Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা দিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য তহবিল সংগ্রহে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। আইএফআইসি ব্যাংকের ওই সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরের (০২০০০৯৪০৬৬০৩১) মাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকে যে কেউ অর্থ সাহায্য পাঠাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

আজ শনিবার সকালে বঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি জানান, অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া টাকা প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা করা হচ্ছে জানিয়ে হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘তালিকা তৈরি আর ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে আমরা তাদের বুঝিয়ে দেব। তারাই টাকা বণ্টন করবেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবাজার পরিদর্শন করে দোকান মালিক সমিতির সভাপতিকে মার্কেটের নামে একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী তার তহবিল থেকে টাকা দিতে চান বলেও জানান তিনি।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার তহবিল থেকেও এখানে টাকা দেবেন। ব্যবসায়ীদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকাটা হয়ে গেলে আমরা টাকাটা দেব।

ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তালিকাটা হয়ে গেলে কাকে আমরা টাকা দেব, ক্ষতি অনুযায়ী আমরা কাকে কত সাহায্য করতে পারি, সেই সিদ্ধান্ত হবে।

বঙ্গবাজারের পুড়ে যাওয়া মালামাল বিশেষ করে টিন ও লোহাগুলো প্রায় ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। ওই টাকাও নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঈদের আগে কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে শনিবার বঙ্গবাজারে অস্থায়ীভাবে বসার কথা বলেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ঘটনাস্থল পুরোপুরি পরিষ্কার না হওয়ায় সেটি হয়নি।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভয়াবহ এক আগুনে পুড়ে যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বঙ্গবাজার। সেখানে কাঠ-টিনের ঘরে তৈরি কয়েক হাজার দোকান ছিল। পাশে তিনটি দালানের দোকানও পুড়েছে সেই আগুনে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫ হাজারের মতো; যারা সবাই ঈদের আগে নতুন পণ্য তুলেছিলেন দোকানে, যার অধিকাংশই পুড়ে গেছে।


আরও খবর



পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃরাজশাহীর   পুঠিয়  উপজেলা নির্বাচনে মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ মে ) সকালে রাজশাহী জেলা প্রসাশকের সভা কক্ষে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী উপজেলা চেয়ারম্যানের, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

এদিন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) কল্যান চৌধুরী প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন। এ সময় পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাড়াও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন, জিএম হিরা বাচ্চু (মোটর সাইকেল) প্রতীক, আব্দুস সামাদ মোল্লা (আনারস) প্রতিক, আহসানুল হক মাসুদ (ঘোড়া) প্রতীক। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন, আব্দুল মতিন মুকুল (চশমা), ফজলে রাব্বি মুরাদ (টিউবওয়েল), জামাল উদ্দিন (তালা) প্রতীক,  ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন মৌসুমি রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা), পরিজান বেগম (ফুটবল), শাবনাজ আক্তার ( হাস) প্রতীক  নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। 

প্রতীক বরাদ্দ শেষে নির্বাচনী আচরণবিধি বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এবারের নির্বাচনে পুঠিয়া উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার  ৭'শ ২৪ জন ভোটর এর মধ্যে ৮১ হাজার ৪১ জন পূরুষ ভোটার ও ৭৯ হাজার ৬'শ ৮৩ জন মহিলা ভোটার ৬৩টি ভোট কেন্দ্রে ৪'শ ৮১ কক্ষে ভোট প্রদান  করবেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



মাটিরাঙ্গায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের সাথে প্রশাসনের ব্রিফিং অনুষ্টিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:৮ মে অনুষ্টিতব্য প্রথম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে খাগড়াছড়ি,র মাটিরাঙ্গায়  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ করতে ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গায় উপজেলায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিং  অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী,র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।

এসময় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিেম (বার),জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ কামরুল  আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যের মাঝে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)মো.মিজানুর রহমান,মাটিরাঙ্গা সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ,মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার মুহাম্মদ হাসান, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর সহ ভোটগ্রহন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), বিশেষ অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ, ভোট নিশ্চিত করতে  প্রশাসন, ভোটার, প্রার্থী  সকল কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করার জন্য এবং খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা  পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলা  পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত আছে।তাই ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে এবং নির্ভয়ে  নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান। 

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বলেন, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন  সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটারদের নির্বিগ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।ভোট কেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম দেখা দিলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য আহবান জানান।

মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৩৬টি ভোটকেন্দ্রে ৩৬জন প্রিজাইডিং, ২শত ২৬ জন সহ-প্রিজাইডি এবং ৪শত ৫২পোলিং অফিসার ভোট গ্রহন করবেন। ১টি পৌরসভাসহ ৭ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা  ৯০হাজার ৩শত ৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪৬হাজার ১শত২০জন।  মহিলা ভোটারের সংখ্যা  ৪৪হাজার ২শত ৬২জন। 

আরও খবর



২৯ পরিবেশনায় রমনা বটমূলে বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মানুষের ঢল নামে। বটমূলে প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন করা হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। একে একে পরিবেশন করা হয় মোট ২৯টি পরিবেশনা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সকালে শেষ হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

সবশেষ পরিবেশনাটি ছিল শচীন দেববর্মনের সুরে করা ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই’ গানটি। এরপর ছিল নববর্ষ কথন। নববর্ষ কথন শোনান ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী।

এবারের কথনের শেষ অংশে বলা হয়, ‘অমানবিক এই অস্বাভাবিকতা থেকে বেরোতে হবে। নইলে বাঙালির প্রাণপ্রিয় এই নববর্ষ উদযাপনও হয়ে পড়বে কেবল একটি দিনের জন্য বাঙালি সাজবার উপলক্ষ।

সারওয়ার আলী আরও বলেন, ‘আজ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতের সুরবাণী আঁধার রজনী পোহালো, জগত পূরিল পুলকে। নববর্ষের নবীন আলোয়, নবীন আশায়, নবজীবন লাভ করে সবাই যেন স্বাভাবিকতায় ফিরি এবং সম্প্রীতির সাধনায় নিজেদের নিমগ্ন করি—এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা। শুভ নববর্ষ।’

এবারের আয়োজনে সম্মেলক গান ১১টি, একক গান ১৫টি এবং পাঠ ও আবৃত্তিও ছিল। এ আয়োজনকে ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পার্কের ভেতরে ডিএমপি, র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে।

পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম, লেকে নৌপুলিশের টিম, মেডিকেল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, রক্তদানের বুথ রয়েছে। এছাড়া, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালিদের জন্য সবচেয়ে আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। এদিন বাঙালি জাতি পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে ভোর থেকেই মানুষের ঢল নামে রমনায়।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃতীব্র দাপদাহে পুড়ে যাচ্ছে ফসলি জমির বিভিন্ন জাতের আষাঢ়ী ফসল বিপাকে পড়েছে চাষিরা। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বেশি কষ্টে রয়েছেন জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে যেতে পারছেনা না নি¤œ আয়ের মানুষ গুলো। চলমান তীব্র দাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে, বৃষ্টির জন্য কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্থানে মহান আল্লাাহ তায়ালার দরবারে ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় ও মোনাজাত করা হয়।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে রাজিবপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ধর্মালম্বী মুসলমানগন এনামাজের আয়োজন করেন। অপরদিকে রৌমারী উপজেলার বড়াইকান্দী,দাতভাঙ্গা এলাকায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন। এতে প্রায় ৫ শতাধিক বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা তীব্র তাপমাত্রা মাথায় নিয়ে ইসতিসকার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। নামাজে দোয়া ও মোনাজাত পাট করেন রাজিবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের মাওলানা প্রভাষক শফিকুল্লাহ,রাজিবপুর উপজেলা জামাতের আমির মাওলানা আব্দল লফিত , ইসলামী ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুৃস ছালাম, রাজিবপুর থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসআই আনসার আলী,এসআই জসিম উদ্দীন,এ,এসআই বুল বুলসহ আরও অনেকেই,


আরও খবর



মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃচলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুরের জনপদ। এমন অবস্থায় খরার কবলে পড়েছে বোরো ধানের আবাদ। সেচ দিতে দিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের জমি।

একদিকে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে আবার মাটি শুকনা থাকায় দ্রুত শুষে নিচ্ছে পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পুরক সেচ দিয়ে বোরো ধান টিকিয়ে রাখার পরামর্শ কৃষি বিভাগের। তবে এতে চাষ খরচ বেড়ে যাচ্ছে দিগুন থেকে তিনগুণ। অনেকেই ধান ক্ষেত পরিপক্ক হবার আগেই কেটে ফেলছেন।

কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর। বর্তমানে ধানে থোড় থেকে শীষে রুপ নিয়েছে। আবার অনেক এলাকায় ধানক্ষেত অর্ধ পরিপক্ক। এমন এক সময় খরার কবলে পড়েছে বোরো আবাদ। তীব্র তাপদাহে ধানের জমির মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।

কৃষকরা জানান, জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দেওয়া লাগছে। এদিকে অতি তাপদাহের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো ম্যাশিনে পানি উঠছে কম। ফলে সময় বেশি লাগায় এক লিটার ডিজেলের পরিবর্তে কোন কোন জমিতে প্রতিদিন দুই লিটার করে ডিজেল খরচ হচ্ছে। এতে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। ফলে এবার বোরো চাষে লোকসানের আশঙ্কা করছে চাষীরা। তাই ক্ষেতের ধান পরিপক্ক হবার আগেই অনেকেই কেটে ধানক্ষেত কেটে ফেরছেন।

সহড়াবাড়িয়া গ্রামের ধানচাষি গোলাম কিবরিয়া জানান, প্রচ- খরায় একদিকে যেমন ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে দেখা দিয়েছে পোঁকার আক্রমন। বালাইনাশক ব্যবহারেও কোন কাজ হচ্ছে না। মাস খানেক আগে যে জমিতে সপ্তাহে দুদিন সেচ দিতে হতো, সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ছে অনেক গুন। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

বালিয়াঘাট গ্রামের চাষি নাহারুল জানান, রোদে ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়ে টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। কাচা ধান কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন।

গাংনীর জুগির গোফা গ্রামের কৃষক আবুল হাসেম জানান, ধান আবাদ করে এবার লোকসান গুনতে হবে। সেচের পানিতে এবার উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরোপুরি ধান পাকতে আরো ১৫/২০ দিন সময় লাগবে। প্রতিদিন পানি দেয়া সম্ভব না তাই অপরিপক্ক ধান কেটে নিচ্ছেন তিনি। একই কথা জানালেন বাথানপাড়ার আব্দুল মান্নান। তার আড়াই বিঘা জমির ধান বাধ্য হয়ে কেটে ফেলেছেন।

সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের চাষী আলামিন জানান, খরাতে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ পাশাপাশি বেড়েছে পোকার আক্রমন। বিষ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছেনা। যে জমিতে সপ্তাহে তিনদিন সেচ দিয়েই চলতো সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এবার। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এবার দীর্ঘদিন খরার চলছে। ফলে জমির মাঝে মাঝে কিছু শীষ মরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জমিতে সেচ দিয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি জমিয়ে রাখার এবং পোকামাকড় দমনে কীটানাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর