Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি নেতারা বলেন- ২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের নেতার পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাহলে যুদ্ধটা করল কে? বিজয় কে আনল? বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

বুধবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিব নগর সরকার গঠন করে শপথ নিয়ে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করলেন। সরকারপ্রধান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার গ্রেপ্তারের পর উপ-রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সেই সরকারের অধীনে এ দেশে যুদ্ধ হলো। এখন যারা বলছে, পালিয়ে গেলো-তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান তো বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছেন। সামরিক অফিসার হিসেবে তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলেন, সেটা কে দিয়েছেন? আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। এটাও অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ এক কদম এগুতে পারেনি। আমি বলি, এক কদম এগুতে দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা প্রতিবেশীসহ অনেক দেশের সহায়তা। আবার পেয়েছি, অনেক বড় বড় দেশের বৈরিতা। অবশ্য, সে দেশের নাগরিকদের সমর্থনও পেয়েছি। যারা আমাদের স্বাধীনতায় সহায়তা করেছে, তাদের আমরা সম্মানিত করেছি, স্বীকৃতি দিয়েছি। একমাত্র বাংলাদেশই এটা করেছে। এতে বাংলাদেশও সম্মানিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কেউ বলছে, গণতন্ত্র নেই। দেশের কোনো উন্নতিই হয়নি। স্বাধীনতার পরও এমন কিছু কার্যক্রম আমরা দেখেছি। জাতির পিতাকে সময় দেয়নি। স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে গেলো সমালোচনা। নতুন বিপ্লবসহ নানা ধরনের কথা। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা। তারা সফল হয়নি। যার কারণে তাকে থামিয়ে দিতে হত্যার পথ বেছে নেয়। একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজয় এনে দেওয়া জাতির পিতার মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা, সবই তিনি করেছেন। এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি, এর ২৯ বছর ছিল জাতির দুর্ভাগ্যের। স্বাধীনতার পর পরই মাত্র তিন বছরে একটি স্বল্পোন্নোত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন শেখ মুজিব। আইন, নীতিমালাসহ সবকিছু করে দিয়ে যান। একটি সংবিধান আমাদের উপহার দিয়েছেন। এতে আমাদের প্রতিটি অধিকারের কথা বলা আছে।

আজকের আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, দলের স্বাস্থ্য সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।


আরও খবর



ঢাবি'র অধ্যাপক ড.জিয়া রহমান এর প্রয়ানে স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ ঢাবি'র অধ্যাপক ড.জিয়া রহমান এর প্রয়ানে স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিলঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম অধ্যাপক ড.জিয়া রহমানেরপ্রয়ানে স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ৩০ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ মিলনায়তনে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.আতিয়ার রহমান।পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া,ও সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, ঢাবি পদার্থ বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজওয়ানুল ইসলাম, সাংবাদিকতা ও গণ যোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক সায়ন্তি, ডিবিসি টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম, অপ্রয়াত অধ্যাপক ড. জিয়ার স্ত্রী ফৌজিয়া খান (শীলা) সহ ক্রিমিনোলজি বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী,ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক বৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন,জিয়া রহমান সকলের সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন, সবার সাথে চলাফেরা করতেন। তিনি আমার বন্ধু ছিলেন, খুব ক্লোজ চলাফেরা ছিলো আমাদের। আমরা সকলেই চলে যাবো, কিন্তু কোনো কোনো মৃত্যু একটা বড় ক্ষতি করে যায় আমাদের জন্যে ও প্রতিষ্ঠানের জন্যে। জিয়া রহমানের মৃত্যু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় ক্ষতি। 

অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, ক্রিমিনোলোজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সিনেট সদস্য, শিক্ষক সমিতি ও নীলদলের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।ড. জিয়া রহমান গত ২৩ মার্চ রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, মানবিক নেত্রী দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের কথা শুনে তাৎক্ষনিক প্রশাসন ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে কালিয়াকৈরের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশে আজকে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে কিছু সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খলিশাজানি ও বোয়ালী ইউনিয়নের গাছবাড়ি এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের মধ্যে কেউ বাদ পড়তে পারেন বা বেশি ক্ষতি হতে পারে। সে জন্য হতাশা হওয়ার কিছু নেই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষক, আওয়ামীলীগের সভাপতি- সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন ট্যাগ অফিসার দিয়ে তালিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী সাত দিনের মধ্যে সুষ্ঠ তালিকা প্রনয়ন করবেন। সে অনুযায়ী কম বা বেশি ক্ষতি বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে সেসব ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আরো সহায়তার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবু ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন- কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম নাসিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবির, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলমসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী,সাংবাদিক, শিক্ষক ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।

পরে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে দুটি ইউনিয়নে ৭৫৫টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে সহায়তা হিসেবে ৭৫৫ বান ঢেউটিন ও ২২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, উপজেলা পরিষদ কর্তৃক প্রতি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের হাতে ১ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৩ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে গ্রামবাসী নিরবে প্রশাসন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ, সোনাভরি, হলহলি, জিঞ্জিরাম নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার ভেকু (এক্সিভিকেটর) দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বর্ষা মৌসুম ছাড়া সারা বছর প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন বিষয়ে মাসিক সভায় ও প্রশাসনকে অভিযোগ করা হলেও রহস্যজনক কারনে প্রশাসন নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।

অবৈধ বালু উত্তোলনের কারনে হুমকিতে পড়তে হয় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের। এসব বালু ট্রাক্টর (কাকড়া) দিয়ে পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও গ্রামীন রাস্তাঘাট। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে শক্তিশালি একটি চক্র। এ কারনে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ সিরাজুলসহ অনেকেই বলেন, এ অবৈধ বালু উত্তোলনে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়ে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই অবৈধ বালূ উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। ব্রহ্মপুত্র নদ, সোনাভরি, হলহলি, জিঞ্জিরাম নদী থেকে প্রতিদিন ভেকু ও ড্রেজারে উত্তোলিত বালূ ১শত থেকে দেড়শত ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ির মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে, ইটভাটায় মাটি ও বালু বিক্রয় করা হচ্ছে। অবৈধ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে ব্রম্মপুত্র নদসহ অন্যান্য নদী গুলো ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে বর্ষা ও বন্যায় উক্ত এলাকায় নদীভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় নদী তীরবর্তি এলাকার মানুষকে।

নদী থেকে অবৈধভাবে বালূ উত্তোলনের বিষয়ে ট্রাক্টর (কাকড়া) ও ভেকুর মালিক আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাজেদুল, রফিকুল শাহিন, ফকির চাঁনসহ অনেকেই বলেন, রৌমারীতে প্রায় ১৭ টি ভেকু ও ১৮০/ ২০০ টি ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ি চলছে। কাকড়া গাড়ি ক্রয় করা হয়েছে ব্যবসার জন্য। মাটি, বালু পরিবহন না করলে আমরা চলবো কি ভাবে। ভেকু মালিকগণ বলেন, এলকার উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের এ ব্যবসা।

বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের জানান, বিভিন্ন উন্নয়নের ক্ষেত্রে বালুর প্রয়োজন। কিন্তু এমন নয় অবৈধভাবে বালূ উত্তোলন করে ক্ষতি করা হয়। এ বালু উত্তোলনের কারনে বর্ষার সময় নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়ে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান জানান, নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালূ উত্তোলনের বিষয়ে জানতে পেরেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, অবৈধভাবে বালূ উত্তোলন বিষয়ে জানতে পেরেছি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।


আরও খবর



৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৪০ টাকা কেজি ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর টিসিবি ভবনের সামনে এ পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

দেশের পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফেরাতে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ কিনছে সরকার। যার মধ্যে প্রথম লটে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ রেলযোগে বাংলাদেশে এসেছে। মূলত এসব পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করার জন্য আমদানি করেছে সরকার।

টিসিবি জানিয়েছে, এই বিক্রি কার্যক্রম ঢাকার ১০৩টি, চট্টগ্রামের ৫০টি ও গাজীপুরের ১৫-২০টি স্পটে চালানো হবে। প্রতিটি ট্রাকে থাকবে ১০ টন করে পেঁয়াজ। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৪০ টাকা।

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি যে কোনো ভোক্তা এই পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ২ কেজি করে কিনতে পারবেন। তবে আড়াই কেজির প্যাকেজ কিনলে দাম পড়বে ১০০ টাকা।

এর আগে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে দেশে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

গত ২৭ মার্চ অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, টিসিবির জন্য ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এ ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। সরকারই এ প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক করে দিয়েছে।


আরও খবর



নতুন দুই সেতু ও ৮ ওভারপাসের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মেঘনা টোল প্লাজায় ১২টি বুথে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে এলেঙ্গা-হাটিকমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেল ওভারপাস, ৭টি ওভারপাস ও দু’টি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেছেন।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এগুলো উন্মুক্ত করেন তিনি।

পরে সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জনগণের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে এসব উন্মুক্ত করা হলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ রয়েছে, তবে যানজট নেই। রাজধানীতেও যানজট নেই। এ সময় বান্দরবানে চলমান সমস্যা নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বান্দরবানে এখন যৌথ অভিযান চলছে। শিগগিরই এসব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ‘পাহাড়ের সর্বত্র অনেক রাস্তা ও সেতু নির্মাণ হলেও এখনো অনেক বিচ্ছিন্ন এলাকা রয়েছে। শিগগিরই এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছি’, যোগ করেন কাদের।


আরও খবর