Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

যশোরের ঝিকরগাছায় দৃর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করেছে টিউবওয়েল,চায়ের দোকান ও হোটেলের পানিতে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৮৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বিশ্ব পানি দিবসের গভীর রাতে যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে স্কুলের টিউবওয়েল সহ চায়ের দোকান ও হোটেলের ড্রামের পানিতে বিষ প্রয়োগ করেছে দৃর্বৃত্তরা। পানিতে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে টের পাওয়ায় বিষাক্ত পানি পান থেকে বিরত থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে পুরো গ্রাম পানি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান।

গ্রামবাসীরা জানান, অজ্ঞাত চোরেরা শনিবার মধ্যরাতে ঝিকরগাছার বোধখানা গ্রামের চা-দোকানদার সাইদ হোসেনের দোকানে চুরি সংঘটিত করে। এরপর ওই দোকানে বোতলে রাখা কিটনাশক বিষ নিয়ে বোধখানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল, বোধখানা বাজারের টিউবওয়েলসহ এলাকার কয়েকটি চায়ের দোকানের চা-কেটলি, হাড়ি, হোটেলের পানির ড্রাম ও বাসাবাড়ির টিউবওয়েলের মধ্যে বিষ প্রয়োগ করে। এরপর কিটনাশক বিষে বিষাক্ত হয়ে যায় ওইসকল টিউবওয়েল, চায়ের দোকান ও হোটেলে সংরক্ষিত পানি।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওইসব টিউবওয়েলে লাল কাপড় বেঁধে বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। টিউবওয়েল থেকে সাদা রঙের পানি বের হচ্ছে। যা থেকে তীব্রতর হচ্ছে বিষের গন্ধ।

চা-দোকানদার সাইদ হোসেন বলেন, আমার দোকানে একটা বিষের বোতলে বিষ রাখা ছিল। চোরেরা আমার দোকানে চুরি করে, আমার দোকান থেকে বিষের বোতল নিয়ে গ্রামের টিউবওয়েল, বাসাবাড়ির হাড়ি, চায়ের দোকানসহ অনেক স্থানে বিষ প্রয়োগ করেছে।

ওই গ্রামের বাসিন্দা চা-দোকানি সাবানা বেগম জানান, তিনি ভোর রাতে সেহরি খেয়ে পানি খাওয়ার জন্য টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করছিলেন। এমন সময় টিউবওয়েলের পানিতে বিষাক্ত গন্ধ তার নাকে আসে। পরে তার পরিবারের সদস্যসহ আশপাশের মানুষেরা তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখেন তার টিউবওয়েল থেকে বিষাক্ত পানি উঠছে। শুধু তাই নয়, এ সময় তিনি দেখেন তার চায়ের দোকানের কেটলি এবং হাড়িতেও বিষ মিশিয়েছে কে বা কারা। এ ঘটনার পরপরই পুরো গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। একে একে গ্রামবাসীর নজরে আসে অন্যান্য টিউবওয়েল, বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকান ও হোটেলে বিষাক্ত কিটনাশক মিশ্রিত সাদা রঙের পানি। ফলে পিপাসা পেলেও পানি পান করার সাহস পাচ্ছেন না ওই গ্রামের বাসিন্দারা।

উক্ত গ্রামের বাসিন্দা সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, পুরো গ্রাম এখন আতঙ্কে আছে। আমাদের কাছে এ পর্যন্ত ৫-৬টি বাসা-বাড়ি, হোটেল, চায়ের দোকান ও টিউবওয়েলে বিষ প্রয়োগের খবর এসেছে। ওইসব টিউবওয়েল থেকে সাদা বিষ মিশ্রিত পানি বের হচ্ছে। আজ যদি চা-দোকানী সাবানা বেগম বুঝতে না পারতো তাহলে বোধখানা গ্রাম আজ লাশের গ্রামে পরিনত হতো।

গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রিন্স আহমেদ বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা অমানুষ। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি আরো বলেন, আমি পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করেছি। তারা ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করল গেছে। পুরো গ্রামে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে পানি পানে সতর্ক করা হয়েছে। এই গ্রামে ১০ হাজার লোকের বসবাস। আল্লাহ অনেক বড় দুর্ঘটনা থেকে এ গ্রামকে রক্ষা করেছে।

ঝিকরগাছা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম আলী আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, বিষ প্রয়োগের ঘটনা শোনামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। খোঁজ খবর নিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



রাজশাহী পুঠিয়ায় এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image
পুঠিয়া ( রাজশাহী)প্রতিনিধি:রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার  বানেশ্বর থান্দার  পাড়া এলাকায় বস্তা বন্দী এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। 

শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৪: ২০ঘটিকার সময় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশটি ঘিরে রাখে। এ সময় পুলিশ সি আই ডিকে খবর দেয়। রাজশাহী থেকে  সিআইডি এসে লাশটির নমুনা সংগ্রহ 

পুলিশ ধারণা করছে, গত ৪/৫ দিন  আগে বেদেনা বেওয়া( ৬০) নামের এক নারী নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ ছিলো। পরে তার পরিবার রাজশাহীর পুঠিয়া থানা লিখিত অভিযোগ জানান। 
খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিলো না। গতকাল ঈদের দিন উক্ত বৃদ্ধ ছেলে রিপন আলী  (২৭) পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ করে। 

আজ বিকালে এলাকাবাসী বাড়ির পাশে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেয়। স্থানীয়রা বলছে, মৃতের মুখে কসটেপ মারা ছিলো। গলা কাটার চিহ্ন ছিলো।  তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। 
পুলিশের ধারণা পারিবারিক বা স্থানীয় কোন কহলের কারণে এমন ঘটতে পারে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রাজ্জাক হোসেন দুলাল জানান। আমি এলাকার বাইরে ছিলাম এসে দেখি এই ঘটনা। মেয়েটা  নাকি চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিল আমি সেটা আজকে শুনলাম পুঠিয়া থানা পুলিশ এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুঠিয়া থানা ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানায় আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। দেখি বস্তাবন্দি একটি  লাশ পড়ে আছ।   পরে আমরা রাজশাহী সিআইডিকে খবর দিই সিআইডিএসে  নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

আরও খবর



ঈদে মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে ২ দিন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঈদে মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল । এদিকে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার। এরপরের দিন শুক্রবার। এদিন মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক ছুটি। এ হিসাব করেই মেট্রোরেল চলাচল দুইদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল আগেই। গত ঈদেও এ সার্ভিস বন্ধ ছিল। কাজেই বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিনও মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। আর শুক্রবার তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে মেট্রোরেল চলাচল দুই দিন বন্ধ থাকবে। এরপর শনিবার (১৩ এপ্রিল) থেকে সময়সূচি মেনেই চলবে মেট্রোরেল।

ডিএমটিসিএলের উপব্যবস্থাপ আরও জানান, রমজান মাসের প্রথম দিকে মেট্রোরেলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন। রমজানের আগে এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখের কাছাকাছি। তবে ১৬ রমজান থেকে মেট্রোরেলের চলাচল এক ঘণ্টা বাড়ানোর পর যাত্রীর সংখ্যা বাড়ে। কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ করে যাত্রী চলাচল করেছেন।

ঈদে আশানুরূপ যাত্রী পাওয়া যাবে না। এতে খরচ বাড়বে। এ ছাড়া কর্মীর সংখ্যাও কম। ফলে এদিন মেট্রোরেল চালু রাখলে প্রায় সবাইকে ঈদ বাদ দিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। সব মিলিয়ে তাই ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের উদ্যেগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। রোববার (৭এপ্রিল) উপজেলা সদর ডাইংপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের পাশে এছাদের বাদ আসর বাংলাদেশ জমঈয়াতে আহলে হাদিস গোদাগাড়ী উপজেলা শাখার আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শাহ সুলতান কামিল মাদ্রাসা সাবেক অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাসুদেবপুর দাখিল মাদ্রাসা সাবেক সুপার মাওঃ আব্দুল্লাহ। আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে আলোচক ছিলেন ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাও: দুরুল হুদা, মাও: খায়রুল ইসলাম, আব্দুল হাদী ও আব্দুস সালাম প্রমূখ। এসময় প্রধান আলোচক ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী বলেন,আমাদের সবাইকে সহিহ সুন্নাহ ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। অতএব দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি ও মুক্তি পেতে হলে কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণের বিকল্প কোন পথ নেই। তাই কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দ্বীনী ইলম শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলাত সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।শেষে তিনি বলেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আমি আপনাদের মনোনীত প্রার্থী আমার জন সবাই দোয়া করবেন।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহ থেকে কৃষকদের সুরক্ষায় উপকরণ বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা ইউনিয়নের নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামের  মাঠে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার বিকেলে দরিদ্র ও অস্বচ্ছল কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কাস্তে, গামছা ও মাথাল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেণ মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। 

চলমান তীব্র তাপদাহের মধ্যে কৃষকদের কৃষিকাজের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসন, মাগুরা এ ভিন্নধর্মী আয়োজন করে। উক্ত কৃষি উপকরণসমূহের সাহায্যে বিরূপ আবহাওয়ার হাত থেকে কৃষকরা কিছুটা হলেও সুরক্ষা পাবে।  অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক  ড. মো: ইয়াছিন আলী, মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমান, মাগুরা সদর,উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রতিবন্ধী কৃষক আক্কাচ খান প্রমূখ।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন,  মাগুরা জেলা প্রশাসন সর্বদা কৃষকদের কল্যাণার্থে কাজ করে যাচ্ছে। মাগুরা জেলার কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে ও তা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন জেলা প্রশাসক।

আরও খবর



রানা প্লাজা ধস: সাক্ষ্যগ্রহণেই পার ১১ বছর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১১ বছর ধরে সাক্ষ্যগ্রহণেই ঘুরপাক খাচ্ছে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির অবহেলাজনিত হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় । এ মামলায় মোট ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে সর্বোচ্চ আদালতের বেঁধে দেওয়া ৬ মাসের মধ্যে মামলা শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় আইনজীবীদের।

রানা প্লাজার দুর্ঘটনা পুরো বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর কারখানার কর্মপরিবেশ ঠিক করতে চাপ পড়ে দেশের পোশাক শিল্পের ওপর।

এ ঘটনায় অবহেলায় হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলে। ২০১৫ সালে সিআইডি ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। বিচার শুরু হয় পরের বছর। এরপর একের পর এক আসামি হাইকোর্টে যাওয়ায় মামলাটির বিচার থমকে থাকে ২০২২ সাল পর্যন্ত।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার জানান, মূল আসামি রানা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকেন। আবার তাকে জেলখানা থেকে আনলে তার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে চিৎকার-হট্টেগোল করেন।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। কবে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে কেউ জানে না।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার আরও জানান, সাক্ষী যদি না আসে তাহলে বিচারকের কিছু করার থাকে না। এখানে আদালত নিরূপায়। তারপরও আমরা সবরকম চেষ্টা করছি, যতো দ্রুত সম্ভব মামলা শেষ করতে।

এদিকে গেলো ১৫ জানুয়ারি রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার পক্ষে আপিল বিভাগে জামিন চান তার আইনজীবী। সেখানে আপিল বিভাগ সাফ জানিয়ে দেন জামিন হবে না রানার। তবে এ মামলা ৬ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

সঠিক বিচারে সবার সাজা হবে জানিয়ে অবস্থায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, এখানে জড়িত মালিক থেকে শুরু করে দেখভালের দায়িত্বে থাকা পৌরসভা সবার বিচার হবে। কেউ ছাড় পাবে না। তাদের গাফিলতিতে এতো মানুষের প্রাণ গেছে।

রানা প্লাজা মামলায় আসামিদের পক্ষে কথা বলতে রাজি হয়নি কোনো আইনজীবী। গেলো ২১ এপ্রিল এ মামলায় সবশেষ ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। ২৮ জুন এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৬৯ জন গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যান। এ ঘটনায় মোট মামলা হয় ২০টি। এর মধ্যে তিনটি হচ্ছে ফৌজদারি মামলা। শ্রমিক নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করে পুলিশ। অন্যদিকে ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খুনের মামলা ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ইমারত আইনের মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে।


আরও খবর