Logo
আজঃ সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
শিরোনাম

যৌতুকের টাকা না পেয়ে শাশুড়ীকে পেটালেন জামাই,থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: যৌতুকের টাকার জন্য হাতীবান্ধায় স্ত্রী,শাশুরী,শ্যালক,নানী শাশুরী সহ ৫ জন কে পেটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সোহাগের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই গৃহবধুর চাচা খাইরুল ইসলাম। প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, প্রায় দেড়বছর আগে উপজেলার দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের সহিদার রহমানের মেয়ে মিম আক্তারের সাথে সিংগীমারাী গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে সোহাগের বিবাহ হয়। কিন্তু প্রায় সময় যৌতুকের টাকার জন্য সোহাগ তার স্ত্রী মিম আক্তার কে মারপিট করতো। শুক্রবার রাতে আবারো যৌতুকের টাকা দাবী করে সোহাগ তার স্ত্রীকে মারপিট করে। মিম আক্তার এর ছোট ভাই দেখতে গেলে তাকেও মারপিট করে।  

মোবাইল মাধ্যমে এ খবর শুনে মিম আক্তারের মা লাকী বেগম, খালা লাভলী বেগম ও দাদী ছকিনা বেগম দেখতে গেলে এক পর্যায়ে সোহাগ ও তার বাবা আবেদ আলী মা, চাচা যৌর্থ্য ভাবে পরার্মশ করে ঘড়ে দরজা বন্ধ করে সকলকেই এলো পাতারি মারপীট করেন,এতে  সকলেই আহত হয়। এ সময় মীমকে যেতে না দিলেও অপর আহতরা স্থানীয় লোকজনের সহয়তায় চলে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। মিম আক্তারের চাচা খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ শনিবার রাতে মিম আক্তারকে তার স্বামী সোহাগের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে সোহাগের বাবা আবেদ আলী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য যৌতুকের মিথ্যা অভিযোগ থানায় দিয়েছে। থানা অফিসার ইনর্চাজ শাহা আলম অভিযোগ পেয়েছে স্বীকার করে জানান অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর নামে শান্তি পদক প্রবর্তনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পুরস্কার প্রবর্তন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আজ রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এ ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। আমাদের কাছে একটা প্রস্তাব এসেছে— জাতির পিতা শান্তি পুরস্কার দেওয়ার। সেই প্রস্তাবটিতে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। শুধু তাই নয়, আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পদক প্রবর্তন করার ব্যবস্থা করছি।

তিনি আরও বলেন, ‘সারাবিশ্বে যারা শান্তির জন্য কাজ করবে, তারা এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শান্তির বাণী শুনিয়েছেন, কিন্তু নিজেকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা কোনো অশান্তি চাই না। কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। জাতির পিতার এই নীতিতে আমরা এখনো চলি।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সহায়ক মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে, শান্তির মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান হোক। আমরা সংঘাত চাই না, সবার উন্নতি চাই।

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে আমরা পেরেছি, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় করেছি আলোচনার মাধ্যমে, তাহলে আজ কেন এই অস্ত্র প্রতিযোগীতা?

বিশ্বের কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অস্ত্র প্রতিযোগীতায় যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে সেই অর্থ কেন ব্যয় হয় না ক্ষুধার্ত শিশু ও মানুষের জন্য? এই অস্ত্র প্রতিযোগীতার কারণে বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মানুষ, শিশু, নারী মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি, তারাও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। কাজেই আমরা চাই, বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক।

বিশ্ব শান্তিতে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তৎকালীন শান্তি পরিষদের মহাসচিব বলেছিলেন, শেখ মুজিব কেবল বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যাতে শান্তির কথা ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা ছিল। তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

জাতির পিতার কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথাই তিনি বলে গেছেন।


আরও খবর



ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি রিয়ালকে হারিয়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমির প্রথম লেগে ড্র করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদ। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রিয়ালকে গোল বন্যায় ডুবিয়েছে ম্যানসিটি। বের্নার্দো ডে সিলভার জোড়া গোলের সুবাধে লস ব্লাঙ্কোসদের ৪-০ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা।

ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে সিলভার পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদের জালে বল পাঠিয়েছেন আকেঞ্জি ও আলভারেজ। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পেপ গার্দিওলার দল। আগামী ১১ জুন ফাইনালে লড়বে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে।

ইতিহাদে শুরু থেকেই অতিথিদের চেপে ধরে স্বাগতিকরা। একের পর এক আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। বেশ কয়েকবার সুযোগও পায় সিটি। রিয়াল গোলরক্ষক বারবারই ঠেকিয়ে দেন আক্রমণগুলো। তবে হার মানতে হয় তাকেও। ২৩ মিনিটে ডি ব্রুইনের পাস থেকে গোল আদায় করেন বের্নার্দো ডে সিলভা। সিটি এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।

৩৭ মিনিটে জোড়া গোল আদায় করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সিলভা। পর্তুগিজ তারকার জোড়া গোলে প্রথমার্ধ শেষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় গার্দিওলার দল।

বিরতির পর সমান তালেই লড়েছিল দুইদল। সিটি তৃতীয় গোলটির দেখা পায় ৭৩ মিনিটে। ডি ব্রুইনের পাস থেকে এবার গোল আদায় করেন আকেঞ্জি। এরপর যোগ করা সময়ে সিটিজেনদের হয় চতুর্থ গোলটি করে হুলিয়ান আলভারেজ। সিটির রক্ষণ পরাস্তে রিয়াল ব্যর্থ হওয়ায় ৪-০ গোলে শেষ হয় ম্যাচ। এরপর স্প্যানিশ জায়ান্ট বিদায় করে ফাইনাল নিশ্চিতের উল্লাসে মাতে প্রিমিয়ার লিগ জায়ান্টরা।


আরও খবর



এটি প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সফর: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর এবারকার বিদেশ সফর বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক সফর। 

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, অনেকের অন্তরজ্বলা আছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে যারা হিংসা করে, তারা সহ বিএনপি এই সফর নিয়ে বিষোদগার করতে শুরু করেছে।

আজ শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্ব সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে যদি কেউ বিবেচনা করে তাহলে এটি একটি ঐতিহাসিক সফর।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে অপবাদ দিয়ে যে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংকের সভাপতি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশিদারিত্ব উদযাপনের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বিপুলভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গৌরবের।

তিনি বলেন, ‘অনেকের অন্তর জ্বালা আছে। শেখ হাসিনার এত উন্নয়ন, এত অর্জন তাদের সহ্য হয় না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা দেখে যারা হিংসা করে, বিএনপি সহ এই শক্তিটি আজকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তার সফর নিয়েও কটাক্ষ করছে। তারা বলছে- শেখ হাসিনা নাকি খালি হাতে ফিরে আসবেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিএনপি নেতাদের বলবো, যারা বলেন শূন্য হাতে ফিরে আসছে, বিশ্বব্যাংকের নতুন সভাপতির বক্তব্যটা একটু পড়ুন। ভাষাটা একটু পড়ুন। বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান, আইএমএফএর প্রধান প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন। শেখ হাসিনার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।

যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামশুন নাহার চাপা, কৃৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক দেলোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।


আরও খবর



পেরুতে সোনার খনিতে আগুন, ২৭ শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পেরুতে একটি সোনার খনিতে আগুন লেগে অন্তত ২৭ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। দেশটির আরেকুইপা অঞ্চলের একটি খনিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরেকুইপা অঞ্চলের ‘লা এসপেরানজা’ নামের ওই সোনার খনিতে শনিবার এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।

উদ্ধার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে আর কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে খনিটি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে ৩০ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। তার আগেই সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা ছবি ও ভিডিওতে পাহাড়ের পাদদেশের ওই খনি থেকে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।

ধারণা করা হয়, যখন আগুন লাগে তখন খনি শ্রমিকরা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০/১০০ মিটার নিচে কাজ করছিলেন।কয়েক দশকের মধ্যে এটা পেরুতে সব থেকে প্রাণঘাতী খনি দুর্ঘটনা।

আঞ্চলিক গভর্নরের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খনিটি খুবই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখান থেকে সড়কপথে সবচেয়ে কাছের পুলিশ স্টেশনটিতে পৌঁছাতেও ৯০ মিনিট সময় লাগে। আর সবচেয়ে কাছের শহরে যেতে লাগে বেশ কয়েক ঘণ্টা। এই দূরত্ব জরুরি উদ্ধার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে।

স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নিখোঁজ খনি শ্রমিকদের স্বজনরা রোববার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিন্তু তাদের দুর্ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

খনি কোম্পানির পক্ষ থেকেও এ দুর্ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি পেরু।


আরও খবর



তানোরে জমিজমা নিয়ে মারপিট আহত ৫

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে দেশীয় অস্ত্র সজ্জে সজ্জিত হয়ে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারপিলে মহিলা প্রবাসীসহ উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন( ইউপির) ধানোরা উত্তর পাড়া গ্রামে ঘটে মারপিটের ঘটনা। এঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি  লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এক পক্ষের শামিম বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে অভিযোগ করেন। অপর পক্ষের পারভীন বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামী করে অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে তদন্ত করতে যান এএসআই মজনু। তিনি সাব জানিয়ে দেন সবাই সুস্থ হলে বাটোয়ারা দলিল না করলে মারপিট অব্যাহত থাকবে। এজন্য দ্রুত বাটোয়ারা দলিল করলে হয় তো মারপিট বন্ধ হতে পারে।আহতরা হলেন হারেস আলী,ভাই বাবুল হোসেন। তারা মৃত জহির উদ্দিনের পুত্র। অপর পক্ষের আহতরা হলেন প্রবাসী সফিউল, শামিম ও বোন ফাহিমা। তারা মৃত সরুত আলী মন্ডলের পুত্র। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। হাসপাতাল থেকে আসলে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষের আশংকা করছেন গ্রাম বাসিরা।

উভয়ের অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির ধানোরা গ্রামের উত্তর পাড়ায় গত বুধবার হারেস ও সফিউলদের জমিজমা মাপেন আমিন। এরই এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটির  জেরে উভয়ের মধ্যে  দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারপিট শুরু হয়।মারপিটে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে হারেস ও বাবুলে মাথা পেটে চৌচির হয়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি ব্যবস্থা করে দেন। তাদের বোন অভিযোগ কারী পারভিন জানান, মাথার আঘাত গুরুতর এজন্য বৃহস্পতিবারে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক রা। তবে অপর পক্ষের দাবি তারা নিজ থেকেই রামেকে গেছেন।মেডিকেলের ইমারজেন্সী মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে এক মহিলা রিসিভ করে বলেন এটা আমার জানা নাই।অপর পক্ষের অভিযোগকারী শামিম বলেন, কথা চলা অবস্থায় আমার প্রবাসী ভাই সফিউলকে হত্যার উদ্দ্যোশে কুদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে কিন্তু সে হাত দিয়ে রক্ষা করতে গিয়ে ডান হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে এবং  আমার ডান হাতের শিনার হাড় ভেঙ্গেছে ও বোন ফাহিমার হাতের আঙ্গলও ফ্যাকচার হয়েছে। শুধু তাই না হাসপাতালে বোনকে মেরে বেড থেকে সরিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে সবাই বারান্দায় আছি।গ্রামবাসীরা জানান, তারা আপন চাচাতো ভাই বোন, জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মারপিট। উভয়ে যে ভাবে উত্তেজিত হয়ে আছেন কেউ না কেউ মরবে তারপর সবাই ঠিক হয়ে যাবে বলে ধারনা।থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, উভয়ে অভিযোগ করেছেন, গত বৃহস্পতিবারে তদন্ত হয়েছে। পুনরায় তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও খবর