Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আমার আজীবনের স্বপ্ন: মেসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২৮২জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপ জিতে মূলত বিতর্কটা থামিয়েছেন লিওনেল মেসি। এখন তাকে আর সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবলার বলতে বাধা নেই। ক্লাব ক্যারিয়ারে এমনিতেই তিনি মহাতারকা। তবে তার অর্জনের ঝুলিতে সবটুকুই বার্সেলোনার হয়ে।

বার্সার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। যদিও এই ক্লাবটির হয়ে এখনও পর্যন্ত সেরাটা পাননি তিনি। জিতেছেন কেবল লিগ ওয়ান। প্যারিসের দলটির হয়ে আরও বড় শিরোপা জিততে চান মেসি।

সম্প্রতি পিএসজি টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি তার বর্তমান ক্লাব ও জাতীয় দল আর্জেন্টিনা নিয়ে অনেক কথা বলেছেন।

মেসি বলেন, ‘প্রথম বছর প্যারিসে মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। সেটি বিভিন্ন কারণে। কিন্তু এ মৌসুম অন্যভাবে শুরু করেছি। অনেক কিছু জেতার ইচ্ছে আছে মনে। আমি এই ক্লাব, শহর ও শহরের মানুষদের সঙ্গে আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। আমি সত্যিই মৌসুমটা উপভোগ করছি। আমার পুরো জীবনটাই এমন। প্রতিদিনই নিজেকে নিংড়ে দেওয়া, আরও বেশি সাফল্যের চাহিদা; আমি প্যারিসের হয়ে শিরোপা জিততে চাই। মৌসুমের শুরুতে যেসব বড় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যস্থির করেছি, সেগুলো জিততে চাই।

পিএসজি সতীর্থরা বিশ্বকাপ জেতা মেসিকে রাজকীয়ভাবে বরণ করে নেন। সেই সংবর্ধনা নিয়ে মেসি বলেন, ‘সত্যিটা হলো, এটি খুবই হৃদয়স্পর্শী ছিল। যা হয়েছে তা খুবই সুন্দর ছিল এবং এসব অনুভূতি ব্যাখ্যা করাও কঠিন। কারণ বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আমার আজীবনের স্বপ্ন যা আমরা আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পেরেছি। আমরা আশা করেছিলাম পাগলাটে এক উদযাপন হবে কিন্তু এমন পাগলাটে হবে তা ভাবিনি। এই মুহূর্ত আজীবনের জন্য স্মৃতিতে গচ্ছিত থাকবে। সব আর্জেন্টাইন এবং যারা খেলার সুযোগ পেয়েছে, তারা সবাই এই স্মৃতি মনে রাখবে।

পিএসজি সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্সকেই ফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন মেসি, ‘এটা সত্যি যে, ফাইনালটা শ্বাসরুদ্ধকর ছিল এবং ম্যাচের চিত্রনাট্য পুরোই পাগলাটে ছিল। ফাইনালে অবিশ্বাস্য তিনটি গোল করেও এমবাপ্পে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তবে সে আগেই তা জিতেছে এবং সে জানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ কেমন। তবে হ্যাঁ ফুটবল বিশ্বের জন্য এ এক অসাধারণ ফাইনাল ছিল। এবং এটা সত্যি যে এমবাপ্পের সঙ্গে একই দলে খেলতে দারুণ লাগছে। আশা করি, একসঙ্গে প্যারিসে দারুণ কিছু করবো আমরা।

আগামীকাল চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে পিএসজি। যেখানে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হেরে পিছিয়ে রয়েছে তারা। তাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে আছেন মেসি, ‘মিউনিখে আমরা প্রথম ম্যাচের মতোই খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, খুবই কঠিন ম্যাচ খেলতে চাচ্ছি। সবকিছুই ছোট ছোট জিনিসের ওপর নির্ভর করছে, বিশেষ করে এই পর্যায় থেকে জেতাটা খুবই কঠিন। তবে আমার মনে হয় নিজেদের কাজগুলো ঠিকঠাকমতো করলে জেতা সম্ভব। চ্যাম্পিয়নস লিগে আমরা আমাদের সফরটা অব্যাহত রাখতে চাই। এবং সেই চেষ্টাই করতে যাচ্ছি আমরা।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




আ.লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়। কিন্তু কিছু রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী অনবরত দেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না। বাংলাদেশ তো পেছাচ্ছে না।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

জনগণের আস্থা-বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর না পেরোতেই দেড় হাজার কোটি টাকা উপার্জন হয়েছে দেশের৷ এটাই তো প্রাপ্তি, বলেন তিনি।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ক্ষমতায় বসে লুটপাট করতে পারছে না বলেই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় নেমেছে বিএনপি। বিএনপি এমন একটি দল, যাদের কোনো মাথামুণ্ডু নেই। তারা শুধু পারে অনলাইনে নির্দেশনা দিতে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে অপকর্ম করেছে, তা মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত না। শেখ হাসিনা বলেন, যারা ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তারা কেনো বুঝছে না দেশবাসী এই নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে খুশি। জনগণের আস্থা আওয়ামী লীগ পেয়েছে, কারণ মানুষ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ তাদের উপকার করে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে৷ যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশকে সবক দেয়। কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধীতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কি জুলুমটাই না করলো আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন৷ এর জবাব কী?

এ সময় প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় গরম ছড়িয়ে পড়ছে৷ শিগগিরই বৃষ্টি হবে বলে আশা করছি৷ পহেলা আষাড় থেকে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ চালিয়ে যেতে হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।


আরও খবর



আক্কেলপুরে পুকুর সংস্কারের সময় প্রাচীন কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৩৯জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পুকুর সংস্কারের মাটি থেকে পাওয়া কালো পাথরের একটি মূর্তি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার সকালে উপজেলার কাশিড়া ঘোষপাড়া গ্রামে ৫’শ ৬০ গ্রাম ওজনের এই কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়। তবে এটিই হতে পারে প্রত্নতত্ত্ব  অধিদপ্তরের নিকট এই প্রথম পাওয়া রাজা-রাণী সাদৃশ্যের প্রথম পাথরের মূর্তি। 

ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া ঘোষপাড়া কালিতলা পুকুর সংস্কারের কিছু মাটি ক্রয় করেন বেলি নামে মহিলা। সেই মাটি থেকেই তিনি একটি কালো রংয়ের পাথরের মূর্তি পান। পরে সেটি তিনি তার প্রতিবেশী স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয় নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে দেন। পরে সেটি আবার ফেরৎ নিতে গেলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরে। সকাল থেকেই মূর্তিটি দেখতে ভীড় জমায় স্থানীরা। খবর পেয়ে শনিবার সকালে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন আক্কেলপুর উপজেলা নির্বার্হী অফিসার। 

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কালো ওই মূর্তিটির ওজন ৫’শ ৬০ গ্রাম ও উচ্চতা ৬.২ ইঞ্চি এবং বাম পাশে কিছু অংশ ভাঙ্গা। তবে মূর্তিটি কোন ধরণের পাথরের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মূর্তিটি পাওয়া নারী বেলি বেগম বলেন, আমি বিপ্লব সাখিদারের কাছ থেকে পুকুরের মাটি কিনেছি। ওই মাটি থেকে পাথরের মূর্তিটি পেয়ে স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয়কে দিয়ে দেই। পরে প্রশাসন এসে সেটা নিয়ে যায়।

স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয় জানান, মূর্তিটি পাওয়ার পরে আমরা প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। এটা সাধারণ পাথরের শীব-পার্বতীর মূর্তি বলে মনে হচ্ছে। পরে প্রশাসনকে জানালে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, শনিবার সকালে বিষয়টি জানার পর মূর্তিটি নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে ইএনও মহোদয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে।পাহাড়পুর প্রত্যতাত্ত্বিক জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি পাথরের একটি দূর্লভ মূর্তি। আমাদের সংগ্রহে পাথরের যেসকল মূর্তি রয়েছে তাতে দেব-দেবীর আকৃতি রয়েছে। তবে এটি দেখে দেব-দেবীর আকৃতির মনে হচ্ছেনা। আমাদের জাদুঘরে এধরণের কালো পাথরের রাজা-রাণী ও তাদের কোলে বাচ্চার সাদৃশ্যের মূর্তি নেই। তবে পোড়া মাটির টেরাকোটা আছে। এটি প্রত্যহতত্ত্ব  দুতলা বাড়ি  অধিদপ্তরের নিকট এই প্রথম পাওয়া রাজা-রাণী সাদৃশ্যের পাথরের মূর্তি হতে পারে। এটি একটি অমূল্য প্রত্নতাত্ত্বিক  সম্পদ। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে একটি কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। মুর্তিটি আপাতত জেলা ট্রেজারীতে রাখা হবে। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক প্রত্নতত্ত্ব  বিভাগকে দিয়ে দেওয়া হবে।

আরও খবর



গণসংবর্ধনা ও মেয়রের অভিষেক অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:বরগুনা -১ আসনের এমপি গোলাম সরোয়ার টুকুকে গণসংবর্ধনা ও আমতলী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের অভিষেক মঙ্গলবার সকালে পৌরসভা চত্ত্বরের বঙ্গবন্ধু মুর‌্যালের পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয়। গণসংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বরগুনা-১ আসনের সাংসদ ও সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু এমপি। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরগুনা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এমএকাদের মিয়া, বেতাগী পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবির, তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রেজবিউল কবির জোমাদ্দার, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক জিএম ওসমানী হাসান প্রমুখ। সভার শুরুতেই অনুষ্ঠানের সভাপতি পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গোলাম সরোয়ার টুকু এমপিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান ও স্বর্নের নৌকার কোট পিন পরিয়ে দেন। সভায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছোসেবকলী, জনপ্রতিনিধি, আইনজীজিবী, কাউন্সিলর, মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিল।

গণসংবর্ধনার জবাবে গোলাম সরোয়ার টুকু এমপি বলেন, আমি আমতলীতে শান্তির সুবাতাস নিয়ে এসেছি। কেউ আমতলী অশান্ত করবেন না। তিনি আরো বলেন, মত পথ ভিন্ন থাকতে পারে কিন্তু সকলের মর্যাদা এক। কলকে মর্যাদা দিতে হবে। তিনি আরো বলেন আমি আমতলী পৌরসভাসহ উপজেলাকে মডেল এবং স্মার্ট উপজেলা বানানোর জন্য মেয়রসহ সকল জনপ্রতিনিধির সহযোগিতা চাই। 


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে চেয়ারম্যান সমর্থককে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃবরগুনা জেলার আমতলীতে ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হিরন গাজী (৫০) কে ছুরিকাঘাতে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকার হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মেতাহার মৃধার সমর্থক মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার এমন অভিযোগ করেন।  পুলিশ নিহত হিরন গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের পুর্ব মহিষডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে অনিল সাজ্জাল বাড়ীর সামনে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে। 

জানাগেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়ন মৃধা ভোটারদের টাকা বিতরন করছেন । বুধবার রাত ১১ টার দিকে আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৪০-৪৫ জন পুর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের টাকা দিচ্ছিল। এ সময় মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে টাকা দিতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় নয়ন মৃধার সমর্থকরা। এক পর্যায় আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৬-৭ জন তাকে ছুিরকাঘাত করে। ওই ছুরিকাঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষনিক হিরনের সহযোগী মিলন সরদার, ও দেলোয়ার সরদারসহ ১০/১২ জনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। ওই রাতেই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার রুহল আমিন ও ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে আবুল সরদারের ছেলে কাদের সরদার ও তার লোকজন হিরনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থকরা গ্রামে টাকা বিতরন করতেছিল। এতে মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে বাঁধা দেয়। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে নয়ন মৃধার সমর্থক শহীদ মালাকার, ইউসুফ মাতুব্বর ও কাদের সরদারসহ ৬/৭ জনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও তারা ধাওয়া করেছে। 

নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, মোর কিছুই রইলো না। ওরা মোর স্বামীরে মাইর‌্যা হালাইছে। মুই এ্যাইয়ার বিচার চাই।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার নেতৃত্বে তার ভাই পান্নু মৃধা ও  আজাদসহ ৪০-৫০ জন গ্রামে ঢুকে টাকা বিতরন করছিল। ওই সময় আমার লোকজন ঘোড়া ঘোড়া বলে ডাক চিৎকার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সমর্থক হিরন গাজীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি।

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গতকাল আমার ব্যবসার কাজে বাসায় সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিলাম। মোতাহার মৃধা ও তার লোকজন দিয়েই হিরনকে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি। 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে আনার পুর্বেই ছুরিকাঘাতে আহত হিরন নামের একজন মারা গেছে। 

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ভোটারদের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় হিরন গাজী নামের একজনকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।  তিনি আরো বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর