Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

যমুনা নদীতে নিখোঁজের ৩দিন পর বাঁধ নির্মাণ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীর তীর রক্ষার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর শ্রমিক আকোব্বর আলী (৬০) লাশ উদ্ধার করেছে চৌহালী নৌ পুলিশ।

রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার জনতা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন যমুনা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে স্বজন ও নৌ পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে। 

শ্রমিক আকোব্বর আলী কুষ্টিয়া জেলার খোকশা উপজেলার কোমরভোগ গ্রামের মৃত কাছেদ আলীর ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) উপজেলার জোতপাড়া এলাকায় বিকেলে যমুনায় নৌকা ঘোরানোর সময় হালের বাড়ি লেগে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় তিনি। নিখোঁজের পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালায়। দুইদিনেও খুঁজে না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেন। 

এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সামছুল হক বলেন, জোতপাড়া এলাকায় বাঁধের কাজ করতে আসা এক শ্রমিক নৌকা থেকে পড়ে গত তিন দিন আগে নিখোঁজ হয়। আজ বিকেলে জনতা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন যমুনা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে আমাদের খবর দিলে আমরা গিয়ে উদ্ধার করি।

আরও খবর



মাগুরায় হঠাৎ কোটিপতি ইদ্রজিতের দখলদারিত্বে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার:মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চরশ্রীপুর গ্রামের ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাসকে সবাই চিনত একজন সাধারণ খেটে খাওয়া দিন মজুর হিসেবে। কয়েক বছর আগেও অন্যের জমিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এখন ইদ্রজিতের সম্পদের পরিমাণ কোটি টাকার উপরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে তার বিপুল সম্পদের নেপথ্যে রয়েছে মাদক ব্যবসা, বিট কয়েন, অনলাইন জুয়া, অন্যের জমি দখল ও হুন্ডি কারবারি।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ইন্দ্রজিতের দখলদারির প্রতিকার চেয়ে শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন চর শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা নিশিকান্ত মণ্ডল। সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ইন্দ্রজিত নিশিকান্ত মণ্ডলের ২৭ শতাংশ পুকুর দখলের চেষ্টা করছে। তার চেষ্টায় বাধা দিলে ইন্দ্রজিতকে পুকুর ছেড়ে দিতে বলে এবং না ছাড়লে নিশিকান্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার এসআই শরিফুল ইসলাম বিপি। তিনি বলেন, ওসি মহোদয়ের নির্দেশে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে একজন সাধারণ দিন মজুর থেকে হঠাৎই কোটিপতি বনে যাওয়া ইন্দ্রজিত এখন তিনটি বিল্ডিং, বিপুল অর্থ এবং জমির মালিক। স্থানীয়রা জানান, কারো জমি পছন্দ হলেই ইন্দ্রজিত স্বল্প টাকায় অথবা বিনামূল্যে গায়ের জোরে দখল করে নেয়। বৈধ ব্যবসা ও দৃশ্যমান যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বিপুল সম্পদের এই মালিক ইন্দ্রজিতের ভয়ে এখন অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী নিশিকান্ত মণ্ডল জানান, আমার কষ্টের টাকায় কেনা পুকুরটি ইন্দ্রজিত গায়ের জোরে দখল করতে চায়। সে আর তার কাকা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ও নিখিল বিশ্বাস ক্রমাগত আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছি। জিডি করার পরেও ইন্দ্রজিতের কাকা আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিচ্ছে।চর শ্রীপুরের বাসিন্দা বাবু বিশ্বাস বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে ঘোষণা দিয়ে পুকুরটি দখল করতে চেয়েছে ইন্দ্রজিত। পুকুরের সব মাছ তুলে নিয়ে পুকুরটির আসল মালিককে পুকুর ছেড়ে দিতে বলেছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করলেও সে জিডির বিষয়টি তোয়াক্কা করেনি।

চর শ্রীপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা জনেক মণ্ডল বলেন, শুনেছি ভারতে দিলীপ বিশ্বাস নামে তার আলাদা আইডিকার্ড আছে। সেখানে তার বাড়ি-গাড়িও আছে। হুন্ডি, জুয়া আর মাদক ব্যবসা করে সে এখন অনেক টাকার মালিক। তার কাছে এখন গ্রামের সাধারণ লোকজন জিম্মি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত ইন্দ্রজিতকে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শোনামাত্র ফোন কেটে দিয়েছেন।

শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মসিয়ার রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। ইন্দ্রজিত ছেলেটি কীভাবে এতো টাকার মালিক হলো তা আল্লাহই জানেন। শুনেছি সে কম্পিউটারে রাত জেগে কী জানি করে। প্রশাসনের সহায়তায় বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



নাসিরনগরে (বাসক) নামক এক মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি সম্পাদক সহ চার জনের বিরোদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৮১জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নের  নুরপুরে বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র (বাসক) নামক একটি মানবাধিকার  সংস্থার  সভাপতি সম্পাদকের বিরুদ্ধে খালি ষ্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। জানা গেছে বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র (বাসক) এর সভাপতি নুরপুর গ্রামের মোঃআবুল কাশেম ও সম্পাদক মো: রফিক চিশতী,সদস্য কায়েশ রাজা ও বিলকিছ বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলাটি দায়ের করেন একই গ্রামের মোঃ আছমত আলীর স্ত্রী রাবিয়া বেগম।মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে রাবিয়া বেগমের ছেলে রাসেল মিয়া বিলকিছের ছেলেকে এক বছর পূর্বে সৌদি আরব পাঠায়। সেখানে ওই ছেলে অশান্তিতে রয়েছে বলে বাংলাদেশ আইন সহায়তা  কার্যালয়ে নুরপুর এলাকায় অভিযোগ করেন বিলকিস বেগম।পরে এ নিয়ে  বাসক এর সভাপতি আবুল কাশেম, সম্পাদক মো: রফিক চিশতী, স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে রাবিয়া বেগম কে তাদের কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়।

বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলে।ওই দিন সমাধান হয়নি।পরবর্তী তারিখে রাবিয়া বেগম আসমত আলী, রুপালী বেগম, রিনা বেগম  বাসক কার্যালয়ে যায়। সেখানে বিষয় টি নিষ্পত্তি করার জন্য রফিক চিশতি,  রাবিয়া বেগম ও আসমত আলী কাছ থেক  ১০০ টাকার ৩টি ননজুডিশিয়া খালি  ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে বলেন। তারা স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক  স্বাক্ষর আদায় করে নেয়া হয়।এই ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর  ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ফৌঃ কার্যবিধির ৯৮ ধারাএকটি মামলা দায়ের করেন যার নম্বর ১৫৯৬/২৩।

মাননীয় আদালত বিবাদীগণকে আদালতে তলব করেন সেই সাথে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে বাসকের কার্যক্রমের বৈধতার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদীনি  বলেন আমি আদারতের মাধ্যমে এর সুষ্ঠ সমাধান চাই।বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বাসক)এর নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল কাশেম বলেন আমরা উনাকে নোটিশ করেছি তবে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামগণের মাঝে চেক ও সনদ বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৬জন দেখেছেন

Image
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জ জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ  ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামগণের ২৫ জন এর  মাঝে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ২ শত, ৫০ টাকার চেক ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে এ কে  শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে চেক ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক আহামেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামগণের ২৫ জনের মাঝে চেক ও সনদ হাতে তুলেদেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে, বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আজকে আপনারা জেলা পর্যায়ে সন্মাননা টাকার চেক গ্রহণ করছেন আগামীতে আমি আশা করবো ইনশাআল্লাহ জাতীয় পর্যায়ে সন্মাননা পাবেন, এই আশা করছি। এবং  অন্যের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেন সৃষ্টি না হতে পারে। কারণ, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম।

শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহনশীলতার ধর্ম, যা আমাদের নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়েছেন। তাঁর যে বিদায় হজের বাণী, সেই বাণীই আমরা অনুসরণ করি-কাজেই সেদিকে লক্ষ রেখে আমাদের দেশের কোনো ছেলেমেয়ে যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে, সে জন্য আপনারা যথাযথ শিক্ষা দেবেন এবং সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য আমাদের প্রকৃত যে ধর্ম, শান্তির ধর্ম, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। 

জেলা পর্যায়ে প্রথম হওয়ায় আব্দুল লতিফ তিনি তার অনুভূতিতে প্রকাশ করে বলেন,তাঁর এ কৃতিত্বের জন্য মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করে জানান, আগামীতে আমি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা মডেল কেয়ার টেকার নির্বাচিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে সবার নিকট দোয়া চাই।

উল্লেখ্য ঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে মসজিদের ইমামগণকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেখান থেকে বাচাই করা হয় অর্থাৎ নির্বাচন করা হয় জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ,


আরও খবর



চাঁদপুরে স্ত্রীও শাশুড়ি হত্যা মামলায়: মামুন মোহনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

Image

চাঁদপুর প্রতিনিধি:চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম  চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়ায়  স্ত্রী রিতু ও শাশুড়ি পারভীন  হত্যা মামলায়  আসামী আল মামুন মোহনকে  মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।

রোববার  ( ২৬ নভেম্বর )  দুপুরে মামলার রায় দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ( ২ )  শাহেদুল করিম।

আসামীর উপস্থিতিতে রায় দেয়া হয়।২০২০ সালের ১৩ মে ফরিদগঞ্জ থানার গৃদকালিন্দিয়ায় সেলিম খানের ৩য় তলার বসত বিল্ডিংয়ের নিচতলায় সামনে ইফতারের সময় স্ত্রী ও শাশুড়ীকে চুরি দিয়ে আঘাত  করে নিহত করেন।

মামলায় ২৮ জন স্বাক্ষী সাক্ষ্য দেন।রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন এডিশনাল পিপি  অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূইয়া,  এপিপি  অ্যাড: দেবাশীষ কর মধু ও অ্যাডঃ জসিমউদদীন ( ২)।

আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডঃ সেলিম আকবর,  অ্যাডঃ সফিকুল ইসলাম ভুইয়া।


আরও খবর



মেহেরপুরে আলুবীজের চড়া মূল্যে চাষিরা দিশেহারা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুরে চলতি মৌতুমে আলুর বীজের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় আলু চাষে ব্যয় বৃদ্ধিসহ লোকসানের আশংকা করছেন চাষিরা। গত বছর বিঘা প্রতি আলু চাষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হলেও চলতি মৌসুমে খরচ হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা । এ ছাড়াও কার্ডিনাল আলুর বীজের দেখা মিলছে না বাজারে। আর কৃষি বিভাগ বলছে, বতর্মানে আরুর বাজারদর একটু বেশি হওয়ায় বীজের দাম বেড়েছে। উৎপাদন বাড়লেই আলুর দাম কমে যাবে। তা ছাড়া আলু বীজের তেমন কোনো সংকট নেই। তথ্যমতে, সরকারিভাবে গত বছর কার্ডিনাল ও ডায়মন্ড আলু বীজ ৩০ থেকে ৩২ টাকা এবং এরিস্টন জাতের আলু বীজ বিক্রি হয় ৩৫ টাকা কেজিতে। সেখানে চলতি বছরে কার্ডিনাল ও ডায়মন্ড আলু বীজ সরকারি দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৬ টাকা। আর এরিস্টন জাতের আলুবীজ বিক্রির দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০ টাকা। অথচ খুচরা বাজারে ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা করে। আর এরিস্টন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা করে। কার্ডিনাল আলু বীজ বিএডিসি কর্তৃক শেষ হওয়ায় বাজারে তার দেখা মিলছে না। চাষিরা জানান, বিঘাপ্রতি আলুবীজ প্রয়োজন ছয় মণ হারে। দ্রব্যমূল্যের অজুহাতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আলুর দামে বাড়িয়েছে। যার ফলে বেড়ে গেছে আলুবীজের দাম। অধিক দামে আলুবীজ কিনে চাষ করার পর উৎপাদিত আলু বিক্রির মৌসুমে দাম কমে যায়। ফলে চাষিদের প্রতিবছরই লোকসান গুণতে হয়। কাজিপুর গ্রামের কৃষক হাকিম আলী জানান, গেল বছর চাষিরা প্রতি কেজি বীজ আলু ক্রয় করেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে। এ বছর তার দাম বেড়ে হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। গেল বছর লোকসান হয়েছে। এবছর সব কিছুরই দাম বেশি। উৎপাদিত আলু ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে না পারলে দ্বিগুণ লোকসান হবে। বতর্মানে এক বিঘা আলু চাষ করতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন যা সব কৃষকের পক্ষে জোগাড় করা কষ্টসাধ্য।

নওদাপাড়ার কৃষক রাজা জানান, নিম্ন আয়ের মানুষ যেটিই পছন্দ করে বাজারে তারই দাম বেড়ে যায়। চলতি বছরে দু’বিঘা জমিতে আলু চাষ করার জন্য জমি প্রস্তুত করলেও বীজ সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার একবিঘা জমিতে আলু চাষ করবেন। আলু বীজ বিক্রেতা আব্দুল মালেক জানান, ‘এ বছর অবীজ ও বীজ আলু দুই জাতেরই দামই বেশি। গতবার প্রতি কেজি আলুবীজ বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। এবার তার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ফলে অনেক চাষিই আলু চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ভরা মৌসুমে চাষিদের উৎপাদিত আলুর দাম কমে যায়। তাছাড়া আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় চাষিরা বাধ্য হয়ে সব আলু বিক্রি করে দেয়। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার মো. সামসুল আলম জানান, চলতি মৌসুমে আলু বীজের দাম অন্য বছরের তুলনায় বেশি। কারণ বাজারে খাওয়ার আলুর দাম বেশি হওয়ায় এমনটি হয়েছে। জেলায় এ বছর ৮৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, কৃষকরা যত বেশি আলু চাষ করবে, ততো বেশি উৎপাদন বাড়বে। আর উৎপাদন বাড়লেই আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং আলুর বাজারদর কমে আসবে। তাই উৎপাদনের বিকল্প নেই।


আরও খবর