Logo
আজঃ বুধবার ০৭ জুন ২০২৩
শিরোনাম
স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমস, বার্লিন ২০২৩ এর সংবাদ সম্মেলন ১১ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস আল ইত্তিহাদে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করলেন বেনজেমা সিলেটে ট্রাক-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১৩ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এমন সংকট বাংলাদেশে হয়নি: ওবায়দুল কাদের তীব্র তাপপ্রবাহে এবার ইবতেদায়ি স্তরের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ রূপগঞ্জের ইছাপুরা ব্রীজ-দুর্গামন্দির সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ইউপি সদস্য সহ চারজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় সাবেক মেম্বার সেলিম গ্রেফতার

ভূমি দালাল ইয়াকুবের হাতে আলাদিনের চেরাগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: সম্পদ বলতে পিতার ৫ বিঘা জমি, তিন  ভাই, এক বোন, জমি এখনো ভাগ বাটোয়ারা হয়নি। দুই ভাই শ্বশুর বাড়িতে থাকেন, কামলা দিয়ে চলে সংসার, নুন আনতে পান্তা ফুরায়, দিনরাত খেটেও পারছেন না কিছু করতে, কিন্তু ভূমি অফিসের দালালিতে পেয়ে যাই আলাদ্দিনের চেরাগ ইয়াকুব, যাকে বলে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। ৮-১০ বছরের কারিশমায় মোড়ে স্ত্রীর জায়গায়  তিন তলা পাকা ফ্লাট বাড়ি করেছেন। কিনেছেন বন্ধক নিয়েছেন জমি। হঠাৎ করে এমন সম্পদশালী বনে যাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্ন, কিভাবে এত অল্প সময়ে এতকিছু করে বসলেন ইয়াকুব। তার বাড়ি রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার জিওল দক্ষিণ পাড়া গ্রামে। ইয়াকুবের পিতা ইসাহাক ওরফে ইসা। সে জিওল মোড়ে   গড়ে তুলেছেন তিনতলা পাকা বাড়ি। বাহিরে প্লাস্টার্চ  করা নাই। নিচেই রয়েছে তার দোকান ঘর বা চেম্বার। ওই মোড়েই তার এক শ্যালক চা বিক্রি করেন। ইয়াকুব তার চেম্বারে বসেই চালিয়ে যান ভূমির আনুষঙ্গিক কার্যক্রম। তার বাড়িতে তল্লাসি করলে অফিসের চেয়েও বেশি ফাইল পত্র পাওয়া যাবে। কারন তার চেম্বারে তৎকালিন ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো অভিযান চালিয়ে দপ্তরের ফাইল পাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল দিয়েছিলেন। জেল থেকে বেরিয়ে ইয়াকুব আরো বেপরোয়া দালালি শুরু করেন। অবশ্য তাকে জেল দেওয়ার সময় তার কাছে দপ্তরের ফাইল কিভাবে এসেছে কারা জড়িত সবার শাস্তির দাবিও উঠেছিল।

জানা গেছে, পৌর এলাকার জিওল দক্ষিণ পাড়া গ্রামের দিন মজুরের ছেলে ইয়াকুব। পৌর সদর ভূমি অফিসের বদলি হওয়া নায়েব ইকবালের সাথে গড়ে তুলেন সখ্যতা। শুরু করেন ভূমি দালালি, বদলে যায় ইয়াকুবের ভাগ্য। বিগত ২০০৯ সালে নায়েব হিসেবে সদর ইউপি ভূমি অফিসে চাকুরীতে আসেন ইকবাল। প্রায় ৬-৭ বছর চাকুরী করেন সদরে। ইকবালের মাধ্যম দিয়ে উপজেলা জুড়ে দালালি শুরু করেন ইয়াকুব। ইকবাল গত ২০১৪-১৫ সালের দিকে বদলি হয়ে চলে যান। আসেন রবিউল নামের আরেক নায়েব। তার সাথেও সখ্যতা করে দিয়ে যান ইকবাল। রবিউল বদলি হয়ে মুন্ডুমালা ইউপি ভূমি অফিসে নায়েব হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। সদরের দায়িত্বে আসেন উপজেলায় দীর্ঘ দিনের নায়েবের দায়িত্বে থাকা লুৎফর রহমান। তার সাথে গলায় গলায় পিরিত। ইয়াকুব ছাড়া কোন কাজই হয়না। এই তিন কর্মকর্তা  ইয়াকুবকে অবৈধ পথে সম্পদশালী করে দেন। 

স্থানীয়রা জানান, ইয়াকুব এখন গ্রামের অন্যতম টাকা ওয়ালা। যাদের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরাত সেই ইয়াকুব সম্পদ শালী বনে গেলেন। ভাতরন্ড, রহিমা ডাঙ্গা মৌজায় ৪ বিঘা জমি কিনেছেন, যার মুল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা, ৬ বিঘা জমি বন্ধক নিয়েছেন যার মুল্য প্রায় ১৮ লাখ টাকার মত। জিওল মোড়ে তিনতলা দালান বাড়ি করেছেন যার খরচ প্রায় ৩৮-৪০ লাখ টাকা হবে। প্রতি বছর যান ওমরাহ করতে। 

তার কয়েক প্রতিবেশি জানান, আমরা হতবাক হচ্ছি একজন ভূমি দালাল যদি ১০-১২ বছরে এত সম্পদের মালিজ হন, তাহলে কর্মকর্তারা কত টাকার বা সম্পদের মালিক। সারা জীবন চাষ আবাদ করে এক বিঘা জমি কিনতে পারলামনা। মাটির বাড়িও করতে পারলাম না। আর নায়েব ইকবাল,রবিউল ও লুৎফরের যাদুতে ভাগ্য বদল হয়ে গেল ইয়াকুবের। ইয়াকুবের ধনাঢ্য হওয়ার কারন খুজে বের করতে গেলেই ধরা পড়বে কর্মকর্তা রাও কত সম্পদের মালিক। 

ইয়াকুব বর্তমানে সৌদি আরবে ওমরাহ পালনে রয়েছেন। প্রতি নিয়তই ফেসবুকে ছবি ছাড়ছেন। ভূমি কর্তারা ভ্রমনে গেলেও ইয়াকুব থাকবেই।

ওমরাই যাওয়ার বেশ কিছুদিন আগে ইয়াকুবের কাছে জানতে চাওয়া হয় কোন চাকুরী নাই কিভাবে জমি কেনা ও বাড়ি করা হল তিনি দাম্ভিকতার সহিত জানান, চাঁদাবাজি করেছি।  মুন্ডুমালা ইউপি ভূমি অফিসের নায়েব রবিউল জানান, আমার সাথে ইয়াকুবের তেমন সম্পর্ক ছিল না।

তানোর পৌর সদর ইউপি ভূমি অফিসের নায়েব লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া ইয়াকুব এত সম্পদের মালিক কিভাবে হল তিনি জানান সেটা আমি কি করে বলব, তার অন্য কোন পেশা নেই ভূমি দালালি ছাড়া প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন এসব বিষয়ে কিছুই বলার নেই। সৃষ্টি কর্তা কাকে কিভাবে ধনী করবেন, গরীব করবেন তিনিই বলতে পারেন, আমি বলতে পারিনা। ভাগ্যে আছে সম্পদশালী হয়েছ।

আরও খবর



বায়ু নিয়ে আজ চতুর্থ অবস্থানে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬২ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান চতুর্থ।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউএয়ারের তালিকায় বিশ্বের ১০১টি শহরের মধ্যে ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া ভারতের দিল্লি ও চীনের শেনইয়াং যথাক্রমে ১৯০ ও ১৬৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৫ দশমিক ৩ গুণ বেশি। একই সময়ে লাহোরের বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৬ দশমিক ২ গুণ বেশি।

১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



দোহার প্রেসক্লাব এর নব-নির্মিত ভবনের উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নূরুল্লাহ খান,নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকার দোহার উপজেলায় দোহার প্রেসক্লাব এর নব-নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার জয়পাড়ায় দোহার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ঢাকা জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ নতুন ভবনটির উদ্বোধন করা হয়।

ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নব-নির্মিত এ ভবনটির উদ্বোধন করেন। এসময় দোহার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বলেন, দোহার প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়নে যা যা করা দরকার আমি তার সবই করবো। ঢাকা জেলার উন্নয়ন আমি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। আমি বলবো না জনগণের সব চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতে পেরেছি, তবে ঢাকা জেলায় হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ আমি করেছি। এসকল কিছুর উন্নয়নের দাবিদার আমার নেত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ। তিনিই আমাকে এসব উন্নয়ন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। এ সময় তিনি দোহার প্রেসক্লাব এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

দোহার প্রেসক্লাব এর সভাপতি কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সানীর সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা, ঢাকা জেলা পরিষদের প্রকৌশলি আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. বোরহান উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, দোহার প্রেসক্লাব এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান টিপু, সহ-সভাপতি অলি আহম্মেদ,  সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সানী, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সোহেল রানা, দোহার প্রেসক্লাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদ এর দোহার প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাহজাহান, এনটিভির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আনোয়ার পারভেজ, একাত্তর টিভির ঢাকা দক্ষিণ প্রতিনিধি ফারুক আহম্মেদসহ দোহার প্রেসক্লাব এর অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অবশেষে জাহাঙ্গীরের মায়ের জয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঅবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে জয় পেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের চেয়ে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কোনো প্রকার অনিয়ম ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট শেষ হয়। সব কটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। দুই একটি কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট গ্রহণে দেরি হয়।

সকালে ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। ভোট দেওয়ার পর জায়েদা খাতুন বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ! সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। আমি আশাবাদী।’

এদিকে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে টঙ্গীর দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন আজমত উল্লা খান। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জয়ের বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’

এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩ হাজার ৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬ হাজার ৯৯৪ জন।


আরও খবর



তুরস্কে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েব এরদোগানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাঁচদিনের সফরে তুরস্কে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টায় আঙ্কারা ইসেনবোগা বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক।

এ সময় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি উড়োজাহাজ রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

তুরস্ক সরকারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি আঙ্কারার প্রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে আগামী ৩ জুন বিকেল ৫টায় (তুরস্কের স্থানীয় সময়) শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

বঙ্গভবনের দেওয়া সূচি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সফরকালে আঙ্কারার কানকায়া প্রাসাদে রাষ্ট্রপতি এরদোগান আয়োজিত একটি আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন। এছাড়া উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।

তুরস্ক সফরকালে রাষ্ট্রপতি আঙ্কারায় শেরাটন আঙ্কারা হোটেলে অবস্থান করবেন।

আগামী ৬ জুন সন্ধ্যায় দেশে ফেরার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের।


আরও খবর



পিবিআইয়ের এক মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যার আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তার জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন আদেশ দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন।

আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান।

গত বছরের ১৯ অক্টোবর সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও বিদেশে ‌‘পলাতক’ সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। চট্রগ্রামের খুলশী থানায় এ মামলা করা হয়।

অপরদিকে, গত বছরের ২৭ অক্টোবর প্রবাসী সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধানমন্ডি থানায় এই মামলা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও আব্দুল অয়াদুদ মিয়া। মামলায় অজ্ঞাত আসামিদেরকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাবুল আক্তারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করছেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে।


আরও খবর