Logo
আজঃ সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
শিরোনাম

যশোর জেলা ‍বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : যশোরে বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন এসআই জয় বালা। মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান, কাজী আজম, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পিকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। একইসাথে পাঁচটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এছাড়া,  যশোরে কোতোয়ালি থানাসহ বিভিন্ন থানায় পৃথক নাশকতা মামলায় মোট ৪৪ নেতাকর্মীকে আটক করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় বাদী এসআই জয়বালা উল্লেখ করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন শুক্রবার বিকেলে শহরের পূর্ববারান্দীপাড়া শতদল পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গুরুত্বপূর্ন স্থাপনায় নাশকতা কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা হাতবোমা, লাঠি ও ইট পাটকেল নিয়ে অবস্থান করছেন। তাৎক্ষনিক পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে আটক করে। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি ককটেল, তিনটি কাঠের লাঠি ও পাঁচ টুকরা ইট উদ্ধার করে। আটককৃতরা হলেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, বারান্দী মোল্লাপাড়ার মনিরুল করীম ওরফে ফল নান্নু, একই এলাকার সাইদুর রহমান শাহীন, পূর্ব বারান্দিপাড়ার অ্যাডভোকেট এস এম আব্দুর রাজ্জাক, নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রব, বারান্দীপাড়া বৌবাজারের আব্দুল কাদের, সিটি কলেজপাড়ার শেখ মোহাম্মদ, বারান্দী মালোপাড়ার তৌহিদুর রহমান, পূর্ববারান্দী মোল্লাপাড়ার রাব্বি হোসেন, শংকরপুরের তাইজুল ইসলাম তাজু, সিদ্দিকুর রহমান, মনিরুজ্জামান মানু, মনোহরপুর গ্রামের দাউদ ইব্রাহিম, সিরাজসিঙ্গা গ্রামের খালেকুজ্জামান, ভগবতীতলার হাফিজুর রহমান, শাহাপুর গ্রামের কাওছার আলী, পাচবাড়িয়া গ্রামের সাইফুজ্জামান মুন্না, নওদাগ্রামের আবু খায়ের, রুপদিয়ার শাহিন রহমান, জিরাট গ্রামের আব্দুল গণি, তেতুলিয়ার প্রভাষক মনিরুজ্জামান, ওয়াপদা পাড়ার মাহাবুব হোসেন আপন। এ ছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত আরও তিন আসামি সুজলপুরের নিছার আলী, ভাতুরিয়ার মহাসিন আলী ও জগমোহনপুরের ফারুক হোসেনকে এ মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। 

শনিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন, বাউলিয়ার মোহাম্মদ মহাসিন, চান্দুটিয়ার শফিয়ার রহমান, নারাঙ্গালী গ্রামের ইদ্রিস আলী, আড়পাড়ার আমিনুর রহমান মধু, ঝুমঝুমপুরের জাহাঙ্গির হোসেন, পূর্ববারান্দীপাড়ার তারেক হোসেন চুন্নু, জিরাট গ্রামের আবু রাসেল, রুপদিয়ার হাসানুর রহমান লিটু, নরেন্দ্রপুরের আতিয়ার দফাদার, চাউলিয়ার সোহেল রানা তোতা, বিএম গোলাম রসুল, নরেন্দ্রপুরের আজিম হোসেন মিন্টু, ভেকুটিয়ার খাইরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সুজলপুরের শামসু ওরফে ভাংড়ি শামছু। 

উল্লেখ্য, কোতোয়ালি থানা পুলিশ ২৫জন ছাড়াও শার্শা থানায় ছয়জন, বেনাপোল পোর্ট থানায় পাঁচজন, বাঘারপাড়ায় তিনজন, চৌগাছায় দুইজন, ঝিকরগাছায় দুইজন ও মণিরামপুর থানা পুলিশ একজনকে নাশকতার পৃথক পেন্ডিং মামলায় আটক করেছে। জেলায় শনিবার বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মীকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।


আরও খবর

পত্নীতলায় পাঁচ ডাকাত আটক

সোমবার ০৫ জুন ২০২৩




অভিযোগের ১৩ দিনেও হয়নি ব্যবস্থা দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন মৃত গাভীর মালিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে ভূয়া ডাক্তারের  ভূল চিকিৎসায় দুটি গাভী মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে করে গাভীর মালিক বিচারের আসায় দ্বারেদ্বারে  ঘুরলেও ভূয়া চিকিৎসক মামুনুর রশিদ দেদারসে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ মৃত গাভীর মালিক ওয়াসিম আকরামের। এতে করে সব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওয়াসিমের পরিবার। কিন্তু রহস্য জনক কারনে ইউএনও, ওসি ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কিছুই করছেন বলে দাবি অভিযোগ কারীর। এমন কি এঘটনায় আমাদের রাজশাহী পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। এক প্রকার বাধ্য হয়ে আগামী রবিবারের দিকে আদালতে মামলা করবেন বলে জানান গাভীর মালিক। 

জানা গেছে,   উপজেলার কামারগাঁ ইউপির জমশেদপুর গ্রামের তোফাজ্জুল হোসেনের পুত্র ওয়াসিম আকরামের দুটি গাভীর খুরা রোগ হয়।  এই রোগের চিকিৎসার জন্য প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রজেক্টে কর্মরত মামুনুর রশিদ কে ডাকেন। সে গরু দেখেই ১০-১২ টির মত ইনজেকশন পুষ করে। সাথে সাথেই একটি গাভী মারা যায়। তখন চিকিৎসক মামুন দ্রুত সটকে পড়েন। পরের দিন আরেকটি গাভী মারা যায়। এঘটনায় চলতি মাসের ৩ তারিখে গাভীর মালিক বাদি হয়ে মামুনকে বিবাদী করে ইউএনও, ওসি ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন।  লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা রা। দুটি গাভী মেরে ফেলেও দেদারসে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন মামুন। অপর দিকে জীবনের শেষ সম্বল গাভী মৃত্যুর পর থেকে হাতাশায় ভুগছেন মালিক।

গাভীর মালিক ওয়াসিম আকরাম বলেন, মামুনুর রশিদ নিজেকে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের সরকারি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে গাভী দুটির খুরা রোগ হয়। আমি রাসেল নামের একজনকে বললে তার মারফতে এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে সন্ধ্যার দিকে মামুন এসেই কোনকিছু না দেখে ১০-১২টির মত ইনজেকশন পুষ করে। তার সামনেই একটি গাভী মারা যায় এবং পরের দিন আরেকটি মারা যায়। দুটি গাভীর পেটেই বাচ্চা ছিল। এতে করে নিম্মে হলেও আমার ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। আমি আগামী রবিবারে আদালতে মামলা দায়ের করব। 

প্রাণী সম্পদ দপ্তরের লাইভস্টক ফিল্ড এসিসটেন্ট( এম,এফ,এ) প্রজেক্টে কর্মরত  মামুনুর রশিদ বলেন, দুটি গাভী অসুস্থ ছিল। সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মারা গেছে এজন্য আমার উপর দায় চাপানো হচ্ছে । যদি ভালো হত তাহলে কিছুই হত না। আমার চিকিৎসায় মরেছে কিভাবে প্রমান করবে, অন্য কারনেও তো মরতে পারে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা: সুমন মিয়া জানান, আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম। অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামুনুর রশিদ প্রজেক্টে কর্মরত সে কি চিকিৎসা দিতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার চিকিৎসা দেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। প্রসঙ্গত গত এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে ভূল চিকিৎসায় দুটি গাভী মারা যায়। 


আরও খবর

পত্নীতলায় পাঁচ ডাকাত আটক

সোমবার ০৫ জুন ২০২৩




রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তায় সরকার কোনো শিথিলতা দেখাবে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি যেসব দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে আছেন তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকার কোনো শিথিলতা দেখাবে না।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি বিএনপি নেতাদের অসাড়, অর্বাচীন ও গণচেতনাবিচ্ছিন্ন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আমলে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিএনপির শাসনামলে সৃষ্ট জঙ্গিবাদী শক্তির হলি আর্টিজানে হামলার পর কূটনীতিকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এটা কোনো স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বিদেশি যেসব দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে আছেন তাদের সব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কোনো প্রকার শিথিলতা দেখাবে না।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে যা যা করার তা একমাত্র আওয়ামী লীগই করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক উপায়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিল। সামরিক স্বৈরাচারের বুটের তলায় পিষ্ট হয়েছিল এদেশের মানুষের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কারফিউ বলবৎ রেখে দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন সৃষ্টি করে জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছিল। ভোট ডাকাতির প্রতিভূ শক্তি বিএনপির মুখে তাই গণতন্ত্রের কথা মানায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন হালে পানি না পাওয়ায় তাদের নেতারা প্রতিদিন চিরাচরিত একঘেয়ে বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছে। তারা শুধু সমালোচনার নামে সরকারের সমালোচনা করে। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে শেখ হাসিনার গৃহীত উন্নয়ন নীতির কারণে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার বিপরীতে বিএনপির হাতিয়ার হলো ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য। বিএনপির লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, বিপরীতে আওয়ামী লীগের পথচলার শক্তি হলো শুধু জনগণ। যে আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই, যে আন্দোলন শুধুমাত্র ক্ষমতার মোহ থেকে পরিচালিত হয়, সে আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের কথা হাস্যকর।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতির ফলে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি মানুষের জীবনমানের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সময়োপযোগী নীতি গ্রহণের ফলে নতুন প্রজন্ম নিজেদের মানবিক স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরের ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে ছিনতাইয়ের মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইস ইরফান উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই এর অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।যার মামলা নং- সি,আর ২১২/ ২০২৩, ধারা ৩৯২/৪১১/৩৮৫/৫০৬(২) পেনাল কোড।

২৫ মে ২০২৩ রোজ বৃহস্পতিবা  আশুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দি বাংলাদেশ টুডের প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ সাপ্তাহিক সত্যের দিগন্তের বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আশিকুর রহমান এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়,গত ২১ ডিসেম্বর ২০২২ জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর,  চেয়ারম্যানের  ইটের ভাটা সংলগ্ন রাস্তায় কতিপয় মুখোশধারী  দুস্কৃতিকারী তার ব্যবহৃত ংধসংঁহম মধষধীু ধ৫০ আইএম নম্বর-৩৫৬২৫৯/১০/৪৭০১৭২/৯, ৩৫৬২৬০/১০/৪৭০১৭২/৭ মোবাইল সেটটি সহ ৫০০ ইউএস ডলার, আনুমানিক বাংলাদেশী  ৭,৫০০/- টাকা ও  ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ও ১টি ৬ আনা ওজনের আংটি সহ মূল্যবান কাগজপত্রাদি জোর পূর্বক ছিনাইয়া নিয়া যায় ।

পরে এ বিষয়ে সাংবাদিক নিজে ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩  তারিখে আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং- ১১৬০। উক্ত সাধারণ ডায়েরীর মূলে পুলিশ কর্তৃক তদন্তের পর বর্নিত আসামীর নাম ঠিকানা প্রকাশ পায়।পরবর্তীতে আসামী বাদীকে মোবাইল ফোন সহ বর্নিত মালামাল ফেরত না দিয়া তালবাহানা শুরু করে।

উক্ত মামলায় মহামান্য আদালত আমলে নিয়ে তা আশুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মোবাইল ফোন হারানোর বিষয়ে এএসআই মজিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরীর তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানা কর্মরত এ এস আই মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, জিডি মূলে সিডিআর সার্চ করে পৌঁছে যায় মোবাইল ফোন  ব্যবহারকারী মহিলার কাছে। উক্ত মহিলা জানায় রেজিস্ট্রিকৃত  সিমের মালিক তার স্বামী ইউ,এন,ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বিজয় নগরে যোগাযোগ করার জন্য।তখন তিনি একটি ফোন নাম্বার ও দেন। উক্ত ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে ইউ,এন ওর পি এ ফয়সাল জানান তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইউ,এন ও।

এ বিষয়ে সাংবাদিক আশিকুর রহমান জানান, ছিনতাকৃত মালামাল ফিরে পাওয়ার জন্য সে মহামান্য আদালতে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।তার আশা এখন সে সুবিচার ও মালামাল ফিরে পাবেন।এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ইউ,এন ওর নাম্ভারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে শুনেছি মামলা হয়েছে তবে এখনো মামলার কোন কপি হাতে পাইনি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের  সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব

আরও খবর

পত্নীতলায় পাঁচ ডাকাত আটক

সোমবার ০৫ জুন ২০২৩




বাগেরহাট আদালত প্রাঙ্গনে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য নির্মান হচ্ছে “ন্যায় কুঞ্জ”

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসা বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য “ন্যায় কুঞ্জ” নামের ভবন নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা  জজ আদালত প্রাঙ্গণে এই ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন হাইর্কোট বিভাগের বিচারপতি মোঃ খায়রুজ্জামান। এসময় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ রবিউল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোঃ সাইফুল ইসলাম, নারী ও শশিু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক মোঃ মঈন উদ্দিন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ওসমান গনী, পুলিশ সুপার কে এম আরফিুল হক উপস্থিত ছিলেন।আইন মন্ত্রনালয়ের র্অথায়নে গনর্পূত বিভাগ প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে  নির্মান করবে “ন্যায় কুঞ্জ” নামের এই বিশ্রামাগা ভবন। এই ভবনে ২ টি পয়নিস্কাশন কক্ষ, ১টি মাতৃদুদ্ধ কর্নার, ১টি ক্যান্টিন ও প্রয়োজনীয় ফ্যান থাকবে।

এক সাথে একই সময়ে ৮০ থেকে ১০০ জন বিশ্রাম নিতে পারবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন গনপূর্ত বিভাগ বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু জাফর সিদ্দিক। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে বিচারপরতি মোঃ খায়রুজ্জামান বলেন, প্রধান বিচারপতি মহোদয়ের অভিপ্রায়ে দেশের প্রতিটি আদালতে “ন্যায় কুঞ্জ” নামের বিশ্রামাগার স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।  এর ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে “নায় কুঞ্জের” ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হল। এই বিশ্রামাগারে বিচারপ্রার্থীরা যেমন বিশ্রাম নিতে পারবেন। তেমনি বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলাসমূহ, বিশেষ করে পুরাতন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলাসমূহ নিস্পত্তিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এই বিচারপতি। পরে তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কনফারেন্স কক্ষে বাগরেহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে র্কমরত বিচার বিভাগীয় র্কমর্কতাদের সাথে বিচারাধীন মামলাসমূহ নিস্পত্তি করার বিষয়ে মতবিনিময় সভা করেন।


আরও খবর

পত্নীতলায় পাঁচ ডাকাত আটক

সোমবার ০৫ জুন ২০২৩




যৌতুকের টাকা না পেয়ে শাশুড়ীকে পেটালেন জামাই,থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: যৌতুকের টাকার জন্য হাতীবান্ধায় স্ত্রী,শাশুরী,শ্যালক,নানী শাশুরী সহ ৫ জন কে পেটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সোহাগের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই গৃহবধুর চাচা খাইরুল ইসলাম। প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, প্রায় দেড়বছর আগে উপজেলার দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের সহিদার রহমানের মেয়ে মিম আক্তারের সাথে সিংগীমারাী গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে সোহাগের বিবাহ হয়। কিন্তু প্রায় সময় যৌতুকের টাকার জন্য সোহাগ তার স্ত্রী মিম আক্তার কে মারপিট করতো। শুক্রবার রাতে আবারো যৌতুকের টাকা দাবী করে সোহাগ তার স্ত্রীকে মারপিট করে। মিম আক্তার এর ছোট ভাই দেখতে গেলে তাকেও মারপিট করে।  

মোবাইল মাধ্যমে এ খবর শুনে মিম আক্তারের মা লাকী বেগম, খালা লাভলী বেগম ও দাদী ছকিনা বেগম দেখতে গেলে এক পর্যায়ে সোহাগ ও তার বাবা আবেদ আলী মা, চাচা যৌর্থ্য ভাবে পরার্মশ করে ঘড়ে দরজা বন্ধ করে সকলকেই এলো পাতারি মারপীট করেন,এতে  সকলেই আহত হয়। এ সময় মীমকে যেতে না দিলেও অপর আহতরা স্থানীয় লোকজনের সহয়তায় চলে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। মিম আক্তারের চাচা খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ শনিবার রাতে মিম আক্তারকে তার স্বামী সোহাগের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে সোহাগের বাবা আবেদ আলী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য যৌতুকের মিথ্যা অভিযোগ থানায় দিয়েছে। থানা অফিসার ইনর্চাজ শাহা আলম অভিযোগ পেয়েছে স্বীকার করে জানান অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর

পত্নীতলায় পাঁচ ডাকাত আটক

সোমবার ০৫ জুন ২০২৩