Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ মীরপুর শাহআলী ও দারুসছালামবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৮৩জন দেখেছেন

Image

ডেক্স রিপোর্টঃচাঁদাবাজদের অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মিরপুর-১, দারুসসালাম থানা এলাকার কাঁচাবাজারে আড়ৎসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে রাস্তার পাশে ফুটপাথে বসা ব্যবসায়ী যেন ভোগান্তির শেষ নেই। বাদ পড়ছেন না বিভিন্ন মার্কেটে পজিশন নিয়ে বসা ব্যবসায়ীরাও। এমনকি টেম্পু স্ট্যান্ডগুলো চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মালিক ও চালকরা । এইসব নিয়ন্ত্রণ করছেন মোহাম্মদ খাইরুল, মোহাম্মদ রতন ও মোহাম্মদ জনি । তারা যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে।


এই তিন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট মিলে প্রতিদিন ওইসব এলাকা থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা উঠায় এবং মাসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা উঠায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এইসব চাঁদার টাকা উঠানোর জন্য ওই তিন সিন্ডিকেট ১০ থেকে ১৫ জনকে নিয়োগ করেন। নিয়োগকৃত সদস্যরা প্রতিদিন এক লাখ টাকা চাঁদা উঠায়ে তিন সিন্ডিকেটের প্রধান রতনের কাছে টাকাগুলো জমা দেন বলে তাদের নিয়োজিত একজন সদস্য জানায় । এভাবে তাদের চাঁদাবাজি চলতে থাকে মাসের পর মাস বছরে পর বছর । তারা এমপি ও স্থানীয় প্রভাবশালী সরকারদলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এইসব চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে তারা এইসব অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের মাধ্যমে।


মিরপুর বেড়িবাঁধের কাঁচামালের আড়ৎদের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন এখানে প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ আড়ৎদার রয়েছেন । ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাবধানে নেন এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখানে মাল ক্রয় করতে আসলে তাদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করে থাকেন। ওই চাঁদাবাদ সন্ত্রাসীদের নিয়োজিত সদস্যরা প্রতিটি রিকশা ভ্যান থেকে ও পিকআপ ভ্যান থেকে এমন কি ট্রাক থেকে ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেন। সাদা টাকা না দিলে ওই ব্যবসায়ীদের উপরে অমানবিক নির্যাতন শুরু করে চাঁদাবাজ সদস্যরা। তখন ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এইসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।


ওইসব চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে গিয়ে দ্রব্যমূল্য জিনিসের দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘকাল ধরে এলাকার নেতা ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাস্তানদের চাঁদা এবং পুলিশকে ঘুষ দিয়েই কাঁচামালের আড়ৎদের, ফুটপাথে ব্যবসা ও টেম্পু স্ট্যান্ড গুলো ব্যবসা করতে হচ্ছে এছাড়া আমাদের কোন প্রকার উপায় নেই। নাইমেন তৈয়ব আলী জানান, চাঁদাবাজ খাইরুল, রতন ও জনি তার কাছ থেকে প্রতিমাসে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না হলে তাকে লাইন চালাইতে দিবে না। এমনকি তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করেন ওই চাঁদাবাজরা। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে বিভিন্ন ধরনের অমানবিক নির্যাতন শুরু করে চাঁদাবাজদের সদস্যরা তাই ব্যবসায়ীরা নিরুপায় হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।


যেখানে চাঁদাবাজদের সঙ্গে প্রশাসন লোকজন জড়িত রয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছ থেকে বিচার দিয়ে কি আর লাভ হবে। ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান খাইরুল, রতন ও জনি তারা কিশোর গ্যাংয়ের লিডার এবং তাদের মাধ্যমে মিরপুর বিভিন্ন এলাকায় কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তাদের মাধ্যমে তারা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। টেম্পু চালক আতিফুর রহমান জানান ওইসব চাঁদাবাজদের অত্যাচারে টেম্পু স্ট্যান্ডে যাত্রী রাও আসতে ভয় পায়। প্রতিদিনই চাঁদাবাজ সদস্যদের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয় এমনকি আমাদেরকে মারধর করে।


ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাউসার মিয়া জানান চাঁদাবাজরা যেসব চাঁদা টাকা উঠায় সেগুলো আবার মিরপুর ১ নাম্বার প্রিন্স বাজার মার্কেটের দ্বিতীয় ও সপ্তম তলা বসে তারা ভাগাভাগি করে নেয় । তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলে উল্টো তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকেন। এইসব অবকর্মীর দেখার কেউ নেই? ওইসব চাঁদাবাজরা এমপি ও স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি সহ অন্যান্য অপকর্ম করে যাচ্ছে কিন্তু নেতারা জানার পরেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন। এর শেষ কোথায় কবে জানব।


এইসব ব্যাপারে খাইরুল, রতন ও জনি কে কাছে জানতে চাইলে তারা এসব ঘটনার অস্বীকার করেন তারা এইসব ঘটনায় কিছুই জানেন না। আবার
সম্প্রতি কিছু উঠতি মাস্তানদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এসব মাস্তান ২৫-৩০ জন কিশোরকে দলে ভিড়িয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করছে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে হাত করে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। সম্প্রতি মিরপুর-১ ও দারুসসালাম এলাকায় হকার মোহাম্মদ খলিল ও আলামিন নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এমনই একটি গ্রুপ।


যারা ওই এলাকার প্রতিটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দিনহারে চাঁদা আদায় করছে। তাদের টাকা দিতে না চাইলে শুরু হচ্ছে হামলা ও নির্যাতন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে দ্বিমুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পুলিশ অভিযোগ শুনলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আর এই সুযোগে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে নির্যাতন চালাতে শুরু করে। শাহ আলী এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হোসেনের দোকানে হামলা চালায় তাদের বাহিনীর সদস্যরা। এই ঘটনায় তিনি শাহআলী থানায় একটি জিডি করেন। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে ব্যবসা করতে গেলে কয়েকটি ধাপে চাঁদা ও ঘুষ দিয়েই ব্যবসা করতে হয়। এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।


কিন্তু যখন এর বাইরেও চাঁদা দিতে হয় তখন ব্যবসায়ীদের পুঁজি ভেঙে খাওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকে না।তিনি বলেন, ফুটপাথে খুবই কম লাভে পণ্য বিক্রি করতে হয়। এখন প্রচুর দোকান থাকায় খুব বেশি লাভও হয় না। তার মধ্যে থানা, পুলিশ, লাইনম্যান, ঝাড়–দার, সোর্স এবং এলাকার বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের আলাদা আলাদা করে টাকা দিতে হয়। কেউ দিন হিসাবে আবার কেউ সপ্তাহ হিসাবে এসব টাকা নিয়ে থাকে। তার মধ্যে এখন যুক্ত হয়েছে খলিল ও আলামিন বাহিনীর সদস্যরা। কিছু কিশোর ও উঠতি বয়সী যুবকদের সাথে নিয়ে প্রতিটি দোকানে চাঁদা দাবি করছে। না দিলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হচ্ছে।


কামাল হোসেন নামে অপর একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, এই দলে সাইদুল, হাসান, সিরাজ, বড় সুমন, মোল্লা ,বাবুসহ ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। এরা প্রত্যেকে এলাকা ভাগ করে চাঁদা আদায় করছে। কেউ দিতে না চাইলে এরা সবাই একসাথে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। চাঁদা না দেয়ায় তার দোকানে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে।এই ঘটনায় তিনি দারুসসালাম থানায় একটি জিডি করেন। তিনি আরো বলেন, এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। ফলে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। তিনি বলেন, ফুটপাথে সামান্য লাভে পণ্য বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়।


কিন্তু সেই সামান্য লাভের টাকা থেকে যদিও এভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে ভাগ দিতে হয় তাহলে আর কিছুই থাকে না। এখন দেখা যাচ্ছে পুঁজি থেকেই চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।তারা আরো অভিযোগ করে বলেন মুক্ত বাংলা মার্কেটে সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুম্মান মিরপুর বিভাগের পুলিশের ডিসি মো. জসিম উদ্দিনের নামে খলিল ও আলামিন মাধ্যমে চাঁদা উঠায় হকারদের কাছ থেকে। প্রতিদিন তারা্ এই ভাবে পুলিশের নামে হকারদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা উঠাচ্ছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



পত্নীতলায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেল প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্র‌তি‌নি‌ধি:আগামী ৮ মে আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা প‌রিষদ নির্বাচনের প্রথম ধা‌পে নওগাঁর পত্নীতলায় ৩টি পদে ৭জন প্রার্থী প্রতীক পেল মঙ্গলবার।

চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরী প্রতীক পেয়েছেন ঘোড়া এবং সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার প্রতীক পেয়েছেন মোটর সাইকেল।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদ রাহাত প্রতীক পেয়েছেন টিউবওয়েল, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক দিলিপ চৌহান প্রতীক পেয়েছেন তালা এবং মিজানুর রহমান প্রতীক পেয়েছেন টিয়া।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা প্রতীক পেয়েছেন হাঁস এবং মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাবিনা বেগম প্রতীক পেয়েছেন কলস। প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা সতস্ফুর্ত ভাবে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

পত্নীতলা উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ লক্ষ ১ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লক্ষ ৮৯০ জন এবং মহিলা ভোটার ১০ লক্ষ ১ হাজার ৩০ জন। উপ‌জেলায় এবার ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে ৫৪২টি কক্ষে ভোট গ্রহন হবে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদুর রহমান জাহিদ জানান।

নির্বাচনী গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৭ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষ তারিখ ছিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল, আর প্রতীক বরাদ্দ ২৩শে এপ্রিল এবং ভোট গ্রহন হবে ৮মে। ঐদিন সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



স্বাগত ১৪৩১, আজ পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। বাংলা ১৪৩১ সালের প্রথম দিন আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল)। এ দিনটির মাধ্যমে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গতকাল (শনিবার)। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪৩০ সালের শেষ দিন।

জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ - এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।

আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় এ নববর্ষ।

এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস এবং এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল।

বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব অতীতে ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।


আরও খবর

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




গাংনীতে বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃবিদুৎচালিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্টে আব্দুল হান্নান(৭৫)নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর দক্ষিন পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। আব্দুল হান্নান ওই গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে।

আব্দুল হান্নানের মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য হিরোক আহমেদ জানান,আব্দুল হান্নান নিজ বাড়ির পাশে নিজের বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সুইস দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্ট হয়ে সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

স্থানীয় বামন্দী ক্যাম্প পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম জানান, বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ওই কৃষকের পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।


আরও খবর



আক্কেলপুরে বিয়ের প্রলোভনে স্কুল ছাত্রীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক: অত:পর আত্মহত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়–য়া ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীর সাথে শারিরীক সম্পর্কের পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ওই স্বুল ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাতে আক্কেলপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত রিয়াদ (১৯) উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের কালঞ্জ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তবে ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন রিয়াদের মা ।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ মাস পূর্বে রিয়াদের সাথে ওই শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থী সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে রিয়াদ। কিছুদিন পর অভিযুক্ত রিয়াদের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হলে সে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরেই ওই শিক্ষার্থী গত সোমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মঙ্গলবার রাতে রিয়াদ তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে আক্কেলপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে।   

শিক্ষার্থীর বাবা জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমার মেয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি ধর্ষক রিয়াদের যথাযথ শাস্তি চাই।

এবিষয়ে অভিযুক্ত রিয়াদের বাড়িতে গেলে তার মা নূর নাহার বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে নেই, কাজে গেছে। এরকম কোন ঘটনা আমাদের জানা নেই।

অভিযুক্ত রিয়াদ ও তার বার সাথে ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ কার জন্য মুঠোফোন নাম্বার চাইলে তা দিতে অপারগতা জানায় অভিযুক্ত রিয়াদের মা।

আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। আইনি পক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



প্রানীসম্পদ সেবাসপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী)  প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে ফাইভ স্টার মাঠে আয়োজিত প্রদর্শণীতে প্রাণি সম্পদ ও প্রাণীজ উপকরণ প্রদর্শন করা হয়।

বৃহস্পতিবার(১৮এপ্রিল) সকাল সারে ১১ টায় দিনব্যাপি ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নীলফামারীর -৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নুর- ই আলম সিদ্দিকির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,সহকারি কমিশনা( ভুমি) মোঃ আমিনুল ইসলাম,  সৈয়দপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন, সানজিদা বেগম লাকী ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ।

প্রধান অতিথি এমপি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম বলেন, সরকার প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সারাদেশে স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মাংস বিক্রির জন্য আধুনিক মাংস বিক্রয় কেন্দ্র ও স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী কসাইখানা নির্মাণ হচ্ছে। এতে করে আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

প্রদর্শনীর ৫০টি স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্যণীয়। তবে ২৬টি ষ্টলই ফাঁকা দেখা যায়। শহর ব্যাপি প্রচার প্রচারনা না থাকায় অনেক খামারিই জানতেন না দিন ব্যাপি খামার প্রদর্শনের কথা। উপস্থিত খামারির মধ্যে আফতাব ডেইরি ফার্মে ১৫০০ কেজি ওজনের একটি বিশাল আকৃতির গরু প্রদর্শন করা হয়। একই সাথে তিনি প্রদর্শন করেন প্রায় ১০০ কেজি ওজনের একটি খাসি। পাশাপাশি লোকমান খামারি তার ষ্টোলে ২৪ মন ওজনের ২ টি মহিষ প্রদর্শন করেন। সন্তোস নামের এক খামারি উপজেলার বোতলাগাড়ি ৩ নং ওয়ার্ড থেকে এক গরুর জমজ ২ বাচ্চা নিয়ে ওই মেলায় প্রদর্শন করেন। 

খামারি আফতাব উদ্দিন বলেন, শ্যামল কুমার সাহেব শুধু মাত্র পদপদবিতেই প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা। তিনি খামারিদের কোনদিনই খোজখবর রাখেন নাই। তিনি খামারিদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখলে প্রানী পালন করে প্রতিটি খামারিই লাভবান হতো। তার অবহেলার কারনেই অনেক খামারি লোকসানের কবলে পড়েন বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

এবিষয়ে প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার রায় বলেন, খামারিদের অভিযোগ সত্য নয়। সময় ও সুযোগ পেলে প্রায় প্রতিদিনই খামারিদের খামার তদন্ত করা হয়। 


আরও খবর