Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত খুনী আক্তারুজ্জামান ডলার’'কে ৩১ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ১৯৯৩ সালে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দ্বে  যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন কোটা গ্রামের চাঞ্চল্যকর মতিয়ার রহমান তরফদার (৩০) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সুদীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক চরমপন্থী মাস্টারমাইন্ড খুনী  আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‍্যাব-৩ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‍্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং রাত ২ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯৯৩ সালের যশোর জেলার অভয়নগর থানায় চরমপন্থী  পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক প্রধান আসামি চরমপন্থী আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে রাজধানীর  ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম মতিয়ার রহমান তরফদার ও গ্রেফতারকৃত আসামী আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার একই গ্রামের দুই পাড়ার বাসিন্দা ছিল। ডলার ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (সর্বহারা পার্টির) সক্রিয় সদস্য। ভিকটিম অভয়নগর এলাকার রাজঘাটে অবস্থিত কার্পেটিং জুট মিলস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানা এলাকার জনৈক তোযাম চেয়ারম্যানকে সর্বহারা পার্টির ডলার ও তার দোসররা হত্যা করে একটি বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। 

এই ছিনিয়ে নেওয়া বন্দুকটি আসামি আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার বস্তায় ভরে জনৈক ভ্যান চালক আসলামের ভ্যানে তেজপাতা আছে মর্মে এটি যশোরের নোয়াপাড়ায় নিয়ে যেতে বলে। ভ্যান চলার সময় মাঝে মাঝে ইটের ধাক্কায় খটখট আওয়াজ হওয়ায় ভ্যানচালক আসলাম পথিমধ্যে পায়রা বাজারে ভিকটিম মতিয়ার রহমানকে ঘটনাটি বলে। তখন সে বস্তা খুলে একটি বন্দুক পায় যার গায়ে কয়েকদিন আগে মৃত তোযাম চেয়ারম্যানের নাম সম্বলিত ছিল। 

তখন তৎকালীন চেয়ারম্যান আমিন সাহেবের মধ্যস্থতায় বন্দুকটি পায়রা বাজারে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে  হস্তান্তর করে। এলাকায় এই মর্মে খবর প্রকাশ পায় মৃত তোযাম চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় ডলারসহ চরমপন্থী  অন্য সদস্যরা জড়িত। এই ঘটনায় ডলার সহ তার চরমপন্থী দলের  অন্য সদস্যরা ভিকটিমকে শায়েস্তা করার পায়তারা করতে থাকে। ১৯৯৩ সালের দশম রমজানের ৩ মার্চ ১৯৯৩  খ্রিস্টাব্দে ডলার সহ ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র চরমপন্থী  পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির দল ভিকটিমের ছোট ভাইকে রাইস মিলে বেঁধে রেখে ভিকটিমের পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। 

ভিকটিমকে ঘরের বেড়া কেটে টেনে হেঁচড়ে বাইরে নিয়ে এসে বাড়ির সামনেই রাত ১০ টা নাগাদ মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ২২ টি কোপ মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিকটিমের বাবার একটি বন্দুক ও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মূলত: চরমপন্থী  দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় উক্ত ভিকটিম নিহত হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় হত্যা মামলাটি রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পরপরই গ্রেফতারকৃত আসামি নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফেরারি জীবনযাপন করতে শুরু করে। 

এক পর্যায়ে নিজের নাম ঠিকানা ও পরিচয় গোপন রেখে মাহমুদুল হাসান নামে নতুন নাম ধারণ করে ও নতুন পাসপোর্ট তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধি সে পলাতক ছিল। যেহেতু আসামি দীর্ঘদিন যাবত ছদ্মবেশ ধারণ করে পালিয়ে ছিল, আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য পরিচালনা শেষে আদালত উক্ত মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০০  খ্রিষ্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ আদালত ধৃত ডলারের বিরুদ্ধে উক্ত হত্যা মামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের যাবতীয়  প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত মর্মে রায় প্রদান করে। দুধর্ষ এই খুনী গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং ঢাকা মহানগরীর মানিকদী এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন র‍্যাব-৩ এর হাতে আটক হয়।ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও খবর



ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযান গ্রেপ্তার ৩৯

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

শনিবার (৪ মে) সকাল ছয়টা থেকে রোববার (৫ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৬৮৯ পিস ইয়াবা, ৪ গ্রাম ২০ পুরিয়া হেরোইন ও ১১ কেজি ৪১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩০টি মামলা রুজু হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:আগামী ০৮ মে, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত বিশেষ সভা  ৫ মে  দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে  অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। মাগুরা সদর উপজেলা ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে বুধবার।

সভায় জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে  বিস্তারিত আলোচনা  হয়। নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধি প্রতিপালনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া, যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরী হলে উক্ত স্থানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার  মো: মশিউদ্দৌলা রেজা, পিপিএম (বার), উপ-অধিনায়ক ৫৮ বিজিবি  মেজর মাহমুদুল হাসান; পরিচালক, র‍্যাব-৬  এএসপি হাবিব; সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা; জেলা নির্বাচন অফিসার  মাসুদুর রহমান; জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, জেলা কমান্ড্যান্ট, আনসার ও ভিডিপি  চন্দন দেবনাথ, অফিসার-ইন-চার্জ,সকল থানা; উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রমূখ।

সভায় বক্তব্যে আগামী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা,  সকল ধরনের অপচেষ্টা প্রতিরোধ করতে সকলের সহযোগিতা কামনাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতেও অনুরোধ করা হয়।
সভায় সকলেই অবাধ, সুষ্ঠ, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ঐতিহাসিক বাড়াইবাড়ী যুদ্ধু দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:‘ওয়াহিদ, কাদের, মাহফুজ শহীদদের-আমরা তোমায় ভুলি নাই’ এই শ্লোগানের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধের ২৪ বছর পদার্পন উপলক্ষে সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সহযোগীতায় বড়াইবাড়ি দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালের দিকে বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধে নিহতের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তপক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়। পরে বড়াইবাড়ী মসজিদ মাঠে সাবেক এমপি রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সাবেক এমপি রুহুল আমিন, বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্প, কলাবাড়ি বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়, বড়াইবাড়ি গ্রামবাসির পক্ষে, বারবান্দা সুর্য্য সংঘ, শহীদ পরিবারের পক্ষে, চুলিয়ারচর ও বারবান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাবাড়ি বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়, জাতীয় পার্টি (জেপি), বড়াইবাড়ী গ্রামের কোমলমতি বাচ্চারাসহ এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। ২০০১ সালের এই দিনে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ী গ্রামে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে নারকীয় তান্ডব চালায়। অকুতোভয় তৎকালিন বিডিআর ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় প্রতিরোধ করা হয়। নিহত হয় বাংলাদেশের তিন বীর বিডিআর জোয়ান ৩৩ রাইফেল্ধসঢ়;স ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস্ধসঢ়; ব্যাটালিয়নের সিপাহী আঃ কাদের। ভারতীয় পক্ষে নিহত হয় ১৬ বিএসএফ সদস্য। সেই থেকে ঐতিহাসিক এই দিনটি পালিত হয় ‘বড়াইবাড়ী দিবস’ হিসেবে। এলাকাবাসীর দাবী বিজিবি ক্যাম্পের সামনে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, চলমান নির্মিত ব্রীজ ও রাস্তা তিন শহীদদের নামে নাম করন ও ঐতিহাসিক দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ইমান আলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবু হোরায়রা সাধারন সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন উপজেলা পরিষদের, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার সৃতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মন্ডল, ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ উপজেলা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইরানের ওপর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইসরায়েলে হামলার জেরে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৬ ব্যক্তি ও দুটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও এই হামলার আগে পরে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিল তেহরান।বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একযোগে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠমিত্র হিসেবে পরিচিত দেশ দুটি। খবর-সিএনএন

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, আজকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় এবং অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছি।

ইউএস ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে, যারা সরকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উৎপাদন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত।

গত ১৩ এপ্রিলের হামলায় শাহেদ ভেরিয়েন্টের ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ইরান। যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা ইরানের ক্ষেপনাস্ত্রের জন্য ইঞ্জিন তৈরি করে থাকে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে। আমরা এই আক্রমণকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছি।

এতে আরও বলা হয়, হামলার পর আমি আমার সহকর্মী জি-৭ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা ইরানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ইরানের অস্থিতিশীল সামরিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে বা নেবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যারা ইরানের হামলাকে সক্ষম বা সমর্থন করে তাদের সবার কাছে এটি পরিষ্কার হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের এবং অংশীদারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা নিহতের বদলা হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।

বড় ধরনের এই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশিরভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলা রুখতে ইসরায়েলকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।

এই হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।


আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। তিনি ৩০তম পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ৩৪ বছর ৭ মাস পর অবসরে গেছেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসম। দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-র শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরোক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন করার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি।

তিনি আর বলেন, সাবেক আইজিপির যদি এতো সম্পদ থাকে তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যারা সৎ আছেন তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবেন- আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন হয় প্রায় পৌনে দুই কোটির টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে, যা কাগজের হিসাবে এসেছে। আর বেহিসেবে যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের আয়ের কোনো উপায় ছিল না। এরপরও ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। গোপালগঞ্জে ১৪শ’ বিঘা জমি করেছেন। আরকিছু দিন সময় পেলে মনে হয় তিনি গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন। বৈধ না অবৈধ তা পরের বিষয়। যে হারে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন, আর কিছুদিন হলে হয়ত উনার জমির ওপর দিয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।

সুমন বলেন, এতো সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়ত একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতো বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে, বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে হবে। আমি এমপি হিসেবে এই প্রথম দুদকে এসেছি। যেসব জায়গায় দুর্নীতির বিষয়ে অন্যরা কথা বলবে না, আমার সাহস-সামর্থ্য থাকলে আমি কথা বলব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ আইন প্রণয়নের জায়গা। সুযোগ পেলে সংসদে আমি দুদকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, একজন অপরাধী নিজে তার দোষ স্বীকার করেন না। দুদক বলুক যে, বেনজীরের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। কোনো দুর্নীতি করেননি। সব সম্পদ সাদা পানির মতো। দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরাতন গাড়ি আছে যা সেল্ফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করলে তখন চলতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান এক ইন্টারভিউয়ে বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটে। শুধু এ কথা বললেই উনার দ্বায়িত্ব শেষ হবে না। দুর্নীতিবাজরা যেন বুক ফুলিয়ে হাঁটতে না পারে সেই ব্যবস্থা উনাকে গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একেবারেই কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমাদের সবার দেশ ছাড়তে হবে।


আরও খবর