Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আইন মেনে হোটেল রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আইন অনুযায়ী রাজধানীর হোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলোতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অভিযানের নামে হয়রানি করা কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এর আগে এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি হয়। শুনানি শেষে এ আদেশ দেন দ্বৈত বেঞ্চ।

গত ১১ মার্চ রাজধানীর হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিটে হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিকরা সব শর্তপূরণে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

রাজধানীর বেইলি রোডে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এসব অভিযানে ৮৭২ জনকে গ্রেপ্তার এবং ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



গরমে তৃষ্ণা মেটাতে চাহিদা বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জ সহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন প্রখর সূর্যতাপে ও ভ্যাপসা গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন তারা। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে অসংখ্য মানুষকে ফলের জুস ও বরফ মেশানো শরবতের দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায়।

তীব্র গরমের ফলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাও বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের দোকান, ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মেশানো শরবতে তৃষ্ণা মেটান অনেক শ্রেণী পেশার মানুষ। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি তাদের কাছে অনেকটাই অবহেলিত, তাই এই তীব্র গরমে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ধরনের ফলের জুস ও শরবতের দোকান। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ১০ টাকা ট্যাং মেশানো গ্লাস ১৫ টাকা, ও ফলের জুস ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকার উপরে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে হাট, বাজারে, শপিং মলের সামনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে খোলা ভ্যানের ওপর ফিল্টারের মধ্যে বরফ মেশানো পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় শরবত। মাত্র তিনটি উপকরণের মিশ্রণে এ ধরনের শরবত বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১০ টাকা, ট্যাং মেশানো ১৫ টাকা। তীব্র গরমে সামান্য তৃপ্তি মেটাতে বাধ্য হয়ে সেগুলো খাচ্ছেন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় গুলোতে এদের উপস্থিতি থাকলেও হাট, বাজারে ও শপিং সেন্টারগুলোর সামনে এদের বেশি সংখ্যায় দেখা যায়। প্রচণ্ড গরমে জর্জরিত পথচারীদের নোংরা পরিবেশ কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা কারও কারও মনে এলেও বরফশীতল লেবুর শরবতের প্রচণ্ড লোভনীয় প্রশান্তির কথা মনে করে সেসব পান করছেন অনেকে। এভাবেই পথের এসব শরবতের দোকানে ভিড়ও লেগে থাকে সারাক্ষণ।

সিরাজগঞ্জ সদরে কয়েক জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, এসব লেবুর শরবত তৈরির পদ্ধতি সবারই এক। কাঠ কিংবা লোহার একটি যন্ত্রের মাঝে অর্ধেকটা লেবু রেখে চাপ দেওয়া হয়। এতে রস গিয়ে পড়বে নিচে রাখা গ্লাস কিংবা মগে। এবার তাতে যোগ করা হবে বরফ শীতল পানি আর বিট লবণ।

এই বিষয়ে শরবত বিক্রেতা আব্দুল গনি বলেন, গত বছরের ব্যবধানে এই শরবতের দাম একটু বেশি হয়েছে। লেবু বিট লবণ বরফ এগুলোর দাম  বৃদ্ধি হওয়ার। কারণে। কেউ আবার শরবতের রং সুন্দর করার জন্য মেশায় কৃত্রিম রং, অরেঞ্জ পাউডার। স্বাদ মিষ্টি করার জন্য স্যাকারিন, টেস্টিং সল্টও মেশানো হয়। কেউ এর মধ্যে আপেল ও মাল্টার কুচি দিয়ে ৩০ টাকায় স্পেশাল শরবত বিক্রি করছেন। কেউ তোকমা দানা, ইসবগুল, মেথির মতো উপাদানও মেশাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, এতো গরমে তৃষ্ণার্ত ও শরীর সতেজ রাখতে লেবুর শরবত ভালো লাগে। আমি মানুষকে প্রতিদিন দেখি শরবত খাই। আজকে আমি নিজে খেলাম অনেক ভালো লাগলো।

আরও খবর



ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মুন্না নামের এক যুবকের পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর ইকরা দারুল কুরআন বালিকা মাদ্রাসার ছাত্রীদের  রতনপুর গ্রামের আল আমীন নামে এক যুবক প্রায়ই উত্বক্ত করতো। পরে ছাত্রীর অভিভাবকগণ ওই যুবকদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের ১ নং স্বাক্ষী ছিলেন আরিফ বিল্লাহ ও ২ নং স্বাক্ষী ছিলেন মুন্না হোসাইন।

ঘটনার দ্বিতীয় স্বাক্ষী মুন্না হোসাইনকে গত ১৭ই এপ্রিল রোজ বুধবার রতনপুর গ্রামের ইভিটিজিংকারী যুবক এবং অন্যান্যরা সম্মিলিতভাবে চাতলপাড় চকবাজারে দিনে  দুপুরে সবার সামনে প্রকাশ্যে  দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে আক্রমণ  করে পিটিয়ে  গুরুতর জখম করে।তাদের আঘাতে  স্ট্রোক করে মুন্না। পরে কিশোরগঞ্জের  ভাগলপুর হাসপাতালের ডাক্তারগণ প্রাথমিক চিকিৎসা করে ঢাকা হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে রেফার করে।

পরবর্তীতে রোগীকে ঢাকায় নিয়ে আসলে হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে মারা যায় মুন্না হোসাইন। মুন্নার উপর অতর্কিত হামলায় অংশগ্রহণ করে ইভটিজার  আল আমীন ও মাসুম গংরা । ইভিটিজিংকারী ও হত্যাকারী আল আমীন পিতা শমশের আলীর  বাড়ি  রতনপুর গ্রামে। মাসুম এবং জড়িত অন্যান্যদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও বিচার দাবী করেছে এলাকাবাসী।এ ঘটনায় কোন মামলা না হলেও নিহত মুন্নার লাশ থানা নিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



নববর্ষ উদযাপনে হামলা-নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত র‍্যাব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলা নববর্ষ উদযাপন ঘিরে কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই,বলেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। তবুও, যে কোনো নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম। এছাড়া সাদা পোশাকে টহল ও নজরদারির মাধ্যমে নাশকতামূলক যে কোনো কার্যক্রমসহ প্রতিরোধ করা হবে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর রমনা বটমূলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

র‍্যাব ডিজি বলেন, পহেলা বৈশাখ কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও র‍্যাব সারাদেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে না হওয়া পর্যন্ত র‍্যাবের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও টহল জোরদার করেছে। নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর টিএসসি শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, রমনা বটমূল, পূর্বাচল ৩০০ ফিটসহ যেসব এলাকায় মানুষ যাবে সেখানে পেট্রলসহ সুইপিং করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা টিম সার্বিক নজরদাবি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, ভার্চুয়াল জগতে যে কোনো ধরনের গুজব বা উসকামূলক তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র‍্যাব সাইবার জগতে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে ইভটিজিং বা উত্যক্ত করার ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ উত্যক্তের শিকার হলে র‍্যাব সদস্যদের জানাবেন। আমরা যথাযথ আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে কঠোরভাবে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।

আরও খবর



রাজশাহী পুঠিয়ায় এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image
পুঠিয়া ( রাজশাহী)প্রতিনিধি:রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার  বানেশ্বর থান্দার  পাড়া এলাকায় বস্তা বন্দী এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। 

শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৪: ২০ঘটিকার সময় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশটি ঘিরে রাখে। এ সময় পুলিশ সি আই ডিকে খবর দেয়। রাজশাহী থেকে  সিআইডি এসে লাশটির নমুনা সংগ্রহ 

পুলিশ ধারণা করছে, গত ৪/৫ দিন  আগে বেদেনা বেওয়া( ৬০) নামের এক নারী নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ ছিলো। পরে তার পরিবার রাজশাহীর পুঠিয়া থানা লিখিত অভিযোগ জানান। 
খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিলো না। গতকাল ঈদের দিন উক্ত বৃদ্ধ ছেলে রিপন আলী  (২৭) পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ করে। 

আজ বিকালে এলাকাবাসী বাড়ির পাশে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেয়। স্থানীয়রা বলছে, মৃতের মুখে কসটেপ মারা ছিলো। গলা কাটার চিহ্ন ছিলো।  তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। 
পুলিশের ধারণা পারিবারিক বা স্থানীয় কোন কহলের কারণে এমন ঘটতে পারে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রাজ্জাক হোসেন দুলাল জানান। আমি এলাকার বাইরে ছিলাম এসে দেখি এই ঘটনা। মেয়েটা  নাকি চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিল আমি সেটা আজকে শুনলাম পুঠিয়া থানা পুলিশ এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুঠিয়া থানা ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানায় আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। দেখি বস্তাবন্দি একটি  লাশ পড়ে আছ।   পরে আমরা রাজশাহী সিআইডিকে খবর দিই সিআইডিএসে  নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

আরও খবর



ফুলবাড়ী উপজেলার দেবীপুর ছোট যমুনা নদী থেকে কোটি টাকার বালু উত্তোলন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী বা অভিযান না থাকায় দেবীপুর ছোট যমুনা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে কোটি টাকার বালু। ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির দেবীপুর গ্রামে সংলগ্ন ছোট যমুনা নদী থেকে বছরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা অবৈধ্যভাবে কোটি টাকার বালু উত্তোন করে বিভিন্ন স্থানে মজুদ করে বিক্রি করছে। এতে নদী সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। প্রতি দিন গভীর রাতে ও ভোর বেলায় বালু ব্যবসায়ীরা ট্রলি নামিয়ে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রতি গাড়ি বালু ১২শত থেকে ১৪শত টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। শিবনগ্রর ইউপির পাঠকপাড়া কুমারপুর ঘাট থেকে মোঃ মিলন, দেবীপুর ঘাট থেকে মোঃ উজ্জল, পাঠপাড়া ঘাট থেকে মোঃ বাদশা, শ্মসান ঘাট থেকে মোঃ বেলাল বালু উত্তোলন করছেন। প্রকৃত সরকারি ঘাটের ইজারা ডাক না থাকায় এই অবস্থার মধ্য দিয়ে অবৈধ্য বালু ব্যবসায়ীরা লুটে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনি অবস্থা বিরাজ করছেন ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ও খয়েরবাড়ী সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাবেন। এই ছোট যমুনা নদী থেকে অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন করেন সরকারি বেসরকারি রাস্তা ঘাটের কাজ ও করা হচ্ছে। সরকারি কাজে ঠিকাদারদের সিডিউলে বালুর দাম ধরা থাকলেও তারা বাইরে কিছু লোকজনদেরকে দিয়ে চোরাই পথে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তাগুলির কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিশেষ করে শিবনগর ইউপির পাঠকপাড়া থেকে আমডুংগিহাট পর্যন্ত যমুনা নদীতে যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে নদীর দুই ধারের জমির মালিকদের অফুরন্ত ক্ষতি হচ্ছে। বর্ষাকাল এলে জমিতে লাগানো ফসল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা

নেওয়া না হলে তারা অবৈধ বালু নদী থেকে তুলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে। ভাংতে থাকবে কৃষকদের ফসলি জমি। এ ব্যাপারে পাঠকপাড়া ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সদস্য জানান, প্রশাসনকে বলে কোন কাজ হয় না। প্রশাসন স্থানীয় চকিদারদের দিয়ে এই সব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নিলে হয়তোবা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হতে পারে।

এ বিষয় ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমালা এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আজ অভিযান চালিয়ে একটি গাড়ী আটক করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যহত থাকবে। কাওকে যমুনা নদী থেকে অবৈধ্যভাবে বালু তুলতে দেওয়া হবে না।

এ ব্যাপারে কৃষক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা ভয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারিনা। আমরা অসহায়। এ ব্যাপারে শিবনগর ইউপির গ্রামবাসী ও কৃষকেরা দেবীপুর থেকে আমডুংগি হাট পর্যন্ত ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধকল্পে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আরও খবর