Logo
আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভারতকে ২ সিরিজ হারাল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ২৪৫জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরির পর বোলারদের দাপটে ভারতকে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০ ব্যবধান সিরিজ ঘরে তুললেন লিটন দাসরা। টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে এ নিয়ে টানা ২ ওয়ানডে সিরিজ জিতল টাইগাররা। সবশেষ ২০১৫ সালে মিরপুরেই ভারতকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

এদিন জয়টা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য সহজ ছিল না। বিশেষ করে ৪৩তম ওভারে সাকিব আল হাসান শার্দুল ঠাকুরকে বিদায় করার পর যখন উইকেটে রোহিত শর্মা আসেন, বাংলাদেশ শিবিরে তখন থেকেই ভয় কাজ করে। ভারতীয় অধিনায়ক ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়ার পর হাসপাতাল ঘুরে দলের নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। পরে ইবাদত হোসেনের করা দলীয় ৪৬তম ওভারে দুটি ৬ ও একটি চারে ১৮ তোলেন। এই ওভারের আগে ভারতের জয়ের জন্য ৩০ বলে ৫৯ রান দরকার ছিল।

এরপরের ওভার মিরাজ প্রথম বল করে ইনজুরি নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। তবে পরিবর্তে বল করতে আসা মাহমুদউল্লাহ পরের ৫ বলে মাত্র ১ রান দেন। মূলত ৪৮তম ওভারটিতে বড় বাজিমাত করে বাংলাদেশ। এ সময় স্ট্রাইকে থাকা মোহাম্মদ সিরাজ মোস্তাফিজুর রহমানের ৬ বল থেকে কোনো রান নিতে পারেননি।

কিন্তু ৪৯তম ওভারে ভারতের জয়ের জন্য ১২ বলে ৪০ রান দরকার হলে ঝড় তোলেন রোহিত। এ সময় দুটি ছক্কায় মোট ১৯ রান তোলেন। যদিও রোহিতের দুটি ক্যাচ ছেড়ে দেন ইবাদত ও আনামুল হক। শেষ বলে অবশ্য সিরাজকে বোল্ড করেন মাহমুদউল্লাহ।

শেষ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ১ উইকেট, আর ভারতে ২০ রান। তবে স্ট্রাইকে থাকা ভয়ঙ্কর রোহিত প্রথম ৫ বল থেকে দুটি ৪ ও একটি ছক্কায় ১৪ রান তোলেন। ফলে শেষ বলে জয়ের জন্য ৬ রান দরকার পরে। কিন্তু মোস্তাফিজের দারুণ এক ইয়র্কারে কোনো রকম ব্যাটে লাগাতে পারেন রোহিত। তিনি রানও নেননি। বাংলাদেশ জয়ের আনন্দে ভাসে।

বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপে ধস নামে বাংলাদেশ ইনিংসে। দলীয় ৬৯ রানেই টপঅর্ডারের ৬ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। দলের চরম বিপর্যয়ে হাল ধরলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের অসাধারণ জুটি ও মিরাজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে স্বাগতিক বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান করতে পারে রোহিত বাহিনী।

২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় ভারত। অধিনায়ক ও ওপেনার রোহিত শর্মার ইনজুরির কারণে ওপেন করতে নামে বিরাট কোহলি। তবে ইবাদত হোসেনের বাউন্সি বল খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে এই তারকা ব্যাটারের (৫) স্টাম্প ভাঙে। পরের ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের বাউন্সি বল শিখর ধাওয়ান (৮) খোঁচা দিলে শটে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ ক্যাচ ধরেন।

দশম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরকে (১১) লিটনের ক্যাচ বানান সাকিব আল হাসান। এরপর দলীয় ৬৫ রানে ও ব্যক্তিগত ১৪ রানে লোকেশ রাহুলকে এলবি করে ফেরান মিরাজ।

৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া ভারতের হয়ে হাল ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন মিরাজ। দলীয় ১৭২ রানে ভয়ঙ্কর আইয়ারকে আফিফ হোসেনের ক্যাচে ফেরান তিনি। আইয়ার ১০২ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮২ রান করেন। আর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০১ বলে ১০৭ রান তোলেন আইয়ার-অক্ষর।

জুটির আরেক ব্যাটার অক্ষরকে ফেরান ইবাদত। ৫৬ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় সমান ৫৬ রান করা এই বাঁহাতিকে সাকিবের ক্যাচে মাঠ ছাড়া করান ডানহাতি পেসার। এরপর উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করা ঠাকুরকে ৭ রানে সাকিব ও দীপক চাহারকে ১১ রানে ফেরান ইবাদত। রোহিত শেষে ২৮ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে ইবাদত সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান। ২টি করে উইকেট দখল করেন মিরাজ ও সাকিব।। মোস্তাফিজ ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট লাভ করেন।

টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন। তবে দুই ওপেনার আনামুল হক (১১) ও লিটন (৭) মোহাম্মদ সিরাজের বলে দ্রুতই আউট হন। নাজমুল হোসেন শান্তকে ২১ রানে ফেরান উমরান মালিক। এরপর দুই ওভারের ব্যবধানে সাকিব আল হাসান (৮) ও মুশফিকু রহিমকে (১২) মাঠ ছাড়া করান ওয়াশিংটন সুন্দর।

এরপরই হাল ধরেন মাহমুদউল্লা রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা ১৬৫ বলে ১৪৮ রান তোলেন। সপ্তম উইকেটে এখন এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। ভারতের বিপক্ষেও যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে সপ্তম উইকেটে এ বছরই আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে আফিফ হোসেনকে নিয়ে এই মিরাজই ১৭৪ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত ছিলেন।

ইনিংসের ৪৭তম ওভারে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। উমরান মালিকের দ্বিতীয় শিকার হওয়া এই অভিজ্ঞ ব্যাটার ৯৬ বলে ৭টি চারে ৭৭ রান করেন। তবে অষ্টম উইকেটে নাসুম আহমেদকে নিয়ে ঝড় তোলেন মিরাজ। তারা ২৩ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৬৮ রান!

ডানহাতি ব্যাটার মিরাজ ৮৩ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসে ৮টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪টি ছক্কা। আট বা এর নিচে নেমে এর আগে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পাননি কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। এর আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটিও ছিল মিরাজের, অপরাজিত ৮১ রানের। আজ সেটিকে নিজেই ছাপিয়ে গেলেন। তার সেঞ্চুরিটি আসে ইনিংসের শেষ বলে। নাসুম ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান ওয়াশিংটন সুন্দর। দুটি করে উইকেট লাভ করেন সিরাজ ও মালিক।

ব্যাটে-বলে দারুণ করে টানা দুই ম্যাচে ম্যাচ সেরা হন মেহেদী হাসান মিরাজ


আরও খবর



নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিটির লক্ষ্য হলো কৌশলগত পারস্পারিক সহযোগিতা ও নেটওয়ার্ক অবকাঠামো আধুনিকায়নের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের মান বৃদ্ধি করা।  

এই চুক্তির ফলে গ্রাহকরা উচ্চমানসম্পন্ন নেটওয়ার্ক সেবার আওতায় আসবেন যা দেশের সেরা মোবাইল ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংকের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে। বাংলালিংক গত চার বছর ধরে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী হিসেবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতে আসছে। 

চুক্তির অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বিশেষ এলগরিদম ব্যবহার করে বাংলালিংকের ফোর-জি নেটওয়ার্ক কভারেজ ও সামগ্রিক সেবার মান বৃদ্ধি করবে। হুয়াওয়ের এই সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ফলে বাংলালিংক গ্রাহকরা উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস ও হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ান প্রেসিডেন্ট  ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সম্প্রতি বাংলালিংক কর্পোরেট অফিসে এ চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি এন্ড ইনফরমেশন অফিসার  হুসেইন তুর্কের, বাংলালিংকের চিফ এথিক্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার মুনিরুজ্জামান শেখ, বাংলালিংকের প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর কে এম জাকারিয়া, হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সিবিএঞ্জির সিইও হু ইউ, হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার সিটিও মা জিয়ান এবং হুয়াওয়ের একাউন্ট ডিরেক্টর।    

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, “বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবার বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে  হুয়াওয়ে-এর সাথে আমাদের চলমান যৌথ কার্যক্রমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই যৌথ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে উন্নত সংযোগ ও বর্ধিত গ্রাহকসেবা প্রদান ও টেকসই শক্তি ব্যবহার করে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা। আমরা বাংলালিংক-এর নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছি ও সেবাদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। কৌশলগত উন্নতির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে হুয়াওয়ে-এর সাথে আমাদের চুক্তিটির প্রয়োজনীতা অপরিসীম।” 

হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ান প্রেসিডেন্ট  ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “বাংলালিংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সেরা মানের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা প্রদানকারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে, চারবারের ওকলা  স্বীকৃতিই যার প্রমাণ। বাংলাদেশে হুয়াওয়ে গত ২৫ বছর ধরে শীর্ষ আইসিটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের উন্নতিতে অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলালিংক-এর এই অগ্রগতিতে সঙ্গী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে আমরা বাংলালিংক-এর সাথে কাজ করে যাব।  এই কৌশলগত অংশিদারীত্বের মাধ্যমে ও উন্নতি প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা গ্রাহকদের উন্নত ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারবো।”    

গ্রাহকদের উন্নত মানের উদ্ভাবনী সেবা দিতে বাংলালিংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হুয়াওয়ের সাথে এই যৌথ উদ্যোগ শক্তিশালী সংযোগ, সেরা মানের সেবা ও দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরই প্রচেষ্টা।


আরও খবর



চালের বস্তায় লিখতে হবে মিলগেটের মূল্য ও ধানের জাত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকতে হবে ওজনের তথ্যও।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ) থেকে কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে। যা আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে। চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন উল্লেখ থাকতে হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।


আরও খবর



আবারও স্বর্ণের দাম কমলো ৪২০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বর্ণের দাম আবারও কমলো এক দিনের ব্যবধানে। এ নিয়ে টানা সপ্তমবার স্বর্ণের দাম কমানো হলো। ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৪২০ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬ হাজার ২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯০ হাজার ৮৬৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণেরদাম ৭৫ হাজার ৫৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বর্ণের দাম কমানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


আরও খবর



নতুন বছর নতুন সম্ভাবনায় শুরু হোক: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নতুন সম্ভাবনা ও আশার রঙিন স্বপ্ন নিয়ে শুরু হোক বাংলা নতুন বছর,বলেছেন  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।নতুন ভবিষ্যৎকে নতুনভাবে বরণ করে নিতে হবে। অতীতের ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে ভবিষ্যৎ সুন্দরের দিকে। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একুশে টেলিভিশনের ২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



সবাইকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ২০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কারো যাতে ডেঙ্গু না হয় সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে, বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি। এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, সেটা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না। তবে ডেঙ্গু না হোক; সেটা আমাদের সবার প্রার্থনা। বিপর্যয় না হওয়ার জন্য কী করতে হয়; সেটা আপনারা ভালো করে জানেন।

তিনি বলেন, বাসাবাড়ি সব কিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। অসুখ হলে তখন চিকিৎসা করতে হয়। কিন্তু কারো যাতে ডেঙ্গু না হয়; সেজন্য আমাদের কাজ করতে হবে। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ব নিয়ে আমি ঢালাওভাবে বলতে চাই না। আমি কী করেছি আপনারা নিজেরাই বলবেন। আমরা কতটা মনিটরিং করতে পেরেছি তা আপনারাই দেখছেন। যতটুকু সম্ভব যথাসাধ্য চেষ্টা আমি ঈদের সময়ে করেছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মন্ত্রী হওয়ার আগেও এমন কোনো ঈদ নেই, যেদিন আমি হাসপাতালে যাইনি। এমন কোনো দুর্গাপূজা নেই যেদিন হাসপাতালে যাইনি। আগে হাসপাতালে যেতাম, তারপরে উৎসবে যেতাম। ওই চিন্তা করে এবারও সেই ধারা বজায় রেখেছি। আগে আমি একটা হাসপাতালে যেতাম, এবার অনেকগুলো হাসপাতালে গিয়েছি। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের উৎসাহ দেওয়া। তারা যাতে ঠিকমতো কাজ করেন। এছাড়া সবকিছু ঠিকমতো হচ্ছে কিনা; তাও দেখতে গিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি এবার না বলেই হাসপাতালে গিয়েছি। ঈদের আগের দিন যে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমি কাউকে বলেনি। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিত দেখতে পেয়েছি। সিনিয়র ও জুনিয়র সব চিকিৎসক ছিলেন। ঈদ উদযাপন ও নববর্ষের ছুটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম সব ভালোভাবে চলেছে।


আরও খবর