Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

উষ্ণতা বাড়লে বিলুপ্ত হবে পৃথিবীর সব পুরাকীর্তি!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৪৬জন দেখেছেন

Image

মানুষের খামখেয়ালিপনা আর বেহিসেবি কর্মকাণ্ডে ক্রমশ পৃথিবী নামক গ্রহটির উষ্ণতা বাড়ছে। খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন আঘাত হানার পারিমাণও বাড়ছে। এরই সঙ্গে আরো একটি আশঙ্কা যোগ হয়েছে, আগামী একশ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে পারে সব পুরাকীর্তি বা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।

জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কিত আলোচনায় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার অঙ্গীকারগুলো এখনো ততটা গুরুত্ব পায়নি; যার প্রভাব পড়বে মানুষের ইতিহাস-ঐতিহ্যে।

আগামীকাল রোববার শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক ২৭তম বৈশ্বিক সম্মেলন বা কপ-২৭। আয়োজনটি বসছে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিসমৃদ্ধ অন্যতম ভূমি মিসরে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি কয়েক হাজার কর্মকর্তা, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী অংশ নিচ্ছেন অবকাশযাপন ও উত্সব আয়োজনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শারম আল শেখে।

সব মিলিয়ে কপ-২৭ খুবই বিশেষ আয়োজন। তাই জলবায়ু ইস্যুতে আন্দোলনকর্মী তথা বিশ্ববাসীর ব্যাপক প্রত্যাশা রয়েছে।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে সতর্ক করে বলা হয়েছে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা এখনো ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে অপর্যাপ্ত’। অভিযোগের তীর বিশ্বের ধনী রাষ্ট্র ও বিশ্বনেতাদের দিকে। যারা সমর্থ থাকার পরও বৈশ্বিক পরিস্থিতি সামলাতে উদ্যোগী নন।

পরিবেশবাদীরা অনেক আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিশ্ব এখন চরম ‘বিপর্যয়ের মুখে’। তাই কপ-২৭ সম্মেলন ঘিরে আয়োজক দেশ মিসরও কঠিন লক্ষ্য স্থির করেছে। গত বছর যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে কপ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, জলবায়ু কর্মসূচিতে অর্থায়ন, বন সুরক্ষাসহ অন্যান্য কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার করা হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। মিসর বলছে, সে সব অঙ্গীকার বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে এবারের সম্মেলন হবে।

পিরামিড, স্ফিংস আর তুতেনখামেনের সমাধিসহ পুরাকীর্তিবহুল দেশ মিসর। এসব পুরাকীর্তিগুলো বৈরি আবহাওয়া, উত্তপ্ত তাপমাত্রা আর সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান হুমকির সম্মুখীন বলে মনে করছেন দেশটির নীতি নির্ধারকদের অনেকে।

মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহি হাওয়াস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কার্যত মিসরের সমস্ত উন্মুক্ত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমার দৃষ্টিতে ১০০ বছরের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমস্ত পুরাকীর্তি ধ্বংস হয়ে যাবে। 

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমলে নিয়ে ঐতিহ্যরক্ষার জন্য কাজ করা উচিত বলে মনে করেন রবার্ট জেনস। লেস্টারের স্কুল অব মিউজিয়াম স্টাডিজের এ গবেষক অভিযোগ, বিশ্বব্যাপী যাদুঘরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলো কেন তাদের সম্মিলিত ইচ্ছা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলা করছে না? জলবায়ু পরিবর্তন যেন একটি নিষিদ্ধ বিষয় যা নিয়ে পরিবার, বন্ধু কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলা উচিত নয়।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের হেরিটেজ স্টাডিজের অধ্যাপক রডনি হ্যারিসন মনে করেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা আরো ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে রাখার বিষয়টিকে নিশ্চিত করার জন্য সমাজ জুড়ে আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। যাদুঘরগুলো এ রূপান্তরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।

ইউনেস্কোর সংস্কৃতি বিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক এবং চিলির সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আর্নেস্তো অটোন রামিরেজ দ্য আর্ট নিউজপেপারকে জানান, সব মন্ত্রীরাই একমত হয়েছেন যে টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশগত সমস্যার অংশ হিসেবে সংস্কৃতিকে কাজে লাগাতে হবে।

২০২২ সালের আগস্টে প্রাগে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামের বার্ষিক সভায় যাদুঘরকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার বিষয়ে সবাই সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিপরীতে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাকে রক্ষা করতে কী ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া যায় সে সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।

তাই মনে করা হচ্ছে কপ-২৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। শীর্ষ দুই দূষণকারী যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো বড় দেশের ভূমিকা এ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষোভকে অবমূল্যায়ন করবেন না। তারা মনে করে, উচ্চ আয়ের দেশগুলো ২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিস সম্মেলনে সম্পাদিত যুগান্তকারী জলবায়ু চুক্তিটি বাস্তবায়নে আগ্রহী নয়।

২০০৯ সালে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত বিশ্ব বছরে ১০ হাজার কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে। ২০২০ সালে ওই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু প্রায় তিন বছর পর এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তাই মনে করা হচ্ছে, উন্নত দেশের সেই সহায়তার প্রতিশ্রুতি এবারের কপ সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে।

আয়োজক মিসর অবশ্য সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধি পেলে সম্মেলনকে ঘিরে ‘আস্থার সংকট’ তৈরি হবে। অবশ্য সেই চিত্র আগেই দেখা যাচ্ছে। হতাশ হয়ে এবারের সম্মেলনে যাচ্ছেন না সুইডেনের তরুণ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।

দ্য আর্ট নিউজপেপার, ইউনেস্কোর অফিশিয়াল ওয়েব সাইট অবলম্বনে


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।

সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সবস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবেলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সাথে সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর



আত্রাইয়ে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আত্রাইের আয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সোমবার(২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বওে তিন দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ- ৬ (আত্রাই- রাণীনগর) আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্প্রর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মো. ওমর ফারুক সুমন এমপি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আত্রাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. এবাদুর রহমান প্রামানিক, আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুল ইসলাম, মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো. তোফাজ্জল হোসেন মীর, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম নাসির উদ্দিন, মৎস্য অফিসার পলাশ দেবনাথ প্রমুখ।


আরও খবর



থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ছয়দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংকক পৌঁছান। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচায় উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা যোগাবে।

তিনি বলেন, সরকারি এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এই গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।

সফর চলাকালীন ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় নেতার উপস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে মন্ত্রীর ভাতিজার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা, হতাশায় সমর্থক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর স্বজন (ভাতিজা) ও চেয়ারম্যান প্রার্থী (কাপ পিরিচ) মুরাদ কবীর। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর যেন ক্ষুন্ন না হয় ও দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তার এমন ঘোষণা। তিনি শুক্রবার সকালে উপজেলার সফিপুর এলাকায় তার ব্যক্তিগত অফিসে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ ঘোষণা দেন। তবে প্রতীক বরাদ্ধের পর তার এমন ঘোষণায় হতাশায় পড়েছেন তার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। 

সংবাদ সম্মেলন ও কর্মী-সমর্থক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২১মে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দিয়েছে নির্বাচন অফিস। সে হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলের তিনজন। এরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবীর (কাপ পিরিচ)। তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ¦ এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি’র স্বজন (ভাতিজা)। অপর দুই প্রার্থী হলেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার (আনারস) এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সেলিম আজাদ (মোটরসাইকেল)। আর প্রতীক বরাদ্ধের পর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পছন্দের প্রার্থীর পোস্টার ছড়িয়ে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় নিজের পছন্দের প্রার্থীদের প্রতীক সম্বলিত পোস্টার টাঙিয়ে দেয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর ভাতিজা চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ কবীর (কাপ পিরিচ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন। শুক্রবার সকালে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী (কাপ পিরিচ) উপজেলার সফিপুর এলাকায় তার ব্যক্তিগত অফিসে সংবাদ সম্মেলনের করে এ সিদ্ধান্ত জানান। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে তার এমন ঘোষণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। আর প্রতীক বরাদ্ধের পর তার এমন সিদ্ধান্তে যেন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ল। তবে এখন তিনি কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিবেন এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনাও।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী (কাপ পিরিচ) মুরাদ কবীর বলেন, এ উপজেলা নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে এ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো। কারণ আমি দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী পরিবারের সাথে জড়িত। ২০৮১ সালে ছাত্রলীগ করেছি। আজকে পর্যন্ত আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত ও সদস্য। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চুরান্তভাবে আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত এসেছে। সেটা হচ্ছে, কোনো এমপি বা মন্ত্রীর পরিবারের কেউ বা আতœীয় স্বজনরা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এ সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত, এ সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। আমি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য। যদিও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি নির্বাচন করতে পারি। কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো। 

এখন কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওই প্রার্থী বলেন, অন্য যে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন। তারা দুজনই আওয়ামীলীগ। সেখানে আলাদাভাবে সমর্থন দেওয়ার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। 


আরও খবর



চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে আবারো ২শ টন কয়লা পাচাঁর: নেই অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পথে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আবারো অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে। সীমান্তের বিভিন্ন বসতবাড়ি ও একাধিক ডিপুতে অভিযান পরিচালনা করলে কোটি টাকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই সীমান্তে জোড়ালো কোন অভিযান হয়না বলে জানা গেছে।   

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- আজ বৃহস্পতিবার (২রা মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ৮০মেঃটন কয়লা ভারত থেকে পাচাঁর করে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক, ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে মজুত করেছে। এরআগে ভোর রাতে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন চারাগাঁও ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী সুহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়াগং ভারত থেকে ১২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তের নারী চোরাকারবারী লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া, সোহেল মিয়ার বাড়ি ও ফজলু সদর, কাইয়ুম সর্দারের ডিপুসহ আরো একাধিক স্থানে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, গরু, সুপারী,  চিনি, পেয়াজ, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও পাশের বীরেন্দ্রনগর ও বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। এছাড়াও সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩বছরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে হয়েগেছে কোটিপতি। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে নায়েক সুবেদার খাদেমুল ইসলাম ও বিল্লাল কর্মরত থাকাকালীন সময় এই সীমান্ত চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে ছিল। আটক করা হয়েছে অবৈধ কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল। কিন্তু নায়েক সুবেদার সিদ্দিক যোগদান করার পর থেকে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। 

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিয়ষে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার কামাল বলেন- চারাগাঁও সীমান্ত আমার কোম্পানীর অধিনে। ওই সীমান্তের চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলব। এই সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।



আরও খবর