Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
আ.লীগকে ৩ বিদেশি শ‌ক্তি ক্ষমতায় রেখেছে: ‌জি এম কাদের ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় ৩ নম্বরে পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী শত্রুতা নয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র, অংশীদারত্ব চান শি জিনপিং ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় আজ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ: কর্মীদের সুরক্ষায় রেলের নির্দেশনা বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

'আমি মা হচ্ছি অথচ আমিই জানি না '

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৮২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:গেল ক’দিন ধরে নেটদুনিয়া ও শোবিজে গুঞ্জন রটেছে- মা হচ্ছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা! বিষয়টি নজরে এসেছে এই নায়িকার। আর এমন সংবাদে ভীষণ বিব্রত ও ক্ষুব্ধ এই নায়িকা। তিনি জানান, খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া।

পূর্ণিমার ভাষ্য, ‘মা হওয়ার খবরটি আমি কেন লুকিয়ে রাখব। এটি তো আনন্দের সংবাদ। অনেকগুলো সংবাদে দেখলাম, আমার মা হওয়ার খবর। আমি মা হচ্ছি অথচ আমিই জানি না- এটা কেমন কথা। খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কে বা কারা এই সংবাদটি ছড়িয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে কাজটি ভালো হয়নি। একের পর এক সাংবাদিক ফোন করে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো অভিনন্দনও জানাচ্ছেন। বিষয়টি আমার জন্য বিব্রতকর। যারা এই ভুয়া সংবাদটি প্রকাশ করেছে, তারা কি একটিবারও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। না, তারা কেউই যোগাযোগ করেনি। আমি তো সবার ফোনই ধরি। তাহলে কেন এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করল তারা? এমন সংবাদ শুনে আমি নিজেই অবাক হয়েছি।

এদিকে, গেল মঙ্গলবার ছিল পূর্ণিমার জন্মদিন। এদিন অসংখ্য সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, চলতি বছর ক্যারিয়ারে ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন এই নায়িকা। লম্বা সময়ের এই ক্যারিয়ারে সাফল্যের পাল্লা বেশ ভারী।


আরও খবর



গরমে তৃষ্ণা মেটাতে চাহিদা বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জ সহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন প্রখর সূর্যতাপে ও ভ্যাপসা গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন তারা। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে অসংখ্য মানুষকে ফলের জুস ও বরফ মেশানো শরবতের দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায়।

তীব্র গরমের ফলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাও বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের দোকান, ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মেশানো শরবতে তৃষ্ণা মেটান অনেক শ্রেণী পেশার মানুষ। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি তাদের কাছে অনেকটাই অবহেলিত, তাই এই তীব্র গরমে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ধরনের ফলের জুস ও শরবতের দোকান। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ১০ টাকা ট্যাং মেশানো গ্লাস ১৫ টাকা, ও ফলের জুস ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকার উপরে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে হাট, বাজারে, শপিং মলের সামনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে খোলা ভ্যানের ওপর ফিল্টারের মধ্যে বরফ মেশানো পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় শরবত। মাত্র তিনটি উপকরণের মিশ্রণে এ ধরনের শরবত বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১০ টাকা, ট্যাং মেশানো ১৫ টাকা। তীব্র গরমে সামান্য তৃপ্তি মেটাতে বাধ্য হয়ে সেগুলো খাচ্ছেন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় গুলোতে এদের উপস্থিতি থাকলেও হাট, বাজারে ও শপিং সেন্টারগুলোর সামনে এদের বেশি সংখ্যায় দেখা যায়। প্রচণ্ড গরমে জর্জরিত পথচারীদের নোংরা পরিবেশ কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা কারও কারও মনে এলেও বরফশীতল লেবুর শরবতের প্রচণ্ড লোভনীয় প্রশান্তির কথা মনে করে সেসব পান করছেন অনেকে। এভাবেই পথের এসব শরবতের দোকানে ভিড়ও লেগে থাকে সারাক্ষণ।

সিরাজগঞ্জ সদরে কয়েক জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, এসব লেবুর শরবত তৈরির পদ্ধতি সবারই এক। কাঠ কিংবা লোহার একটি যন্ত্রের মাঝে অর্ধেকটা লেবু রেখে চাপ দেওয়া হয়। এতে রস গিয়ে পড়বে নিচে রাখা গ্লাস কিংবা মগে। এবার তাতে যোগ করা হবে বরফ শীতল পানি আর বিট লবণ।

এই বিষয়ে শরবত বিক্রেতা আব্দুল গনি বলেন, গত বছরের ব্যবধানে এই শরবতের দাম একটু বেশি হয়েছে। লেবু বিট লবণ বরফ এগুলোর দাম  বৃদ্ধি হওয়ার। কারণে। কেউ আবার শরবতের রং সুন্দর করার জন্য মেশায় কৃত্রিম রং, অরেঞ্জ পাউডার। স্বাদ মিষ্টি করার জন্য স্যাকারিন, টেস্টিং সল্টও মেশানো হয়। কেউ এর মধ্যে আপেল ও মাল্টার কুচি দিয়ে ৩০ টাকায় স্পেশাল শরবত বিক্রি করছেন। কেউ তোকমা দানা, ইসবগুল, মেথির মতো উপাদানও মেশাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, এতো গরমে তৃষ্ণার্ত ও শরীর সতেজ রাখতে লেবুর শরবত ভালো লাগে। আমি মানুষকে প্রতিদিন দেখি শরবত খাই। আজকে আমি নিজে খেলাম অনেক ভালো লাগলো।

আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর



সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত-৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃরাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পল্টুনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ বলেন, 'এ ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর আহন হন। পরে তারা মারা যান।

তিনি বলেন, 'পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দুটি লঞ্চের ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, এমভি তাশরিফ–৪ ও এমভি পূবালী–১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। লঞ্চ দুটির মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। ঠিক তখন লঞ্চে ওঠার সময় এক শিশু ও এক নারীসহ পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা নদী বন্দর, সদরঘাটের যুগ্ম-কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেনকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।



আরও খবর



ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহে একই পরিবারের তিন জনসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে ও দুপুরে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

হতাহতরা সকলেই পিকআপভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতরা ঈদের ছটিতে বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানা গেছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাঈন উদ্দিন জানান, ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাস ও মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে শিশুপুত্র মাহিত এবং গুরুত্বর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর স্বামী-স্ত্রী মারা যান। তাদের অপর পুত্র মোজাহিদকে (৬) আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) ও ছেলে মাহিত (৪)। নিহত স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ভালুকার মাস্টারবাড়ী এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

এদিকে ত্রিশাল সদর ও বালিপাড়া এলাকায় পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

ওসি কামাল হোসেন ত্রিশাল থানার জানান, বেলা ১২টার দিকে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কে শালবন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষ মারা গেছেন। এদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ত্রিশাল সদরে মঙ্গলবার ভোরে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে আপেল মিয়া (৩০) ও মারুফ (১৮) নামে দুইজন মারা গেছে। এদের বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।

এছাড়া তারাকান্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে আবুল বাশার (৬০) নামে এক পথচারী বৃদ্ধ।


আরও খবর



নাসিরনগরে কৃষকলীগের প্রতিষ্টা বার্ষিকি উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ১৯ এপ্রিল ২০২৪ রোজ শুক্রবার বেলা এগারো ঘটিকার সময় বাংলাদেশ কৃষকলীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এন আর ভবনে এক দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।

উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি হাজী অলি মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলম নুরের সঞ্চালনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কেন্দীয় কৃষকলভগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া।

বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রোমা আক্তার,শেখ আব্দুল আহাদ,রেবা খানম,এম এ  কাসেম,এডঃ মিজানুর রহমান,নাজমুর রশীদ সবুজ।

অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আমজাদ হোসেন,আলী রাজ সহ আরো অনেকেই।

আলোচনা সভায় প্রধান ও বিষেশ অথিতি বৃন্দ কৃষকলীগ গঠনের কারন ও কৃষকলীগের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিষদ আলোচনা করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব



আরও খবর