Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

উন্নয়ন অব্যহত রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতেই হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭৪জন দেখেছেন

Image
লিয়াকত হোসাইন লায়ন,ইসলামপুর(জামালপুর) প্রতিনিধি:ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন-চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান পরিবর্তন করে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।‘যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। প্রতি মুহূর্তে তাদের বাধা অতিক্রম করতে হচ্ছে। উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার চেস্টা করছে। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে সকল বাধা অতিক্রম করে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলার মসনদে বসাতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বুধবার বিকালে জামালপুরের ইসলামপুর যমুনার দূর্গম চরাঞ্চল বেলগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক কে জয়যুক্ত করা কর্মী সভাবেশে মন্নিয়া বাজারস্থ মাঠে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,শেখ হাসিনার আমলে দেশের যত উন্নয়ন হয়েছে- তা ইতিহাসযোগ্য। এর আগে কোন সরকার এত উন্নয়ন করতে পারেনি। যমুনার তলদেশ দিয়ে সাব মার্সেবুল ক্যাবলের মাধ্যমে যমুনার দূর্গম চরে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন, বয়স্কভাতা,বিধবাভাতা,স্বামী পরিতেক্ত ভাতা,যত্ন প্রকল্পের ভাতা, উপজেলার গ্রামেগঞ্জে রাস্তাঘাট, সেতু কালভার্টে, বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র,স্কুল কলেজের ভবন, সকল উন্নয়ন সমাপ্তের পথে। যা একসময় মানুষ কল্পনাই করতে পারেনি। সরকার যেখানে যা প্রয়োজন সব করছে। 
সকল প্রকার উন্নয়ন দিয়ে গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হয়েছে। শেখ হাসিনার অদম্য শক্তি, সাহস, মনোবল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে দেখে। তাই স্সার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকলকে বিভেদ ভূলে নৌকাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানশাহ সরকারের সভাপতিত্বে চেয়ারম্যান আঃ মালেকের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আঃ সালাম,সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার জাকিউল হক,আঃ খালেক আকন্দ,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহিদা পারভীন লিপি,ত্রাণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শাহ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এতে উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।

আরও খবর



ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন খসরু চৌধুরী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তিনি শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নিজের মনোনয়ন ফরম কিনেন। এ সময় গণমাধ্যমের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে খসরু চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সহযোগি হতে চাই। ঢাকা-১৮ আসনকে স্মার্ট আসন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করে আজীবন শেখ হাসিনার একজন সৈনিক হিসেবে ঢাকা-১৮ আসনকে আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য প্রতিরোধে জনগণের-জান মালের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি দলের প্রতি আমার অবদানের কথা বিবেচনায় নিয়ে তিনি আমাকে মনোনয়ন দিবেন।

খসরু চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকায় সাধারণ মানুষ আজ নানা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারের মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। আর বর্তমান দেশের উন্নয়নের গতিশীলতা জনগণের কাছে দৃশ্যমান। দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।


আরও খবর



মেহেরপুর-১ আসনে সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের সম্পদ ও আয় দুটোই বেড়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের সম্পদ বেড়েছে। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল ৯৩ লাখ টাকার। এখন তা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকায়। ৫ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২ কোটি টাকার উপরে। একইসাথে বেড়েছে তাঁর বার্ষিক আয়। এর আগে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকার। গেল ১০ বছরে তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দুটিই বৃদ্ধি পেয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন ফরহাদ হোসেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিঁনি নৌকা প্রতীক নিয়ে এ আসনটিতে এমপি নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক স্বাধীনতা পদক জয়ী (মরোনত্তোর) বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ছহিউদ্দীনের যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে জায়গা করে নেন মন্ত্রিপরিষদে। গেল পাঁচ বছর তিঁনি জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফরহাদ হোসেনের হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার বার্ষিক আয় এখন ৭৭ লাখ ১ হাজার ৮৫০ টাকা। আয়ের খাতগুলো হলো- কৃষিখাত, ব্যবসা, সঞ্চয়পত্র ও প্রতিমন্ত্রীর সম্মানী, পারিশ্রমিক ও ভাতা। পাঁচ বছর আগে তার বার্ষিক আয় ছিল ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আর আগে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ১২ হাজার ৩৪০ টাকা। যার উৎস ছিল চাকুরী।

২০১৪ সালের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে পেশায় শিক্ষক ফরহাদ হোসেনের চাকুরী ছাড়া কৃষিখাত কিংবা ব্যবসায় কোন আয় ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় কৃষিখাত, শেয়ার-সঞ্চয় ও অন্যান্য আয় বৃদ্ধি পেয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দেওয়া হলফনামায় তাঁর আয় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তাঁর বড় আয়ের খাত হলো প্রতিমন্ত্রীর পারিশ্রমিক, ভাতা, সম্মানী। এখান থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ২৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। কৃষি খাত থেকে ২৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা এবং শেয়ার, আমানত, সঞ্চয় থেকে ৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ফরহাদ হোসেনের হাতে নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২৯ লাখ ১ হাজার টাকা। বন্ড, শেয়ার বা সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ আছে ৪০ লাখ টাকা। গাড়ি আছে ১টি যার মূল্য ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণ আছে ২৫ ভরি এবং ইলেট্রনিক্স সামগ্রী ও আববাসপত্র রয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার। ব্যবসায় বিনিয়োগ আছে ৩১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। শর্টগান ও পিস্তল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার এবং শেয়ার ব্যালেন্স ১২ হাজার টাকা এবং ২৫ ভরি স্বর্ণ যার দাম ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার। এর বিপরিতে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ব্যক্তিগত ঋণ (বন্ধক বিহীন) আছে ৫৮ লাখ টাকা।

২০১৮ সালের নভেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জমা দেওয়া হলফনামায় ব্যাংকে জমাসহ নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ৬০ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদ ছিল ৯৩ লাখ টাকার এবং স্থাবর সম্পদ হিসেবে উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া জমির পরিমাণ ৫১ শতক।

এবারের নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর কৃষি জমির পরিমাণ ২৭৪.৪৫ শতক (উত্তরাধিকার ও ক্রয় সুত্রে) এবং অকৃষি জমি ৩১.৪৩ শতক ও উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রজেক্টে ১৬৫৪ বর্গ ফুটের ফ্লাট বুকিং রয়েছে।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী এর পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ এবং স্বর্ণ ১৩০ ভরি (বিবাহের উপহার ও উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত)। এর মধ্যে নগদ টাকা ৪৭ লাখ, বাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্থায়ী আমানত ২০ লাখ, ১টি মাইক্রোবাস ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ৪ লাখ টাকার এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ ৪০ লাখ টাকা।

গেল ১০ বছরে ফরহাদ হোসেনের স্ত্রীর সম্পদও বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। ২০১৪ সালের হলফনামায় স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ছিল ১৪ লাখ ৭০ হাজার এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় এ পরিমাণ ৫৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।


আরও খবর



ছেলেরা বলছে ডাকাতরা তার বাবাকে খুন করেছে, পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটের কালাইয়ে সৈয়দ আলী আকন্দ (৭৫) নামে এক বৃদ্ধকে ছুঁড়ি মেরে খুন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনও এক সময়ে এ ঘটনা উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা গ্রামে ঘটেছে। বৃদ্ধের ছেলেদের দাবী, রাতের বেলায় ডাকাতরা বাবার জমানো টাকা নিতে এসে তাকে ছুঁড়ি মেরে খুন করেছে। তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। ডাকাতরা নয়, অর্থ নিয়েই ওই বৃদ্ধকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশের একাধীক টিম অধিকতর তদন্ত করছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে.এম.এ মামুন খান চিশতী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধের দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে এসেছে।  

নিহত বৃদ্ধ সৈয়দ আলী আকন্দ উপজেলার শিকটা গ্রামের মৃত মোতরাজ আলী আকন্দের ছেলে। 
স্বজন, প্রতিবেশী ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বৃদ্ধের স্ত্রী অনেক আগেই মারা গেছে। তিনি বড় ছেলে তৈয়ব আলী আকন্দের সংসারে থাকেন। তিনি আগে থেকেই অনেক অর্থের মালিক। আজও নিজেই সংসার পরিচালনা করেন। কিছুদিন আগে তিনি কিছু জমি ক্রয়ের জন্য ঘরের মধ্যে একটি স্টিলের বাক্সে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা রাখেন। বৃহস্পতিবার রাতে বৃদ্ধ খাওয়া-দাওয়া সেরে তার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই রাতের কোনও এক সময়ে কে বা কাহারা তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে ছুঁড়ি মেরে খুন করে টাকা, স্বর্ণ ও জমাজমির দলিল নিয়ে চলে গেছে। 

প্রতিবেশী আব্দুল লতিফ সাখিদার বলেন, শুনতে পাচ্ছি তাকে নাকি ডাকাতরা ছুঁড়ি মেরে খুন করেছে। আবার টাকা, স্বর্ণ ও দলিল নিয়ে গেছে। অথচ বাড়ীর মধ্যে আরও অনেক কিছু ছিল সেগুলো নিয়ে যায়নি। আসলে এ ঘটনার আসল রহস্য কি তা বোঝা যাচ্ছে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোরশেদুল হক বলেন, ডাকাতরা টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে যাবে কিন্তু দলিল নিয়ে যাবে কেন। এর পিছনে অন্য রহস্য থাকতে পারে। পুলিশ ভালভাবে তদন্ত করলেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। নিহতের বড় ছেলে তৈয়ব আলী আকন্দ বলেন, বাবা কয়েকদিন ধরে একজনের জমি ক্রয়ের জন্য কথা বলছিল। সে কারনে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা স্টিলের বাক্সের মধ্যে রেখেছে। গত রাতে ডাকাতরা ওই টাকা নিতে এসে আমার বাবাকে ছুড়ি মেরে খুন করেছে এবং জমানো সব টাকা, স্বর্ণ ও জমির দলিল নিয়ে গেছে। আমি সকালে বাবার ঘরে ঢুকে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা খাটের উপরে পরে আছে। এরপর আমি সবাইকে বিষয়টি অবগত করি। 

আরেক ছেলে নাজমুল আকন্দ বলেন, আমি বাবার সংসার থেকে আলাদা। বাড়িও আলাদা। শুক্রবার সকালে মাঠে আলু রোপণের কাজ করতেছি। সে সময় আমার ছেলে গিয়ে খবর দেয় দাদাকে কারা যেন খুন করেছে। এসে দেখি বাড়ীতে স্থানীয় লোকজনের ভিড়। আমি এসবের কিছুই জানিনা। তবে আমার বাবাকে যেই খুন করুক না কেন, আমি বাবা হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা নয়, বৃদ্ধকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের গলার নিচে বাম পাশে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দুই ছেলে তৈয়ব আলী ও নাজমুলকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।   

আরও খবর



শরণখোলায় আ.লীগের বর্ধিত সভা ও নৌকার প্রার্থীর কমিটি গঠন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

বাবুল দাস শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:বাগেরহাটের শরণখোল উপজেলা আওয়মীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫নভম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচরাস্তা বাদল চত্বরসংলগ্ন কমিউনিটি সেন্টারে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নৌকার প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের নির্বাচন পচিালনা কমিটি গঠনসহ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেক কামরুজ্জামান টুকু এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আকবর, সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু, দপ্তর সম্পাদ অম্বরিশ রায়, উপদপ্তর সম্পাদক রতন নন্দি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক মাহামুদ হাসান, নিবাহী সদস্য এম সাইফুল ইসলাম খোকন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা এম এ রশিদ আকন, সহসভাপতি মো. মাইনুল ইসলাম টিপু ও রায়হান উদ্দিন শান্ত। এছাড়া বর্ধিত সভায় উপজেলা, চারটি ইউনিয়ন ও ৩৬টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি-সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় শেষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মাইনুল ইসলাম টিপুকে আহবায়ক এবং যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কালামকে সদস্য সচিব করা হয়।


আরও খবর



মধুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন সরোয়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল:টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন গোলাবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে গত রবিবার ঘাতক বিনিময় পরিবহন ও অটোভ্যানের সংঘর্ষের দুর্ঘটনায় মোঃ সরোয়ার হোসেন ৫দিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে আজ বৃহস্পতিবার ভোর চারটায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। বিনিময় বাস ও অটোভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় এ নিয়ে অটোভ্যানের দুইজনেই মারা গেলেন। তার বাড়ি মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ি লোকদেও গ্রামে।

একই এলাকার ভ্যান চালক ঘটনার দিন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।অদক্ষ ড্রাইভার দ্বারা পরিচালিত বিনিময় পরিবহন এখন সাধারণ পথচারীদের কাছে মরন ফাঁদ। বিনিময় গাড়ি বন্ধের দাবিতে দীর্ঘদিন যাবতএলাকাবাসী বারবার মানববন্ধন সহ রাস্তা অবরোধ করেও এর কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাননি। প্রতিনিয়ত বিনিময় গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে অসহায় পথচারীদের মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে।

সন্তানের চাওয়া পূরণ করতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসা বাবা ফিরে যাচ্ছে ছিন্নভিন্ন লাশ হয়ে। এমন অনেক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেই চলছে। ঘটনা ঘটার সময় রাস্তা অবরোধ করলে অনেক নীতিবান চলে আসেন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তুলে দিতে। পরবর্তীতে সে সকল নীতি আদর্শবান মানুষ গুলো কি খোঁজ নিয়ে দেখেন, সেই দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের লোকজন একমাত্র উপার্জনের মানুষটিকে হারিয়ে কি ভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন?

কেউ খোঁজ রাখেনা, এমনও তথ্য রয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা মারা যাওয়ার পর সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। শতশত পথচারী পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সর্বপরি শুধু মিথ্যা আশ্বাস নয়,সাধারণ মানুষ এর দীর্ঘ সুষ্ঠু সমাধান চায় তা নাহলে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকবে আর তার দায় দায়িত্ব মিথ্যা আশ্বাসকারীদেরকেই নিতে হবে বলে জানান গোলাবাড়ি এলাকার  শোকাভিভূত সর্বসাধারন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর