Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইলে তিতাসের অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদে অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩৩২জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃ 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার মাতুয়াইল কোনাপাড়ার মালিবাড়ি খলিল মাষ্টার রোড ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৪ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন আবাসিক বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।


 সোমবার ১৩ অক্টোবর সকাল ১১ টা থেকে দিনভর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেশকাত জান্নাত রাবেয়া তিতাসের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তিতাসের পক্ষে অভিযানে দলনেতা ছিলেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির টিকাটুলি জোনের উপমহা ব্যবস্থাপক( ডিজিএম) মনিরুল ইসলাম।

এ সময় বেশ কয়েকটি আবাসিক গ্রাহকদের বিরুদ্ধে বৈধ সংযোগ নিয়ে অবৈধভাবে বাড়তি সংযোগ দিয়ে চুলা ব্যাবহার করায় বিভিন্ন অংকের জরিমানা আদায় করা। এবং অবৈধভাবে আবাসিক সংযোগে বাড়তি চুলা ব্যবহারকারীদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাইজার তুলে নেওয়া হয়।


আব্দুল কাদের বাবু ১৪৩/১ কোনাপাড়া খলিল মাষ্টার রোড বাড়ির মালিক একটি ৬ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবনে ২ টা আবাসিক চুলার অনুমোদন এনে ১০ টি চুলা ব্যাবহার করছিলেন, দেলোয়ার হোসেন নামে এক গ্রাহক ৮ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবনে ২ টি চুলার অনুমোদন এনে ২৬ টি চুলা ব্যাবহার করার অপরাধ স্বীকার করায় ৬০ হাজার টাকা নগদ জড়িমানা আদায় করা হয়।অপর একটি আবাসিক বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় সহ বেশ কিছু হোল্ডিং মালিক কে জরিমানা আদায় করা হয়।


গ্যাস ঘাটতি মোকাবেলায় ২০১০ সালের ১৩ জুলাই আবাসিকে সংযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। এ কারণে আবাসিক লাইনে অবৈধ সংযোগের প্রচলন শুরু হয়। অনেক বৈধ গ্রাহক নির্দিষ্ট চুলার স্থলে একাধিক অবৈধ চুলা ব্যবহার করেও তিতাসের সিস্টেম লস করছে।


 তিতাস গ্যাসের ১২ হাজার ২৫৩ কিলোমিটার পাইপলাইন রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় রয়েছে সাত হাজার কিলোমিটার।মুলত এই নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাখ লাখ অবৈধ সংযোগ। একটি সূত্রে জানাগেছে, তিতাসের বিতরণ ব্যবস্থায় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার অবৈধ লাইন রয়েছে। এর মধ্যে শুধু নারায়ণগঞ্জেই রয়েছে ১৮০ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন। এরপর রয়েছে গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী ও ঢাকায়। কুমিল্লা ও চট্টগ্রামেও অবৈধ সংযোগ ও পাইপলাইন ।এই পরিস্থিতি সামাল দিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী এমনকি খোদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। 


তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের টিকাটুলি জোনাল অফিসের উপ- মহাব্যাবস্থাপক (ডিজিএম) মনিরুল ইসলাম বলেন,অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করতে অবৈধ সংযোগের উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিত চলবে


আরও খবর



ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ২ জনের মৃত্যু ॥বিধস্ত অন্তত ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি ॥ আহত- ৩৫

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৬০জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপরে পড়েছে কয়েক শত গাছপালাসহ বিদু্যুতের খুটি। এ সময় ঘর চাঁপায় ও বজ্রপাতের আঘাতে মোঃ হারিছ (৭০) ও বাচ্চু (৩৫) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে নারী-শিশু সহ অন্তত ৩৫ জন। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে জেলার মনপুরা, লালমোহন, বোরহানউদ্দিনসহ বিভিন্ন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আকস্মিক এ ঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার মুখভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও লালমোহন। দুই উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় দুই শত ছোট বড় গাছপালা সহ উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তাছাড়া বিদ্যুতের তার ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ উপরে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকেই হয়ে ওঠে চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন। দেখা দেয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস এর সাথে বজ্রপাত। হঠাৎ করে বেড়ে যায় বৃষ্টি ও বাতাসের পরিমান। এরপর ১১টার দিকে বাতাসের পরিমান বেড়ে গিয়ে রূপ নেয় কালবৈশাখী ঝড়ে। মূহুর্তের মধ্যে জেলার মনপুরা, লালমোহন সহ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়।উপড়ে পড়েছে দুই শাতাধিক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি। বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে কয়েক ঘন্টা যাবত বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ঘর চাঁপা পড়ে হারিছ আহমেদ (৭০) নামে এক ভিক্ষুক নিহত হয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে বজ্রপাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে মো. বাচ্চু নামে (৩৫) বছরের আরো এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার কয়ছর আহমেদের ছেলে। এছাড়া ঝড়ে আড়াইশত ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত পঞ্চাশটি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। কৃষি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে প্রাণহানিসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য জেলায় পাঠাবো। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তা প্রদান করা হবে।

এদিকে পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালনের লক্ষ্যে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় খবর পেয়ে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার কথা জানিয়ে বলেন, ৭ এপ্রিল সকালে আমার নির্বাচনী এলাকা লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ব্যাপক ঝড় হয়। উক্ত ঝড়ে দুই উপজেলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্তসহ লালমোহন উপজেলায় ১ জন ঘর চাঁপায় ও ১ জন বজ্রপাতে মারা যান। নিহতদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহত সকল পরিবারের মাঝে নগদ ১০ হাজার করে আমার পক্ষ থেকে অনুদান দেই। সেই সাথে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা প্রশাসন সহ আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার নির্দেশ প্রদান করেছি। আমি ওমরা পালনের লক্ষে স্ব-পরিবারে বর্তমানে পবিত্র মদিনায় অবস্থান করছি। ওমরা শেষ করে নির্বাচনী এলাকায় ফিরে ঝড়ে আহত, নিহত ও ক্ষতিগ্রসন্ত পরিবারের মাঝে পৌঁছাবো ইনশাআল্লাহ্। আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

অপরদিকে ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে পুরো দ্বীপাঞ্চল। এতে উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ৩ শাতাধিকের ওপরে ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়।

এর মধ্যে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে ঝড়ের কবলে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খোলা আকাশের নিচে রয়েছে প্রতিটি পরিবার। এছাড়াও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের টিন সেড ক্লাসরুমটি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে গাছপালা পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। অপরদিকে ঝড়ের কবলে অনেকের মাছের ট্রলার ও নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন চরে থাকা কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে শিশু সহ ১১ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৫ জনকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় থেকে ১ টা পর্যন্ত আধা ঘন্টাব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির তান্ডবে এই সমস্ত ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার। ঝড়ের তান্ডবে ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে আহত ১১ জন হলেন, আল আমিন, ফাতেমা, তানভির, লিটন, হেলাল, হানিফ, আরতি বালা, মনির, সানজিদা আক্তার, জরিনা, শাকিল, ফরিদ ও ইব্রাহীম। এদের সবার বাড়ি হাজিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরের মালিকরা হলেন-উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট গ্রামের সোলেমান, কাশেম বেপারি, রিয়াজ, কৃষ্ণমোহন, তীপাংকর, মাইনুদ্দিন, রবি আলম, হাফেজ সোহরাব, রিয়াজ, সোনারচর গ্রামের কাসেম,ফরিদ, কবির, পূর্ব সোনারচর গ্রামের আবদুল্লাহ, ছলেমান, গোপালচন্দ্র দাস, জসিম, গিয়াস উদ্দিন বেপারি, নিরব, কাসেম মিয়া, হাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী কবিরের মুদি দোকান ঘর, চরফৈজুদ্দিন গ্রামের মনির, আবুতাহের, সাহাবুদ্দিন , মাফুল্লা মাঝি। অপরদিকে ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলম বাজার সংলগ্ন আবদুল হাশেম,দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজারের হারুন চৌকিদার, বাবুল পিটার, আঃ রহমান হাজারী ও সহিদ হাওলাদারের নাম পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আধা ঘন্টা ব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বৃষ্টির তান্ডবে সবচেয়ে বেশি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয় উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাট, সোনারচর ও চরফৈজুদ্দিন গ্রামে। এই সমস্ত এলাকায় আনুমানিক ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ঝড়ে তান্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ের তান্ডবে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। অনেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। এছাড়াও চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

উপজেলার ২ নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই থেকে আড়াইশত ঘরের ওপরে সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়। এমপি মহোদয় তাৎক্ষনিক একলক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াইশত থেতে তিনশত ঘর সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মাঠে ক্ষয়-ক্ষতির নিরুপন করা হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোন সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।

মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী বলেন, হাঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে আমাদের উপজেলার শতাধিক বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭০টিরও বেশি ঘর পুরোপুরি ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরো বেশি।

যদিও আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিরূপন করার কাজ করছি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে ও উপড়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে মনপুরা, লালমোহনসহ কয়েকটি উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। যদিও পল্লি বিদ্যুৎ এবং ওজোপাডিকোর মাঠ কর্মীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য সহযোগীতা করার জন্য জেলা প্রশানের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিজিএফ এর চালসহ বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার দিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যপারে ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিমান প্রাথমিক ভাবে বলা না গেলে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে চালসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার ও ঔষধপত্র দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ে ঘরের নিচে চাঁপা করে মারা যাওয়া ব্যক্তি ও বজ্রপাতে মারা যাওয়া ২ ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



এবার ঈদুল ফিতরে যশোরের প্রায় সাড়ে তিন লাখ পরিবার চাল পাচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:এবারের ঈদুল ফিতরে যশোরে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৪৭ দুস্থ ও অসহায় মানুষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন।  ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭০টি কার্ডে আট উপজেলায় ১৫৪৭ দশমিক ৭০০ মেট্রিক টন চাল দেয়া হবে। ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৭টি কার্ডে আটটি পৌরসভায় দেয়া হবে ১৮৫৫ দশমিক ৭৭০ মেট্রিক টন চাল।

চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো স্বচ্ছল বা এক পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ডে চাল নিতে পারবে না। ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম এমনটি জানিয়েছেন।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, আট উপজেলায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭০টি কার্ডের মধ্যে অভয়নগর উপজেলায় ৯ হাজার ৮৩ কার্ডে দেয়া হবে ৯০ দশমিক ৮৩০ মেট্রিকটন চাল। বাঘারপাড়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৩৬৩ কার্ডে দেয়া হবে ১৬৩ দশমিক ৬৩০মেট্রিক টন চাল। চৌগাছা উপজেলায় ১২ হাজার ৪৬৫ কার্ডে দেয়া হবে ১২৪ দশমিক ৬৫০ মেট্রিকটন চাল। ঝিকরগাছায় উপজেলায় ১৫ হাজার ২২৫ কার্ডে দেয়া হবে ১৫২ দশমিক ২৫০ মেট্রিকটন চাল, কেশবপুর উপজেলায় ১৬ হাজার ৯৫২ কার্ডে দেয়া হবে ১৬৯ দশমিক ৫২০ মেট্রিকটন চাল, সদর উপজেলায় ৩১ হাজার ৩৩০ কার্ডে দেয়া হবে ৩১৩ দশমিক ৩০০ মেট্রিকটন চাল, মণিরামপুর উপজেলায় ২৯ হাজার ৭৫০ কার্ডে দেয়া হবে ২৯৭ দশমিক ৫০০ মেট্রিকটন চাল ও শার্শা উপজেলায় ২৩ হাজার ৬০২ কার্ডে দেয়া হবে ২৩৬ দশমিক ২০ মেটিকটন চাল।

সূত্রমতে, আট পৌরসভার ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৭ কার্ডের মধ্যে যশোর পৌরসভায় ৪৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, নওয়াপাড়া পৌরসভায় ৪৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, কেশবপুর পৌরসভায় ৪৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, বেনাপোল পৌরসভায় ৪৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, মণিরামপুর পৌরসভায় ৪৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, ঝিকরগাছায় পৌরসভায় ৩০৮১ কার্ডে দেয়া হবে ৩০ দশমিক ৮১০ মেট্রিকটন চাল, চৌগাছা পৌরসভায় ৩০৮১ কার্ডে দেয়া হবে ৩০ দশমিক ৮১০ মেট্রিকটন চাল ও বাঘারপাড়া পৌরসভায় ১৫৪০ কার্ডে দেয়া হবে ১৫ দশমিক ৪০০ মেট্রিক টন চাল।


আরও খবর



ফুলবাড়ীর আঁখিরা বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩২জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আঁখিরা গণহত্যার বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরীর নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধসহ সুধিজন আলাদীপুর ইউপির আঁখিরা বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

পরে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অম্বরিশ রায় চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মের হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তোজাম্মেল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শচিন্দ্র নাথ দাস, আলাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাকির বাবলু, ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি সদস্য মো.ইদ্রিস আলী, ইউপি সদস্য অর্পণ রায়, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত মন্ডল,সাংগঠনিক সম্পাদক প্লাবন শুভ প্রমুখ। এসময় অন্যন্যা মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।শেষে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



কুষ্টিয়া দূর্বাচারা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশ ৫৪ বছরে পা দিলো। ১৯৭১ সালের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সংগ্রামী বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা অর্জন করে। সকাল ৯ঃ০০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া দূর্বাচারা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্নে শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীল, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন মোশাররফ হোসেন, শাসছদ্দিন, ইউসুফ, মোকাদ্দেস হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান,সাবেক চেয়ারম্যান সাবু বীন ইসলাম সাবু , মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ হাবিবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক শেখ সুভীন আক্তার। 
 আরও উপস্থিত ছিলেন ১০ নং উজানগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন মোল্লা, দূর্বাচারা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বি়ল্লাল হোসেন ও ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মামুনূর রহমান।
 
এসময় জাতীয় সংগীতের সংগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীল ,শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ ও ছানোয়ার হোসেন মোল্লা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পতাকা উত্তোলন করেন ,উপস্হিত সকল  বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও মহান আল্লাহ তায়ালা কাছে সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া কামনা করে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আরও খবর



এক্স সিরামিকস গ্রুপের চিফ ব্র্যান্ড অফিসার হলেন ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিন সংস্করণেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দেয়া নাজমুল হোসেন শান্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় সিরামিক কোম্পানি এক্স-সিরামিক্স গ্রুপের নতুন চিফ ব্র্যান্ড অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

ক্রীড়া জগতের সাথে এক্স সিরামিকস গ্রুপের সর্ম্পক বেশ পুরনো। বিশেষ করে বিপিএলের সাথে দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি জড়িত। এবার প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যাণ্ডিংয়ের কাজে যোগ হচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গণের উদীয়মান একজন তারকা।

এ বিষয়ে এক্স ইনডেক্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ক্রীড়ানুরাগী জনাব মাহিন মাজহার বলেন, আমাদের কোম্পানী সিলেট স্ট্রাইকার্সের দুই মৌসুমের জন্য সহ-মালিকানা গ্রহণ করে। নাজমুল হোসেন শান্ত সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলেছে। তখন থেকে তার সাথে আমরা আলোচনা শুরু করি। আমরা নিশ্চিত যে, শান্তর উপস্থিতি এবং আন্তরিকতা আমাদের ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

এসময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সিরামিক কোম্পানিতে যোগদান করতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্র্যান্ড প্রসারে সচেষ্ট থাকবো। এক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার জন্য এক্স সিরামিক গ্রুপকে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তরুণ ও প্রতিভাবান ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সাথে সংযোগ গড়ে তোলার এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আরও বিনিয়োগ করার উদ্দেশ্যে এক্স সিরামিকস গ্রুপ এই প্রদক্ষেপ নিয়েছে, যা সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিতে বিরল। গ্রুপটি খেলাধুলা, ব্যবসায়িক শৃঙ্খলা, দলগত কাজ, নেতৃত্ব ও কৌশলগত চিন্তাভাবনার আক্ষরিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।


আরও খবর