Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভোলায় মেঘনার পাড়ে মরুভূমি, গরিবের দুবাই

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৬৫জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা:ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর বাজার থেকে কিছুদূর শান্তিরহাট এলাকায় গিয়ে বেড়িবাঁধের উপর দাঁড়ালেই চোখে পড়বে মেঘনা নদী। তীরে এসে আছড়ে পড়ছে নদীর ঢেউ। এর পাড় ঘেঁষেই দেখা যাবে বিশাল এলাকাজুড়ে বালু আর বালু। এ যেন বালুর মাঠ। মাঝখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বেশ কয়েকটি খেজুর গাছ। একদিকে মেঘনা নদীর বড় বড় ঢেউ, অন্যদিকে মরুভূমির মতো কয়েক মাইল এলাকাজুড়ে বালু। চারিদিকে খোলা জায়গা। দখিনা বাতাস। সারি সারি খেজুর গাছ। এই সৌন্দর্যে বিমোহিত না হয়ে উপায় নেই। দেখতে ঠিক যেন আরব্য মরুভূমি। এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে ঘুরতে আসেন বিভিন্ন বয়সী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজার হাজার মানুষ। কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আসছেন। কেউ আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন। তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করছেন। ছবি তুলছেন আর খেলাধুলা করছেন। মেঘনা নদীর পাড়ের এই জায়গাটি এখন দর্শনীয় স্থানে রুপ নিয়েছে। আগন্তুকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছে গরিবের দুবাই নামে।

কেউ বলছেন ভোলার মরুভূমি। তাইতো যারা এখানে ঘুরতে আসেন তারা সবাই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে লিখছেন আমরা এখন ভোলার মরুভূমিতে। একই জায়গায় ছবি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে অনেকে লিখছেন আমরা এখন আরবের মরুভূমিতে আছি। সদরের বাইরে থেকে বালুর মাঠে এসে সেখান থেকে ফিরে কেউ কেউ আবার লিখছেন ঘূরে এলাম দুবাই থেকে। গত বুধবার (৩১ মে) দৌলতখান থানার ওসি মোঃ জাকির হোসাইন শিবপুরের শান্তিনগর এলাকায় এসে স্বপরিবারে ঘুরে তিনিও ছবি তুলে তার আইডিতে লিখেছেন ’ঘূরে এলাম দুবাই থেকে’। এ স্পটটিকে ঘিরে গরিবের দুবাই নামে পরিচিত সেই বালুর মাঠে ছোট ছোট বিভিন্ন দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকানে চা, পান, সিগারেট, চিপস ও ফুসকা বিক্রি হচ্ছে।শুক্রবার দুপুরে সেই বালুর মাঠে একঝাঁক সংবাদকর্মী নিয়ে ঘুরতে এসে নদীর পাড়ের তাজা ইলিশ মাছ ভাজা ও রান্না করে খাচ্ছেন আর আনন্দ করছেন ভোলার স্থানীয় দৈনিক ভোলার বাণী পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাকসুদুর রহমান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ভ্রমন পিপাসূদের জন্য আকর্ষণীয় স্পট শান্তির হাটের বালুর মাঠ। এ যেন প্রকৃতির অপরুপ ছোঁয়া। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হলে পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটানো যেত বলেও মনে করছেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে ওই স্পটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা দৌড়াদৌড়ি করছে। কয়েকজন তরুণ বালুর মাঠে ফুটবল খেলছে। বিভিন্ন বয়সী শিশু, নারী ও পুরুষরা ভিড় জমিয়েছেন।

এদের মধ্যে কেউ ছবি তুলছেন। কেউবা লাইভ করছেন। খোলা মাঠে বইছে দখিনা বাতাস। তীরে এসে আছড়ে পড়ছে নদীর ঢেউ। এমন অপরূপ দৃশ্য আর মনোরম পরিবেশ টেনে নিয়ে আসছে দর্শনার্থীদের। স্থানীয়রা জানান, চায়নারা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাটে মেঘনা নদীর তীরে একটি প্রকল্প গ্রহন করেন। যেখানে ইপিজেডসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত প্রায় চার বছর আগে এই এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক একর জমি ক্রয় করে। গত প্রায় ৬ মাস আগে ওই এলাকাটিকে মেঘনা থেকে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে সেই বালু দিয়ে ভরাট করে। ফলে এলাকাটি বর্তমানে বালুর মাঠে পরিনত হয়েছে। এরপর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। তারা বালুর মাঠে সারি সারি খেজুর গাছ আর মেঘনা নদীর ঢেউসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। ছবি তুলে নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এ এলাকাটি দর্শনার্থীদের কাছে এখন আকর্ষনীয় স্পটে পরিনত হয়েছে। তারা আকর্ষনীয় ও দর্শনীয় এ স্পটের নাম দিয়েছেন ’গরিবের দুবাই’। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শান্তির হাটের বালুর মাঠ এলাকায় মানুষের যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে। বালুর মাঠে অবস্থিত ফুসকা দোকানি সাগর বলেন, আমার বাড়ি শিবপুর ইউনিয়নে।আমি ২০২১ সাল থেকে ফুসকা বিক্রি করছি। তবে, দেড় মাস আগে গত রমজানের ঈদের পর থেকে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে। প্রতিদিন ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকার ফুসকা, ঝালমুড়ি, চিপস বিক্রি করছেন তিনি।

এ বিষয়ে শিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, গত কয়েক আগে চায়নারা সেখানে বালু দিয়ে ভরাট করে কিছু জমি সেল (বিক্রি) করছে। আবার কিছু জমিতে ফ্যাক্টরি নির্মাণ করবে।শিবপুরের বাসিন্দা ও ভোলা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউনুস বলেন, এই তীব্র গরমের মধ্যে ভোলায় আসলে একটু ঘোরার মতো তেমন কোন জায়গা নেই। তাই চায়না কোম্পানির ক্রয় করা ওই জমির একপাশে মেঘনা নদীর ঢেউ আরেক পাশে বালুর মাঠ। মাঠের মধ্যে আবার কিছু সারি সারি খেজুর গাছ। এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছে এখানে। ফলে এটি এখন তাদের একটা আকর্ষণীয় স্পট হিসাবে পরিনত হয়েছে। তবে, গত কয়েকদিন ধরে বালুর মাঠে মানুষের যাতায়াতের উপর অনেকটা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রহরি মো: ঝিলন বলেন, অনেজে এখানে এসে বালুর বস্তা কেটে ফেলে। আবার অনেকে মাদক সেবন করে মাতলামি করছে। তাই, ১ জুন থেকে ভেতরে প্রবেশে নিষেধ করেছে চায়না কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে গ্রামবাসী নিরবে প্রশাসন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ, সোনাভরি, হলহলি, জিঞ্জিরাম নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার ভেকু (এক্সিভিকেটর) দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বর্ষা মৌসুম ছাড়া সারা বছর প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন বিষয়ে মাসিক সভায় ও প্রশাসনকে অভিযোগ করা হলেও রহস্যজনক কারনে প্রশাসন নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।

অবৈধ বালু উত্তোলনের কারনে হুমকিতে পড়তে হয় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের। এসব বালু ট্রাক্টর (কাকড়া) দিয়ে পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও গ্রামীন রাস্তাঘাট। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে শক্তিশালি একটি চক্র। এ কারনে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ সিরাজুলসহ অনেকেই বলেন, এ অবৈধ বালু উত্তোলনে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়ে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই অবৈধ বালূ উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। ব্রহ্মপুত্র নদ, সোনাভরি, হলহলি, জিঞ্জিরাম নদী থেকে প্রতিদিন ভেকু ও ড্রেজারে উত্তোলিত বালূ ১শত থেকে দেড়শত ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ির মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে, ইটভাটায় মাটি ও বালু বিক্রয় করা হচ্ছে। অবৈধ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে ব্রম্মপুত্র নদসহ অন্যান্য নদী গুলো ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে বর্ষা ও বন্যায় উক্ত এলাকায় নদীভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় নদী তীরবর্তি এলাকার মানুষকে।

নদী থেকে অবৈধভাবে বালূ উত্তোলনের বিষয়ে ট্রাক্টর (কাকড়া) ও ভেকুর মালিক আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাজেদুল, রফিকুল শাহিন, ফকির চাঁনসহ অনেকেই বলেন, রৌমারীতে প্রায় ১৭ টি ভেকু ও ১৮০/ ২০০ টি ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ি চলছে। কাকড়া গাড়ি ক্রয় করা হয়েছে ব্যবসার জন্য। মাটি, বালু পরিবহন না করলে আমরা চলবো কি ভাবে। ভেকু মালিকগণ বলেন, এলকার উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের এ ব্যবসা।

বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের জানান, বিভিন্ন উন্নয়নের ক্ষেত্রে বালুর প্রয়োজন। কিন্তু এমন নয় অবৈধভাবে বালূ উত্তোলন করে ক্ষতি করা হয়। এ বালু উত্তোলনের কারনে বর্ষার সময় নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়ে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান জানান, নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালূ উত্তোলনের বিষয়ে জানতে পেরেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, অবৈধভাবে বালূ উত্তোলন বিষয়ে জানতে পেরেছি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৪০

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় চলা এ অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি জানান, অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৪৬২টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৫১ গ্রাম হেরোইন, ১০৬ কেজি ৬৫০ গ্রাম ৮০০ পুরিয়া গাঁজা, ৩০ গ্রাম আইস ও ১১৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



নাবিকদের মুক্তির পর গ্রেপ্তার ৮ জলদস্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ অপহরণে যুক্ত ৮ জলদস্যুকে আটক করেছে সোমালিয়ার পুলিশ। জাহাজটিকে মুক্তি দিয়ে উপকূলে যাওয়ার পর উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য পান্টল্যান্ডের পুলিশ তাদের আটক করে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম  গারোই

শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। রোববার দুপুরে মুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রামের এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিমের কাছে একটি বার্তা আসে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের কাছ থেকে। বার্তায় বলা হয়, জিম্মি জাহাজ মুক্ত হয়েছে। নাবিকরা দুবাইয়ের পথে রওনা হয়েছে।

গারোইয়ের এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার পরপরই ৮ জলদস্যুকে আটক করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

পান্টল্যান্ডের একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক ৮ জনই এমভি আব্দুল্লাহ অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মুক্তিপণ দিয়ে জিম্মি মুক্ত করা হলে জলদস্যুদের অন্য গ্রুপগুলো উৎসাহিত হতে পারে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককেও জিম্মি করা হয়।


আরও খবর

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ফুলবাড়ীতে পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১৫ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার হাটবাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়াসহ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকারী বাজারে ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। মরিচের দাম কমে আসায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মরিচ চাষিরা।গতকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারী সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা প্রতি কেজি উচ্চ ফলনশীল জাতের (অগ্নি, মধুমতি, বিন্দু ও বিজলী ২০২০) কাঁচা মরিচ প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দাম আরও কমতে থাকে। সর্বশেষ সকাল ১০ টার দিকে পাইকারি বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।

পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা পার্বতীপুরের ঢাকুলা গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী গোলাম রহমান, মধ্যপাড়ার আবুল হোসেন বলেন, গত পাঁচদিন আগেও পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ১৫ টাকা কেজিদরে প্রয়োজনীয় মরিচ কিনেছেন। এগুলো নিজ নিজ এলাকায় প্রতিকেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করবেন।

উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের আমডুঙি গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের কাঁচা মরিচ চাষি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কলেজ শিক্ষার্থী নির্মল মার্ডি বলেন, চলতি মরিচ চাষ মৌসুমে ২৭ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল মধুমতি ও বিজলী ২০২০ জাতের মরিচ চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি খেত থেকে প্রায় ৫০ মণ মরিচ তুলেছেন বিক্রির জন্য। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় মরিচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আশা করেছিলেন,পাইকারী বাজারে কমপক্ষে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় এখন উৎপাদন খরচও উঠবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।

পাইকারী মরিচ ব্যবসায়ী ব্যবসায়ি মিলন মিয়া ও আমজাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে হাটবাজারে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্রেতার অভাবে দাম পড়ে গেছে। তবে আগামীতে মরিচের দাম আরো কমে আসবে বলে তাদের ধারনা।

উপজেলার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের মরিচ চাষি গোলাম মোস্তফা আকন্দ বলেন, এক বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল অগ্নি ও বিন্দু জাতের মরিচ চাষ করেছেন।এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই জমি থেকে অন্তত ৬৫ থেকে ৭০মণ মরিচ পাবেন। কিন্তু বর্তমানে মরিচের যে দাম, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে মরিচ বেঁচে উৎপাদন খরচ উঠলেও কোনো লাভ হবে না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রাসরণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানুর ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পৌর এলাকাসহ ৭ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬৫ মেট্রিক টন। এ বছর তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকাসহ রোগবালাই না ধরায় আশানুরুপ ফলন হয়েছে মরিচের।


আরও খবর



তানোরে গণহত্যা দিবস পালন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার শেষ বিকেলের দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সন্ধ্যার পরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার,  টিএইচও বার্নাবাস হাসদা, উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন, পিআইও এটিএম কাউসার আলী, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরা বেগম, তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু, পৌরসভা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান মুন্টু, ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল বারী, সোহরাব হোসেন প্রমুখ। শেষে ইফতার সামনে নিয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যার শিকার শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও খবর