Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট পেলো নিপা গ্রুপের ২ সহ প্রতিষ্ঠান

ভোলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট দাম বেশী হওয়ায় সংশয়ে ক্রেতার

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩০৭জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা:পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র ৫ দিন বাকি। এরই মধ্যে ভোলায় ছোট, বড় ও মাঝারি গরুর সমাহারে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার ৭ উপজেলায় ৭৩টি স্থানে বসেছে পশুরহাট। হাটে ব্যাপারীদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের গরু পছন্দের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। গরু-ছাগলের আকার অনুযায়ী দরদাম করছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি অনলাইন প্লাট ফর্মেও বসানো হয়েছে ৮টি হাট। সেখানে ২৫ হাজার গরু বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এদিকে, হাটগুলোতে দেশীয় জাতের গরুর উপস্থিতি অনেকটা বেশি। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির জন্য জেলার ৭ উপজেলায় সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার ৪০০ পশু। বিপরীতে মজুত রয়েছে ৯০ হাজার ৯৬টি পশু। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৫৮টি গরু, ছাগল ২৬ হাজার ২০৫, মহিষ ৫ হাজার ৫৬০ ও ভেড়া রয়েছে ৩ হাজার ২৭৩ টি। জেলার ২ হাজার ৮৭৩টি খামারে ৩৭ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। বাকিগুলো পারিবারিকভাবে পালন করা হচ্ছে। কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করার জন্য গঠন করা হয়েছে ২১টি মেডিকেল টিম। শনিবার (২৪ জুন) ভোলার ইলিশা, ঘুইংগারহাট, মাদরাসা বাজার, আগারপোলসহ বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেকে গরু-ছাগল দরদাম করেছেন। আগের চেয়ে পশুর দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তবে কাঙ্খিত ক্রেতার দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে অনেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। আরো জানা গেছে, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে আগে থেকেই গরুকে মোটাতাজাকরণ বা ইস্টপুস্ট করেছেন খামারিরা। বাহারি রং ও আকারের গরু দেখা গেলেও কেনা-বেচা কিছুটা কম। গত বছরের তুলনায় গরুর দাম অনেকটাই বেশির বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। হাটে গরু কিনতে আসা ইসমাইল হোসেন বলেন, কোরবানির জন্য মাঝারি গরু খুঁজছি। এ বছর গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু কোরবানি করতে হবে তাই বেশি দাম দিয়েই গরু কিনতে হবে। তারপরও হাটে এসে দেখছি একটু কমে পেলে কিনে নিবো। ক্রেতা মো. মনির হোসেন বলেন, গরু দাম অনেকটা বেশি, আমাদের নাগালের বাইরে। তাই হাট ঘুরে ঘুরে পছন্দের গরু কেনার চেষ্টা করছি। একই বক্তব্য অন্য ক্রেতাদের। বাপ্তা এলাকার ডাক্তার আসিফ বলেন, হাটে কোরবানির গরুর সংখ্যা অনেক। পছন্দ মতো সাধ্যের মধ্যে গরু কিনতে পেরে খুশি। তবে গরুর দামী একটু বেশী হওয়ায় অনেক আবার ছুটছেন খাসী ছাগলের দিকে। নিজেদের পছন্দ ও সাধ্যের মধ্যে কোরবাণী দেয়ার জন্য ছাগল কেনার দিকে ঝুকছেন আলীনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন এবারের কোরবানীতে গরুর দাম কিছুটা বেশী। তাই আমাদের মত নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো তাদের সাধ্যের মধ্যে ছাগল দিয়েই কোরবানী দিতে চাচ্ছে। এদিকে, পশুর খাদ্যের দাম বাড়ায় খরচ পুশিয়ে নিতে এবার বাধ্য হয়েই পশুর দাম বেশি বলে মন্তব্য খামারি ও বিক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় লোকসান এড়াতে বাড়ানো হয়েছে দাম। অন্যদিকে দাম নাগালের বাইরে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এবার হাটে কাজ করছে ২১টি ভেটনারি টিম। রোগে আক্রান্ত গরু যেন বিক্রি না হয় সেজন্য হাটগুলোতে এসব ভেটনারি টিম স্থাপন করা হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলার ইলিশার খামারি তছির বলেন, আমার খামারের ৮টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। আজ ৩টি গরু ইলিশা হাটে বিক্রি করতে আনছি। এখানে বড় বড় পশুর হাট বসলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। ফলে বাধ্য হয়ে গরু ফিরিয়ে নিতে হচ্ছে। রাজাপুর এলাকার কৃষক লোকমান বলেন, বিক্রির জন্য গরু হাটে নিয়ে যাই। দাম কম হওয়ায় আবার ফিরিয়ে আনি। গত তিন দিন ধরে এভাবে হাট-বাড়ি আনা-নেওয়া করছি। খামারি জাকির হোসেন ও আকতার হোসেন বলেন, পশু খাদ্যের দাম বাড়ার ফলে দাম কিছুটা বেশি। আরও হাট রয়েছে তখন আরও বাড়তে পারে। এ অবস্থায় আবার যদি ভারতীয় গরু হাটে উঠে সে ক্ষেত্রে লোকসান হবে বলে মন্তব্য খামারি ও বিক্রেতাদের। এদিকে, হাটগুলোতে আক্রান্ত গরু বিক্রি বন্ধে ২১টি ভেটনারি টিম বসিয়য়েছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর। আর তাই চাহিদার চেয়ে বেশি গরু সরবরাহ রয়েছে হাটগুলোতে। সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি এবার অনলাইনেও গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছে বলে জানায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার ম-ল বলেন, চাহিদার চেয়েও প্রায় ৫ হাজার গরু সরবরাহ রয়েছে। এবার চাহিদা রয়েছে ৮৪ হাজার ৪০০ সেখানে প্রস্তুত আছে ৯১ হাজার ১০০টি গরু। জেলায় ২ হাজার ৪৪৫টি বাণিজ্যিক ও ১৫ হাজার পারিবারিক খামারে গরু, মহিষ ও ছাগল রয়েছে ৭ লাখের অধিক। এদিকে ভোলার পশুর হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সে জন্য জেলা পুলিশ নজরদারি করছে। এছাড়া ভোলার প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে সহায়তার প্রচার করছেন কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের বিষয়ে যে নির্দেশ দিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, সারাদেশে গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা অনুমোদন নিয়ে গ্যাস লাইন ব্যবহার করছেন তারা ঠিক মতো বিল দিচ্ছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তিতাস ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনার কথা জানান তিনি। এর আগে প্রতিমন্ত্রী তিতাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

নসরুল হামিদ বলেন, এখন থেকে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে দুটি কাজ খুব গুরুত্বের সঙ্গে করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে, নিয়মিত সিএনজি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অডিট করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহারের জন্য অনুমোদন নিয়েছে, তাদের মিটারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তারা ঠিকমতো বিল দিচ্ছে কিনা, তাদের পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে কিনা, এগুলো নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।

দ্বিতীয় নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বাণিজ্যিক, শিল্প ও আবাসিকের যত গ্রাহক রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের ঠিকানায় গিয়ে তল্লাশি (চেক) করতে হবে। তারা ঠিকমতো গ্যাস বিল দিচ্ছে কিনা, মিটারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তা দেখতে হবে।

যত ভুতুড়ে ও অবৈধ গ্রাহক আছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর



ব্যবসায়ীর ২৪ লক্ষ টাকা লুট, ৬ লাখ টাকাসহ মূল হোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:জুসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তা খাইয়ে এক ব্যবসায়ীর ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা লুট হওয়ার ঘটনায় মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ। তার নাম ইয়াকুব আলী মাসুদ (৬৫)। সে নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানার চর জব্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ মিয়ার বাড়ির মৃত আবদুল হালিমের ছেলে। এসময় তাঁর কাছ থেকে নগদ ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, স্বর্ণের তাবিজ ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

মিরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩ টায় চট্টগ্রামের গরিবুল্লাহ শাহ থেকে ছেড়ে আসা সেন্টমার্টিন ইয়াছিন এক্সপ্রেস বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক কাজে রওয়ানা হন আবুল কালাম। পথিমধ্যে মিরসরাই থানার মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে পাশের সিটে বসা অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে জুসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ালে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার সাথে ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি। এরপর ভুক্তভোগী আবুল কালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি হাতে পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুল ইসলামের নির্দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করেন মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায়। নোয়াখালী জেলার ডিবি পুলিশের সহায়তায় গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী আবুল কামাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার থান্ডাচড়ি ইসলামপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদের বাড়ির মৃত আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম শহরের টেরিবাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন।

আবুল কালাম বলেন, সেদিন আমি চট্টগ্রাম নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ এলাকার বাস স্টপেজ থেকে সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস এসি বাসযোগে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম। শহর থেকে আমার পাশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিও বসেন। মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে কিছু বুঝে উঠার আগে তিনি আমাকে একটি জুস পান করান। সেটা খেয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমার সাথে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় সেই ব্যক্তি। এই ঘটনায় আমি মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরসরাই থানার ওসি তদন্ত দীপ্তেশ রায় জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা কাজ করতে থাকি। সনাক্তপূর্বক গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর চর জব্বর থানা এলাকায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় আমরা ইয়াকুব আলী মাসুদ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার নিজ বাড়িতে রাতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত নগদ ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, একটি সুজুকি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল ও একটি সোনার তাবিজ, হারসহ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেছি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ (শুক্রবার)। ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বিপথগামী একদল সেনা কর্মকর্তা নির্মম বুলেটের আঘাতে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী।

বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অন্ধকার। ঠিক তেমনি এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে যেন নেতৃত্ব না যায়, সেজন্য নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সামরিক শাসকগোষ্ঠী।

পরে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে শেখ হাসিনা ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’, ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছায় স্বাগতম’ ইত্যাদি স্লোগান।

দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দ অশ্রুতে অবগাহন করে শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ ১৭ মে সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়, বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জাতীয় নেতা ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য রাখবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

এছাড়া সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ প্রার্থনাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর



ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেপ্তার হবে: র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেছেন, ফরিদপুরে দুই সহোদর হাফেজকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেপ্তার হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘পরিচয় পর্ব ও মতবিনিময় সভায়’ সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। তাদেরকে গ্রেপ্তারে এলিট ফোর্স র‌্যাব কি ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। দেশের যেকোনো জায়গায় যেকোনো প্রান্তে যেকোনো ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে র‌্যাব এ ঘটনায় কাজ করছে। অচিরেই এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে সাইবার জগতে। যারা অপচেষ্টা করছেন তাদের শনাক্ত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা অপরাধ সংঘটনের পর অপচেষ্টা বা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। অপরাধী গ্রেপ্তার হলেই সব বেরিয়ে আসবে।

কোন বিষয়টি কাজ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন যে ঘটনাগুলো ঘটে থাকে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি। আমার পূর্বের যে কর্মকর্তারা কাজ করে গেছেন। ঊর্ধ্বতনরা যে লিগ্যাসি রেখে গেছেন সেটাই আমি বহন করব। র‌্যাবের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করব।

গত দুই বছর ক্রসফায়ার নেই৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি খুব ভালো হয়ে গেলো যে র‌্যাবের সঙ্গে কোনো ক্রসফায়ার নেই। নাকি অন্য কোনো চাপে ক্রসফায়ার হচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এই পর্যায়ে কথা বলার কিছু নেই৷ র‌্যাব কেন আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। ক্রসফায়ার শব্দটি আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমরা সব সময় চাই বিচার বহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটুক। যদিও বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে ভিন্নখাতে আলোচনা হয়।

কিশোর গ্যাং ও অস্ত্র-মাদক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। প্রচুর কিশোর গ্যাং সদস্যকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এদের আশ্রয়প্রশ্রয় ও মদদদাতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত করে এটা খুঁজে বের করা হবে। কিশোর গ্যাং চক্রকে আমরা সমূলে উৎখাত করব ইনশাআল্লাহ। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

কুকি-চিনের তৎপরতা নির্মূলে র‌্যাব ও যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী কাজ করছে। র‌্যাব যৌথ বাহিনীর অংশ। এটা নিয়ে কিছু বিষয় গোপনীয়তা রয়েছে অভিযানের স্বার্থে। এতোটুকু বলতে পারি, র‌্যাব এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।


আরও খবর



নবীনগরে দাখিল ফলাফলে সুফিয়াবাদ ফাজিল মাদ্রাসা উপজেলায় সেরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সদ‍্য প্রকাশিত দাখিল পরীক্ষা- ২০২৪খ্রি. ফলাফলে উপজেলার ঐতিহ্যবাহি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও বিভাগীয় পর্যায়ে ২ বারের শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা হিসেবে স্বীকৃত ইব্রাহিমপুর সুফিয়াবাদ শাহ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ (রঃ) ফাজিল মাদ্রাসা উপজেলা পর্যায়ে সেরা ফলাফল অর্জন করেছে।রোববার (১২ মে) দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অঃ দাঃ) মোঃ জুলফিকার হোসেন এর স্বাক্ষরিত এক ফলাফল বিবরণীতে এ তথ্য জানা যায়।

মাদ্রাসার ফলাফল বিবরণী সূত্রে জানা যায়, মোট ৮৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এবং পাশের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫ জন।ইব্রাহিমপুর সুফিয়াবাদ শাহ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ (রঃ) ফাজিল মাদ্রাসার অধ‍্যক্ষ মুফতি মোঃ এনামুল হক কুতুবী বলেন, মাদ্রাসার গভর্নিং বডি, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় এ ফলাফল অর্জন হয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর