Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চলে গেলেন উস্তাদ রশিদ খান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি ;চলে গেলেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খান। মাত্র ৫৬ বছর বয়সেই প্রয়াত হন এই তারকা। দিন কয়েক আগে, কিংবদন্তি এই শিল্পীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে প্রয়াত হলেন তিনি। রশিদ মৃত্যুকালে রেখে গেছেন স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্রকে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। জানা যায়, কয়েক বছর ধরে শিল্পী প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে সম্প্রতি তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয়। সেখান থেকেই অবস্থার অবনতি শুরু।

বিখ্যাত এ গায়ক শাস্ত্রীয় গানের সূত্রে বাংলাদেশের বেশ কয়েকবার এসেছেন। এদেশের শ্রোতাদের মধ্যেও তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়।

উল্লেখ্য, রশিদের জন্ম ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই ভারতের উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে। তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। যে ঘরানার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিব। রশিদ তালিম নিয়েছেন এই ঘরানারই আর এক দিকপাল উস্তাদ নিসার হুসেন খাঁ-সাহিবের কাছ থেকে। যিনি ছিলেন রশিদের দাদু। রশিদের মামা গোয়ালিয়র ঘরানার উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ-সাহিবের থেকেও তালিম নিয়েছেন রাশিদ। মূলত শাস্ত্রীয় সংগীত গাইলেও ফিউশন বা বলিউড এবং টলিউডের সিনেমাতে বহু জনপ্রিয় গানও গেয়েছেন শিল্পী।

সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার ও পদ্মশ্রী সম্মান যেমন পেয়েছেন, তেমন কলকাতা থেকেও পেয়েছেন বঙ্গবিভূষণ সম্মান।


আরও খবর



স্বাগত ১৪৩১, আজ পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। বাংলা ১৪৩১ সালের প্রথম দিন আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল)। এ দিনটির মাধ্যমে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গতকাল (শনিবার)। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪৩০ সালের শেষ দিন।

জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ - এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।

আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় এ নববর্ষ।

এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস এবং এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল।

বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব অতীতে ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগনিয়ে দ্বন্দ্বঃবাড়ি অগ্নিসংযোগ,,,আহত-২

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১জন দেখেছেন

Image

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃসুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের মৃত্যু মফিজ উদ্দিনের ২ ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৬৩) ওশাহা মিয়া(৬০) এর পুরাতুন ভিটা ও ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বজরা হলদিয়া মৌজাস্ত নলডাঙ্গা রাস্তার পাশের জমির সমবন্টন নিয়ে দীর্ঘদিন হতে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

এর জেরে গতকাল সকাল ৯টারদিকে সিরাজল ও শাহা মিয়ার জমির মাঝের ঘিরা সরানোকে কেন্দ্রকরে তর্কাতর্কির শুরুহলে একপর্যায়ে শাহা মিয়া ও তার ছেলে জাকিরুল,ভাতিজা মোজাম্মেল পিতা মহির উদ্দিন গংরা সহ সিরাজুলের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানান সিরাজুল।এতে তার টিনের চৌচালা বসত ঘর ও রান্নাঘর পুড়ে ভস্ষিভুত হয়।এসময় বাধাঁ দিতে গেলে তারা সকলে মিলে সিরাজুলের স্ত্রী জরিনা বেগমকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে ও সিরাজুলকে বেধরক মারপিট করলে তারা উভয়ে মারাত্নক আহত হওয়ায় সুন্দরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোকলেছুর রহমান মণ্ডল জানান,ঘটনার দিন সকাল অনুমান ৯টার দিকে আমি ঘটনাস্হলে যাই,,এসময় উভয়ের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্হিতি লক্ষ করি,এবং উভয়পক্ষকে আমি শান্তহতে বলে আমি পাশে মিজানুরের বাড়িতে যাই,,,এর কিছুক্ষনের মধ্যে সিরাজুলের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনাটি ঘটে।ঘটনা চলাকালিন সিরাজুল ৯৯৯ ফোন করায় তাৎক্ষনিক ভাবে সুন্দরগঞ্জথানার এ এসআই আলমগির হোসেন সঙ্গীয র্ফোসসহ ঘটনা স্হান পরিদর্শন করেন এবং পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে নেন।

এ রিপোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুত্তি চলছে বলে জানা গেছে।

আরও খবর



মেহেরপুরে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টিতে কৃষি খাতে বিপর্যয়ের অশনি সংকেত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে প্রখর রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠ। অনাবৃষ্টি ও খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকের সেচ সুবিধা ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তাপদাহে ফসলের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া অপরিবর্তীত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। তবে ফলন বিপর্যয় ঠেকাতে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।

মেহেরপুর মূলতঃ কৃষি ভিত্তিক এলাকা। এখানকার মাঠে ধানসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ও সব্জীর আবাদ রয়েছে। কিন্তু তীব্র গরম সহ রোদের তাপে পুড়ছে বিস্তীর্ণ মাঠের নানা ধরণের ফসল। খরার কারণে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সেচকাজে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ কাজে বেড়েছে ব্যয়। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী সেচ লাগছে জমিতে। কৃষি কাজে শ্রমিকও লাগছে বেশী। গরমের কারণে মাঠে ঠিকভাবে কাজও করতে পারছেন না কৃষকরা। কয়েক দিনের মধ্যে ঘরে উঠবে বোর ধান। এছাড়াও প্রচন্ড দাবদাহে শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি।

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর ধান, ৫ হাজার ৪৪১ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২ হাজার ৩৩৬ হেক্টর আম, ৭১৫ হেক্টর লিচু, ১৬৫ হেক্টর কাঁঠাল ও ৬ হেক্টর জাম বাগান রয়েছে। অপরদিকে পাটসহ অন্যান্য ফসল বপন করা হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে ক্ষেতের ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

গাংনীর মানিকদিয়া মাঠের ধানচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রচন্ড গরমে মাঠে কাজ করতে পারছেনা। সকাল ১১ টার পর রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। বেশি শ্রমিক লাগছে। ৫ জনের কাজ ১০ জন শ্রমিক দিয়ে করাতে হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পানির লেয়ার। যে ক্ষেতে এক ঘন্টায় সেচ করাজ শেষ হয় ওই জমিতে লাগছে অন্ততঃ তিন ঘন্টা।

এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকলে সব ধরনের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধানচাষি সহড়াবাড়িয়ার শামসুল ইসলাম জানান, তিনি খামারের মাঠে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করছেন। বর্তমানে মাঠে রয়েছে বোরো ধান। প্রতিটি জমিতেই ধানে ফুল রয়েছে। কিছু ধান দুগ্ধ আর কিছু ক্ষীর অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় ক্ষেতে হিটস্ট্রোক দেখা দিতে পারে। বোরো ধান পর্যাপ্ত পানি না পেলে চিটা হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার চার বিঘা জমিতে আম ও লিচু বাগান রয়েছে। আম ও লিচুসহ অন্য ফলে গুটি রয়েছে। তা ঝরে পড়ছে। ফলনেও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সবজি চাষি সাহারবাটির আকরামুল জানান, বর্তমানে মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এ সবজিতে এমনিতেই সেচের পানি দিতে হয়। খরচও বেশি।

কিন্তু চলমান তাপদাহে জমিতে সেচ দেয়ার পরও কোন পানি থাকছে না। রাতে সেচ দিলে সকালে পানি শুকিয়ে যায়। আবারো সেচ না দিলে ক্ষেত শুকিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে সবজি তুলে আড়ত পর্যন্ত নিতে সবজি শুকিয়ে কমে যায়। শ্রমিকও লাগছে বেশি।আম বাগান মালিক কাষ্টদহ গ্রামের শরিফুল জানান, গেল বছর গরমে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবছর সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়েছিল। কিন্তু দেরিতে মুকুল আসে। এখন আমের গুটি রয়েছে। অনাবৃষ্টি আর গরমে গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। তার হিসেবে বাগানের ৩০/৩৫ ভাগ গাছের গুটি ঝরে পড়েছে। গুটি ঝরা ঠেকাতে সেচ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এবার অনেক বেশি লোকসান গুনতে হবে।

আম ব্যবসায়ি নজরুল ইসলাম জানান, গেল বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে আম নষ্ট হয়েছিল। ঝরে পড়ে ছাড়াও পোকার আক্রমণ ছিল। গেল বছরের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে এবার কেনা বাগান বেশি পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু দেরীতে মুকুল আসে। সেগুলো ঠিক রাখতে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু চলমান তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারনে গাছের সিংহভাগ গুটি ঝরে পড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে গাছে আর আম থাকবে না। মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গেল ৫ দিন ধরে চলছে বৈরী আবহাওয়া। আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ২২ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি, ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও ২০ এপ্রিল ৪২.৪ ডিগ্রি, ১৯ এপ্রিল ৪১.৫ ডিগ্রি, ১৮ এপ্রিল ৪০.৪ ডিগ্রি, ১৭ এপ্রিল ৪০.৮ ডিগ্রি ও ১৬ এপ্রিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। প্রচ- গরমের সাথে চলছে গরম বাতাস। যা গেল বছরের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর এলাকায় হিট অ্যালার্ট জারী করে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে হবে। ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই দুই থেকে তিন ইঞ্চি দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে। আমগাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে গাছের শাখা-প্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজির জমিতে আগামী এক সপ্তাহে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী দুই থেকে তিনটি সেচের ব্যবস্থা করা জরুরি।


আরও খবর



জানো প্রকল্পের আওতাধীন বিভাগীয় পর্যায়ে প্রকল্পের সমাপ্তিকরণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম-জানো প্রকল্প বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইকো স্যোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ও অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের অর্থায়নে বিগত ৫ বছর যাবত শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মা এবং কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নের জন্য রংপুর ও নীলফামারী জেলার ৭ টি উপজেলায় কাজ করে ব্যপক সফলতা বয়ে এনেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রংপুরে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কন্ধসঢ়;ফারেন্স কক্ষে প্রকল্পের বিভাগীয় পর্যায়ে সমাপ্তিকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ এবিএম আবু হারিফ এর সভাপতিত্বে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট শারমিন সুলতানা লাবণ্য’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর।

বিশেষ অতিথি হিসাবে মাধ্যমমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক এসএম আব্দুল মতিন লস্কর, শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির, কৃষি বিভাগের ডিপুটি ডিরেক্টর আনোয়ার হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান, এনায়েত হোসেন, জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলী পংকজ কুমার সাহা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জানো প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার পংকজ ময় ত্রিপুরা, আশিক বিল্লাহ। প্রকল্পটি মূলতঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সহ বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সরকারের প্রায় ২২ টি দপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি সহায়ক প্রকল্প হিসেবে কাজ করে আসছে। প্রকল্পের অর্জন, সমাপ্তির যৌক্তিকতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত সকল অংশীজনের অবগতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বিশেষ আলোচনা করা হয়।


আরও খবর



বৃষ্টির জন্য কুষ্টিয়ায় ইস্তেকার নামাজে সকল ধর্মপ্রান মুসল্লিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:পাপ কমান,তাপ কুমে যাবে। জলে স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল । সুরা রুম , আয়াত ৩০ । তীব্রতাপদাহে কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্হানে পানির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে দোওয়া ও ইস্তেকার নামাযে কান্নায় ভেঙে পড়েন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা ॥

আরও খবর