Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী শত্রুতা নয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র, অংশীদারত্ব চান শি জিনপিং ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় আজ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ: কর্মীদের সুরক্ষায় রেলের নির্দেশনা বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায়

ব্যবস্হাপকের পারিবারিক কাজে ব্যবহার হচ্ছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রেষ্টহাইজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রেষ্ট হাউজটি ব্যবস্হাপকের পারিবারিক কাজে ব্যবহার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে দিয়ে ও প্রতিকার না পাওয়ার ও অভিযোগ পাওয়া যায়।সরে জমিন গিয়ে দেখা যায়, দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীদের দিন বা রাত্রি যাপন করার জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সৈয়দপুর বিমানবন্দর সংলগ্ন প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি দ্বিতল ভিআইপি ভবন নির্মাণ করে। যেখানে রয়েছে, ডাবল বেড এর ৪ টি রুম।খাবারের জন্য বিশাল মাপের ডাইনিং। প্রতিটি শয়নকক্ষে একটি করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। ড্রয়িং ও ডাইনিং রুমে রয়েছে একই মানের যন্ত্র। খাবার তৈরির জন্য ইলেকট্রিক হিটারও চুলা। কিন্তু এরপরও সেখান থেকে একটি পয়সা ও ইনকাম হয়না সিভিল অ্যাভিয়েশনের।কারন এটি ব্যবস্হাপক নিজ দখলে রেখে পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন। 

চাকরি হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া অনেকেই বলেন,ভিআইপি কোন যাত্রী রেষ্ট হাউজটি ভাড়া চাইতে গেলে বলা হয় রেষ্ট হাউজটি খালি নাই।একারনে সেটি ভাড়াও হয়না মাসের পর মাস।ব্যবস্হাপক ওই রেষ্ট হাউজে রাজ হাসও কবুতরের খামার গড়ে তুলেছেন। আর এসব দেখাশোনা করছেন,৩ জন সরকারি কর্মচারী। আর তাদের বেতন দেয়া হয় সরকারের কোষাগার থেকে। রেষ্ট হাউজের এসি ও ইলেকট্রিক খরচ বছরে হয় ১ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল। সংস্কার বাবদ প্রতি বছর ব্যয় ধরা হয়,দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ টাকার ও বেশি ব্যয় হচ্ছে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের। কর্তৃপক্ষ সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করলেই সব কিছুই দেখতে পাবেন।

এছাড়া বিমানবন্দর ব্যবস্হাপকের বসবাসের যে বাসাটি বরাদ্দ রয়েছে, সেটিতে তিনি বসবাস না করে ১১ ও ১৪ গ্রেডের কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার কারনে সেখান থেকে এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তেমন একটা ভাড়াও পান না।এমনকি সরকারি টাকায় ক্রয় করা গাড়ি নিজের পরিবারের কাজে ব্যবহার করছেন ব্যবস্হাপক। অথচ তেল খরচ করছেন,সরকারের। এসব বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ও প্রতিকার মেলেনি,বরং হেনস্তা হয়েছেন,অভিযোগ কারিরা। 

তবে বিমানবন্দর ব্যবস্হাপক সুপ্লব কুমার বলেন, রেষ্ট হাউজটি ভাড়া হয়না বলেই সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাজ হাস ও কবুতরের খামার করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য অভিযোগ ভিত্তি হীন বলে মনে করেন তিনি। 

আরও খবর



ডাঃ সুশান্ত সভাপতি, ডাঃ ইমন সাধারন সম্পাদক মাগুরায় বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি'র কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি  মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে ডাক্তার সুশান্ত কুমার বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার ইমানুজ্জামান পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। সভা থেকে আগামী দুই বছরের জন্য সংগঠনের ৩০ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের এক বার্ষিক সাধারণ সভা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনারে সংগঠনের সদস্য বৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেন ।  স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সভায় সংগঠনের সভাপতি ডা: সুশান্ত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব প্রফেসর ডঃ হুমায়ুন কবির বুলবুল। এ সময় অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ শামীম কবির, মাগুরা বিএমএ'র সভাপতি ডাক্তার কাজী তারিফুজ্জামানসহ অন্যরা। বক্তারা অবিলম্বে দাঁতের চিকিৎসায় হাতুড়ে ডাক্তারদের অপ চিকিৎসার উপদ্রব বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি জানান।

আরও খবর



যাত্রাবাড়ী বাগিচা এলাকায় অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করলেন সুরাইয়া খাতুন লিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃযাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইল কোনাপাড়া বাগিচা এলাকায় সমাজের অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল সকাল ১১ টায় এমএস আইডিয়াল স্কুলের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সুরাইয়া খাতুন লিপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুরাইয়া খাতুন লিপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যাত্রাবাড়ী থানা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার, মোছাম্মৎ শিউলি আক্তার, মোছাম্মৎ সঞ্চিতা ইসলাম, এমএস আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আল মামুন, বিশিষ্ট সমাজসেবক নুরুদ্দিন বিপ্লব সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ থাকে যে সুরাইয়া খাতুন লিপি বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা  হাজী আনোয়ার হোসেন খানের স্ত্রী।

সুরাইয়া খাতুন লিপি আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী আসনে ৬৪,৬৫,৬৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নানা সময়ে বিভিন্ন দুর্যোগে দুর্দশা গ্রস্থ মানুষের পাশে থেকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে থাকেন সুরাইয়া খাতুন লিপি ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেন খান। স্থানীয় নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে সমাজের অবহেলিত নারীদের পক্ষে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



নাসিরনগরে বজ্রপাতে এক মহিলার মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার  নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ৩০ মার্চ ২০২৪ রোজ শনিবা বিকেল পাঁচটায় এ ঘটনা ঘটে।নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।নিহত আপন বেগম (৩৫) বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর (হাজী বাড়ির) মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে হঠাৎ করে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকে  এলাকায় বজ্রপাত সহ বৃষ্টি শুরু হয়।বৃষ্টির মধ্যেই আপন বেগম বাড়ির পাশে ফসলি জমির মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন।স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক আপন বেগমকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত  চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের জোর তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। তিনি আশা করেন, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা ও বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর