Logo
আজঃ বুধবার ০৭ জুন ২০২৩
শিরোনাম
১১ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস আল ইত্তিহাদে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করলেন বেনজেমা সিলেটে ট্রাক-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১৩ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এমন সংকট বাংলাদেশে হয়নি: ওবায়দুল কাদের তীব্র তাপপ্রবাহে এবার ইবতেদায়ি স্তরের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ রূপগঞ্জের ইছাপুরা ব্রীজ-দুর্গামন্দির সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ইউপি সদস্য সহ চারজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় সাবেক মেম্বার সেলিম গ্রেফতার বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের সূচি জানাল বিসিবি

যশোর প্রশাসনের নজরদারিতে মাংসের দাম কমছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : এক সপ্তাহ ব্যবধানে যশোরে মাংসের দাম কমতে শুরু করেছে। এরমধ্যে কেজি প্রতি সব ধরনের মাংসের দাম কমেছে ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। সবজিসহ অনেক পণ্যের দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। প্রশাসন আরও কঠোর হলে সবজিসহ দাম কমে যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ক্রেতারা।

রমজানকে সামনে রেখে হু হু করে বাড়তে থাকে মাংসের দাম। ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় মাংস। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে মাংসের দাম ঠিকই কমতে শুরু করেছে। অব্যাহতভাবে  অভিযান চালিয়ে যশোর শহরের বড়বাজারে বেশি দামে মুরগি
বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পেশকার সাইদুর রহমান জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু নাছির ও নুশরাত ইয়াসমিন পরিচালিত পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত বড়বাজারে অভিযান চালান। এ সময় ২১০ টাকা কেজি দরের ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রির অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত একজন ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। একই সময় একই অপরাধে আরেকজন ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট নুশরাত ইয়াসমিন।

বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হয় ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকা। ৩১০ টাকা বিক্রি হয় সোনালী। প্রতি কেজি লেয়ার ও কক মুরগী বিক্রি হয় ৩৩০ টাকা। ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় দেশি মুরগী । প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭০০ টাকা। ১১০০ টাকা থেকে সাড়ে ১১০০ টাকা কেজি ছাগলের মাংসের দাম। কয়েকদিন ধরে মাংসের দামে অস্থিরতা শুরু হয়। ইচ্ছামত দাম বাড়াতে থাকে বিক্রেতারা। এর লাগাম টানতে শুরু করেছে প্রশাসন।

বাজারে ভোজ্য তেলের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৮৫ টাকা কেজি। ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সুপার পাম তেল। পাম তেল বিক্রি হয় ১৪০ টাকা কেজি। ইফতার উপকরণের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি ছোলার বেসন বিক্রি হয় ১০০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের বেসন। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয় ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা। চিড়া প্রকার ভেগে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি
বিক্রি হয়।

বাজারে মাছের সরবরাহ প্রচুর। তারপরও দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি রুই-কাতলা মাছ বিক্রি হয় ২২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি। ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি মৃগেল মাছ। প্রতি কেজি চিলবারকার্প মাছ বিক্রি হয় ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি। ২৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় চাষের শিং মাছ। প্রতি কেজি টাকি মাছ বিক্রি হয় ৩৫০ টাকা। ১৩০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় তেলাপিয়া মাছ। প্রতি কেজি মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ৪৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা।

সবজির দাম একটুও কমেনি। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় টমেটো। প্রতি কেজি শশা বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বরবটি। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সজনে। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজি। কুমড়া বিক্রি হয় ৩০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি মেটে আলু বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি
হয় উচ্ছে ও ধেড়স।

যশোরের বাজারে অপরিবর্তিত আছে আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচের দাম। প্রতি কেজি কাচা মরিচ বিক্রি হয় ৮০ টাকা।  ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয় রসুন। ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁয়াজ। ২০ টাকা কেজি বিক্রি
হয় আলু।

বাজারে চালের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৪ টাকা থেকে ৪৬ টাকা। ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি কাজললতা চাল বিক্রি হয় ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা। ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-৪৯ চাল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬০ টাকা থেকে ৬৮  টাকা।  ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-১০ চাল বিক্রি । প্রতি কেজি বাংলা মতি চাল বিক্রি হয় ৬৮ টাকা থেকে ৭০ টাকা।

বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ’৪০ টাকা। ১শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৯০ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৩০ টাকা। ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কলাইয়ের ডাল।



আরও খবর



তানোরে বাড়ি নির্মানে সরকারী তালগাছের মাথা কর্তন!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তন ও বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য রাজশাহীর তানোরে পাকা বাড়ি নির্মানের জন্য তাল গাছের মাথা গিলে বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছেন ওয়ালটন শোরুমের মালিক শহিদুল ইসলাম নান্টু বলে অভিযোগ উঠেছে। তানোর টু মুন্ডুমালা রাস্তার পৌর সীমানার পশ্চিমে ও রাস্তার দক্ষিণে তালগাছের মাথা কাটার ঘটনা ঘটে রয়েছে। এঘটনায় বৃক্ষ প্রেমী ও পরিবেশ বিদরা গাছ কাটা ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি তুলেছেন। নচেৎ  তার দেখাদেখি  আরো অনেকেই অনায়াসে কাটবে গাছে। 

জানা গেছে, তানোর টু মুন্ডমালা রাস্তার পৌর সীমানা পার হয়ে মুল রাস্তার দক্ষিণে পাকা বাড়ি নির্মান করছেন থানা মোড়ের ওয়ালটন শোরুমের মালিক শহিদুল ইসালাম নান্টু। বাড়ি নির্মানের জন্য সরকারি নয়নজলি ভরাট করেছেন এবং  বিএমডিএর রোপনকৃত তালগাছের মাথা কেটে ন্যাড়া করা হয়েছে। শুধু তাই না গাছে বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। বাড়ি করার জন্য গাছ কেন মেরে ফেলবে এটা অমানুবিক কাজ মনে করেন পরিবেশ বিদরা।

শহিদুল ইসলাম নান্টু বলেন, বাড়ি আমার শ্বশুর করে দিচ্ছে। তালগাছ দুটি অন্যরা নষ্ট করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে থানা মোড়ে ব্যবসা করছি। উড়ে এসে বসিনি। গাছ নিয়ে আমার কিছু হলে আমিও দেখব। আপনি কি গাছের সমস্যার জন্য বিএমডিএকে অবহিত করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, সামান্য দুটি গাছ কেন অবহিত করতে হবে বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো রাস্তার দুপাশে সারিবদ্ধ ভাবে তালগাছ রয়েছে। যে গুলোতে তালের শাস রয়েছে সেগুলো থেকে তাল শাস নামিয়ে প্রচন্ড গরমের কারনে শাসের পানি খেয়ে তৃপ্তি পাচ্ছেন পথচারিরা। কিন্তু সারিবদ্ধ গাছের মাঝে দুটির মাথা কর্তন করে প্রচুর ক্ষতি করা হয়েছে। যিনিই করেছেন তার চরম সাজা হওয়া দরকার মনে করেন পথচারিরা। কারন তালগাছ বিএমডিএর প্রকল্পের গাছ। 

বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, অনুমতি ছাড়া কোনভাবেই গাছ কাটা যাবে না। কারো সমস্যা হলে অফিসে আবেদন করতে হবে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করে নিলামে কর্তন করা হবে। কিন্তু অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা।  সে যতই প্রভাবশালী হোক কোন ছাড় না।

আরও খবর



তালা-কলারোয়ার উন্নয়নের রূপকার এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ. লীগ সরকার দেশকে উন্নয়নের দূর্বার গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে। সমগ্র দেশব্যাপী উন্নয়নের অংশ হিসেবে সংসদ এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ তালা-কলারোয়ায় ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন। এ দুই উপজেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশ পরিচালনার সময় যে উন্নয়ন হয়েছে তার বুন্দু মাত্র উন্নয়ন মূলক কাজ বিগত কোন সরকারের আমলে হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তা ঘাট সংস্কার ও নির্মাণ, বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, মসজিদ, মন্দির নির্মাণ ও সংস্কার, স্বাস্থ্য, কৃষি ও মৎস্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন আ. লীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য উন্নয়নের রূপকার এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি।

তিনি ওয়ার্কাস পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য হয়েও শেখ হাসিনার সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে বিরামহীন ভাবে কাজ করে চলেছেন। সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আ. লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমি সংসদ সদস্য হয়ে এলাকার উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তায় ইটের সলিং, প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন বাউন্ডারি বিদ্যালয়ের ওয়াশ বøক ক্স বিশুদ্ধ পানির স্থাপন, নতুন নতুন রাস্তা নির্মান রাস্তা পাকা করণ, ড্রেন নির্মাণ, ই সেবা কেন্দ্রে আধুনিক সরঞ্জাম প্রান, ব্রীজ নির্মাণ, বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ তার উদ্যোগে হয়েছে। আর্সেনিক মুক্ত টিউবয়েল স্থাপন। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির মাদরাসা, ঈদগাহ ও কবর স্থানে ব্যাপক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে তিনি দুই উপজেলাবাসীর কাছে ইউনিয়নে রুপকার হিসাবে নিজের অবস্থান করে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করে যাচ্ছি এবং প্রতিটি ইউনিয়ন আধুনিক রূপান্তরিত করার জন্য ভবিষ্যতে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আসন্ন সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই গরম হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। সকাল হতে শুরু করে রাত-দিন পথে ঘাটে, পাড়া, মহল্লা, হাট বাজারে ও চায়ের দোকানে চলে নির্বাচনী মতবিনিময় ও প্রচার-প্রচারণা। 

এরই ধারাবাহিকতায় তালা-কলারোয়া-১ আসনের নির্বাচন নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে চলছে জনসংযোগ। তবে এলাকায় উন্নয়নে সাধারণ ভোটারদের মতামত নিয়ে চলে নানা প্রতিক্রিয়া এনিয়ে অনেকের কাছে আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, তালা-কলারোয়ার-১ আসন থেকে আমাকে দুই দুই বার নৌকা প্রতিক দিয়েছে এলাকাবাসি আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। আমি আমার দুই উপজেলায় মাদকমুক্ত আধুনিক পরিকল্পিত শিক্ষাবান্ধব মডেল উপজেলা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি এজন্য অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের কষ্ট এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খুব কাছ থেকে সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে করে যাচ্ছি বিশেষ করে সমাজের অসচ্ছল অসহায় গরিব, বিধবা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী মানুষের সহায়তা করে যাচ্ছি। দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতি করে এলাকায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। করোনা কালিন সময়ে সরকারি বরাদ্বের পাশাপাশি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী গরিব দুঃখী মানুষের পাশে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের জনগণ মনে করেন সব সময় কাছে পাবার জন্য এমন একজন জনবান্ধব এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলাবাসী চাইলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আবারও আমাকে এমপি নির্বাচিত করবেন। আমি আমার সংসদীয় এলাকাবাসীর পাশে আছি ভবিষৎতে ও পাশে থেকে আধুনিক ডিজিটাল উপজেলা গড়ে তুলবো।


আরও খবর



মণিপুরে নিহত বেড়ে ৬০, পালাচ্ছে মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে চলমান সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে কয়েক শত মানুষ। এ ছাড়া ঘরছাড়া হয়েছেন অন্তত ২৩ হাজার বাসিন্দা। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও সিএনএনের। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছে এবং সংঘাতে ঘরছাড়া হয়েছে হাজার হাজার জন।

একই দিনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক নিউজ চ্যানেলে বলেন, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি লোকদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ 

তবে বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটি থেকে দেশের অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ বিমানে তাদের নিরাপদে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

খবরে বলা হয়েছে, মণিপুর থেকে অন্তত ৬০০ মানুষ পার্শ্ববর্তী মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের প্রায় সবাই কুকি-চিন-মিজো জনগোষ্ঠীর মানুষ।

মণিপুর থেকে যেসব রাজ্য তাদের শিক্ষার্থীদের বা লোকদের সরিয়ে নিচ্ছে সেগুলো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম, অন্ধ্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি বা মহারাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে সংঘাত থামলেও বর্তমানে রাজ্যটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

অনেক রাজ্যই তাদের লোকদের মণিপুর থেকে সরিয়ে নিচ্ছে 

এর আগে স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, সংঘাতে অনেক গাড়ি এবং ভবন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় সেনাবাহিনী নেমেছে এবং পাঁচদিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।

স্থানীয়রা বলছেন, তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায়। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফালের বাসিন্দা এল সানগ্লুম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা এখন আর আমাদের নিরাপদ মনে করছি না। কুকির সম্প্রদায়ের এ ব্যক্তি ইম্ফালের বিমানবন্দরের বাইরে তার পরিবারের ১১ সদস্যের সঙ্গে অবস্থান করছেন।

রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে 

রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনও বেশ থমথমে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এন বিরেন সিং জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে এক হাজারের বেশি বন্দুক লুট হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২০০ টি উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, অস্ত্রগুলো ফেরত দেওয়া হলে রাজ্য অভিযান শুরু করবে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মণিপুরে মেইতেইরা মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশেরও বেশি। সেখানে নাগা ও কুকিরা ৪০ শতাংশ। এতদিন মেইতেইদের আদিবাসী বলে মানা হতো না।

কিন্তু এবার হাইকোর্ট তাদের সেই তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেয়। মেইতেইরা এতদিন ধরে ‘নোটিফায়েড' পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারতো না। কিন্তু এবার তারা পারবে। এ সিদ্ধান্তে অন্য আদিবাসীরা ক্ষুব্ধ হন। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে নাগা ও কুকিরা গত সপ্তাহে প্রতিবাদ জানান, যা সহিংসতায় রূপ নেয়।


আরও খবর



আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

সিলেট সিটি নির্বাচনের ২ মেয়র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই মেয়র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ দুজন হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলামকে (বাবুল)। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রার্থীদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘আজ ৩০ মে প্রকাশিত প্রথম আলো পত্রিকার “আচরণবিধি লঙ্ঘন চলছেই, বন্ধে নেই পদক্ষেপ’ শিরোনামে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, আপনি নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন।

প্রার্থীদের উদ্দেশে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার চিঠিতে বলেছেন, ‘আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে আপনি স্বয়ং অথবা আপনার উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।

গতকাল সোমবারবাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। একই দিন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলামকে (বাবুল) নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতীকসংবলিত প্রচারপত্র বিতরণ করেন।

সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, ‘দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়েছে। তাই এ বিষয়ে প্রার্থীদের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।


আরও খবর



অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ড. ইউনূসের বিরু‌দ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতি‌বেদক:গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের অ‌ভি‌যো‌গে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন (দুদক)। মামলায় ২৫ কো‌টি টাকা আত্মসাৎ ও পাচা‌রের অ‌ভি‌যোগ আনা হ‌য়ে‌ছে।

আজ মঙ্গলবার দুদকের উপপ‌রিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান মামলা‌টি ক‌রেন। দুদ‌কের সম‌ন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ দা‌য়ের করা ওই মামলার বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রেন সংস্থা‌টির ভারপ্রাপ্ত স‌চিব ও মহাপ‌রিচালক (প্রশাসন) রেজওয়ানুর রহমান।

এর আগে গত বছ‌রের ১ আগস্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাতসহ বেশ‌ কিছু অ‌ভি‌যোগ অনুসন্ধা‌নে না‌মে দুদক।

অভিযোগগুলো হলো— অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট। শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন। শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ। কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।

প্রসঙ্গত, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-২১৯৪) সিবিএর সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিশে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ।

গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে এ ছাঁটাই করা হয়েছে। এরপর সেই নোটিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন ২৮ জন কর্মী। এই ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে ড. ইউনূসকে তলবও করেছিলেন হাইকোর্ট।

এছাড়া ২০২১ সা‌লের ১২ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর।

যেখানে অভিযোগ করা হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি।


আরও খবর