Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২১৬জন দেখেছেন

Image

চাঁদপুর প্রতিনিধি:চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মিরপুর গ্রামে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী সেলিনা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী মাসুদ আলম ঢালীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ( জেলা জজ )  মোঃ আব্দুল হান্নান এই রায় দেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মাসুদ আলম ঢালী উপজেলার মিরপুর গ্রামের মৃত বশির উল্যা ঢালীর ছেলে। হত্যার শিকার সেলিনা বেগম একই উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের মৃত হাজী আবুল হাশেম খান ও মোসাম্মৎ আয়েশা বেগমের মেয়ে।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, মাসুদ আলম ঢালী ও সেলিনা বেগমের সাথে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক ১৯৯৮ সালে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুজন পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌতুক দাবী নিয়ে পারিবারিক কলোহ দেখা দেয়। সর্বশেষ ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল বিকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মাসুদ সেলিনার গলাচেপে হত্যার চেষ্টা করে এবং ব্যাপক মারধর করে। মার সহ্য করতে না পেরে সেলিনা ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তার স্বামী মাসুদ আবার সেখান থেকে এনে তাকে বেধম মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর বাড়ীর লোকজন ও স্বজনরা তাকে সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৮ এপ্রিল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেলিনা মৃত্যুবরণ করে। এমন সংবাদ জেনে তার শ^শুর পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে সেলিনার মা আয়েশা বেগম এসে তার মেয়েকে মৃত অবস্থায় পান।

এই ঘটনায় সেলিনার মা আয়েশা বেগম ২০০৮ সালের ৫ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানায় মাসুদ আলম ঢালীসহ ৫জনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই মামলাটি চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৭ জুলাই গৃহীত হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময় ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুভাষ কান্তি দাস তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৭ আগষ্ট আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) সায়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি ১৪ বছরের অধিক সময়ে চলমান অবস্থায় আদালত ১২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহন ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামী তার অপরাধ স্বীকার করায় আদালত এই রায় দেন। তবে আসামী জামিনে গিয়ে পলাতক। রায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন না।

রাষ্ট্র পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন খোরশেদ আলম শাওন এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মনিরা বেগম চৌধুরী।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে চোরাই কয়লা কান্ডে ২ জনের মৃত্যু: আহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত সোর্স পরিচয়ধারী ও তার গডফাদার নিয়ন্ত্রণে রেখে দীর্ঘদিন যাবত করছে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি। তাদের নেতৃত্বে সরকারের কোটিকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, পেয়াজ, চিনি, গরু, মহিষ, কসমেটিকস ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে একেরপর এক ঘটছে মৃত্যু ও সহিংসতার ঘটনা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিন মোকাম, দশঘর, বারেকটিলা, কড়ইগড়া, রাজাই, নয়াছড়া, রজনী লাইন ও বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা, চুনাপাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, ঘোড়া, নাসিরউদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, জামাল মিয়া, রুসমত আলী, নাজির মিয়া, নজরুল মিয়া, সাইকুল, আশরাফ, হাছান আলী, শাহিবুর মেম্বার, বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং।

এমতাবস্থায় সকাল ৬টায় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে নায়ছড়া এলাকার ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অন্যদিকে একই সময় বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট, বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট, কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি, লাকমা ও বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা ও সুন্দরবন এলাকা দিয়ে একই সময় ওই গডফাদারের নেতৃত্বে কয়লা, চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলা আসামী আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামাল, বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শামসুল মিয়া, শরাফত আলী, ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং।

এমতাবস্থায় লালঘাট সীমান্তে চোরাই কয়লা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।

এছাড়াও গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮), গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পাচাঁরকৃত ১টন অবৈধ চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচাঁরকৃত অন্যান্য অবৈধ মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা সোর্স পরিচয়ধারী ও তাদের গডফাদার উত্তোলন করলেও তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ।

এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন দুই চোরাকারবারীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান- থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই, সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। মৃত দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



হিলিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল লেবার ও অটো রিকসা শ্রমিকদের নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে প্রথম বারের মত দিনাজপুরের হিলিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বন্দরের লেবার শ্রমিক ও অটোরিকসা শ্রমিকদের নিয়ে লেবার কাপ প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট খেলা। 

বুধবার (১ লা মে) বিকেল সাড়ে ৫ টায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক জাবেদ হোসেন রাসেল এর উদ্যোগে হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় দুটি দল অংশ গ্রহন করেন অটোরিকসা শ্রমিক দল বনাম হিলি পানামা পোর্ট এর লেবার শ্রমিক দল। খেলায় নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে খেলা শেষ হয়। পরে ট্রাইবেকারে ১-০ গোলে হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের লেবার শ্রমিক দল চ্যাম্পিয়ন হন। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি বড় ট্রফি ও  ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা এবং রানার্সআপ দলকে একটি ছোট ট্রফি ও ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা তুলে দেওয়া হয়।  

এসময় সেখানে দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান,হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ও সাবেক মেয়র কামাল হোসেন রাজ ও হিলি স্থলবন্দরের আমদানি- রপ্তানিকারক জাবেদ হোসেন রাসেল। 

খেলার আয়োজক জাবেদ হোসেন রাসেল বলেন,সীমান্তঘেঁষা হাকিমপুর হিলি উপজেলা। মাদক থেকে যুব সমাজকে দুরে রাখতে শ্রমিক ও সাধারণ মানুষকে আনন্দ বিনোদন দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই খেলার আয়োজন করা হয়। আমি কিছু দিন পূর্বে হিলি পানামা পোর্টে শ্রমিকদের সাথে কথা বললে শ্রমিকরা বলেন,মে দিবসে ফুটবল খেলতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। তাই আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। আমি সারাজীবন এসব শ্রমিকদের পাশে থাকতে চাই।


আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক,গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি বলেন, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।

সুব্রত কুমার বালা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


আরও খবর



মাগুরার কিংবদন্তী শিক্ষক কাজী ফয়জুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image
সাইদুর রহমান,মাগুরা স্টাফ রিপোর্টার:মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হাট দারিয়াপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রধান শিক্ষক, খুলনা বিভাগীয় তৎকালীন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রীপুর উপজেলার তখলপুর গ্রামের সুযোগ্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফয়জুর রহমান  ১৫ এপ্রিল সোমবার  দুপুর ১২-২০ মিনিটের সময় ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন )।

মাগুরা জেলাসহ খুলনা বিভাগের ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষকের মৃত্যুতে মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের তার ছাত্র,ছাত্রী অনুসারী ব্যক্তিবর্গ শোকপ্রকাশ করেছেন। এবং তার  তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। মঙ্গলবার তার তখলপুর নিজ বাসভবনে সকাল সাড়ে ৮ টায় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০,গ্রেপ্তার ১০

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ২০২জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃপ্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় এক  ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা। এলাকাবাসী জানায়, এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওসি বলেছেন, পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় পুলিশ মনির মিয়া ৩৫,জামাল মিয়া ৩৫,ফাইজুল ৩৮ফারুক ৬০,রিফাত ২৪,বিজয় ২০,দিদার, সাহাব উদ্দিন ২০,আজহারুল ১৮,শিমুল ১৮ কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করেছেন।স্থানীয় লোকজন জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ফান্দাউক গ্রামের কিশোর-তরুণরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে। খেলা চলাকালীন দুই তরুণের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। যা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে গড়ায়।এ সংবাদ বড়দের কাছে পৌঁছালে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।একটি সূত্র জানায়, বিবদমান দুই পক্ষের একটি পক্ষকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল সমর্থন দেন।

অপর পক্ষ সমর্থন পায় মো. রিপন মিয়া নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির। বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসে আলোচনার সিদ্ধান্তও হয়।এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে সাধুপাড়া নূরে মদিনা মসজিদে যান আবদুল আওয়ালের পক্ষের লোকজন। নামাজ থেকে বের হওয়ার পর তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকেরা।এ সংবাদ দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে নারীসহ দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। পরে তাদের পুলিশি পাহারায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তাদের মধ্যে মো. নূরে আলম, মো. সজল, নাছির মিয়া, সাগর মিয়া, শিমুল মিয়া, তফু মিয়া, দিদার মিয়া, কাজল মিয়া, ফসাল শিয়া, হৃদয় মিয়া ও নূরেম বেগম আওয়ালের পক্ষের লোক। প্রতিপক্ষের আহতরা হলেন– গোলাম নূর, রুবেল মিয়া, আলা উদ্দিন, শাহনাজ বেগম, জিনিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও রুজিনা বেগম।স্থানীয় সূত্র জানায়, আহত আরও বেশ কয়েকজন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেছেন। যে কারণে তাদের নাম জানা যায়নি।সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আওয়াল এ বিষয়ে বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়।

বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশের ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার নামাজ পড়তে গেলে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকজন আমাদের পক্ষের লোকদের ওপর হামলা করে।’রিপন মিয়ার পক্ষের মো. রাজা মিয়া বলেন, ‘ঈদের দিন ছোট ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়। স্থানীয় মাতবররা বিষয়ডা শেষ কইরা দিবেন– বলছিলেন।’ তিনি দাবি করেন, জুমার নামাজ থেকে বের হওবার পর আওয়ালের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এর বেশি কিছু জানেন না তিনি।নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা সমকালকে বলেন, ফান্দাউকে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দশ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর