Logo
আজঃ সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
শিরোনাম

যমুনা নদী ছোট করতে চাওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:যমুনা নদী ছোট করতে চাওয়া কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য কি না এবং ওই প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।

এক রিট আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাকে এসব তথ্য দাখিলের জন্য মৌখিকভাবে আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আগামী রোববার এ বিষয়ে শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

গতকাল রোববার রিটের পক্ষে শুনানি করেন পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

আদালতের আদেশের বিষয়টি জানিয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘গত ১১ মার্চ দৈনিক পত্রিকায় ‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২৭ মার্চ যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্পে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু জবাব না পেয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট করি। গতকাল রোববার এ রিটের শুনানি হয়। শুনানির সময় আদালতকে বলেছি, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী নদী খননের কথা বলছেন। সরকারের নির্দেশনা হলো, নদী কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেটা দেখা। এ ছাড়া নদী রক্ষার পক্ষে আইন ও হাইকোর্টের রায় রয়েছে। তা না করে কিছু কর্মকর্তা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ ধরনের প্রকল্প নেন কীভাবে? পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল কালাম খান দাউদকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়ে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের নাম-ঠিকানা চেয়েছেন। এ ছাড়া, অ্যাটর্নি জেনারেলকে শুনানির দিন থাকতে বলেছেন। আগামী রোববার এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।

এর আগে গত ১১ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতিবছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে। এজন্য তারা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন।


আরও খবর



তুরস্কের ৮৫ মিলিয়ন নাগরিক জিতেছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের বিজয়কে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে অভিহিত করেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গতকাল রোববারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রান-অফ নির্বাচনে কেমাল কিলিচদারোগলুকে পরাজিত করে আরও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা নিশ্চিত করেন তিনি।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নিজের বিজয়কে গণতন্ত্রের বিজয় হিসেবে অভিহিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

হাজারো সমর্থকের সামনে ভাষণ দিচ্ছেন এরদোয়ান 

রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হওয়া হাজারো সমর্থকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরাই একমাত্র বিজয়ী নই। এই নির্বাচনে তুরস্কের জয় হয়েছে, আমাদের গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে।

এরদোয়ান আরও বলেন, ‘আজ কেউ হারেনি। তুরস্কের ৮৫ মিলিয়ন নাগরিক জিতেছে। আর এখন আমাদের জাতীয় লক্ষ্য এবং জাতীয় স্বপ্নকে ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।

প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হওয়া হাজারো সমর্থক

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের (ওয়াইএসকে) চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট পদে এরদোয়ানের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আঙ্কারায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওয়াইএসকে প্রধান আহমেত ইয়েনার বলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে এরদোয়ান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলুকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ ব্যালট গণনা সম্পন্ন হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুসারে, তুরস্কের ক্ষমতাসীন এই প্রেসিডেন্ট ৫২ দশমিক ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট।

সমর্থকদের জয় উদযাপন

এরদোয়ান বলেন, ‘আমাদের বহুদলীয় রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে আমাদের জনগণ ‘‘সেঞ্চুরি অফ তুর্কিয়ের’’ পক্ষে রায় দিয়েছে।’

নির্বাচনটি আধুনিক যুগে তুরস্কের জন্য ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জনগণের জন্য আমাদের দিনরাত কাজ করতে হবে।’

এরদোয়ানের জয়ের খবরে সমর্থকদের উল্লাস

উল্লেখ্য, প্রায় ছয় কোটি ভোটারের মধ্যে ৮৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোটার দ্বিতীয় দফায় ভোট দেন। এর আগে প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

গত ১৪ মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। প্রথম দফার ভোটে ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিলেন এরদোয়ান। এরপরই ছিলেন কিলিচদারোগলু। তার ভোট ছিল ৪৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ ভোট।

জয় উদযাপনে শামিল ছিল শিশুরাও

তবে রোববারের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবারও পাঁচ বছরের জন্য দেশটির নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলেন গত দুই দশক ধরে তুরস্কের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা এরদোয়ান।     


আরও খবর



তানোরে জমিজমা নিয়ে মারপিট আহত ৫

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে দেশীয় অস্ত্র সজ্জে সজ্জিত হয়ে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারপিলে মহিলা প্রবাসীসহ উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন( ইউপির) ধানোরা উত্তর পাড়া গ্রামে ঘটে মারপিটের ঘটনা। এঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি  লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এক পক্ষের শামিম বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে অভিযোগ করেন। অপর পক্ষের পারভীন বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামী করে অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে তদন্ত করতে যান এএসআই মজনু। তিনি সাব জানিয়ে দেন সবাই সুস্থ হলে বাটোয়ারা দলিল না করলে মারপিট অব্যাহত থাকবে। এজন্য দ্রুত বাটোয়ারা দলিল করলে হয় তো মারপিট বন্ধ হতে পারে।আহতরা হলেন হারেস আলী,ভাই বাবুল হোসেন। তারা মৃত জহির উদ্দিনের পুত্র। অপর পক্ষের আহতরা হলেন প্রবাসী সফিউল, শামিম ও বোন ফাহিমা। তারা মৃত সরুত আলী মন্ডলের পুত্র। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। হাসপাতাল থেকে আসলে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষের আশংকা করছেন গ্রাম বাসিরা।

উভয়ের অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির ধানোরা গ্রামের উত্তর পাড়ায় গত বুধবার হারেস ও সফিউলদের জমিজমা মাপেন আমিন। এরই এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটির  জেরে উভয়ের মধ্যে  দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারপিট শুরু হয়।মারপিটে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে হারেস ও বাবুলে মাথা পেটে চৌচির হয়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি ব্যবস্থা করে দেন। তাদের বোন অভিযোগ কারী পারভিন জানান, মাথার আঘাত গুরুতর এজন্য বৃহস্পতিবারে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক রা। তবে অপর পক্ষের দাবি তারা নিজ থেকেই রামেকে গেছেন।মেডিকেলের ইমারজেন্সী মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে এক মহিলা রিসিভ করে বলেন এটা আমার জানা নাই।অপর পক্ষের অভিযোগকারী শামিম বলেন, কথা চলা অবস্থায় আমার প্রবাসী ভাই সফিউলকে হত্যার উদ্দ্যোশে কুদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে কিন্তু সে হাত দিয়ে রক্ষা করতে গিয়ে ডান হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে এবং  আমার ডান হাতের শিনার হাড় ভেঙ্গেছে ও বোন ফাহিমার হাতের আঙ্গলও ফ্যাকচার হয়েছে। শুধু তাই না হাসপাতালে বোনকে মেরে বেড থেকে সরিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে সবাই বারান্দায় আছি।গ্রামবাসীরা জানান, তারা আপন চাচাতো ভাই বোন, জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মারপিট। উভয়ে যে ভাবে উত্তেজিত হয়ে আছেন কেউ না কেউ মরবে তারপর সবাই ঠিক হয়ে যাবে বলে ধারনা।থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, উভয়ে অভিযোগ করেছেন, গত বৃহস্পতিবারে তদন্ত হয়েছে। পুনরায় তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদকদীর্ঘ ১৫ বছর পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আজ বুধবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে এ আবেদন করেন আইনজীবী কায়সার কামাল। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে বিষয়টির শুনানি হবে।

উল্লেখ্য, কানাডিয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে করা চুক্তির মাধ্যমে দেশ ও রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির সৃষ্টি করা এবং দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে। এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে খালেদা জিয়াসহ আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

একই মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।


আরও খবর



১০ দিন পর পৃথিবীতে ফিরে এলেন সৌদি নারী নভোচারী

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:টানা ১০ দিন মহাকাশে অবস্থানের পর পৃথিবীর বুকে ফিরে এসেছেন সৌদির নারী নভোচারী রায়ানা বারনাউই ও তার তিন সহচারী। তাদের বহনকারী স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল ফ্লোরিডার মেক্সিকো উপসাগরের উপকূলীয় শহর পানামা সিটিতে অবতরণ করে। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরতে তাদের সময় লাগে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা।

আল জাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার ফ্লোরিডাতেই ফেরেন তারা।

এর আগে গত ২০ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে করে মহকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান তারা। মহাকাশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১০ দিন বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান এ নভোচারীরা।

রায়ানার সঙ্গে একই রকেটে মহাকাশে গিয়েছিলেন সৌদির পুরুষ নভোচারী আলী আল-কুরনি, জন সেফনার ও নাসার সাবেক নভোচারী পেগি হুইটসন।

এদিকে পৃথিবীতে অবতরণের পর রায়ানাসহ বাকি তিন নভোচারীকে হেলিকপ্টারে করে প্রথম গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়।মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছেন, এ চারজনের পরবর্তী গন্তব্য হলো ক্যাপ ক্যানাভেরাল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে বিমানে করে যাবেন তারা।

এই মহাকাশযাত্রার আয়োজক হিউস্টনভিত্তিক কোম্পানি ‘এক্সিওম স্পেস’। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করে সৌদির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের আরও বেশ কয়েকটি বিভাগ। যাত্রা দলটির নেতৃত্ব দেন নাসার সাবেক নভোচারী পেগি হুইটসন। মহাকাশে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো মার্কিন নভোচারীর রেকর্ড এখনও তার দখলে।

যদিও সৌদি আরবের এটি প্রথম মহাকাশ অভিযান নয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম মহাকাশে যান সুলতান বিন সালমান বিন আব্দুলআজিজ। তিনি বিমান বাহিনীর পাইলট ছিলেন। আমেরিকার একটি মহাকাশ অভিযানে অংশ নেন তিনি।


আরও খবর



‘আরআরআর’ খ্যাত অভিনেতা মারা গেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজা মৌলির ‘আরআরআর’ সিনেমাটি ভারতকে বিশ্বের কাছে আলোকিত করেছে। এই সিনেমার মাধ্যমে দেশটি অস্কার জিতেছে। কিন্তু এবার এল দুঃসংবাদ। এতে দিল্লির কর্তৃত্ববাদী গভর্নরের ভূমিকায় অভিনয় করা খল-অভিনেতা রে স্টিভেনসন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, গত রোববার রাতে রে স্টিভেনসনের মৃত্যু হয়। তবে ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রতিভাবান অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ‘আরআরআর’ সিনেমার টিম। টুইটার হ্যান্ডেলে স্টিভেনসনের একটি ছবি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের ‘আরআরআর’ টিম রে স্টিভেনসনের আত্মার শান্তি কামনা করি। আপনি সবসময় আমাদের হৃদয়ে থেকে যাবেন।

স্টিভেনসন ‘থর’ সিনেমায় একজন অ্যাসগার্ডিয়ান যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছিলেন। এ ছাড়া এইচবিও’র ‘রোম’ এও দেখা গেছে তাকে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের উত্তর আয়ারল্যান্ডের লিসবর্নে জন্ম স্টিভেনসনের। ব্রিস্টল ওল্ড ভিক থিয়েটার স্কুল পড়ালেখা এবং ব্রিটিশ টেলিভিশনে কাজ করেছেন তিনি। এরপর ১৯৯৮ সালে ‘দ্য থিওরি অফ ফ্লাইট’ এর মাধ্যমে হলিউডে ডেবিউ করেন তিনি।


আরও খবর

ঢাকা মাতাবেন অনুপম রায়

শনিবার ০৩ জুন ২০২৩