইলেন্স’, মোস্তাফিজ শাহিন পরিচালিত ‘সার্কাস সার্কাস’, কাজী নওশাবা আহমেদের ‘ত্রিবেণী’, এশা ইউসুফ ও রফিকুল ইসলামের ‘কেন্দ্র বরাবর সুড়ঙ্গটির নাম পৃথিবী’ এবং কলকাতার জনসংস্কৃতি সেন্টার ফর থিয়েটার অফ দ্য অপ্রেসডের পরিচালক সঞ্জয় গাঙ্গুলির ‘ওয়েস্টল্যান্ড- এ জার্নি’, এই ৫টি থিয়েটার প্রযোজনা পরিবেশিত হয়। প্রথম দিন ‘ডিজেবিলিটি রিপ্রেজেন্টেশন ইন দ্য আর্ট সেক্টর’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিল্পকলা সহ সমাজের নানান স্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সমাপনী দিনে আরও ৫টি থিয়েটার প্রযোজনার আয়োজন করা হবে - শামীম সাগরের ‘অতঃপর করিম বাওয়ালি’,সামিউন জাহান দোলার ‘সঙ্গতি’, আল জাবিরের ‘কাজলরেখা’, ড. আমির জামানের ‘পিতৃগণ’ ও অসীম দাশের ‘স্বপ্নকাহন’। এছাড়া, ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ ও ‘ফান্ডিং ইনক্লুশন ফর ডিজ্যাবিলিটি আর্টস’ এই দুইটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ প্যানেল আলোচনায় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন তা চিহ্নিতকরণ ও এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও তাদের বেশিরভাগই বুদ্ধি, মননশীলতা ও সৃজনশীলতার দিক থেকে অন্যদের তুলনায় কোন অংশেই কম নয় বরং সৃজনশীলতার দিক থেকে অনেক সময়ই বেশি যদি তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যায়। আমি ব্রিটিশ কাউন্সিল, ঢাকা থিয়েটার, আইআইডি, এবং এই অনবদ্য আয়োজনের সাথে যারা জড়িত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সকলকে জানাই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।”বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সমতার ভিত্তিতে পূর্ণ অধিকার ও স্বাধীনতা উপভোগ ও অনুশীলনের সুযোগ তৈরি করতে যুক্তরাজ্য সারা বিশ্বে কাজ করছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্প ও এই উৎসব বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিভা ও অর্জনকে উদযাপন করা এবং একটি আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার সুযোগ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।”

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর উদ্বোধন করতে পেরে আজ আমরা অত্যন্ত গর্বিত; যা আমাদের ডেয়ার প্রকল্পের একটি চূড়ান্ত আয়োজন। ২০১৯ সাল থেকে আমাদের ডেয়ার প্রকল্পটি বাংলাদেশি থিয়েটার সংস্থাগুলো ও দেশব্যাপী ডেয়ার শিল্পীদের সক্ষমতা তৈরি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুশীলন চর্চা, নীতিমালা পরিবর্তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যকে সংযুক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ডিজেবিলিটি আর্ট থিয়েটারকে মূলধারায় আনয়নে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করায় সরকার ও সকল অংশীদারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বলেন, “২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে মূলধারার থিয়েটারের সাথে ডিজেবিলিটি আর্টকে একীভূত করার ক্ষেত্রে ঢাকা থিয়েটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, এজন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। নানান প্রতিবন্ধকতা এবং নিত্যনতুন বাধা আসার পরেও প্রতিবন্ধী শিল্পী, প্রশিক্ষক, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের অব্যহত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার কারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পেরেছি আমরা; আর এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সফল আয়োজন তারই প্রমাণ।”

এই আয়োজন থেকে অতিথিরা অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে বোঝার সুযোগ পান; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিল্পের যাত্রায় তাদের অতিক্রান্ত বাধাগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ পান।


আরও খবর