Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন তুলা, প্রত্যাশা পূরণ ধনুর

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৬১জন দেখেছেন

Image

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)

গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করতে পারবেন। দূরের যাত্রা হতে পারে। ব্যয় কমানোর চেষ্টা করুন। যেকোনো ঝামেলা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। শারীরিক অসুস্থতাকে অবহেলা করা ঠিক হবে না।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে)

কোনো আশা পূরণ হতে পারে। ভবিষ্যতের জন্য কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। রাজনীতিবিদদের জন্য দিনটি শুভ। সাংগঠনিক কাজের সুফল পেতে পারেন। আর্থিক দিক ভালো যাবে।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন)

কর্মপরিবেশ মোটামুটি অনুকূল থাকতে পারে। কর্মস্থলে সহকর্মীদের সহযোগিতা পেতে পারেন। কোনো উচ্চাশা পূরণ হতে পারে। পাবলিক  ইমেজ বৃদ্ধি পাবে। পিতৃস্বাস্থ্য ভালো যাবে।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই)

সামাজিক অগ্রগতি অব্যাহত থাকতে পারে। উচ্চ শিক্ষার্থীদের জন্য সময় অনুকূল থাকতে পারে। উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ যাত্রা হতে পারে। কোনো আশা পূরণ হতে পারে। পেশাগত দিক ভালো যাবে।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট)

দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। সামাজিক সংকট এড়িয়ে চলুন। আবেগ সংযত রাখুন। উত্তরাধিকারসূত্রে কোনো সম্পত্তি পেতে পারেন। ট্যাক্স সংক্রান্ত কোনো ঝামেলা হতে পারে।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর)

যৌথ অংশীদারী ব্যবসায় সুফল পাবেন। অংশীদারি ব্যবসায় নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারবেন। নতুন কোনো বিনিয়োগে আলোর মুখ দেখতে পারেন। সকলের প্রতি সদাচরণ করুন। দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর)

শরীর খুব একটা ভালো না-ও থাকতে পারে। আহারে বিহারের সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। কর্মপরিবেশ খুব একটা অনুকূল না-ও থাকতে পারে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর)

সন্তানের সাফল্যে আনন্দ পেতে পারেন। শরীর ভালো থাকবে। সৃজনশীল কাজে অংশ নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাফল্য পেতে পারেন না। ধর্মীয় কাজ আনন্দ পাবেন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর)

মাতৃস্বাস্থ্য ভালো যাবে। পারিবারিক পরিবেশ ও মোটামুটি অনুকূল থাকবে। কোনো প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে। পছন্দের যানবাহন ক্রয় করে নিতে পারেন। জ্ঞানস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি)

ছোট ভাইবোনদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে। প্রয়োজনে তাদের কাজে লাগাতে পারবেন। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রাপ্ত তথ্যের উপর নির্ভর করতে পারেন। আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)

নিজের কাজে লাগাতে পারবেন। মূল্যবোধ বজায় রাখুন। কোনো আশা পূরণ হতে পারে। পড়াশোনায় আনন্দ পাবেন। আর্থিক দিক ভালো যাবে।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)

কাজকর্মে মন দিন। সাফল্য ধরা দিবে খুব সহজেই। শরীর ভালো থাকবে। মানসিক প্রাশান্তি বজায় থাকতে পারে। ব্যক্তিত্ব দিয়ে অন্যের শ্রদ্ধার পাত্র হতে পারেন।


আরও খবর



কুষ্টিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আবারো দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাটের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনো কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার ফলে চেয়ারম্যান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এবং সবকিছু তার নিজের মর্জিতে লুটপাট করে চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন- ওই ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার সহ আরও অনেকে। তিন মহিলা মেম্বার কোন উপায় না পেয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে গেলেও কোন সমাধান মিলছে না। আবার উল্টো চেয়ারম্যানের গুন্ডা বাহিনীর হুমকি ও লাঞ্চিত হচ্ছে। এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুদকে। 
 
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন- আমি মোছাঃ রূপসী আকতার, ১২নং হরিণারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৭,৮,৯, নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ও প্যানেল চেয়ারম্যান ২, ১২নং হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাট এর নামে আনিত অভিযোগ। দূর্নীতি ও অনিয়মগুলো তুলে ধরা হলো- বরাদ্দকৃত কাজের কোন মিটিং আলোচনা ছাড়াই সবকিছু নিজের লোকজন দিয়ে পরিচালনা করেন। আবার কৌশলে সচিবকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে পরে ইচ্ছামত গদ বসিয়ে দেন। ১৫টি প্রকল্পের টাকা লামছাম কাজ করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া- ১। হাট বাজারের টাকা পায় ৩,৫০,০০০/- তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ২। ট্রেড লাইসেন্স প্রায় ৪,৫০,০০০/- চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ৩। বাসা বাড়ীর ট্যাক্স প্রায় ১০,০০,০০০/- দশ লক্ষ টাকা ৪। কাজ করার কথা বলে প্রস্তাব দিয়ে ১% এর ২,০০,০০০/- দুই লক্ষ টাকা, আবার কাজ না করে নিজেই তুলে আত্মত্মসাৎ করেন। ৫। প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১০,০,০০০/- দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সর্বনিম্ন আয় এতকিছুর পরেও ৩,০০,০০০/- তিন লক্ষ টাকা বাজেট ঘাটতি দেখিয়েছেন। এর হিসাব চাইলে সচিব কোন হিসাব দেয় না। এদিকে প্রতি মাসে মেম্বরদের বেতন ৪৪০০/- টাকা বহন করবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু ৮-৯ মাস পর চার মাসের বেতন দিলেও আবার তার থেকে ৪০০/- কেটে নেওয়া হয়। হাট বাজার বরাদ্দের টাকার নামে আবার বেতনের টাকা না দিয়েও বেতন বহিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন এই আলোচিত চেয়ারম্যান। এদিকে কৃষকের বরাদ্দের কোন মেম্বরদের সাথে আলোচনা না করেই দেওয়া হয় ও নির্যাতন চালানো হয়।

আমি এর প্রতিবাদ করলে আমার বাড়ীতে রাতের বেলা চেয়ারম্যানের নাম করে ০৪ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমি এবং আমার পরিবারের প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যায়। তারপর আমি এ বিষয়ে ইবি থানাতে গিয়ে ওসি স্যারকে সকল বিষয়গুলো বলি। তারপর তিনি অজ্ঞাত নামে একটি অভিযোগ নেই। এতে আমার প্রাণ নাশের হুমকী আরও বেড়ে যায়। তখন আমি এর থেকে বাচার জন্য একটি পেপারিং করে সকলকে বিষয়টি জানাই। তারপর সে আমাকে মারতে না পেরে আমার উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা শুরু করে। আমাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকী দেয় এবং আমাকে পরিষদের সকল প্রকার বরাদ্দকৃত জিনিস থেকে বঞ্চিত করে আসছে। এ বিষয়ে আমি একটি মিটিং এ হাজির হয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বলি আমাকে কেন কোনকিছু দেওয়া হচ্ছে না? তাতে চেয়ারম্যান বলে, আমি তোমাকে কোন কিছু দিব না এবং আমি তোমাকে এখন পর্যন্ত সুস্থ্য রেখেছি সেটাই তোমার জন্য বড় কপাল। উপরোক্ত বাক্যটি সকল মেম্বরগণ উপস্থিত থাকাবস্থায় শ্রবণ করেন এবং মেম্বারকে উক্তি করে এমন কথা বলেছেন বলে স্বীকার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রতিনিধি’কে বলেন, ভাই আপনারা মহিলাদের কথা শুনেই নিউজ করতে ব্যস্ত হয়ে যান । আরও আমার অনেক সদস্য আছে তারা কখনও কি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে । আপনারা সাংবাদিক যা ভালো বুঝেন তাই লিখবেন , তবে অবশ্যই সত্যটা লিখবেন ।

আরও খবর



মাদক কারবারে সাবেক এমপি বদির ২ ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে জানানো হয়েছে,মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা: বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা। সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও বলেন, মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর



জমে উঠেছে ফুলবাড়ীর ঈদ বাজার, ক্রেতাদের ভিড়ে সরব মার্কেটগুলো

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমে উঠেছে ঈদবাজার। মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের ব্যস্ততা। সব বয়সি মানুষের মধ্যে এখন ঈদবাজার নিয়েই যত ভাবনা।ঈদকে সামনে রেখে বিপণি বিতান, মার্কেটগুলো এখন নতুন নতুন দেশি- বিদেশি হরেক রকম জামা-কাপড়ে ঠাসা। দোকানগুলো ক্রেতার ভিড়ে জমজমাট।

ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড়, জুতো, প্রসাধনীসামগ্রী কিনতে ব্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে পরিবারের কর্তারা ব্যস্ত পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে। শপিংমলগুলোতে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যস্ত চলছে বেচা-কেনা। ঈদের জামায় এবার মেয়েদের আলিয়া কাট, সারারা, নাইরা চলছে বেশি। ছেলেদের দৃষ্টি বেশি পাঞ্জাবির দিকে।

কোহিনুর আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘পরিবারের সদস্যের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টাকার কাপড় কিনেছেন। গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। যা সামর্থ্যে কুলাচ্ছে তাই কেনার চেষ্টা করছেন।’ছোট্ট রিক্তা মনি বলে, ‘তার মার সাথে মার্কেটে এসেছে। আলিয়া কাট জামাটা দেখছে। এটা তার খুব পছন্দের। তার বান্ধবীরাও এটা কিনেছে। এই জামাটাই সে নেবে বলে মনোস্থির করেছে।’

ব্যবসায়ীরা জানান, ১০ রমজানের পর থেকেই তাদের ব্যবসা জমে উঠছে। বর্তমানে অত্যস্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বিভিন্ন মার্কেটে এখন চলছে জমজমাট বেচাকেনা। শিশু, পুরুষ ও মহিলাদের পছন্দের কাপড়-চোপড়ের দোকানগুলোতে এখন বেশ ভিড়। সামনের মাসের শুরুতে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে।

লাকি বস্ত্র বিতানের স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মার্কেটগুলোতে টাঙ্গাইলের সুতি, জামদানি, জর্জেট এবং সিল্ক শাড়ির চাহিদা এবার অনেক বেশি। জে আর ফ্যাশনের জিহাদ বলেন, আলিয়া কাট জামার এবার ব্যাপক চাহিদা।

এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে ফুটপাতগুলোতেও। বলতে গেলে ফুটপাতেই এখন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের ঈদের প্রধান বাজার।শ্রমিকশ্রেণির অনেকেই চাঁদ রাতে অথবা ১-২ দিন আগে কেনাকাটা করে। স্বল্প বেতনভোগী ও খেটে খাওয়া মানুষকেও আপাতত কেনাকাটায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।

ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সার্বিক নিরাপত্তা পরিবেশে বিকিকিনি চলছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এছাড়াও পৌরসভা থেকে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই এজন্য সব বয়সী মানুষ ঈদবাজারে আগে থেকেই ঝুঁকে পড়েছেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন,ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘেœন চেকাকেনা করতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। পৌরশহরের পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো ধারণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মার্কেটগুলোতে পুলিশি নজরদারী চালানোহচ্ছে।


আরও খবর



১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ রোগীদের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ দেখালেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকেট সংগ্রহ করেন এবং চোখ পরীক্ষা করান।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সারওয়ার ই আলম সরকার তা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর