Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবিহ পড়ার আহ্বান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৮১জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দেশের সব মসজিদে আসন্ন রমজান মাসে খতম তারাবিহ পড়ার সময় একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। শুক্রবার (৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতমে তারাবিহ নামাজে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। পবিত্র কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতি নিরসন করার জন্য রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতম করা সম্ভব হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি এই নিয়মে খতম তারাবি পড়তে বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শাবান মাস ২৯ দিনে হলে আগামী সোমবার (১১ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এবং মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোররাতে সেহরি খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে মঙ্গলবার দেশে প্রথম রমজান হবে।

তবে শাবান মাস ৩০ দিনে হলে আগামী মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এবং বুধবার (১৩ মার্চ) ভোররাতে সেহরি খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশে আগামী বুধবার প্রথম রমজান হবে।


আরও খবর



মাগুরায ৩৯ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ উৎপাদন লক্ষমাত্রা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image
সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে:চলতি বোরো মৌসুমে মাগুরা জেলায় মোট ৩৯ হাজার ৩৫   হেক্টর জমি বোরা চাষের আওতায় আনা হয়েছে।

চলতি মৌসুমে জেলায় আবাদকৃত ৩৯ হাজার ৩৫ হেক্টর জমি থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন। 

জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন ও চাষ বাড়াতে কৃষি প্রণোদনা পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ২৪ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বোরো বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস এ তথ্য জানায়। অফিস আরো জানায়, গত বছর ও ৩৯ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছিল। দেখা যায়  কৃষি প্রনোদনা কর্মসুচির মাধ্যমে কৃষকদের বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে  প্রনোদনা দেয়া হলেও বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পায়নি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন আলী জানান, মাগুরা জেলায় আবাদকৃত ৩৯ হাজার ৩৫  হেক্টর জমির মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায়  ২৬ হাজার ৮৫০ হেক্টর,  শ্রীপুর উপজেলায় ১ হাজার ৬০৫ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ১৩ হাজার৫৭০ হেক্টর, মোহাম্মদপুর উপজেলায় ৭ হাজার২০ হেক্টর জমি বোরো চাষের আওতায় আনা হয়েছে।  জেলা কৃষি বিভাগ থেকে  জেলার কৃষকদের বোরো ধান চাষে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর



দেশবাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা  ১৬ আসনসহ  বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন  বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিপ্লবী সদস্য সচিব   আমিনুল হক।

 তিনি বলেন, ব্যক্তি জীবনকে সুন্দর, পরিশুদ্ধ ও সংযমী করে গড়ার লক্ষ্যে মোমিন মুসলমানেরা মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে ঈদুল ফিতর সমাগত। বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুলফিতর। উৎসব মানুষের আনন্দময় স্বত্তার জাগরণ ঘটায়।

তার আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে। ঈদুল ফিতরের উৎসবে সমাজের সকল ভেদরেখা ও সীমানা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন ঘটায় ও সৃষ্টি করে পরষ্পরের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছাবোধ।

ধনী-গরিব, উচু-নিচু নির্বিশেষে সকল মানুষকে নিবিড় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে। হানাহানি, হিংসা, বিদ্বেষ ও তিক্ততার গ্লানি থেকে মানুষের মনকে এক স্বর্গীয় শান্তি ও সম্প্রীতির বোধে উদ্দীপ্ত করে ঈদুল ফিতরের উৎসব।

তাই এই উৎসবের দিনে প্রতিটি মুসলমান নর-নারী সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আনন্দকে একত্রে উপভোগ করতে হবে। ঈদুল ফিতর নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌছে যায় তা হচ্ছে ‘সকলের তরে সকলের আমরা’।

এই মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায় ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া মুসলমান হিসাবে আমাদের কর্তব্য। 

তিনি আরো বলেন, আমি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনাদের যাদের সামর্থ্য আছে তারা অবশ্যই   অসহায়  নেতা কর্মীদের  পাশে দাঁড়াবেন। আপনারা হতাশ হবেন না। আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন।  আল্লাহ নিশ্চয়ই উত্তম ফয়সালা কারী।

আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের তিন স্থানে সবচেয়ে বড় আলপনা উৎসব ‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে দেশের তিন স্থানে সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে আলপনা উৎসব ‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১।’ দেশের সর্ববৃহৎ এ আলপনা উৎসব গত ১২ এপ্রিল প্রথমে শুরু হয় কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে। মিঠামইনের জিরোপয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক আলপনায় রাঙিয়ে তুলছেন শিল্পীরা, যার মাধ্যমে উদ্যোগ করা হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম আল্পনার রেকর্ড গড়ার। এরপর, গত ১৩ এপ্রিল খুলনার শিব বাড়ি মোড় ও ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতেও একযোগে শুরু হয় এ উৎসব।

আজ পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) মিঠামইন এলাকার আল্পনা অঙ্কন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান।

‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’ -এর ঢাকার আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, এমপি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম,; এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটি’র চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নূর, এমপি; গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ যাকের, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী, চিফ অপারেটিং অফিসার ও ডিরেক্টর মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, চিফ হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও বরেণ্য শিল্পী মো. মনিরুজ্জামানসহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবৃন্দ।

খুলনার শিব বাড়ি মোড়ে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল; খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ইন্টারনাল অডিট ডিরেক্টর মোহাম্মাদ মাহবুব ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ক্লাস্টার ডেপুটি ডিরেক্টর মো. মারুফ হোসেন চৌধুরী; এবং বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শাকিল এম হুমায়ুন।

এ আয়োজন নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী বলেন, “ দীর্ঘতম আলপনা আঁকার মাধ্যমে এই ওয়ার্ল্ড রেকর্ড প্রতিস্থাপনে বার্জার এর অংশগ্রহন আমাদের সীমানা ছাড়িয়ে এক ইতিহাস গড়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নজির করে। আগামী বছরগুলোতেও আমরা এমন রঙিন এবং স্মরণীয় বৈশাখী উৎসবের প্রত্যাশা করছি।"

আবারও ‘আল্পনায় বৈশাখ’ আয়োজনের সাক্ষী হতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটি’র গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ যাকের বলেন,”আল্পনায় বৈশাখ’র দেশব্যাপী এ আয়োজন বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরা ও বাংলাদেশের সৃজনশীলতারই উদযাপন। 'আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’ উৎসবে বাংলালিংক ও বার্জার পেইন্টস কে সাথে পাওয়া আমাদের আয়োজন ও উদযাপনকে সম্পূর্ণ করেছে। এশিয়াটিকে আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সৃজনশীল চেতনাকে বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরায় বিশ্বাস করি।”

বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান তার উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিভিন্ন উৎসব উদযাপনে বাংলালিংক গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পহেলা বৈশাখ—দেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন। এ উৎসব আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও প্রসারে বাংলালিংকের নিবেদনেরই প্রতিফলন।”

পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব ও সাংস্কৃতিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আধুনিক বাংলাদেশে আল্পনা একটি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হিসেবে বহিঃপ্রকাশ করছে। তাই, নতুন বছরকে বরণ করার জন্য এই আল্পনা অঙ্কন একটি অনন্য ধাপ; যা যুব সমাজকে অস্প্রাদায়িকতা ভুলে একত্রিত হতে শেখাবে; একসাথে সব বিবেধ ভুলে, আগামীর পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ আয়োজনে ২০১২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড মানিক মিয়া এভিনিউসহ দেশের নানা প্রান্তে ‘আল্পনায় বৈশাখ’ শীর্ষক আল্পনা অঙ্কনের আয়োজন করে আসছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত কয়েক বছর তা আয়োজিত হয়নি। অবশেষে, এ বছর অষ্টমবারের মতো ‘আল্পনায় বৈশাখ-১৪৩১’ সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে।


আরও খবর



ঝড়ের পূর্বাভাস দুপুরের মধ্যে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে সিলেট জেলার ওপর দিয়ে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আরও অন্তত তিনদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ): উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন বোরো ধানের সবুজ আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করতে শুরু করেছে। পাকতে শুরু করেছে বোরো ধান। বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। পাকা ধান ঘরে তুলতে জায়গা প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

কৃষকরা বলছেন ধানের চারা রোপণ থেকে শুরু কওে প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। এ কারণে ধানক্ষেতে রোগ-বালাই ছিল কম। ধান কাটা-মাড়াই পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান নির্ভরশীল এলাকা হিসেবে আত্রাইয়ের প্রধান আবাদই বোরো ধান। বিশেষ করে উপজেলার মানিয়ারী, বিশা, ভোঁপাড়া, শাহাগোলা ও পাঁচুপুর ইউনিয়ন বোরো ধানের জন্য খ্যাত। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়েনে বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান বোপনের শুরু থেকেই অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবারের বোরো ধান মাঠে মাঠে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান পাকতেও শুরু করেছে। অধিকাংশ এলাকার মাঠ জুড়ে সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে বোরো ধানের শীষ। আর এ সোনালী শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আজম প্রামানিক, শাহাগোলা গ্রামের আজাদ সরদার,বজ্রপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, মুলত আমাদের এলাকার প্রধান আবাদই হলো বোরো ধান। বোরো ধানের মধ্যে আমরা জিরাসাইল ধানের আবাদ সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে করে থাকি। কিছু কিছু জমিতে নতুন অন্য জাতের ধানের চাষও করা হয়েছে।শুরু থেকেই আবহাওয়া ভাল থাকায় ধানের শীষগুলো দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবারে বাম্পার ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদি।

কৃষকরা আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম রোপণকৃত ধান ৮-১০ দিনের মধ্যে কাটামাড়াই শুরু হবে। কাটামাড়াই পুরোদমে শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ লাগতে পারে। এ সময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে তারা বলেন, ঝড়ো আবহাওয়া ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে কৃষকরা মাঠে রয়েছেন। স্বপ্নের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলে এ ফসলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জানান, বিশেষ করে অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার আত্রাই উপজেলার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, চলতি  মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলনের জন্য আমরা কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছি। বিশেষ করে বোরো ধান বোপনের শুরু থেকেই আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা উঠানামা করছে। এটি অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল। কোনো কোনো সময় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস  অতিক্রম করছে। এটি অব্যাহত থাকলে ধানের শীষ হিটশকে আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য কৃষকদের সবরকম পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। 


আরও খবর

মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4