Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

উদ্ভাবনী সব ফিচারের গ্যালাক্সি এ০৫এস নিয়ে এলো স্যামসাং

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২১২জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:[ঢাকা, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৪] গ্যালাক্সি ‘অসাম’ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এ০৫এস নিয়ে এলো স্যামসাং বাংলাদেশ। সর্বাধুনিক এই ডিভাইসটিতে রয়েছে সুবিশাল ব্যাটারি, শক্তিশালী প্রসেসর ও অনবদ্য ক্যামেরা সেটআপ সহ আরও অনেক দুর্দান্ত ফিচার।

স্যামসাংয়ের নতুন সংযোজন গ্যালাক্সি এ০৫এস – এ স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে; যা দিবে ফোন ব্যবহারে অনবদ্য পারফরমেন্স, সাথে নিশ্চিত করবে চার্জের কার্যকরী ব্যবহার। এই শক্তিশালী প্রসেসর ও অ্যান্ড্রয়েড ১২ ওয়ান ইউআই ৫.১ সফটওয়্যারের সমন্বিত ব্যবহার ডিভাইসটির গতি ও সক্ষমতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে; যার ফলে ব্যবহারকারীরা উপভোগ করবেন নিরবচ্ছিন্ন মাল্টিটাস্কিং সুবিধা ও স্মুথ অ্যাপ্লিকেশন অপারেশন। পাশাপাশি, হাই রেজ্যুলেশন ও হাই রিফ্রেশ রেটের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারের স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৭ ইঞ্চি এফএইচডি+ ৯০ হার্জ ডিসপ্লে। বিনোদন হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া, স্মার্টফোন পছন্দ করেন এমন প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষেরা এখন এই ডিসপ্লে ব্যবহার করে সারাদিন নিজের ভালোলাগার কনটেন্ট উপভোগ করবেন।    

গ্যালাক্সি এ০৫এস ডিভাইসে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ক্যমেরা ও ১৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির বিষয়টি বিবেচনা করে ভার্সেটাইল এই ক্যামেরা সেটআপটি নিয়ে এসেছে স্যামসাং; এর মাধ্যমে এখন ব্যবহারকারীরা সবধরণের ছবি ও ভিডিও স্বাচ্ছন্দ্যে ধারণ করার সুযোগ পাবেন। একইসাথে, দীর্ঘসময়ের জন্য ফোন ব্যবহার নিশ্চিত করবে এর সুবিশাল ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।

গেমার ও ছবিপ্রেমী মানুষের জন্য একদম যথার্থ হবে নতুন এই গ্যালাক্সি এ০৫এস ডিভাইস। এতে র‍্যাম+ ফিচারের মাধ্যমে ৮ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ থাকছে। এতে করে এখন ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই তাদের পছন্দের গেমস খেলতে পারবেন ও নান্দনিক ছবি তুলে ফোনে সেভ করার সুযোগ পাবেন।

এ বিষয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব এমএক্স বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “গ্যালাক্সি ‘অসাম’ এ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন নিয়ে আসতে পেরে স্যামসাং অত্যন্ত আনন্দিত। এখন সব ফিচার একজায়গাতেই পাওয়া যাবে, ফলে ডিভাইসটি গেমিং ও ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন এমন মানুষের প্রয়োজন খুব ভালোভাবে পূরণ করতে পারবে। গ্যালাক্সি এ০৫এস, নতুন এই স্মার্টফোনটি ব্যবহারকারীদের মাঝে সাড়া জাগাবে বলে আশাবাদী আমরা।”

স্মার্টফোনটি এখন দুটি সংস্করণে পাওয়া যাচ্ছে। মাত্র ২১,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাবে এর ৪ জিবি র‍্যাম ও ৬৪ জিবি রমের  গ্যালাক্সি এ০৫এস এবং মাত্র ২৬,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাবে এর ৬ জিবি র‍্যাম ও ১২৮ জিবি রমের সংস্করণটি।   


আরও খবর



গ্যাস পাইপলাইনের জরুরী শাটডাউন বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৯৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃগ্যাস পাইপলাইনের জরুরী কাজের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল,২০২৪ তারিখ রোজ শনিবার বেলা ১২:০০ ঘটিকা হতে দুপুর ০২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত ০২(দুই) ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ-এর  নয়াপুর, কুতুবপুর, আড়াইহাজার রোড, মদনপুর হতে লাঙ্গলবন্দ ব্রীজ , বন্দর, কাঁচপুর ও যাত্রামুড়া এলাকায় সকল শ্রেণির গ্রাহকর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া, উক্ত সময়ে আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত - তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ।


আরও খবর



রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কার প্রচারণায় জনতার ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃআগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের প্রচারণায় জনতার ঢল নেমে এসেছে। গতকাল ১৩ মে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণকালে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। নির্বাচনী প্রচারণায় আনন্দ উল্লাসে মিছিলে মিছিলে হাজার হাজার জনতা অংশ নেয়। নির্বাচনী প্রচারণা পূর্বক পথ সভায় বক্তব্য রাখেন, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।

চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এমায়েত হোসেন, কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি।এসময় উপস্থিত ছিলেন,  কাঞ্চন পৌরসভার সাবেক মেয়র দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

পথ সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি নির্বাচিত হলে রূপগঞ্জ উপজেলায় মাদক, কিশোরগ্যাং, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, অপহরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পানি সরবরাহসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে এ উপজেলাকে একটি স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। আপনারা আগামী ২১ মে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক বিকন লাইট এবং হুটার এর বিরুদ্ধে অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৯৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক যানবাহনে ব্যবহৃত অবৈধ বিকন (beacon/flicker) লাইট, হুটার(hooter), হাইড্রোলিক হর্ন এবং স্টিকার এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বুধবার ৮ মে সন্ধ্যা ০৭ ঘটিকা হতে রাত ৯:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত  ডিসি (ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ) মোহাম্মদ আশরাফ ইমামের নেতৃত্বে, এডিসি (ট্রাফিক-ওয়ারী) সুলতানা ইশরাত জাহানের তত্ত্বাবধানে এসি (ট্রাফিক-ডেমরা) জোন মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌসের টিম  চট্টগ্রাম রোডের মাতুয়াইল ইউলুপে এই অভিযানটি পরিচালনা করেন। অভিযানে ছয়টি গাড়ির বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনের ব্যবস্থা নেয়া হয়। দুটি গাড়ির বিরুদ্ধে অবৈধ স্টিকার, তিনটি গাড়ির বিরুদ্ধে অবৈধ বিকন বা ফ্লিকার লাইট এবং একটি গাড়ির বিরুদ্ধে অবৈধ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের কারণে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

অভিযানের রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, সাবেক এক উপজেলা চেয়ারম্যানের নামের উপর এক ব্যক্তি গাড়িতে বিকন লাইট ব্যবহার করছেন, একটি কাভার্ড ভ্যান বিকন লাইট ব্যবহার করছে এবং কোম্পানির গাড়িতে জেলা পরিষদের একজন সদস্য বিকন লাইট ব্যবহার করছেন। তাছাড়া কোম্পানির নামে একটি গাড়ি সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে একজন  হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করছেন। অভিযানে পুলিশের একটি স্টিকারের বিরুদ্ধে এবং একটি গার্মেন্টসের বিজিএমইএর স্টিকার ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এর পক্ষ থেকে এই অভিযান অব্যাহত থাকবেন মর্মে ডিসি ট্রাফিক ওয়ারী জানান।


আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কয়েদীকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা রাখেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামীর আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর