Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবিনতি, দুই দেশের কূটনীতিক বহিষ্কার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। চলতি বছরের জুনে শিখ নেতা হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত, এমন অভিযোগ এনে সে দেশের এক কূটনীতিককে সোমবার বহিষ্কার করেছে কানাডা। পাল্টা ভারতও বহিষ্কার করেছে দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার এক কূটনীতিককে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাকে ভারত ছাড়ার জন্য পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

সোমবার কানাডার পার্লামেন্টে ট্রুডো অভিযোগ করেন, হরদীপ সিংকে খুনের পেছনে ভারতের হাত থাকার নির্দিষ্ট প্রমাণ তার সরকারের কাছে রয়েছে। তাদের কাছে সেই প্রমাণ যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যও। ট্রুডো বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরে কানাডার এক নাগরিককে এভাবে হত্যা করা, বিদেশিদের এমন প্রত্যক্ষ যোগসাজশ কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।

ওই অভিযোগের পরই কানাডায় অবস্থানরত এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারের কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানিয়া জোলি। তবে কোন কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, কানাডা তা জানায়নি। তবে মেলানিয়া জোলি এটুকু বলেন, যাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং’-এর (র) প্রধান ছিলেন।

অন্যদিকে কানাডার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী সে দেশের পার্লামেন্টে যা বলেছেন, তা ‘অবাস্তব ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। শুধু প্রতিবাদই নয়, ভারতে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ক্যামেরুন ম্যাককে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ শুধু অসত্যই নয়, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর। সে দেশের এক শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের কথাও হাইকমিশনারকে জানিয়ে দেওয়া হয়।

পরে ভারতের মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কানাডার কূটনীতিকের অযথা হস্তক্ষেপ উদ্বেগজনক। তাদের ভারত বিরোধিতা বরদাশত করা যায় না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এই দেশে আইনের শাসন আছে। এই ধরনের অপ্রমাণিত অভিযোগের মূল লক্ষ্য খালিস্তানি চরমপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীদের দিক থেকে চোখ ফেরানো। এই জঙ্গিদের কানাডা আশ্রয় দিয়েছে। তারা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অথচ কানাডা সরকার নিষ্ক্রিয়। বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের।

হরদীপ সিং নিজ্জর কানাডায় বসবাসকারী শিখ নেতা। গত জুনে তিনি ভ্যাঙ্কুভারে এক গুরুদ্বারের কাছে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। তিনি ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে সে দেশে গিয়েছিলেন ১৯৭৭ সালে। ভারতের অভিযোগ, হরদীপ সিং ছিলেন সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘খালিস্তানি টাইগার ফোর্স’ ও ভারতে নিষিদ্ধ ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর কানাডা শাখার নেতা। ভারতের চোখে তিনি অপরাধী ও ‘ফেরার’। তাকে দেশে ফেরত আনতে আগ্রহী ছিল ভারত।

হরদীপ সিং বরাবর স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র খালিস্তান প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিলেন। ভারতের অভিযোগ, সেই লক্ষ্যে তিনি ভারতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলাও চালিয়েছেন। যদিও হরদীপ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।


আরও খবর

কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করলো ভারত

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হিজাব না পরলে ইরানে ১০ বছরের জেল

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আ.লীগের প্রার্থী হতে চান রাষ্ট্রপতির ছেলে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে আরশাদ আদনান রনি। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এই ঘোষণা দেন।

আরশাদ আদনান রনি বলেন, ‘আমি পাবনা-৫ আসন থেকে নৌকার কান্ডারি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমি পাবনাবাসীকে জানাতে চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি পাবনা-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন চাইব এবং তিনি নির্বাচন করার সুযোগ যদি দেন তাহলে নৌকাকে বিজয়ী করে পাবনার মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করব।

বাবার সম্মতি ও ইচ্ছাতেই নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরপরই পাবনার মানুষের জন্য আমার বাবা কাজ করে যাচ্ছেন। উনি তার সর্বোচ্চটুকু পাবনার মানুষের জন্য নিবেদিত করেছেন। এমনকি তিনি বলেছেন, তুমি পাবনায় যাও এবং পাবনার মানুষের জন্য কাজ শুরু কর। আমার বাবা আমাকে বলে দিয়েছেন যে, আমি তো পাবনায় থেকে পাবনার মানুষের জন্য কাজ করতে পারলাম না, প্রধানমন্ত্রী আমাকে সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাই এখন তুমি (রনি) যাও পাবনার মানুষের কাছে, দেখ পাবনার মানুষ তোমাকে গ্রহণ করে কিনা। সেই জন্য আমি পাবনায় কাজ শুরু করেছি।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতি বললেন, তুমি আমাদের গর্ব: শাকিব খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৯৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:সিনেমা হলে এখনও শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’র রেশ কাটেনি। মুক্তির দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও দেশের বেশ কয়েকটি সিনেমায় রমরমিয়ে চলছে সিনেমাটি। 

এ ছাড়া দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায়ও মুক্তি পেয়েছে এটি। সেখানেও প্রবাসী দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ‘প্রিয়তমা’ দেখতে।এদিকে গেল শুক্রবার (পয়লা সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্স সিনেমাটি উপভোগ করেন সস্ত্রীক রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। 

সাধারণত রাষ্ট্রপতি যদি কোনো সিনেমা দেখতে চাইলে তার বাসভবনেই প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তিনি রেওয়াজ ভেঙে সিনেপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন। এটা নিয়ে আপ্লুত শাকিব খান সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন নিজের অনুভূতির কথা।

দীর্ঘ স্ট্যাটাসে শাকিব লিখেছেন, “মুক্তির দুই মাস পার হলেও এখনও বাংলাদেশ ও বিশ্বের বাঙালিরা পরিবার–পরিজন নিয়ে ‘প্রিয়তমা’ উপভোগ করছেন। নিউজ ও সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে জেনেছি,  দেশ–বিদেশের নানা প্রান্তের সিনেমাপ্রেমীরা ‘প্রিয়তমা’ দেখে উল্লাসে মেতেছেন, আনন্দে ভেসেছেন, কষ্টে কেঁদেছেনও। এটা আমার ও ‘প্রিয়তমা’ টিমের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের।

তিনি আরও লিখেছেন, “এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যাটি ছিল আমার এবং পুরো বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য আরও গর্বের। আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয় (মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন) ও ফার্স্টলেডি (ড. রেবেকা সুলতানা) পরিবার নিয়ে ‘প্রিয়তমা’ দেখলেন। সিনেমা দেখা শেষে মহামান্য আমার দিকে এগিয়ে এলেন। তাকে এগিয়ে আসতে দেখে আমি এগিয়ে গেলাম। তিনি আমাকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। বললেন, তুমি আমাদের গর্ব। আমরা সত্যি তোমাকে নিয়ে গর্ব করি  (you are our pride, we really proud of you my son)।  পাশে থেকে আমাদের ফার্স্ট লেডি ডেকে নিলেন, অভিনন্দন জানালেন। ‘প্রিয়তমা’ নিয়ে গর্বের কথাও জানালেন। বললেন, ওয়েলডান মাই বয়।

রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রীর এম প্রতিক্রিয়া গৌরব ও সম্মানের মনে করেন শাকিব। তিনি লিখেছেন, “দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও ফার্স্টলেডির কাছ থেকে এমন উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যে কোনো শিল্পীর জন্য অত্যন্ত সম্মানের ও গৌরবের। রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের সুযোগ্য সন্তান আরশাদ আদনান এই সিনেমার প্রযোজক বলেই যে তিনি ‘প্রিয়তমা’ দেখতে এসেছেন বিষয়টি মোটেও এমন নয়! তার সন্তান এর আগেও একাধিক সিনেমা বানিয়েছেন। তখন এত প্রটোকলে তিনি ছিলেন না, তারপরও দেখা হয়নি সেসব সিনেমা। এবার তিনি তার পুরো পরিবার নিয়ে আগ্রহ নিয়ে ‘প্রিয়তমা’ দেখতে এলেন, কারণ বাংলাদেশ ও বিশ্বের সিনেমা প্রেমীদের কেন ‘প্রিয়তমা’ হাসাচ্ছে, কাঁদাচ্ছে, এত ভালোবাসা দিচ্ছে— কী আছে এই সিনেমায় তা দেখার জন্য।”

সিনেমা দেখার পর রাষ্ট্রপতি তাকে বুকে টেনে নিয়েছেন বলে জানান শাকিব। তিনি আরও লিখেছেন, “সিনেমা দেখার পর বাবা-মা হিসেবে গর্ব নিয়ে রাষ্ট্রপতি মহোদয় ও ফার্স্টলেডি তাদের সন্তানকে বুকে টেনে নিয়েছেন। অনেক বেশি গর্বের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। আসলেই সন্তানের যে কোনো ভালো কাজ বাবা–মাকে গর্বিত করে, আনন্দিত করে, ভালোবাসায় আপ্লুত করে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও মহামান্য তার পরিবার নিয়ে ‘প্রিয়তমা’ দেখেছেন, এ জন্য তাদের প্রতি আমি, প্রযোজক আরশাদ আদনান, পরিচালক হিমেল আশরাফ এবং ‘প্রিয়তমা’ টিমের সবার পক্ষ থেকে অনেক কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।

শাকিব বিশ্বাস করেন, ভবিষ্যতেও পরিবারসহ রাষ্ট্রপতি নিয়মিত বাংলা সিনেমা দেখবেন। তিনি লিখেছেন, “আমি জানি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বাংলা সিনেমা দেখেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আগামীতে হয়ত আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তার পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখবেন এবং তার দেশের সিনেমা দেখে তিনি আনন্দিত হবেন, গর্বিত হবেন। আমি সবসময় পরিচ্ছন্ন এবং সুস্থ বিনোদনের সিনেমা করার চেষ্টা করি। যেটি সবাই বাবা-মা, পরিবার পরিজন নিয়ে নির্দ্বিধায় সিনেমাহলে একসঙ্গে বসে দেখতে পারবেন। কয়েক বছর আগে স্বপ্ন দেখেছিলাম, বাংলাদেশি সিনেমা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে, ‘প্রিয়তমা’ দিয়ে স্বপ্নের শুরুটা দারুণভাবে হয়েছে। আমাদের সবার স্বপ্নটাকে আরও বড় করে তুলেছে।

সবশেষে শাকিব জানান, আগামীতেও বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় সব সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলা সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টা করে যাবেন তিনি।

গেল ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছিল ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাটি। এতে নায়িকা ছিলেন কলকাতার ইধিকা পাল। রোম্যান্টিক অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাটি পরিচালনা করেন হিমেল আশরাফ।


আরও খবর

জিনাত বরকতুল্লাহ আর নেই

বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23




ভারত বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় বলেই জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়া দিল্লিতে দুই দিনব্যাপী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ করেছে ভারত। 

ভারত বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় বলে এ অঞ্চল থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জি-২০ সম্মেলন: ঢাকা থেকে নয়া দিল্লি’ শীর্ষক এক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা জানান ভারতীয় হাইকমিশনার।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বকে বলার অনেক কিছু আছে। বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন সাফল্য রয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ করেছে। কারণ বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় ভারত।  

হাইকমিশনার বলেন, এমন এক সময়ে সম্মেলন হতে যাচ্ছে যখন ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথেরও কথা শুনতে চায় ভারত। আমরা বাংলাদেশের সহযোগিতা চাই। আফ্রিকার দেশগুলো কী বলে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কী বলে, শুনতে চায় ভারত। 

সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালী আধ্যায়ে আরও একটি পালক যোগ করবে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ জি-২০ সম্মেলনে অর্থবহ অবদান রাখতে পারবে।  

চলমান বৈশ্বিক সংকটের বহুমাত্রিক সমাধানে জি-২০ অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে উন্মুখ বলে জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়নের অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত কণ্ঠস্বর। তিনি প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে কথা বলেন। 

মোমেন বলেন, জি-২০ প্রেসিডেন্সির একটা গুরত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, গ্লোবাল সাউথের সমস্যা নিয়ে আসা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি মুখপাত্র। বাংলাদেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্লোবাল সাউথের জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত। 

সেমিনারে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনও বক্তব্য দেন।


আরও খবর



আমদানী করা নিম্নমানের গমের ভুসিতে বাজার সয়লাব

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃআমদানি করা নিম্নমানের গমের ভুসি অবাধে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা পূরণের সক্ষমতা থাকার পরও ভুসি আমদানি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় উৎপাদকরা। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৫০ শতাংশ আটা-ময়দার মিল। উৎপাদন বন্ধ থাকলে সংকট দেখা দেওয়ার পাশাপাশি দাম বাড়বে আটা-ময়দার। পশুর জন্য হুমকি ভেজাল গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে নামি কোম্পানির মোড়কে। নিরাপদ পশুখাদ্য নিশ্চিত করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ভুসির আমদানি শুল্ক বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে বছরে গমের ভুসির চাহিদা ২১ লাখ ৯০ হাজার টন। সারা দেশে ছোট-বড় ১ হাজার ১০০-এর বেশি আটা-ময়দার মিলে উৎপাদন হয় ২২

লাখ ৫০  হাজার মেট্রিক টন। চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হলেও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে গমের ভুসি আমদানি করা হচ্ছে। এতে দেশি কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ ভুসি অবিক্রীত থাকায় আটা-ময়দা উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। একই সমস্যায় ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে মোট আটা-ময়দার মিলের প্রায় অর্ধেকই। পশু-প্রাণীর জন্য হুমকি ভেজাল গো-খাদ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশীয় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে গমের ভুসি আমদানি শুল্ক বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ আটা-ময়দা মিল মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন মৃধা বলেন, আমদানিকৃত ভুসি খুবই নিম্নমানের। তাই এসব ভুসি কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে আমাদের দেশের মিল মালিকদের উৎপাদিত ভুসি বিক্রি হচ্ছে না। গমের ভুসি আমদানিতে আটা-ময়দা আমদানির সমান শুল্ক আরোপ করা হলে আমরা টিকে থাকতে পারব।

বর্তমানে আটা-ময়দার আমদানি শুল্ক ৩৮ শতাংশ হলেও গমের ভুসি আমদানির শুল্ক মাত্র ৫ শতাংশ। আবার খামারিরা সরাসরি আমদানি করতে পারছেন কোনো শুল্ক ছাড়াই। এই সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দেশে নিম্নমানের ভুসি আমদানি ও নামি কোম্পানির মোড়কে (ব্যাগ) বাজারজাত করছে। এতে দেশি কোম্পানিগুলোর সুনাম নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নিম্নমানের গমের ভুসি বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। ভেজাল গো-খাদ্য বিক্রি বন্ধের পাশাপাশি নিরাপদ গমের ভুসি বাজারজাত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপপরিচালক ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, আমরা ভেজাল গো-খাদ্যের (ভুসি) বিষয়ে কঠোর অবস্থানে। বিশেষ করে আমদানিকৃত ভুসিতে ভেজাল পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পশুর জন্য ক্ষতিকর এসব ভুসি আমদানিতে আমাদের নজরদারি রয়েছে। ভেজাল গমের ভুসি না কেনার জন্য খামারিদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, এক বছরের ব্যবধানে ভুসি আমদানি বেড়েছে ৮৮ শতাংশের বেশি। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩ মেট্রিক টন গমের ভুসি আমদানি করা হয়েছে। ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে আমদানি করা হয়েছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৬ মেট্রিক টন। চলমান ডলার সংকটে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি আমদানি ব্যাহত হলেও ভুসি আমদানি বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরুরি পণ্যে এলসি উন্মুক্ত রাখার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। গত বছরের ৬ নভেম্বর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানি আমদানির এলসি খোলা নিশ্চিত করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার প্রধানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে একটি চক্র দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করতে নিম্নমানের গমের ভুসি আমদানি করছেন।

এ বিষয়ে বসুন্ধরা ফুডের বিভাগীয় প্রধান (বিক্রয় ও বিতরণ) রেদোয়ানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দেশের যে ভুসির চাহিদা আছে তার চেয়ে বেশি ভুসি দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। সাধারণত গম থেকে ৩০ শতাংশ ভুসি উৎপাদন হয়। কারখানাগুলোতে উৎপাদিত ভুসি সর্বোচ্চ ৪-৫ দিনের বেশি মজুদ করে রাখা যায় না। মজুদ ভুসি বিক্রি করতে না পারলে নতুন করে উৎপাদনে যেতে পারে না কারখানাগুলো। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে বাজারে আটা-ময়দার সরবরাহ সংকট তৈরি হয়ে দাম বেড়ে যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত নিম্নমানের ভুসিতে বাজার সয়লাব। তাদের নিতে হয় না কোনো বিএসটিআই সনদ, লাগে না কোনো মান পরীক্ষা। এসব নিম্নমানের ভুসির কারণে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় কোম্পানিগুলো। প্রাণিসম্পদ খাত হুমকির মুখে পড়ছে। দেশের আটা-ময়দার মিলগুলোতে পর্যাপ্ত থাকার পরও ভুসি আমদানির ফলে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি ও জরুরি খাদ্যপণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে।’ রেদোয়ানুর রহমান আরও বলেন, বর্তমানে আমদানিকৃত আটা-ময়দায় ৩৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ রয়েছে, কিন্তু এর উপজাত (বাই প্রোডাক্ট) ভুসিতে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ আছে। যদিও পশুখাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বিনা শুল্কে ভুসি আমদানি করতে পারছে। এসব নিম্নমানের ভুসি দেশের নামিদামি কোম্পানির বস্তা নকল করে বাজারজাত করছে। এতে মানসম্পন্ন পশুখাদ্য পাচ্ছেন না খামারিরা। জানতে চাইলে এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসের ইনস্টিটিউশন সেলসের মহাব্যবস্থাপক অবন্তি কুমার সরকার বলেন, নিম্নমানের আমদানিকৃত ভুসিতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের উৎপাদিত ভুসি বিক্রি করতে পারছি না। আমদানিকৃত ভুসি দেশে নামিদামি কোম্পানিগুলোর  মোড়কে (ব্যাগ) মানুষকে ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করছে। এতে আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অনেক মিল বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদেরটাও বন্ধের পথে। ভুসি বিক্রি করতে না পারায় আটা-ময়াদার উৎপাদন বন্ধ রাখা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে আটা-ময়দার দাম আরও বেড়ে যাবে।

আমদানিকৃত নিম্নমানের গমের ভুসি দেশের নামিদামি কোম্পানির মোড়কে (ব্যাগ) বিক্রি করে দেশি কোম্পানিগুলোর সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে। চলতি বছরের ৬ মার্চ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বসুন্ধরা ভুসির মোড়কে (ব্যাগ) ভেজাল ভুসি বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১ বস্তা ভেজাল গমের ভুসি জব্দ করা হয়।


আরও খবর



এই শিক্ষানুরাগীর মৃত‍্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সাবেক ধর্মমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত‍্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন তিনি।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষা বিস্তারে মতিউর রহমানের অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিক্ষানুরাগীর মৃত‍্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

রাষ্ট্রপতি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহের ধোপাখোলা নেক্সাস কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।


আরও খবর