মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর ( নীলফামারীর) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভাইরাস আতংক কুলের বাজারে ধ্বস নেমেছে।এই আতংক ছড়িয়ে পড়েছে সারা নীলফামারী জেলায়। ফলে কুল ছাড়াও, আপেল ও পেয়ারা খাওয়া প্রায় বন্ধই করে দিয়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। গত মৌসুমে সৈয়দপুর উপজেলার আড়ত থেকে প্রায় এক কোটি টাকার কুল কেনা বেচা হয়েছে। কিন্তু এবারে ভাইরাস আতংকে চাষিরা কুল বিক্রির জন্য আসলেও কুল কেনাবেচা একেবারেই কমে গেছে।
গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি জানার জন্য কুলের আড়ত গেলে ব্যবসায়িরা জানান, রংপুর বিভাগের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে বিভিন্ন জাতের কুল বিক্রির জন্য চাষিরা কুল নিয়ে আসতো সৈয়দপুরে। ক্রেতা বিক্রেতা দর কষাকষি করে কুল ক্রয় বিক্রয় করতেন। একই সাথে সেগুলি বাছাই করে পাঠিয়ে দেয়া হতো ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায়। প্রায় ১০/১২টি আড়তে জমে উঠেছিল কুলের বাজার।
কুল আড়তদার ও কৃষি বিভাগ জানায়, ২০১৭ সালে এ অঞ্চলের মানুষ কুলের আবাদের প্রতি ঝুকে পড়েন এবং ওই বছরই প্রায় ৮৮ লাখ টাকার কুল কেনা বেচা করেন। কিন্তু বর্তমান মৌসুমে কুলের বাম্পার ফলন হলে কৃষকরা কোটি টাকার কুল কেনা বেচা করার সপ্ন দেখলেও ভাইরাস আতংকতে সিকি ভাগও বিক্রি করতে পারেনি এখন পর্যন্ত।
গতকাল শনিবার সকাল ৭ টায় শহরের গিয়াস নামের এক আড়তদার দুঃখ করে রলেন, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে কুল চাষিরা আপেলকুল, বাওকুল ও থাইকুল সহ একাধিক জাতের কুলের আবাদ করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসতো সৈয়দপুর। পরে পাইকাররা এখান থেকে কুল ক্রয় করার পর বাছাই করে প্যাকেটজাতের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতো ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে। তিনি বলেন গত মৌসুমেই একেক মন কুল কেনা বেচা হয়েছে ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু এবারে ভাইরাস আতংকে মাত্র ৫/৬ শত টাকা মন দরে বিক্রি হলেও ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধিমান ভুষন রায় জানান, এ অঞ্চলের কৃষকদের কুল পরামর্শ দেয়ার কারনেই কৃষকরা কুল চাষে ঝুকে পড়ে শুরুর মৌসুমেই প্রায় কোটি টাকার কুল কেনা বেচা করেন। সে আশায় বর্তমান মৌসুমে কৃষকরা লাভের আশা করলেও ভাইরাস আতংকের কারনে তাদের লোকসান গোনার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাইরাস আতংকে কুল কেনা বেচা কম হলে এ অঞ্চলের কৃষকরা কোটি টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।