Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট বন্ধ চেয়ে রিট

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ বেইলি রোডসহ সব আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন।

রোববার (৩ মার্চ) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার এবং আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লাগে। আগুনে নিভে যায় ৪৬ প্রাণ। এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয় কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে। পরে তাদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


আরও খবর



ঈদে নানা বাড়ীতে এসে নদীতে নেমে আর ফেরা হলো ইব্রাহীমের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৬৪জন দেখেছেন

Image

লিয়াকত হোসাইন লায়ন,ইসলামপুর(জামালপুর)প্রতিনিধি:জামালপুরের ইসলামপুরে ঈদে নানা বাড়ীতে এসে ব্রহ্মপুত্র নদে গোছল করতে নেমে আর ফেরা হলো ইব্রাহীমের(১৬)। পানিতে ডুবে মারা যায় কিশোর ইব্রাহীম । বুধবার বিকালে পৌর এলাকার উত্তর দরিয়াবাদ গ্রামের ফকির পাড়া ঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার এনায়েত নগর গ্রামের সেলিম মিয়ার পুত্র ইব্রাহীম ঈদে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। সহপাঠির সাথে ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাটে গোছল করতে যায়। গোছল করার এক পর্যায়ে সকলে উঠে এলেও পিছন থেকে এক সহপাঠিকে নিয়ে আবারো আরেকটি ডুৃব দিতে যায় ইব্রাহীম। এসময় গভীর পানিতে তলিয়ে গেলে সহপাঠি বাড়িতে খবর দেয়। পরে খোঁজাখুজির প্রায় দুঘন্টা পর লাশ ভেসে উঠে।

উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কাউন্সিলর জুলহাস মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ সুমন তালুকদার বলেন- নিহতের বাবার মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাশ থানায় আনা হয়েছিল। বাবা এসে কোন অভিযোগ না করায় রাতে তার নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ঘোষণা দিয়েছেন, সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের (শৃঙ্খলা) জন্য। অর্থাৎ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন।

তিনি বলেন, এখানে গণমাধ্যম এতোটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন এটা করা দরকার। যেটা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।

তবে একইসঙ্গে আমি মনে করি, এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস (সীমাহীন)। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে। আমি আবারও বলব, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের দাবির সঙ্গে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং পোষণ করছি একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য।

তিনি বলেন, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সঙ্গে একমত।

সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ও সব ধরনের নজরদারির বাইরে আমরা এখানে প্রমোট করতে চাই এমন তথ্য জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যমে আছে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

তিনি জানান, নতুন কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবো। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেবো, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না। সাংবাদিকরাই এমনটা বলছেন।


আরও খবর



বিচারপতিদের সমান বেতন-ভাতা পাবেন নির্বাচন কমিশনাররা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে,প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেছে। এ আইনের আওতায় আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির সমান বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন নির্বাচন কমিশনাররা।

অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, এর আগে এ আইনের ইংরেজি ভার্সনে ছিল আমাদের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি যে বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পান আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররাও সেই সুযোগ সুবিধা পাবেন। এই আইনটিই পুনরায় বাংলায় করা হয়েছে। যার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এর আগে, গতবছর ২১ আগস্ট বিচারপতিদের সমান সুযোগ-সুবিধা চেয়ে আইনের খসড়া অনুমোদন করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা যে সুযোগ-সুবিধা পান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সেই সুবিধা এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের সমপর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে অন্য কমিশনারদের জন্য।


আরও খবর



বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৬৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :[ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪] অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ (২৬ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে। বিকেল ৩টা থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে একটি অনবদ্য থিয়েটার পারফরমেন্স ‘নৈঃশব্দ্যে ‘৭১’ পরিবেশিত হয়। এ অনুষ্ঠানে ‘অদম্য শিল্পোৎসব’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী, সেখানে আইআইডি’র তত্ত্বাবধানে সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য সহ আরও নানান শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয় । এছাড়াও থিয়েটার পারফরমেন্স, প্যানেল আলোচনা, ফিল্ম প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, গ্রেআই থিয়েটার কোম্পানির আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জেনি সিলি, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট, ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাসিরুদ্দীন ইউসুফ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ। এছাড়া, সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পের অংশ এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল। বাংলাদেশের শিল্পকলা খাত ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও বোঝাপড়া তৈরিই এই বহুস্তরীয় ডেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য। বৃহত্তর সমাজ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে ব্যবধান কমিয়ে এনে সংযোগ স্থাপন করা এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য। ঢাকা থিয়েটার ও আইআইডির (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অংশীদারিত্বে ২০১৯ সালে চালু হয় প্রকল্পটি।

আয়োজনের প্রথম দিনে অতিথিদের জন্য রমেশ মেয়াপ্পানের ‘৭১ ইন সাইলেন্স’, মোস্তাফিজ শাহিন পরিচালিত ‘সার্কাস সার্কাস’, কাজী নওশাবা আহমেদের ‘ত্রিবেণী’, এশা ইউসুফ ও রফিকুল ইসলামের ‘কেন্দ্র বরাবর সুড়ঙ্গটির নাম পৃথিবী’ এবং কলকাতার জনসংস্কৃতি সেন্টার ফর থিয়েটার অফ দ্য অপ্রেসডের পরিচালক সঞ্জয় গাঙ্গুলির ‘ওয়েস্টল্যান্ড- এ জার্নি’, এই ৫টি থিয়েটার প্রযোজনা পরিবেশিত হয়। প্রথম দিন ‘ডিজেবিলিটি রিপ্রেজেন্টেশন ইন দ্য আর্ট সেক্টর’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিল্পকলা সহ সমাজের নানান স্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সমাপনী দিনে আরও ৫টি থিয়েটার প্রযোজনার আয়োজন করা হবে - শামীম সাগরের ‘অতঃপর করিম বাওয়ালি’,সামিউন জাহান দোলার ‘সঙ্গতি’, আল জাবিরের ‘কাজলরেখা’, ড. আমির জামানের ‘পিতৃগণ’ ও অসীম দাশের ‘স্বপ্নকাহন’। এছাড়া, ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ ও ‘ফান্ডিং ইনক্লুশন ফর ডিজ্যাবিলিটি আর্টস’ এই দুইটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ প্যানেল আলোচনায় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন তা চিহ্নিতকরণ ও এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও তাদের বেশিরভাগই বুদ্ধি, মননশীলতা ও সৃজনশীলতার দিক থেকে অন্যদের তুলনায় কোন অংশেই কম নয় বরং সৃজনশীলতার দিক থেকে অনেক সময়ই বেশি যদি তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যায়। আমি ব্রিটিশ কাউন্সিল, ঢাকা থিয়েটার, আইআইডি, এবং এই অনবদ্য আয়োজনের সাথে যারা জড়িত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সকলকে জানাই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।”বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সমতার ভিত্তিতে পূর্ণ অধিকার ও স্বাধীনতা উপভোগ ও অনুশীলনের সুযোগ তৈরি করতে যুক্তরাজ্য সারা বিশ্বে কাজ করছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্প ও এই উৎসব বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিভা ও অর্জনকে উদযাপন করা এবং একটি আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার সুযোগ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।”

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর উদ্বোধন করতে পেরে আজ আমরা অত্যন্ত গর্বিত; যা আমাদের ডেয়ার প্রকল্পের একটি চূড়ান্ত আয়োজন। ২০১৯ সাল থেকে আমাদের ডেয়ার প্রকল্পটি বাংলাদেশি থিয়েটার সংস্থাগুলো ও দেশব্যাপী ডেয়ার শিল্পীদের সক্ষমতা তৈরি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুশীলন চর্চা, নীতিমালা পরিবর্তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যকে সংযুক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ডিজেবিলিটি আর্ট থিয়েটারকে মূলধারায় আনয়নে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করায় সরকার ও সকল অংশীদারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বলেন, “২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে মূলধারার থিয়েটারের সাথে ডিজেবিলিটি আর্টকে একীভূত করার ক্ষেত্রে ঢাকা থিয়েটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, এজন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। নানান প্রতিবন্ধকতা এবং নিত্যনতুন বাধা আসার পরেও প্রতিবন্ধী শিল্পী, প্রশিক্ষক, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের অব্যহত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার কারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পেরেছি আমরা; আর এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সফল আয়োজন তারই প্রমাণ।”

এই আয়োজন থেকে অতিথিরা অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে বোঝার সুযোগ পান; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিল্পের যাত্রায় তাদের অতিক্রান্ত বাধাগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ পান।


আরও খবর



নবীনগর শিবপুরে, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি:আধুনিক সভ্যতার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে , ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের যুব সমাজ কর্তৃক  আয়োজিত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নড়াইলের লাঠিয়াল দলের এই লাঠি খেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচ প্রদর্শনী ও আকর্ষণীয় বাশঁ নৃত্য দেখতে  উচ্ছ্বাসিত গ্রামবাংলার মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় । 

গেল বুধবার  বিকালে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণের উপস্থিথিতে মনোমুগ্ধকর, মনোরম পরিবেশে, পুতুল নাচ প্রদর্শনী ও  লাঠি খেলাটি দেখতে দুপুরের পর থেকেই দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে নানা বয়সী মানুষ ।  ঢাক, ঢোল আর সানাইয়ের শব্দের তালে তালে নেচে প্রতিপক্ষের আঘাত পাল্টাআঘাত মোকাবেলা আর টানটান উত্তেজনা ছিল খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। প্রচণ্ড রৌদ্রতাপের মধ্যেও লাঠি খেলায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।

লাঠিয়ালদের শব্দের তালে তালে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন একে অন্যের ওপর। এ সময় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চলে প্রতিপক্ষকে হারানোর অদম্য চেষ্টা। এমন দৃশ্য দেখে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসী ও দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা।

দর্শকদের করতালি আর হৈ-হুল্লোড়ে আরো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠে লাঠি খেলার আসর। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই, শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, এই লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়ছিল ।

শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাজী মোহাম্মদ  মুসা মিয়ার সভাপতিত্বে ও শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্যশামীম আহমেদ দুদু ও শহীদুল্লাহ বাপ্পির যৌথ সঞ্চালনায় , উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী লিটন মেম্বার। 

অনুষ্ঠিত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা প্রধান অতিথি  বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ফারুক আহমেদ ও প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস , ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু , ও নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ  মাহাবুব আলম, প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক কুয়েত প্রবাসী মোঃ রতন মিয়া সহ - অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ । 

পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন দুবাই প্রবাসী সমাজ সেবক সজরুল ইসলাম  সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নূরনগর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর