Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

ওয়াসার এমডি তাকসিম সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. গাফ্ফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজকে মামলাটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শুনানি শেষে আদালত মামলার অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদকে) নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর একই আদালতে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার আদালতে হাজির হয়ে ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওইদিন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

মামলার আবেদনে তাকসিম ছাড়াও ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ১৬ জুলাই ২০১৭ থেকে ৩০ জুন ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। আর ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা।

অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা টাকাগুলো উত্তোলন করে আসামিরা আত্মসাৎ করে। আসামিদের এই আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে।

এ ছাড়া সমিতির গাড়িসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করে আসামিরা। তারা পরস্পর যোগসাজসে বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাৎ ও চুরির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৮০/৪০৮/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা অভিযোগ আনায়ন করা হয় বাদীর আর্জিতে।


আরও খবর



ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটল দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাওলানা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৬) নামে এক ইসলামি বক্তার জিহ্বা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার আজমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শরিফুল ইসলাম বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার ছেলে।

বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (আরবি) মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, শনিবার রাতে বিজয়নগরের দৌলতবাড়ি এলাকায় মাহফিলে অংশ নেন মাওলানা শরিফুল। মাহফিলে তিনি শিয়াদের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন তিনি। মাহফিল শেষে মধ্যরাতে ভাগ্নের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়া উপজেলার আজমপুর রেলস্টেশন এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় শরিফুলের জিহ্বা ও ঠোঁটের অনেকটা অংশ কেটে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলে শরিফুলের সঙ্গে থাকা ওবায়দুল্লাহ (৩৪) নামে একজন আহত  হন। তাদের চিৎকারে আশপাশ থেকে মানুষ চলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার শ্রীপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জোহরের নামাজের আগে মানববন্ধন করেছেন।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরিফুল ইসলামের ওপর হামলার খবর আমরা শুনেছি। তবে এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে আমি তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই বক্তাকে একদল যুবক চড়-থাপ্পড় মেরেছে। এ সময় তার জিহ্বা কেটে গেছে। কী কারণে মেরেছে, বিষয়টি আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



নির্বাচন কমিশনের চিঠি সরকারের নতুন কৌশল: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে রাজনৈতিক দলকে সংলাপের চিঠি দেওয়া সরকারের নতুন কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চিঠির বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে। নির্বাচন কমিশন দিয়ে চিঠি সরকারের নতুন কৌশল, কমিশনের কোনো ক্ষমতা নাই কিছু করার। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, তাই আসল জায়গায় কাজ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে নতুন খেলায় নেমেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মুখে গণতন্ত্র ও ভোটের কথা বলবে, আর প্রশাসনকে যেভাবে বলবে সেভাবে চলবে। আবারও একই পায়তারা করছে, পশ্চিমা বিশ্ব আগের মতো নির্বাচন চায় না।

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে নয়, জনগণকে ক্ষমতায় আসতে দেয়ার সুযোগ করতে হবে। মানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।

দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশ্বে দাম কমলেও দেশে কমে না, সব চুরি করার কারণে।

‘আজকে যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা ভয়ঙ্কর মিথ্যা ইতিহাস দীক্ষা দিচ্ছে। স্বাধীনতার চেতনা কি চুরি করা? লুট করে ভোট কেড়ে নেয়া? সিন্ডিকেট করে রমজানে পণ্য মূল্য বৃদ্ধি করা? সেদিন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শূন্যতা ও ব্যর্থতার কারণেই ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা ঘটেছিল,’ যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শাজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আহমেদ আজম খান, এজএড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।


আরও খবর



কোকোর স্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে ঢাকায় এসেছেন

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি দেশে এসেছেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন।

শর্মিলা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছেন। তিনি ঢাকার গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে উঠেছেন বলে তাদের পরিবারিক সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দেখার জন্য ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর ঢাকায় আসেন শর্মিলা রহমান। তার কিছু দিন পর কোকোর বড় মেয়ে জাহিয়া রহমানও ঢাকায় আসেন এবং মায়ের সঙ্গে অবস্থান করেন।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন শর্মিলা।

২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। মৃত্যুর চার দিন পর ২৮ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে আনা হয়। পরে বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের সময় ভোট চুরির সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সময় ভোট চুরি বা কারচুপি করে ব্যালট বাক্স ভরার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেল গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।  

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর যে নির্বাচনগুলো হচ্ছে, অন্তত সেই ধরনের চুরি, ভোট দখল করা বা ভোট কারচুপি করা—সেই সুযোগ এখন নেই। এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা। ওই ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে বিএনপি ভোটার তালিকা করেছিল। এখন আর সেটা কেউ করতে পারবে না। এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা, আইডি কার্ড হয়ে গেছে, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স। সিল মেরে বাক্স ভরে ফেলে দেবেন, সে সুযোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী কাতারে এলডিসি-৫ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে যে উন্নয়ন হয়, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। এর জন্য অনেক ধৈর্যের দরকার। অনেক গালমন্দ ও অনেক কিছুই তো শুনতে হয়। প্রতিনিয়ই সমালোচনা শুনেই যাচ্ছি। আর আমরাই সুযোগ করে দিয়েছি। কারণ, বাংলাদেশে তো এত টেলিভিশনও ছিল না, রেডিও ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পরে আমরা সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তাই সবার সুবিধাও আছে কথা বলার।

শুধু দেশে নয়, বিদেশ থেকেও সরকারের সমালোচনা করা হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, বিদেশে বসেও আমাদের সমালোচনা করার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের করে দেওয়া জিনিস দিয়ে, সুযোগ পেয়ে, আমাদের সমালোচনা করে এটাও শুনতে হয়, কিছুই করি নাই। এটাও শুনতে হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে কি না, দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ আছে কি না, আর যে লক্ষ্যটা আমরা স্থির করেছি, এই সময়ের মধ্যে দেশ আমরা এই পরিমাণ উন্নয়ন করব। সেটা করতে পেরেছি কি না, সেটা সবচেয়ে বিবেচ্য বিষয়। আমি অন্তত এটা দাবি করতে পারি, আমি এটা করতে সক্ষম হয়েছি। সক্ষম হয়েছি এ কারণে, জনগণই আমাদের মূল শক্তি। জনগণ আমাদের পাশে ছিল সে জন্য।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ কাতার সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে ৮ মার্চ তিনি দেশে ফেরেন।


আরও খবর



নতুন বাজার খুঁজে কাজে লাগানোর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের খারাপ দিকের সঙ্গে এর ফলে বাজার সৃষ্টির একটা সুযোগও সামনে আসছে। ওই জায়গাটা আমাদের ধরা দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। বহু দেশ আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য এখন নিতে চায়, কিনতে চায়। আমরা সেটা করতে পারি। রপ্তানি পণ্যের বহুমুখী করা এটা একান্তভাবে প্রয়োজন এবং নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে।’

আজ সোমবার গণভবনে রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পণ্য রপ্তানি কয়েকটার মধ্যে ধরে থাকলে হবে না উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘পণ্য বহুমুখীকরণ, কোন দেশে কোনটি প্রয়োজন আমরা সেটা উৎপাদন করব এবং রপ্তানি করব।’

তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে চলে এসেছে এবং এর চাহিদাটাও বাড়ছে।’

দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের এখানে বিনিয়োগও আসছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি সেখানে গার্মেন্টস, ওষুধ, হালকা, ভারী শিল্প, মোটর গাড়ি, ইলেকট্রনিক মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে।’

খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাদ্য পণ্য রপ্তানি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকগুলো দেশ আমার কাছে খাদ্যপণ্য নিতে চাচ্ছে।’


আরও খবর