Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইয়ামাল মাঠে নেমেই ইতিহাস গড়লেন

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৪০৪জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: বার্সেলোনা লা লিগার ম্যাচে বড় জয় তুলে নিয়েছে। রিয়াল বেতিসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় জাভির শিষ্যরা। তবে এ ম্যাচে আলোচনায় তরুণ লামিন ইয়ামাল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বার্সার হয়ে মাঠে নেমে ইতিহাস গড়লেন এই ফরোয়ার্ড।

ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ইয়ামাল ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে গাভির বদলি হিসেবে নামেন। এ সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর ২৯০ দিন। যা ক্লাবটির সুদীর্ঘ ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হওয়ার কীর্তি গড়লেন তিনি! এছাড়া স্পেনের শীর্ষ  ফুটবলে তার চেয়ে কম বয়সে খেলেছেন আর স্রেফ চার জন।

বার্সেলোনার একাডেমিতে প্রতিভার সুবাস ছড়ানো ইয়ামাল আলোচনায় ছিলেন কিছুদিন ধরেই। তার বাবা মরক্কোর, মা ইকুয়েটোরিয়াল গিনির। তবে তার জন্ম স্পেনেই, ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে তাকে মূল দলের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ করে দেন বার্সেলোনা কোচ জাভি। তখন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, ইয়ামালকে দারুণ মনে ধরেছে কোচ। সেই ধারাবাহিকতায় এবার অভিষেক হয়ে গেল স্পেনের শীর্ষ প্রতিযাগিতায়। যদিও তার সঙ্গে এখনও পেশাদার চুক্তিও হয়নি ক্লাবের।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এবার বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে সমস্যাগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক একীভূত হবে স্বেচ্ছায়। এ নিয়ে বেসরকারি খাতের দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে আরেকটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক।

জানা যায়, সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পর্ষদকে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর সিটি ও বেসিক ব্যাংকের পর্ষদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

দুই ব্যাংকের কমকর্তারা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। ব্যাংক দুটি একিভূত হলেও আগামী তিন বছর পৃথক আর্থিক প্রতিবেদন করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মোট আটটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্ববাসীকে বাঙালি জাতি আলোর পথ দেখায়: মেয়র তাপস

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ রাতের বেলা ১২টা ১ মিনিটে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। আমরাই একমাত্র জাতি যারা নতুন সূর্যোদয়কে বরণের মাধ্যমে বর্ষবরণ করে থাকি।বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সুতরাং বাঙালি জাতি বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখায়। বাঙালি জাতি আলোর দিশারী।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

নতুন বর্ষকে বরণের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রচনা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখাতে চায়। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে তিনি এ দেশকে একটি উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তার সে অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা সবাই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস ডি রুবেল এবং করপোরেশনের সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।


আরও খবর



দিনাজপুরে আগাম ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image
রিয়াজুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি:অন্যান্য বাবের ন্যায় এবারেও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলায় আজ বুধবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিদের একটি অংশ। দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে, চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকায়, কাহারোল উপজেলা সদরের জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইল এলাকায়, বোচাগঞ্জে, বিরল উপজেলার বনগাঁ জামে মসজিদে ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েকশ’ পরিবারের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। 

বুধবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন দিনাজপুর শহর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ। এই জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় ২৫০ জন মুসল্লি অংশগহণ করেন। এই জামায়াতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মহেশপুর গ্রামে অবস্থিত ফ্যামিলি কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মোহাজেরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। 

এছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম, ফতেহজংপুর গ্রামে, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইলে, বিরল উপজেলার পশ্চিম বনগাঁ জামে মসজিদ ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে প্রায় ২০/২২টি গ্রামের কয়েক'শ মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে। 

দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুৎবায় একই দিন ঈদ ও কুরবানী করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সবাইকে একই দিনে ঈদ ও কুরবানী করার আহবান জানানো হয়। এ সময় পবিত্র কুরআনের আয়াতের আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানানো হয়। 

পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়কারীদের কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজেলায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। 

উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২৪ সালে এসে তা বেড়ে প্রায় ২৫০ জনে পৌঁছেছে।

আরও খবর



জমে উঠেছে আমতলীর ঈদ বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:জমে উঠেছে আমতলীর ঈদ বাজার। শিশু, নারী-পুরুষের পদচারনায় সরগরম বিপণি বিতানগুলো। সবচেয়ে কদর বেশী ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানী পোষাকের। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত জামা-জুতা পোশাক-প্রসাধনী ঈদপন্য কিনছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ও তত বাড়ছে। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত টেইলার্স কারিগড়রা। রাত জেগে তারা কাজ করছে।

জানাগেছে, এ বছর ১৫ রোজা থেকে আমতলীর ঈদ বাজার জমে উঠেছে।সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। ঈদ বাজারে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানী পোশাকের চাহিদা বেশী। ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগের চাহিদা বেশী।

প্রতিপ্রিস ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ীর প্রতি গৃহবধুদের আকর্ষণ বেশী। এ শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমতলীর বাজারে ধুপিয়ানা, কাঞ্চিভরাম কাতান ও প্রিন্ট কাতান এবং ভিপুল, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল, আয়রা, মাসাল, তাওয়াক্কাল, দিল্লি বুটিক্স ও লরস থ্রি পিস বেশী বিক্রি হচ্ছে। প্রকার ভেদে এ সকল থ্রি পিস ও শাড়ী ২ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ৫’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের সেলসম্যান বাসু ও মোশাররফ হোসেন বলেন, ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগের চাহিদা বেশী। প্রতিপ্রিস ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি করছি। অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ীর প্রতি গৃহবধুদের আকর্ষণ বেশী। এ শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি করছি। তারা আরো বলেন, ধুপিয়ানা, কাঞ্চিভরাম কাতান ও প্রিন্ট কাতান এবং ভিপুল, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল, আয়রা, মাসাল, তাওয়াক্কাল, দিল্লি বুটিক্স ও লরস থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখাগেছে, ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ, অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধুপিয়ান শাড়ী ৭ হাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার, কাঞ্চিভরাম কাতান ৩ হাজার ৫’শ থেকে ৭ হাজার ৫’শ ও প্রিন্ট কাতান শাড়ী ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১০ হাজার ৫’শ এবং ভিপুল থ্রিপিস ২ হাজার ৫’শ থেকে ৫ হাজার ৫’শ, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ৫’শ, আয়রা ৩ হাজার ৫’শ থেকে ৭ হাজার ৫’শ, মাসাল ৩ হাজার ২’শ থেকে ৫ হাজার ৫’শ, দিল্লি বুটিক্স ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার, তাওয়াক্কাল ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ও লরস ৬ হাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার ৫’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আমতলী পৌর শহরের তানিয়া বলেন, এ বছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও একটু বেশী। ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগ ৬ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। তিনি আরো বলেন, দাম একটু বেশী হলেও ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতা মরিয়াম ও পূর্ণতা বলেন, নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয় থেকে পোশাক ক্রয় করেছি। চাহিদামত মালামাল পাওয়া যায়। নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের পরিচালক জিএম মুছা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি অনেক ভালো। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। সেলসম্যানদের ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার আমতলী পৌর শহরের আকন বস্ত্রালয়, মদনমোহন বস্ত্রালয়, সিরাজ উদ্দিন মৃধা বস্ত্রালয়,ইসলামিয়া বস্ত্রালয়, আকন টাওয়ার, সাকিব প্লাজা, আব্দুল্লাহ মার্কেট ও সুমাইয়া কমপ্লেক্স, ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নারী ও পুরুষরা মিলে পছন্দের পোশাক ক্রয় করছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে মানুষের বাড়ী ফিরে যেতে যেন সমস্যা না হয়।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় রুয়েট

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাক এই চারটি গ্রুপে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তীতে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ বারোজন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে, আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাঁদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিলো। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।“

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ”হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাঁদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”

রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাকার্তার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। আমি লক্ষ্য করেছি যে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।”

গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে। “কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার” থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।


আরও খবর