Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫শ ছাড়াল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৪০০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এ পর্যন্ত সিরিয়া ও তুরস্ক মিলিয়ে অন্তত ৫২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছেই এ কম্পন ঘটে। এর গভীরতা ছিল ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীরতায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের দেশে ২৮৪ জন নিহত হয়েছে। আর সিরিয়ায় ২৩৭ জন।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ‘ভূম্পিকম্পে ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। প্রতিবেশি দেশ সিরিয়া, লেবানন এবং সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশটিতে। শহরগুলোর চারদিকে ধ্বংসস্তূপের চিত্র। ভবন ধসে অনেকে চাপা পড়েছে। নিখোঁজ সদ্যদের হন্য হয়ে খোঁজ করতে দেখা গেছে পরিবারের সদস্যদের।

তুর্কি কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত তারা ২ হাজারের বেশি আহতের খবর পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার জোরালো আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এদিকে তুরস্কের কোথাও কোথাও তুষারপাত আর বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। একজন উদ্ধারকারী বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় ইস্তাম্বুলের ফ্লাইট সাময়িক সময়ের জন্য বাতিল করা হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা ভূমকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহজে পৌঁছাতে পারছি না।

এই পরিস্থিতিকে ট্র্যাজেডি অ্যাখ্যা দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান টুইট বার্তায় বলেন, 'সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠব আমরা'। নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।

দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে ইতোমধ্যে সব ধরনের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। খবর: বিবিসি


আরও খবর



চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ মীরপুর শাহআলী ও দারুসছালামবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪৩জন দেখেছেন

Image

ডেক্স রিপোর্টঃচাঁদাবাজদের অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মিরপুর-১, দারুসসালাম থানা এলাকার কাঁচাবাজারে আড়ৎসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে রাস্তার পাশে ফুটপাথে বসা ব্যবসায়ী যেন ভোগান্তির শেষ নেই। বাদ পড়ছেন না বিভিন্ন মার্কেটে পজিশন নিয়ে বসা ব্যবসায়ীরাও। এমনকি টেম্পু স্ট্যান্ডগুলো চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মালিক ও চালকরা । এইসব নিয়ন্ত্রণ করছেন মোহাম্মদ খাইরুল, মোহাম্মদ রতন ও মোহাম্মদ জনি । তারা যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে।


এই তিন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট মিলে প্রতিদিন ওইসব এলাকা থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা উঠায় এবং মাসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা উঠায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এইসব চাঁদার টাকা উঠানোর জন্য ওই তিন সিন্ডিকেট ১০ থেকে ১৫ জনকে নিয়োগ করেন। নিয়োগকৃত সদস্যরা প্রতিদিন এক লাখ টাকা চাঁদা উঠায়ে তিন সিন্ডিকেটের প্রধান রতনের কাছে টাকাগুলো জমা দেন বলে তাদের নিয়োজিত একজন সদস্য জানায় । এভাবে তাদের চাঁদাবাজি চলতে থাকে মাসের পর মাস বছরে পর বছর । তারা এমপি ও স্থানীয় প্রভাবশালী সরকারদলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এইসব চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে তারা এইসব অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের মাধ্যমে।


মিরপুর বেড়িবাঁধের কাঁচামালের আড়ৎদের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন এখানে প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ আড়ৎদার রয়েছেন । ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাবধানে নেন এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখানে মাল ক্রয় করতে আসলে তাদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করে থাকেন। ওই চাঁদাবাদ সন্ত্রাসীদের নিয়োজিত সদস্যরা প্রতিটি রিকশা ভ্যান থেকে ও পিকআপ ভ্যান থেকে এমন কি ট্রাক থেকে ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেন। সাদা টাকা না দিলে ওই ব্যবসায়ীদের উপরে অমানবিক নির্যাতন শুরু করে চাঁদাবাজ সদস্যরা। তখন ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এইসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।


ওইসব চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে গিয়ে দ্রব্যমূল্য জিনিসের দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘকাল ধরে এলাকার নেতা ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাস্তানদের চাঁদা এবং পুলিশকে ঘুষ দিয়েই কাঁচামালের আড়ৎদের, ফুটপাথে ব্যবসা ও টেম্পু স্ট্যান্ড গুলো ব্যবসা করতে হচ্ছে এছাড়া আমাদের কোন প্রকার উপায় নেই। নাইমেন তৈয়ব আলী জানান, চাঁদাবাজ খাইরুল, রতন ও জনি তার কাছ থেকে প্রতিমাসে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না হলে তাকে লাইন চালাইতে দিবে না। এমনকি তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করেন ওই চাঁদাবাজরা। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে বিভিন্ন ধরনের অমানবিক নির্যাতন শুরু করে চাঁদাবাজদের সদস্যরা তাই ব্যবসায়ীরা নিরুপায় হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।


যেখানে চাঁদাবাজদের সঙ্গে প্রশাসন লোকজন জড়িত রয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছ থেকে বিচার দিয়ে কি আর লাভ হবে। ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান খাইরুল, রতন ও জনি তারা কিশোর গ্যাংয়ের লিডার এবং তাদের মাধ্যমে মিরপুর বিভিন্ন এলাকায় কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তাদের মাধ্যমে তারা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। টেম্পু চালক আতিফুর রহমান জানান ওইসব চাঁদাবাজদের অত্যাচারে টেম্পু স্ট্যান্ডে যাত্রী রাও আসতে ভয় পায়। প্রতিদিনই চাঁদাবাজ সদস্যদের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয় এমনকি আমাদেরকে মারধর করে।


ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাউসার মিয়া জানান চাঁদাবাজরা যেসব চাঁদা টাকা উঠায় সেগুলো আবার মিরপুর ১ নাম্বার প্রিন্স বাজার মার্কেটের দ্বিতীয় ও সপ্তম তলা বসে তারা ভাগাভাগি করে নেয় । তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলে উল্টো তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকেন। এইসব অবকর্মীর দেখার কেউ নেই? ওইসব চাঁদাবাজরা এমপি ও স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি সহ অন্যান্য অপকর্ম করে যাচ্ছে কিন্তু নেতারা জানার পরেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন। এর শেষ কোথায় কবে জানব।


এইসব ব্যাপারে খাইরুল, রতন ও জনি কে কাছে জানতে চাইলে তারা এসব ঘটনার অস্বীকার করেন তারা এইসব ঘটনায় কিছুই জানেন না। আবার
সম্প্রতি কিছু উঠতি মাস্তানদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এসব মাস্তান ২৫-৩০ জন কিশোরকে দলে ভিড়িয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করছে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে হাত করে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। সম্প্রতি মিরপুর-১ ও দারুসসালাম এলাকায় হকার মোহাম্মদ খলিল ও আলামিন নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এমনই একটি গ্রুপ।


যারা ওই এলাকার প্রতিটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দিনহারে চাঁদা আদায় করছে। তাদের টাকা দিতে না চাইলে শুরু হচ্ছে হামলা ও নির্যাতন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে দ্বিমুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পুলিশ অভিযোগ শুনলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আর এই সুযোগে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে নির্যাতন চালাতে শুরু করে। শাহ আলী এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হোসেনের দোকানে হামলা চালায় তাদের বাহিনীর সদস্যরা। এই ঘটনায় তিনি শাহআলী থানায় একটি জিডি করেন। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে ব্যবসা করতে গেলে কয়েকটি ধাপে চাঁদা ও ঘুষ দিয়েই ব্যবসা করতে হয়। এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।


কিন্তু যখন এর বাইরেও চাঁদা দিতে হয় তখন ব্যবসায়ীদের পুঁজি ভেঙে খাওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকে না।তিনি বলেন, ফুটপাথে খুবই কম লাভে পণ্য বিক্রি করতে হয়। এখন প্রচুর দোকান থাকায় খুব বেশি লাভও হয় না। তার মধ্যে থানা, পুলিশ, লাইনম্যান, ঝাড়–দার, সোর্স এবং এলাকার বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের আলাদা আলাদা করে টাকা দিতে হয়। কেউ দিন হিসাবে আবার কেউ সপ্তাহ হিসাবে এসব টাকা নিয়ে থাকে। তার মধ্যে এখন যুক্ত হয়েছে খলিল ও আলামিন বাহিনীর সদস্যরা। কিছু কিশোর ও উঠতি বয়সী যুবকদের সাথে নিয়ে প্রতিটি দোকানে চাঁদা দাবি করছে। না দিলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হচ্ছে।


কামাল হোসেন নামে অপর একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, এই দলে সাইদুল, হাসান, সিরাজ, বড় সুমন, মোল্লা ,বাবুসহ ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। এরা প্রত্যেকে এলাকা ভাগ করে চাঁদা আদায় করছে। কেউ দিতে না চাইলে এরা সবাই একসাথে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। চাঁদা না দেয়ায় তার দোকানে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে।এই ঘটনায় তিনি দারুসসালাম থানায় একটি জিডি করেন। তিনি আরো বলেন, এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। ফলে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। তিনি বলেন, ফুটপাথে সামান্য লাভে পণ্য বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়।


কিন্তু সেই সামান্য লাভের টাকা থেকে যদিও এভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে ভাগ দিতে হয় তাহলে আর কিছুই থাকে না। এখন দেখা যাচ্ছে পুঁজি থেকেই চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।তারা আরো অভিযোগ করে বলেন মুক্ত বাংলা মার্কেটে সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুম্মান মিরপুর বিভাগের পুলিশের ডিসি মো. জসিম উদ্দিনের নামে খলিল ও আলামিন মাধ্যমে চাঁদা উঠায় হকারদের কাছ থেকে। প্রতিদিন তারা্ এই ভাবে পুলিশের নামে হকারদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা উঠাচ্ছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



জলঢাকা পৌরসভার উপ -নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকায় আসন্ন ২৮ এপ্রিল পৌরসভার উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জনের মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়েছে। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল  ২৮ মার্চ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা পরিষদে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে দু'জন জন নারী প্রার্থীও রয়েছে। মনোনয়ন পত্র জমা দান কারীরা হলেন, প্রয়াত মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু'র ছেলে নাসিব সাদিক হোসেন (নোভা) ও তাঁর   মা নাজনীন চৌধুরী এবং সাবেক মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট ও তাঁর  সহধর্মিণী ইফফাত আরা জান্নাত। এছাড়াও সমাজসেবক শিক্ষানুরাগী  প্রভাষক সাদের হোসেন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম আজম প্রমুখ মনোনয়ন জমা করেছেন।

পৌরসভাটির ৯টি ওয়ার্ডে ১৮টি ভোটকেন্দ্রে এবারে মোট ভোট সংখ্যা ৩৭,১৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৮,৭৭৪ জন ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ১৮,৪১৭ জন। 

নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,  পৌরসভার মেয়র  এর মৃত্যুতে এটি শুন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৮ এপ্রিল উপ -নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজকে ছিল মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষদিন। আশা করি এ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এটা আমাদের নির্বাচন কমিশনের কমিটমেন্ট।  উল্লেখ্য, মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ রাতে  হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আরও খবর



শার্শা থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৩৮ কেজি গাঁজা সহ আটক ১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:শার্শা থানা পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে ৩৮ কেজি গাঁজা সহ আয়না মতি (৪০) নামে এক নারী মাদক চোরাকারবারী আটক হয়েছে। রোববার দিনগত (৩১ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার হরিনাপোতা গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত আয়না মতি মৃত আব্দুল আলীমের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা লক্ষনপুর ইউনিয়ানে দুটি অভিযান পরিচালনা করে আয়না মতি নামে এক জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার বসত বাড়ীর পশ্চিম পাশে গোয়াল ঘরেথেকে বিশ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

অপর এক অভিযানে হরিনাপোতা গ্রামের পলাতক আসামী মুনসুর হোসেনের বাড়ীর পিছনে টয়লেটের সেপ্টি টেংকি তল্লাশী করে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এসময় মুনসুর হোসেন সহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান (বি পি এম) বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষনপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৩৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এসময় এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



স্থানীয় কমিউনিটির কল্যাণে আইএসডি শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক প্রচেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রাজধানীর সোলমাইদ স্কুল, বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন (বিএসসিএফ) ও ফ্যামিলিজ ফর চিলড্রেনের (এফএফসি) শিশুদের জন্য তহবিল সংগ্রহ, সহযোগিতামূলক কার্যক্রম ও ইফতারের আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার (আইএসডি) শিক্ষার্থীরা। স্কুলের সার্ভিস ডে প্রোগ্রামে এ আয়োজন করে আইএসডি’র শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি আইএসডি ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে আইএসডি শিক্ষার্থীদসহ সোলমাইদ, বিএসসিএফ ও এফএফসি থেকে মোট ১৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকালরিয়েটের (আইবি) শিক্ষাকার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বারোপ করে সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের বিশ্ব-নাগরিক

করে গড়ে তোলা হয়। আইবি লার্নার প্রোফাইলে শিক্ষার্থীদের ‘কেয়ারিং,’ অর্থাৎ যত্নশীল বা সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যাতে তারা অন্যের প্রতি সহমর্মিতা, সমবেদনা ও সম্মান প্রদর্শনের মতো মানবীয় গুণ অর্জন করতে পারে। এই উদ্দেশ্য অর্জনে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে বিভিন্ন কমিউনিটি সার্ভিস বা সমাজকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত করে আইবি কারিকুলাম। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমাজ ও কমিউনিটির প্রতি দায়িত্ব অনুভব করতে শেখে এবং তাদের মাঝে প্রতিদানের মানসিকতা গড়ে ওঠে।

ইউনিট থ্রি সামেটিভ অ্যাসেসমেন্টের অংশ হিসেবে আইএসডি’র গ্রেড ৮-এর শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজিএস) প্রসঙ্গে পড়াশোনা করে। এই বিশেষ ইউনিটের অধীনে তারা এসডিজি ৪-কে কেন্দ্র করে কমিউনিটি সেবার সিদ্ধান্ত নেয়। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তারা পোশাক, খেলনা, শিক্ষার অনুষঙ্গ ও খাবার সংগ্রহ করে এবং স্কুল কমিউনিটির সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানায়।

পাশাপাশি, চমৎকার পোস্টার বানিয়ে ও সামাজিক মাধ্যমে ব্লগ লিখেও তারা এ প্রসঙ্গে সচেতনতা গঠনে ভূমিকা রাখে। সফল এই ক্যাম্পেইন থেকে জমাকৃত অর্থ দিয়ে গ্রেড ৮ শিক্ষার্থীরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা ও খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয় করে এবং খাবারের আয়োজন করে।

সার্ভিস ডে প্রোগ্রামের সার্বিক আয়োজনে ছিলেন পিওয়াইপি, এমওয়াইপি এবং ডিপি’র সার্ভিস গ্রুপ লিডার ও স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে আইএসডি শিক্ষার্থীরা সোলমাইদ, বিএসসিএফ ও এফএফসি’র (আইএসডি’র কমিউনিটি স্কুল পার্টনার) শিশুদের সাথে একাত্ম হয়। তারা একসাথে ‘টুমরো’ নামে একটি বাংলা চলচ্চিত্র দেখার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন কার্যক্রমে আগ্রহের সাথে অংশগ্রহণ করে। ইফতারের পরে আইএসডি শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণকারী তিনটি স্কুলের প্রধানদের হাতে অনুদানের অর্থে কেনা উপহার সামগ্রী তুলে দেয়।

শিক্ষার্থীরা নিজেরাই আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পাদন করে। এমন ফলপ্রসূ একটি উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেন মিডল স্কুল ইন্ডিভিজুয়ালস অ্যান্ড সোসাইটিজের শিক্ষক আয়াজ কায়ামি। সার্ভিস ডে প্রোগ্রামের মূল কর্মপরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সকলের কাছে আরো স্পষ্টভাবে তুলে ধরার জন্য ভবিষ্যতে একটি ওয়েবসাইটও নির্মাণ করবে আইএসডি শিক্ষার্থীরা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কমিউনিটির জন্য অর্থপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সেবার তাৎপর্য অনুধাবন এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে আরো বেশি মানুষের কাছাকাছি আসার সুযোগ লাভ করে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে ১০২ তম বারুনী স্নানোৎসবে লাখ ভক্তের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image

শেফালী আক্তার রাখি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট):বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শ্রীধাম লক্ষীখালী গোপাল সাধু ঠাকুরের সেবাশ্রামে ১০২ তম বারুনী স্নানোৎসব ও গোপাল চাঁদ মেলায় নারী-পুরুষ পুজারী লাখ ভক্তের ঢল। ঢাক, ঢোল, নিশান বাদ্যযন্ত্র সহকারে “হরিবল, হরিবল” নামে মূখরিত ভক্তদের বসেছে যেন এক মিলন মেলা।

৩ দিনব্যাপী মেলা শনিবার সকাল থেকেই মেলায় স্ননোৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, বেতাগী, বামনা, মির্জগঞ্জ, ঝালকাঠী, কাঠালিয়াসহ বিভিন্ন প্রান্তের মতুয়া ভক্তরা সমবেত হয়েছেন। প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও এবারে এ উৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজন প্রসাদ বিতরণ, ভক্তদের উৎসবে যেন কোন কমতি নেই। দলে দলে হাজার হাজার মতুয়া ভক্তরা পায়ে হেটে, নৌ ও সড়ক পথে পাড়ি জমিয়েছে লক্ষীখালী বারুনী স্ননোৎসবে।

এ দিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও শ্রী শ্রী হরিগুরু চাঁদ ঠাকুরের ২০১৩ তম শুভ জয়ন্তী জন্ম স্বরনে বাংলা ১৩২৮ সালে থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী গ্রামে তারই ভক্ত গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের শ্রীধামে ৩দিন ব্যপি বারুনী ¯স্নানোৎসবে মতুয়া ভক্তদের মিলন মেলা বসেছে। দিনরাত অবিরাম প্রসাদ বিতরণ চলছে।

ত্রায়দশী তিথি অনুয়ায়ী সোমবার পর্যন্ত চলবে। এ অনুষ্ঠানে ভক্তদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগীতায় প্রশাসন কাজ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও সহযোগীতা করছে।

এ মেলায় রবিবার সকাল ১০ টায় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, দুপুর ১২ টায় সহকারি হাই কমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, বাংলাদেশ মতুয়া সংঘের কার্যকরী সভাপতি শ্রী সুব্রত ঠাকুর।

বারুণী স্নানউৎসবে মতুয়া মেলায় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন বলে শ্রীধাম লক্ষীখালীর গদীনশিন সেবাইত সাগর সাধু ঠাকুর জানিয়েছেন।


আরও খবর