Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো ১০০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৯৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানান, নতুন নিষেধাজ্ঞায় নিকারাগুয়ার ১০০ জন স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা আছেন। এ বিষয়ে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এর আগেও দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো, তার তিন সন্তান, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ওর্তেগা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিরোধী রাজনীতিবিদ, সংবাদমাধ্যম, ব্যবসায়ী নেতা ও ক্যাথলিক চার্চদের দমন-পীড়ন করেছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, নিকারাগুয়ার সরকার গুরুতর এবং নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। বিষয়গুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল। জাতিসংঘ নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি দল গত মার্চ মাসে এ বিষয়ে আলোচনায় বলেছিল।

মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের দলটি জানিয়েছে, নিকারাগুয়া সরকার ২০১৮ সাল থেকে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে আটকের মতো কাজ করেছে। সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ডোমারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও নমুনা শস্য কর্তন কাজের উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, মাঠ পরিদর্শন করে নমুনা শস্য কর্তন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম।

রোববার সকাল থেকে শুরু করে বিকাল পর্যন্ত জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাগণ ডোমার সদর ইউনিয়ন, বড়রাউতা, চিলাই, পাগলা বাজার সহ বেশ কয়েটি মাঠে কৃষকের ধান, ভূট্টা, বীজতাল ও গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্্রসারণ কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনেশ^র রায়, রাব্বী আব্দুল্লাহ আবেদীন, কৃষক বিকাশ বর্ম্মা, সব্জি চাষী ওমর ফারুক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলবেন এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।

হাট-বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে ভালো দাম পাবেন এমন আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা। ডোমার সদর, বোড়াগাড়ী ও জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন ঘুড়ে দেখাযায় আনন্দ ও উৎসব মূখর পরিবেশে কৃষকরা ধান কেটে ঘড়ে তুলছে। কৃষকের সাথে কৃষানীদের আনন্দ যেন কমতি নেই। স্ত্রী সন্তান পরিবার নিয়ে অনেক কৃষক মাঠে ধান কেটে ঘড়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। ফসলের খেতে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের ধান। কৃষি অফিসের পরামর্শে চারা রোপন, সার, কিটনাশক ও নিয়মিত পরিচর্যার কারণে এবার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকেরা।

কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৩হাজার ২শত ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর ৬৭ হাজার ৪শত মেঃটনঃ ধান অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তীব্র গরম ও তাপদাহ হওয়ায় কৃষকদের নিয়মিত সেচ দেয়ার পরামর্শ দিতে কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করেছে। হাইব্রিড জাতের ধান থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফলন অর্জিত হবে বলে তিনি আশা করেন।  

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় বোরো ধান খেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়েছে। কৃষি অফিসের তদারকীর কারণে আকার ভেদে ৪৯ শতাংশ জমিতে ৪০ থেকে ৪২ মণ ধান ঘরে তুলতে পারবো। ধান কাটা, মাড়ায়, পরিবহন সব বাদ দিয়ে ধান বিক্রী করে সংসারের খরচ মিটিয়ে দেনা পরিশোধ করতে পারবেন এমনটাই আশা করেন তারা। বড়রাউতা এলাকার এলাকার চাষী বিকাশ বর্ম্মা বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে ১০ বিঘা জমিতে ব্রি-ধান- লাগাই এতে বিঘা প্রতি ১৭/১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। ধান পেয়েছি ২৭/৩০ মন। বাম্পার ফলনের সঙ্গে ভালো দাম পেয়ে অনেক খুশি তিনি।


আরও খবর



তানোরে সরকারি গাছ কর্তন ও গোপনে জমি রেজিস্ট্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে সরকারি গাছ কর্তন ও ওয়ারিশদের না জানিয়ে গোপনে জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় গত মাসের শুরুর দিকে জিল্লুর রহমান বাবুল ও তার ভাই হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে আরেক ভাই ওবায়দুর ও ভূমিগ্রাসী মাসুদ করিমকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির)  বারোঘরিয়া গ্রামে ও সরকারি মুল রাস্তার পাশে গাছ কাটা এবং জায়গায় মাটি ভরাটের ঘটনা ঘটে রয়েছে। 

অভিযোগে উল্লেখ, গত বছরের মে মাসে অতি গোপনে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির বারোঘরিয়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র ওবায়দুর রহমান তার ভাই বা ওয়ারিশ দের না জানিয়ে গোপনে বারোঘরিয়া মৌজায় অবস্থিত ১০৩ নম্বর দাগে ৬ শতাংশ জমি বিক্রি করেন রবিউল ইসলামের কাছে। রবিউল মালেশিয়ায় থাকে। তার বাড়ি বারোঘরিয়া গ্রামে। প্রকাশ থাকে রবিউল দেশে না আসা পর্যন্ত ওবাইদুর জমিটি টেন্ডার হিসেবে চাষাবাদ করিবে। কিন্তু মাসুদ করিমের যোগসাজশে জমিটি গোপনে রেজিস্ট্রি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ওই জায়গায় গত মাসের শুরুর দিকে মাসুদ করিমের নেতৃত্বে ৪-৫ টি সরকারি গাছ কর্তন করে জায়গাটি ভরাট করে তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। 

তানোর টু চৌবাড়িয়া রাস্তার বাঘের মোড়ের উত্তরে ও মুল রাস্তার পশ্চিমে সরকারি নয়নজুলি ভরাট এবং রাতের আধারে  গাছ কেটে তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। গাছ কেটে মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে যাতে কেউ বুঝতে না পারে। মাসুদ করিম জানান, এঘটনা এক মাস আগের। অভিযোগ হয়েছে থানা পুলিশ দেখবে। আপনি কেন আমাকে ফোন দিবেন বলেও দাম্ভিকতা দেখান। 

তবে তার ভয়ে অভিযোগ করেও অস্বীকার করেন জিল্লুর রহমান বাবুল। তার মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তার ছেলে পরিচয় দিয়ে বলেন আমার আব্বা তো বাড়ি থেকে বের হয় না।থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



বরিশালে বীমাদাবীর ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাট:পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের বরিশালে অঞ্চলের মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্রাহকদের বীমাদাবীর ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১ মে) সকালে বরিশালে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের নিজস্ব ভবনের হল রুমে এ  বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের আল আমিন বীমা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদ রানা মাসুমের সভাপতিত্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলনে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য  বি এম ইউসুফ আলী। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উর্দ্ধতন  উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ব্রাঞ্চ কন্ট্রোল) সৈয়দ মোতাহার হোসেন, জনপ্রিয় বীমা প্রকল্পের উপ- ব্যবস্থাপনা  পরিচালক কামাল হোসেন মহসিন, ইসলামী ডিপিএস প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক খলিলুর রহমান দুলাল, পপুলার ডিপিএস  প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক আবু মঈদ শাহীন।

এ সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  উর্দ্ধতন  মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প ইনচার্জ তানভীর আল নাঈম সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ। 

সম্মেলন শেষে ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার বীমা দাবীর চেক গ্রাহকদের হাতে হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী সদস্য  বি এম ইউসুফ আলী। 


আরও খবর



মির্জাপুর আট ঘড়িতে খান আহমেদ শুভ এমপি'র দেওয়া রাস্তা উদ্বোধন করলেন ময়নাল চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আটঘড়ি পাকা সড়ক হতে  শ্রী শ্রী কালী মন্দির পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলার মাননীয় এমপি খান আহমেদ শুভ'র দেওয়া প্রকল্পের রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ উদ্বোধন করেন, আনাই তারা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল ময়নাল।

অত্র এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া এ রাস্তাটির কাজ ধরায় এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি। কেননা সামান্য বৃষ্টি কিংবা বর্ষাতেই এখানে পানি জমে যাতায়াতের ভীষণ অসুবিধা হতো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৬ নং আনাই তারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা কামাল ময়নাল বলেন, মির্জাপুরের উন্নয়নে বিশেষ করে রাস্তাঘাটের উন্নয়নে আমাদের বর্তমানে এমপি খান আহমেদ শুভ মহোদয় অত্যন্ত আন্তরিক। উনার দেওয়া প্রকল্প থেকেই এ রাস্তার কাজটি ধরা হয়েছে। আনাই তার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আমি উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনাই তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রশিদ আবু।  আনাই তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি কামাল খাঁ, সাধারণ সম্পাদক মালেক খান এবং শিপন, সোহেল, মীর রুবেল। আরো উপস্থিত ছিলেন আনাই তারা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মমিনুর রহমান মমিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হালিম মিয়া সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 


আরও খবর



তানোরে সেচ অরাজকতা ও প্রচন্ড তাপমাত্রায় কমেছে ধানের ফলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে কৃষি ভান্ডার খ্যাত, খরা প্রবন এলাকা রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি। এবারে চলতি বোরো মৌসুমে গভীর অগভীর নলকূপের সেচ অরাজকতা এবং প্রচন্ড তাপমাত্রার কারনে বিঘায় ৬ থেকে ৭ মন করে ধানের ফলন কমেছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। গত মৌসুমে বিঘায় যদি ২৬ মন ফলন হয়েছে,  এবার কমে প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ মন করে ফলন হয়েছে। অথচ গত মৌসুমেের চেয়ে এবারে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে প্রতি বিঘায়। অতিরিক্ত সেচ, সার কীটনাশকের বাড়তি দাম এবং শ্রমিক সংকটের জন্য  উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রচুর পরিমানে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কোন রকমে খরচের টাকা উঠেছে, তবে যারা টেন্ডার নিয়ে  জমি চাষ করেছেন  তাদের বিঘায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে।তানোর পৌর সদর এলাকার কৃষক সাহেব আলী বলেন বিল কুমারী বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ে সেচ না পাওয়া এবং তীব্র তাপদহের কারনে বিঘায় ৬ থেকে -৭ মন ধান কম ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে ৬ বিঘায় রোপন করে বিঘায় ৩০ থেকে- ৩২ মন করে ফলন হয়েছিল।  এবার বিঘায়  ২৪-২৫ মন করে ফলন হয়েছে। তিনি আরো বলেন শাওন বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করে তারও একই অবস্থা। আব্দুস সালাম সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রোপন করে ফলন কম পেয়েছে । প্রতি বিঘায়  রোপন থেকে মাড়ায় পর্যন্ত ১৯ হাজার টাকা  থেকে ২০ হাজার টাকা  আবার যাদের জমি দূরে তাদের ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কোন রকমে উৎপাদন খরচ উঠে আসছে।তানোর পৌর সদর এলাকায় সাড়ে ২৮ কেজিতে এক মন হিসেব ধরা হয়। আর পৌর এলাকার বাহিরে ৩৮ কেজিতে এক মন হিসাবে সবকিছু হয়।সাহেব জানান, গত সপ্তাহে এক মন ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। গত দুদিন ধরে কমে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘায় ২২ মন ফলন হলে ৯০০ টাকা মন ধরা হলে ১৯ হাজার  ৮০০ টাকা আসে। আবার যাদের বিঘায় উর্ধ্বে ২৫ ফলন হয়েছে ৯০০ টাকা মনে ২২ হাজার ৫০০ টাকা আসে।

কৃষক মফিজ জানান, ধান কাটার সময় তীব্র তাপমাত্রার সাথে ছিল প্রচন্ড খরতাপ। কোনভাবেই জমিতে টিকে থাকা যেত না। খাবার স্যালাইন পানি খেয়ে কোন কাজ হত না। কিন্তু জমিতে পাকা ধান কাটতেই হবে। এত কষ্ট করার পর যদি দিনের দিন সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমে যায় তাহলে কৃষকরা যাবে কোথায়। মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনে ধানের দাম কমছে। অথচ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। তাহলে যে কৃষক ফসল উৎপাদন করে দেশকে খাদ্যে ভরপুর করছে সেই কৃষকদের সাথে কেন এমন প্রতারনা করা হচ্ছে। কার ইশারায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। একদিকে সেচের অভাবে কমেছে ফলন অন্যদিকে দিনের দিন কমতেই আছে ধানের দাম। আর কৃষি দপ্তর ঠান্ডা রুমে বসে রিপোর্ট দিচ্ছেন। যত মরন পা ফাটা কৃষকের। কৃষকের কথা কেউ ভাবেনা। তাহলে সেচ পানি সার কীটনাশক নিয়ে ইচ্ছে মত সিন্ডিকেট হত না।তবে কৃষি অফিসের এমন কাল্পনিক তথ্য মানতে নারাজ কৃষক রা। কারন উপজেলায় দুভাগে মনের হিসাব চলমান। ৩৮ কেজিতে একমন আবার সাড়ে ২৮ কেজি তে একমন হিসেবে ফলন কেনা বেচা হয়ে থাকে। আর কৃষি অফিস ৪০ কেজিতে এক মনের হিসাব করে থাকে। সুতরাং স্থানীয় হিসেবের সাথে কৃষি অফিসের হিসেবে অনেক ফারাক দেখছেন কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক ব্যক্তি জানান এবার সেচ এবং প্রচন্ড খরতাপ, অতিরিক্ত তাপদহের কারনে বিঘায় ফলন কম হয়েছে এমন হিসেব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত মৌসুমের হিসেব বলবত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,  এবারে উপজেলায় ১৪ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এপর্যন্ত  ৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ফলন ধরা হয়েছে বিঘায় হাইব্রিড সাড়ে ২৬ মন এবং উপশী বিঘায় ২৩ মন করে।স্বর্ন প্রদক প্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে ব্যাপক অরাজকতা চলে। সময় মত সেচ দিতে চায় না। আবার অতিরিক্ত সেচ হার। আবার ছিল রেকর্ড পরিমাণ  তাপমাত্রা একারনে ফলন কম হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর