Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ড. ইউনূসকে আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ যেতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দণ্ড স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদেশ যেতে হলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানিয়ে যেতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ড. ইউনূস ছাড়া অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ  রিপোর্টার:বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির মিলাদ মাহফিল ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন বিকেল ৫টায় মিলাদ-মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক  নিশ্চিত করেছেন।

মিলাদ-মাহফিলটির আয়োজক ছিলেন মিশা-ডিপজল প্যানেল। কে বা কারা হামলা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন মিশা সওদাগর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত।

উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন খল অভিনেতা শিবা শানু। জানা গেছে, দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিথুন আল মামুন শিল্পী সমিতির অফিসে নির্বাচনে বিজয়ী শিল্পীদের সাক্ষাৎকার নিতে যান। সেখানে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান খল অভিনেতা শিবা শানু। এক পর্যায়ে মিথুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন তিনি।

সাংবাদিকরা আরও জানান, পরবর্তীতে উপস্থিত অন্যান্য সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে আলেকজান্ডার বো ও জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে ফাইটাররা সকল সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। তাদের আতর্কিত হামলায় আহত হয়ে খবরের কাগজের ক্যামেরাপার্সন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া চ্যানেল২৪, নিউজ হান্ট, বাংলাভিশনসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমের ক্যামেরা ভাঙ্গচুর করা হয়েছে।

আরও খবর



ইবিতে দেড়শো শিক্ষার্থীর মাঝে বই-বিহঙ্গের বই বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান,ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গ্রীণ আর্কিটেক্ট নিবেদিত বই-বিহঙ্গ বই দিবস-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নং রুমে বই-বিহঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। এসময় প্রায় দেড়শো শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সায়েম আহম্মেদের সঞ্চালনায় বই-বিহঙ্গ ইবি শাখার শাখা প্রতিনিধি মামুন শেখের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বই-বিহঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সজিব শিকদার,সহ-প্রতিষ্টাতা ফাহিম মুনতাছির আসাদুজ্জামান জিলানী সহ-প্রতিষ্ঠা উম্মে হাবিবা হ্যাপি, ঢাকা শাখার সক্রিয় সদস্য রিফা তাসনিম প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখার প্রতিনিধি মো:সাব্বির খান, মামুন  ও তমা খাতুন প্রমুখ। 

বই -বিহঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সজিব শিকদার বলেন,  বই দিবসকে ঘিরে এমন আয়োজন করার জন্য বই-বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমরা আশা করি পরবর্তী বছর গুলোতে বই দিবসের এই আয়োজন আমাদের সকল শাখায় বিস্তৃত হবে।

সহ-প্রতিষ্ঠাতা উম্মে হাবিবা হ্যাপি বলেন, 'বই-বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় শাখা। এভাবে সবাই বই-বিহঙ্গের পাশে থাকবেন ও সাহায্য করবেন এটাই প্রত্যাশা।  

সহ-প্রতিষ্ঠাতা আসাদুজ্জামান জিলান বলেন, 'এত গরমের মধ্যেও বইকে ভালোবেসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কারণে শুভেচ্ছা। আমাদের স্বপ্ন ছিল সারাদেশব্যপী বই-বিহঙ্গের শাখা ছড়িয়ে দিব, সেই লক্ষ্য নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আজ এই আয়োজনে দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। সকলের জন্য শুভেচ্ছা। আপনারা বই-বিহঙ্গের যুক্ত হবেন এবং সারা বাংলাদেশের সেরা শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এটাই প্রত্যাশা।

ইবি শাখা প্রতিনিধি সাব্বির খান বলেন, মাত্র ৩ দিনে আমরা এত পরিমাণ আপনাদের সাড়া পাবো কখনও ভাবতে পারি নাই। সকলকে একসাথে করতে আমরা বই বিহঙ্গ ইবি আশা আনন্দিত।  

ইবি শাখা প্রতিনিধি তমা বলেন, ইবিতে এত পরিমাণ বই প্রেমী মানুষ আছে কল্পনা করতে পারি নাই আমাদের ইচ্ছা থাকলেও আমরা ১৫০ এর বেশি আসন দিতে পারি নাই তবে ইবিয়ান বই প্রেমীদের নিয়ে সামনে আরও বড় আয়োজন করব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কাউটের ইউনিট কাউন্সিল সভাপতি মুসা হাসেমী বলেন, 'ইবিতে এই প্রথম বই নিয়ে এত বড় কোনো প্রোগ্রাম হলো। বই- বিহঙ্গ ইবি শাখাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই ধারা যেন অব্যবহৃত থাকে সেই প্রত্যাশায় করি। '
 
ইবি মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিরব বলেন, 'বই -বিহঙ্গ  ইবি শাখা হওয়ার পর থেকে তাদের কার্যক্রম দেখে আসছি। শুরু থেকে সাথে ছিলাম থাকব।'

সভাপতির বক্তব্যে ইবি শাখা প্রতিনিধি মামুন বলেন, আজকের আয়োজনে সফল করতে যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন বিশেষ করে ইবি শাখা প্রতিনিধি মো:সাব্বির খান ও আখি খাতুন তমার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আশা করি আপনাদের সাথে নিয়েই এগিয়ে যাবে বই-বিহঙ্গ ইবি শাখা।

সার্বিক বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, 'বই মানুষের আলোকিত করে। আমি চাই, বই পড়ার মাধ্যমে দেশে আলোকিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাক। এভাবে সকল বইপ্রেমীদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।' 

আরও খবর



আ.লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়। কিন্তু কিছু রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী অনবরত দেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না। বাংলাদেশ তো পেছাচ্ছে না।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

জনগণের আস্থা-বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর না পেরোতেই দেড় হাজার কোটি টাকা উপার্জন হয়েছে দেশের৷ এটাই তো প্রাপ্তি, বলেন তিনি।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ক্ষমতায় বসে লুটপাট করতে পারছে না বলেই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় নেমেছে বিএনপি। বিএনপি এমন একটি দল, যাদের কোনো মাথামুণ্ডু নেই। তারা শুধু পারে অনলাইনে নির্দেশনা দিতে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে অপকর্ম করেছে, তা মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত না। শেখ হাসিনা বলেন, যারা ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তারা কেনো বুঝছে না দেশবাসী এই নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে খুশি। জনগণের আস্থা আওয়ামী লীগ পেয়েছে, কারণ মানুষ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ তাদের উপকার করে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে৷ যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশকে সবক দেয়। কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধীতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কি জুলুমটাই না করলো আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন৷ এর জবাব কী?

এ সময় প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় গরম ছড়িয়ে পড়ছে৷ শিগগিরই বৃষ্টি হবে বলে আশা করছি৷ পহেলা আষাড় থেকে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ চালিয়ে যেতে হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৪৩জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



সোমবার খুলছে ব্যাংক-বিমা-অফিস-আদালত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমবার (১৫ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার।

গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে উদযাপিত হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) সরকারি ছুটি ছিল। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সপ্তাহিক ছুটি ও ১৪ এপ্রিল রোববার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা নববর্ষের ছুটি রয়েছে। ফলে ১০ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত ছুটি কাটাচ্ছেন চাকরিজীবীরা।

টানা পাঁচ দিন ঈদের ছুটি শেষে সোমবার অফিসপাড়ায় যোগ দেবেন কর্মজীবীরা। তাতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে সব জায়গায়। তবে যারা ঢাকার বাইরে ঈদ করতে গেছেন সরকারি-বেসরকারি বেশিরভাগ কর্মজীবী তাদের অনেকে ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস আদালতে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েকদিন লেগে যাবে। এছাড়া স্কুল-কলেজও খুলবে আগামী সপ্তাহে। তখন স্বাভাবিকরূপে ফিরবে রাজধানী।

এদিকে, ৬ দিনের ছুটি পান প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলকক্ষে প্রথমবারের মতো টানা ৬ দিন ছুটি কাটাচ্ছেন প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি ঘোষণা করে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪