Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ধর্ষণের পরে প্রতিবন্ধীর সন্তান জন্ম, ১৮ বছর পর অপরাধীর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. সোনাউল্যাহ (৫৫) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে সেই ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া ছেলের বয়স এখন ১৭ বছর।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক বেগম সালমা খাতুন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।   

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. মুক্তার হোসেন বলেন, আসামি এই মামলায় জামিনে ছিলেন। আজ রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত হন। আসামির উপস্থিতিতে আদালত এই রায় দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার ও বিচার কার্যক্রমের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবেশী ২০ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী কে ধর্ষণ করেন সোনাউল্যাহ। কিন্তু ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিষয়টি সামনে আসেনা। এরপর অনেকদিন কেটে গেলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে। তখন নারী ইতোমধ্যেই ২৮ সপ্তাহের গর্ভবতী। এরপর ভুক্তভোগীর বাবা আদালতে মামলার আবেদন দিলে আদালত কাজিপুর থানা পুলিশকে মামলাটি (এফআইআর) এজাহার হিসেবে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশ মামলাটি নিয়ে তদন্ত করে আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। 

তিনি বলেন, এর মধ্যেই সেই প্রতিবন্ধী নারী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন (যার বর্তমান বয়স ১৭ বছর)। এভাবেই মামলাটি চলতে থাকে। মাঝখানে বাদি-বিবাদি হয়তো আপোষ মীমাংসাও করে নেন। আদালতের বর্তমান বিচারক এই আদালতে দায়িত্ব পাওয়ার পরে তিনি অভিযুক্ত ও ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া ছেলের ডিএনএ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। এর মাঝেই সকল সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর মাঝে বাদি আপোষ হয়ে গেছেন বলেও জানান।

মুক্তার হোসেন বলেন, এর মধ্যে তাদের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসলে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তাদের ডিএনএ ম্যাচ করে। এরপর ডাক্তারের সাক্ষ্য নেওয়া হলে তিনিও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তখন সকল সাক্ষ্য ও সাক্ষীর বক্তব্য পর্যালোচনা করে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।

তিনি যোগ করেন, তারা আপোষ মীমাংসা হলেও যেহেতু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং সেটা প্রমাণ হয়েছে তাই এই রায় দেওয়া হলো। মামলা হওয়ার প্রায় দেড় যুগ পরে এমন রায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও ভুক্তভোগী ন্যায় বিচার পেলেন। এছাড়াও ভুক্তভোগী নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তানটি তার মায়ের হেফাজতেই আছে বলেও জানান তিনি। 

আরও খবর

ড. ইউনূস জামিন পেলেন

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




নয় মাস ধরে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ: দুর্ভোগে লঞ্চ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:যাত্রী সংঙ্কটে গত নয় মাস ধরে আমতলী-ঢাকা রুটে নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ যাত্রী ও অল্প খরচে মালামাল আনা-নেয়ার নিরাপদ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরেছে। এর প্রভাব পরছে দ্রব্য মুল্যের উপরে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। তারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। দ্রুত এ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন তারা।

জানাগেছে, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর যাত্রী সংঙ্কটে পড়ে লঞ্চ মালিকরা। এতে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চলাচলে বিঘœ ঘটে। যাত্রী সংঙ্কট চরম আকার ধারন করায় আমতলী-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ছয় মাস ধরে অনিয়মিতভাবে একটি লঞ্চ চলাচল করলেও গত বছর ২০ জুলাই মালিক কর্তৃপক্ষ একেবারেই বন্ধ করে দেয়। এতে দক্ষিণাঞ্চল আমতলী, তালতলী, বরগুনা, কলাপাড়া ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার নৌপথের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরছে। বাধ্য হয়েই তারা সড়ক পথে চলাচল শুরু করে। এদিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে স্বল্প খরচে দক্ষিণাঞ্চলে মালামাল আনা- নেয়া করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে বেশী খরচ দিয়ে তাদের মালামাল আনতে হচ্ছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপরে এর প্রভাব পরছে। অপর দিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন।

এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। তারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বুধবার আমতলী লঞ্চঘাট ঘুরে দেখাগেছে, সুনসান নিরাবতা। নেই কোন যাত্রীর কোলাহল। লঞ্চ টামিনাল ফাঁকা। টার্মিনালে জেলেরা নৌকা ও বালু ব্যবসায়ীরা বলগেট বেঁধে রেখেছে। লঞ্চঘাটের সিঁড়িতে ছাগল শুয়ে আছে।

লঞ্চযাত্রী জুয়েল, কামরুল, সাকিলা ও মামুন বলেন, কাজের সন্ধানে ঢাকা যেতে হয়। কিন্তু লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ার যেতে খুব সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার দাবী জানান তারা।কেয়ামনি বলেন, অসুস্থ্য থাকায় গাড়ীতে উঠতে পারি না। তাই লঞ্চে ঢাকায় যেতাম কিন্তু লঞ্চের নিরাপদ যাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুবই সমস্যা পরেছি।

আমতলী মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের মালিক জিএম মুছা বলেন, লঞ্চে অল্প খরচে ঢাকা থেকে মালামাল আনা যেত কিন্তু সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশী খরচে সড়ক পথে মালামাল আনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পরছে দ্রব্য মুল্যের উপরে। দ্রুত লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানান তিনি।

আমতলী লঞ্চঘাট সুপার ভাইজার শহীদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আমতলী লঞ্চঘাটের অন্তত অর্ধ শতাধিক শ্রমিক কঠিন সঙ্কটে পরেছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

ইয়াদ লঞ্চ মালিক মামুন-অর রশিদ বলেন, যাত্রী সংঙ্কটে লোকসানের মুখে গত নয় মাস ধরে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে রেখেছি। লঞ্চ চালালে ওই রুটে দৈনিক এক লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হয়। এতো লোকসান আর গুনে পারছি না। তিনি আরো বলেন, যাত্রীদের দাবীর মুখে আগামী শুক্রবার ঢাকা থেকে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে।

বরগুনা বিআইডব্লিউটি’র সহকারী নৌ বন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন মুঠোফোনে (০১৮১৯৬৬১৬৪৩) বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ফুলবাড়ীতে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে স্মরণ সভা অনুষ্টিত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:ফুলবাড়ীতে কয়লাখনি বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠকদের স্মরণে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার স্মরণ সভা অনুষ্টিত।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী যমুনা নদী সংলগ্ন জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহব্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল এর সভাপতিত্বে স্মরণ সভা অনুষ্টিত হয়। স্মরন সভার শুরুতেই কোরআন তেলোয়াত করেন, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও গীতা পাঠ করেন, শীবু। স্মরণ সভার প্রয়াত আকতারুল সরকার বকুল, আব্দুল জব্বার, দ্বীপ চাঁদ গুপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম এ খালেক, আব্দুল মতিন, ইন্দ্রজিৎ দাস শিবু, আরিফুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ সরেন, সৌমিক করিম অর্জুন, মুক্তার হোসেন, গোলাম মোস্তফা চিস্তি’র স্মরণে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যপক আনু মোহাম্মদা। অন্যন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির আহব্বায়ক ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেন, বাংলাদেশ কমিনিস্ট পার্টির নেতা মোশারফ হোসেন নান্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির। ফুলবাড়ী তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির আহব্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল, সদস্য সচিব জয়প্রকাশ নারায়ন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষা কমিটির সাবেক সদস্য এসএম নুরুজ্জামান, সদস্য মাহমুদুল হাসান বাবু, ওয়াকার্স পার্টির ফুলবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিকদার, সিপিবি’র সদস্য মোঃ গোলাম কিবরিয়া, ফুলবাড়ী উপজেলা কমিনিষ্ট লীগের আহব্বায়ক সঞ্চিত প্রশাদ জিতু, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার সদস্য, এমএ কাইয়ুম, সদস্য মোঃ হামিদুল হক। স্মরণ সভায় মৃত্যুবরণকারী পরিবারের সকল সদস্যসহ সংগঠনের শতাধিক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে ইতি পূর্বে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য এইস্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। স্মরণ সভায় অত্মার মাগফেরত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়।আয়োজনে ছিলেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ্য বন্দর রক্ষার জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখা।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৫০০ কোটি টাকা ছাড়াল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেড় হাজার কোটি টাকা টোল আদায় ছাড়িয়েছে পদ্মা সেতুতে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের বৃহত্তম এ সেতু চালু হওয়ার পর থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

এ পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি। এরমধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ টি। অপরদিকে, জাজিরা প্রান্ত থেকে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি।

অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, সেতু দিয়ে আশানুরূপ টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেতুটি। চালু হওয়ার পর প্রথম দিন ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু ব্যবহার করেছিল। সেদিন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




রূপগঞ্জে ডাকাতি মালামালসহ ১জন ডাকাত গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৬৫জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু,রুপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের কিং-ফিশার ডগইয়ার্ডের পাশ থেকে ডাকাতি করা ড্রেজারের মালামাল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ওমর ফারুক নামের এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে রুপগঞ্জ ইছাপুরা নৌ পুলিশ। আজ ভোরে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কিং ফিসার ডকইয়ার্ড পাশ থেকে ইছাপুরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। 

এসময় ২ টি নৌকা, ৩টি রাম দা, ৩টি কাটার, সাপল, ছুরি, লোহার হকি, হেক্সো ব্লেট, হাতুরি, হামারসহ ডাকাতি করা ড্রেজারের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে  ইছাপুরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, আটককৃত ডাকাত মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার বউ বাজার এলাকার মেহেদী হাসানের ছেলে ওমর ফারুক এবং সে বর্তমানে রুপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরাব ছাপড়া মসজিদ এলাকায় ভাড়া থাকেন বলে জানা গেছে, ও আটকৃত ডাকাতের সাথে থাকা আরো ৩জন ডাকাত দলের সদস্য ছিলো তারা পালিয়ে যায়।  

তারা নোয়াপাড়া পিনীষ ঘাট এলাকার মনিরের ছোট ভাই রমজান, তরাবো হাটিপাড়া এলাকার রাব্বি ও যাত্রামুড়া এলাকার মোকতার হোসেন। পরে পলাশ থানার একটি ড্রেজার থেকে ডাকাতি হওয়া মালামাল ও ডাকাতের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ তাকে পলাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জন জীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পার্বত্যবাসীদের মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের যে সোপান রচনা করেছেন তা দেশবাসীর কাছে আজীবন এক মাইলফলক স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।

বুধবার (১০এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের টাউন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সহযোগিতায় ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব ২০২৪ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, দেশের কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চে আসীন করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারেন সেজন্য আমরা সকলে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সকল সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বৈসু এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মাঝে হৃদ্ধতার মেল বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। বৈসু মানুষের মধ্যে বৈষম্য দুর করবে, শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আদর্শ নাগরিক হিসেবে কোনো বিভেদ নয়, কোনো হানাহানি নয়, শান্তি, শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্র সম্প্রীতি বজায় রেখে আমাদের সকলেরই দেশের উন্নয়নে কাজ করা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পরে রঙীন বেলুন উড়িয়ে বৈসু উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি বর্ণাঢ্য এক র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিপুরা সংসদের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা শিশু, কিশোর, তরুণরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি তা উপস্থিত সকলের সাথে উপভোগ করেন।

এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর,পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  মোঃ শানে আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  মোঃ দিদারুল আলম, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর