Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্পে, প্রাণহানি ৪৩০০ ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক; তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্পে চার হাজার ৩৭২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে তুরস্কে ২ হাজার ৯২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মারা গেছে ১ হাজার ৪৫১ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিবিসি, সিএনএনসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ধসে পড়া ভবনে অনেকে আটকা পড়েছেন। সেখান থেকে তাদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের ঘটনায় সাত দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুটি ভূমিকম্পের প্রথমটি স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। দ্বিতীয়টি আঘাত হানে দুপুরের দিকে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কে দুই হাজার ৯২১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় প্রাণহানি বেড়ে ১ হাজার ৪৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় অভিযান অব্যাহত আছে।

তুরস্কের জরুরি সেবাদান কর্তৃপক্ষ বলছে, সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৪০ জনকে।

ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সাত দিনব্যাপী জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য সাত দিন শোক পালন করবে।

এরদোয়ান এক টুইটে ঘোষণা দেন, ‘আমাদের সরকারি ও বিদেশি সব দপ্তরে ১২ ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।’

৮৪ বছরের মধ্যে তুরস্ক এত শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখেনি। সবশেষ ১৯৩৯ সালে উত্তর-পুর্ব তুরস্কে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইজমীতে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।


আরও খবর



এবাদতের জোড়ার পর তাসকিন আঘাত, সাকিবের ব্রেকথ্রু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক ;আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করলেও ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে আইরিশরা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান করেছে আয়ারল্যান্ড।

৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ড দারুণ শুরু পায়। উদ্বোধনী জুটিতে ১১.২ ওভারে ৬০ রান তোলেন দুই ওপেনার স্টেফেন ডোহেনি ও পল স্টার্লিং। তবে এরপর সাকিব আল হাসানের ব্রেকথ্রুর পর জোড়া আঘাত করেন এবাদত হোসেন। দলীয় ৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ডোহেনিকে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে ফেরান সাকিব। এই ব্যাটার ৩৮ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ রান করেন।

১৩তম ওভারে আরেক ওপেনার স্টার্লিংকে ব্যক্তিগত ২২ রানে সেই মুশফিকের ক্যাচে আউট করেন এবাদত। নিজের পরের ওভারে ফের এবাদতের আঘাত। এবার হ্যারি টেক্টরকে (৩) বিদায় করেন। ক্যাচ নেন মুশফিক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড ১৬তম ওভারে ফের চোট পায়। এবার তাসকিন আহমেদ সরাসরি বোল্ড করেন দলটির অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নিকে (৫)।

এর আগে শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় খেলতে নামে দুদল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগাররা সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল ৮ উইকেটে ৩৩৩ রান। ২০১৯ বিশ্বকাপে নটিংহামে সেবার অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রান তাড়া করতে নেমে এই সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ব্যক্তিগত ৩ রানে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে আউট হন। এরপর দলীয় ৪৯ রানে আরেক ওপেনার লিটন দাস ফেরেন। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ২৬ রান করা এই ডানহাতি পল স্টার্লিংকে ক্যাচ দেন। আর ২৫ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রিনের বলে বোল্ড হন।

দলীয় ৩৮তম ওভারে নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হন সাকিব আল হাসান। দুর্দান্ত ব্যাট করা এই তারকা ৮৯ বলে ব্যক্তিগত ৯৩ রানে গ্রাহাম হিউমের শিকার হন। ৫৩তম ফিফটি পাওয়া এই তারকা ৯টি চার হাঁকিয়েছেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তিনি তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ১২৫ বলে ১৩৫ রান তোলেন।

যদিও তামিমের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭০০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছালেন সাকিব। ২০তম ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে মিড অফে সিঙ্গেল নিয়ে এই কীর্তি গড়েন তিনি। পাশাপাশি ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ‘ডাবল’ও হয়ে গেছে সাকিবের। আর এই ডাবলে সাকিবই দ্রুততম। তিনি পেছনে ফেলেন শ্রীলংকান কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদিকে।

৪৬তম ওভারে মুশফিকুর রহিম ও তৌহিদ হৃদয় আউট হন। যেখানে অভিষেকে দারুণ ব্যাটিং করলেও নড়বড়ে নব্বইয়ে বিদায় নিয়েছেন হৃদয়। তিনি গ্রাহামের বলে ৮৫ বলে ৯২ করে বোল্ড হন। ৮টি চার ও ২ ছক্কা হাঁকান এই ডানহাতি। একই ওভারে এর আগে মুশফিক ২৬ বলে সমান ৩টি চার ও ছক্কায় ৪৪ করে মাঠ ছাড়েন। এই দুজন জুটি গড়ে ৪৯ বলে ৮০ রান তোলেন।

হিউমের চতুর্থ শিকার হওয়া তাসকিন আহমেদ ৭ বলে এক ছক্কায় ১১ রান করেন। আর শেষ ওভারে ইয়াসির আলী ১০ বলে ১৭ করে রান আউট হন।

আইরিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান হিউম। একটি করে উইকেট পান অ্যাডায়ার, ম্যাকব্রিন ও ক্যাম্ফার।


আরও খবর



অনূর্ধ-২০ নারী ফুটবলে ইরানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

আজাদ হোসেন: এএফসি অনূর্ধ-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্বে ইরানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। রোববার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইরানের কাছে হেরে বিদায় নেয় স্বাগতিকরা।

৮৫ মিনিটে গোল করে ১-০ ব্যবধানে জিতে বাছাইয়ের পরের রাউন্ডে উঠে গেছে ইরান। দলটির পক্ষে গোল করেন জানদি। বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথম অর্ধে একাধিক গোল করার সুযোগ নষ্ট করে খেসারত দিয়েছে ম্যাচ হেরে। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি প্রথম ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে জোড়া গোল করা আকলিমা খাতুন। তার নেওয়া দুর্বল শট জমা পড়ে ইরানের গোলরক্ষকের হাতে।

১৭ মিনিটে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। ইরানের গানদি বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়লে তার পা থেকে বল কেড়ে নেন রূপনা চাকমা।৩২ মিনিটে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। সে যাত্রায়ও ভাগ্য খোলেনি। আইরিনের নেওয়া শট বাইরে চলে যায় পোস্ট গেছে।

প্রথমার্ধে ইরান আরও একবার গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল। সেবারও বাংলাদেশের ত্রাতার ভূমিকায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

বাংলাদেশ একাদশ

রুপনা চাকমা (অধিনায়ক), নাসরিন আক্তার (উন্নতি), সুরমা জান্নাত, আফিদা খন্দকার, সোহাগি কিসকু, স্বপ্না রানি, মাহফুজা খাতুন (হালিমা আক্তার), শাহেদা আক্তার রিপা, আকলিমা খাতুন, আইরিন খাতুন, ইতি খাতুন।


আরও খবর



বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে নামানো অসম্ভব

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে নামানো অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ রোববার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১-এর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জ্যেষ্ঠ ‍যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সুপসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।

সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ, দুঃশাসন আর ভোটচুরি, জনগণের অর্থ লুটপাটের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় থাকার বাসনা পরিত্যাগ করুন। উন্নয়ন করেছেন আস্থা নিয়ে জনগণের কাছে ‍যান। জনগণ যদি আবার আপনাকে লুটপাট করার জন্য নির্বাচিত করে আমরা বাধা দেবো না।

গয়েশ্বর বলেন, ‘নির্বাচন করার সামর্থ্য আপনার নাই-এটা পরিস্কার। বিএনপিকে ২০১৮ সালে নির্বাচনে নেওয়া যত সহজ হয়েছিল, এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে নামানো অসম্ভব। এই অসম্ভব কাজটা আপনি সম্ভব করতে যাইয়েন না তাতে জটিলতা বাড়বে। আর বিএনপি থেকে কাউকে ভাগাইয়া নেবেন ওটাই বোধহয় সম্ভব না। কারণ যে নৌকার তলা ফাটা আছে সেই নৌকার তলায় কেউ উঠবে না ডুবে মরার জন্য। আর যে নদীতে পানি নাই সেই নদীতে মানুষ কিন্তু ঝাঁপ দেয় না।’

২০১৮ সালের নির্বানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আসলে তো মানুষ নৌকায় চড়ে নাই। ওই পুলিশকে দিয়া কয়টা ভোট জোগাড় করছেন। এবার সেই পুলিশ আপনার জন্য সেই ভোট জোগাড় করবে কিনা সেটাও মতিস্কে রাখেন। আবার বলছি, বাংলাদেশে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের দাবিতে শেখ হাসিনাকে রেখে বাংলাদেশের জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না, কোনো রাজনৈতিক দলগুলো অংশ গ্রহণ করবে না এবং সেই ভোট হতে পারবে না। আর যদি প্রচুর দালাল-টালাল জোগাড় করে থাকেন সেই দালালদের পাহারা দিয়ে রাখতে পারবে কী না জনগণের রোষানলের হাত থেকে সেই ব্যাপারে কিন্তু শতভাগ সন্দেহ আছে। তাই বলব, সময়মত পদত্যাগ করুন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও ব‌লে‌ন, ‘মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, মানুষ বাঁচতে চায়। আর এ কার‌ণে অ‌চি‌রেই আপনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে, আপনার পতন নিক‌টে, আপ‌নি কোথায় যাবেন সেটা খুঁজুন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের নেতা রিজভী, সরাফত আলী সপুসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি চাই। আমাদের দাবি একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। ৯৬ সালে জামায়াতের সঙ্গে সেদিন তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রীর উ‌দ্দেশে তি‌নি আরও ব‌লেন, ‘আপনি গণভবনের বসে আসন ভাগাভাগি করবেন, তা হতে পারে না। ৯১ সালে আপনি গোপালগঞ্জ ছাড়া বাকি আসনে পরাজিত হয়েছিলেন, আর খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজত্ব যার নেশা তার জন্য গণতন্ত্র নয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢালী আসাদুজ্জামান রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আহমেদ শাহিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক শিকদার, তাঁতী দলের কাজী মুনিরুজ্জামান মুনির, মৎসজীবী দলের আবদুর রহিম, কৃষক দলের ভিপি ইব্রাহিম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের দাম কমানো প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
 স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা ; চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশন ব্যবস্থা চালু এবং মাগুরা জেলায় চিকিৎসাক্ষেত্রে নৈরাজ্য দূর করার দাবিতে গণকমিটি মাগুরা জেলার উদ্যোগে ২২ মার্চ সকাল ১১টায় চৌরঙ্গী মোড়ে মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণকমিটির আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলী এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসু। বক্তব্য প্রদান করেন, গণকমিটি মাগুরা জেলার অন্যতম সদস্য বাসারুল হায়দার বাচ্চু। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন দুর্নীতির দায় সরকার জনগণের কাধে চাপিয়ে দিতে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি করছে, ব্যবসায়ীরা সরকারের প্রশ্রয়ে রোজার আগেই খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে, শিক্ষা চিকিৎসার খরচ আকাশছোঁয়া, শ্রমিকদের মজুরি বাড়ছে না, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের মৃত্যু ঘটছে, ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না, কর্মস্থলে নিরাপত্তা নাই, প্রতিনিয়ত শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে, কৃষকরা ফসলের দাম পাচ্ছে না অথচ সার, কিটনাশক, বীজ সেচের খরচ দফায় দফায় বাড়ছে। দেশের বাইরে টাকা পাচারের চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ পাচ্ছে কিন্তু অভিযুক্তরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। টাকা পাচার, ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্প, আর দুর্নীতির কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে আর তার দায় চাপানো হচ্ছে জনগণের কাধে। যেকোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দমন পীড়ন ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অপর্যাপ্ত। ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল টেকনিশিয়ানসহ রয়েছে লোকবল সংকট। ওষুধ, টেস্ট, অপারেশনসহ বেশিরভাগ চিকিৎসাসেবা হাসপাতালের বাইরে থেকে নিতে হয়। উপজেলা পর্যায়েও সেভাবে কোন চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। কমিউনিটি ক্লিনিক আছে কিন্তু সেখানে কোন ডাক্তার থাকেন না, প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যায় না। অন্যদিকে ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ ক্লিনিক গজিয়ে উঠেছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার অপর্যাপ্ততার কারণে রোগীরা এসব ক্লিনিকে যেতে একভাবে বাধ্য হন এবং অপচিকিৎসার শিকার হন। মাগুরা জেলায় চিকিৎসাসহ সকল নৈরাজ্য বন্ধ করার আহবান জানান। সাইদুর রহমান,মাগুরা।
নিত্যপণ্যের দাম কমানো  প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত 





আরও খবর



ইউক্রেনের কত ভেতরে ঢুকতে পারে রুশ সেনারা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেনে মোতায়েনকৃত রাশিয়ার সেনারা কিয়েভ বা লভিভ পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। এমন সময় তিনি এই মন্তব্য করলেন যখন ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, বাখমুত শহর দখলের আক্রমণে রুশ সেনারা মোমেন্টাম হারাচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার প্রভাবশালী নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন মেদভেদেভ। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর বিরুদ্ধে নিয়মিত হুশিয়ারিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন। শুক্রবার মেদভেদেভ বলেছেন, কোনো কিছুই বাদ দেওয়া যায় না। যদি কিয়েভ পর্যন্ত যেতে হয়, তা হলে কিয়েভ যেতে হবে। যদি লভিভ যেতে হয়, তা হলে এই সংক্রমণ ঠেকাতে লভিভ যেতে হবে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এটাই রাশিয়ায় প্রথম সফর শির।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের নির্দেশে ওই সামরিক আগ্রাসন শুরু হয়। আক্রান্ত দেশটি ও এর ইউরোপীয় এবং পশ্চিমা মিত্ররা একে যুদ্ধ বললেও মস্কো একে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলেই অভিহিত করে আসছে। নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোয় পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্ভাব্য সম্প্রসারণে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্ত হুমকির মুখে পড়ছে- এ চিন্তা থেকে দেশের ভবিষ্যতের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মেদভেদেভ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিদেশে পুতিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাকে মস্কো যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করবে। আইসিসির এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাবে।

সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারণে তখন পুতিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মেদভেদেভ। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর তিনি ক্রমশ যুদ্ধংদেহী বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় রয়েছেন। একাধিকবার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন।


আরও খবর