Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কবরে পাঠানো হয়েছে’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কবরে পাঠানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে তৃতীয় কোনো শক্তিকে ক্ষমতা দখল করতে দেওয়া হবে না।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্র মহাসমাবেশ উপলক্ষে নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মিছিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মৃত্যু হয়েছে, এর জানাজা হয়েছে, কবরে পাঠানো হয়েছে। এমনকি সবশেষে এর চল্লিশাও হয়ে গেছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তিরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছে, কিন্তু বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। কারণ ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রায় হয়েছে, সংসদে পাস হয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার প্রধান থাকবেন, তার নেতৃত্বেই নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে। কে নির্বাচনে আসবে, কে আসবে না এটা আমাদের দেখার বিষয় না। যাদের নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই, তারাই আন্দোলন করে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চায়। এটা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ হতে দেবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বেই আগামী দিনে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের একটি নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম হতে দেওয়া হবে না।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে ৫ হাজার ৬০ প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার বীজ প্রনোদনা বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

শেফাল আক্তার রাখি মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে রবি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৫ হাজার ৬০ জন কৃষকদের মাঝে সার, বীজ, কৃষি প্রনোদনা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কৃষি পূণর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা সভাকক্ষে এ কৃষি প্রনোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শাহ্ধসঢ়;-ই-আলম বাচ্চু। বিশেষ অতিথি ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা ছাবুল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ আকাশ বৈরাগী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান, ফরহাদ হোসেন, বিপ্লব মন্ডল প্রমুখ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে এ উপজেলায় ১৬ টি ইউনিয়নসহ পৌরসভার ২৬৬০ জন প্রান্তিক কৃষকদের জনপ্রতি ২০ কেজি গম বীজ, ১০ কেজি এমওপি সার ও ১০ কেজি ডিএপি সার ভূট্টা চাষিদের ২ কেজি ভূট্টা বীজ, ২০ কেজি সার, সূর্যমুখী ১ কেজি বীজ, সরিষা ১ কেজি, খেসারি ৮ কেজি, এমওপি সার ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি পৃথক পৃথক চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও হাইব্রিড বোরো ধানের বীজ সহায়তা ২৮০০ চাষিদের মাঝে ২ কেজি করে ধানের বীজ প্রদান করা হয়।


আরও খবর



ডোনাল্ড লু’র চিঠির জবাব দিলো আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠির জবাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষ থেকে জবাব পৌঁছে দেন দলের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

গণমাধ্যমকে আরাফাত জানান, ডোনাল্ড লু’র চিঠির প্রত্যুত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে আমি অ্যাকটিং ডেপুটি চিফ অব মিশন আর্টুরো হাইন্সের কাছে চিঠি হস্তান্তর করেছি।

তবে চিঠিতে কী ছিল, সে বিষয়ে কিছু জানানি মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এর আগে মার্কিন দূত পিটার হাস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে চিঠিটি পৌঁছে দেন। চিঠি গ্রহণ করে সেদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, এ বিষয়ে দলের সভাপতির সঙ্গে কথা বলে জবাব দেবেন।


আরও খবর



এইচএসসিতে ডেমরায় সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের ঈর্ষনীয় সাফল্য

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃএইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আজ।ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় ৮৯৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে রেকর্ড গড়েছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবার এইচএসসিতে মোট অংশ নেয় ১০৯৮ জন। এবার পাশের হার ৯৯.৮২ শতাংশ। এর মধ্যে ১০৯৬ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।

এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করেছে ৭২৭ জন।  কৃতকার্য হয়েছে ৭২৭ জন। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯৬ জন। ব্যবসায় শিক্ষায় মোট ২২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং  জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৫ জন। মানবিক শাখায় ১৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং । তার মধ্যে জিপিএ পেয়েছে ৬৮ জন।

প্রতিষ্ঠানের চোখ ধাঁধানো ধারাবাহিক অর্জন এইচএসসিসহ সকল পর্যায়ে। গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকাসহ সারা দেশে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কাছে ক্রমশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।  আনন্দঘন সাফল্যে শিক্ষার্থী-অভিভাবক সকলেই উচ্ছ্বসিত ও আবেগাপ্লুত।

ফলাফল প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আলহাজ মো. সামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টু উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বলেন, শিক্ষকদের আপ্রাণ চেষ্টা ও অভিভাবকদের নিয়মিত তদারকির ফলেই ছেলে-মেয়েরা এইচএসসি পরীক্ষায় আশাব্যাঞ্জক ফল অর্জন করেছে।

এসএসসি ও এইচএসসিতে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বারবার গৌরবোজ্জ্বল ফল অর্জন করে। ২০১৫ সালে এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে প্রথম হয়েছে, ২০১২ সালে হয়েছে দ্বিতীয়। ২০০৭ সালে শতকরা পাসের ভিত্তিতে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে এ প্রতিষ্ঠান প্রথম হয়। কেবল শ্রেণিকক্ষের লেখাপড়া নিয়েই এ প্রতিষ্ঠান সীমাবদ্ধ নয়, একটা বিস্তৃত সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলও রয়েছে।


আরও খবর

ঢাকাসহ দেশের ১৭ অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




দলবদ্ধ হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা পশ্চিম সানারপাড় এলাকায় বখাটে উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের অসামাজিক কাজে বাঁধা দেওয়ায় দলবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন নবাব এন্ড ব্রাদার্স সুপার শপের মালিক ব্যাবসায়ী নাসিরউদ্দিন (৩৫)ও তার সহোদর ভাই লিটন আহমেদ (৪২)।গত ১২ নভেম্বর রাত আটটার দিকে ২৫/৩০ জন মিলে সন্ত্রাসী কায়দায়  এই হামলা চালায়।এ সময় নবাব এন্ড ব্রাদার্স সুপার শপে লুটপাট চালিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন ডেমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ডেমরা থানার এসআই সাইমুম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলো উত্তর সানারপাড় ঔষধ ফ্যাক্টরী সংলগ্ন মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে রাসেল (৩৩),একই এলাকার নুর আলম এর পুত্র প্রান্ত (২৬),নুর ইসলামের পুত্র সিমান্ত(২৩), পশ্চিম সানার পাড় মেম্বারনীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী তাজুল ইসলামের পুত্র আশিক (২৪), হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আদর(২৫), পশ্চিম  সানারপাড় এলাকার বাসিন্দা আজিজের ছেলে জামিল(২৫) সহ অজ্ঞাত আরো ২৫/৩০  জন ।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ভূক্তভোগী নাসির উদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে দলবদ্ধ ভাবে আড্ডা দিত এবং অসামাজিক কার্যকলাপ করতো। এতে তিনি বাধা দিলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদীগণ বেআইনি জনতা বদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ করে  দোকানে ভাঙচুর করতে থাকে। নাসির উদ্দিন তাদেরকে বাধা দিলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে নিলা ফোলা জখম করে। অভিযুক্ত বিবাদী প্রান্ত দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, বিবাদী সীমান্ত দোকানে থাকা একটি এইচপি ল্যাপটপ ও অপ্পো মডেল একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। হৈচৈ শুনে ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিনের বড় ভাই লিটন আহমেদ এগিয়ে আসলে বিবাদীরা তাকেও মারধর করে নিলা ফোলা জখম করে। তাদের ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দোকানে থাকা বিভিন্ন আইটেমের তিন লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং ভূক্তভোগী নাসির উদ্দিন ও তার বড় ভাই লিটন কে প্রান-নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মাদক সেবন, স্কুল কলেজগামী মেয়েদের উত্যক্ত করা সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত।

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, হামলাকারীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে আমাদের দুই ভাইকে মারাত্মক আহত করেছে।

ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় অভিযুক্তদের নামে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সন্ত্রাসীদের দলবদ্ধ হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের  ঘটনায় পশ্চিম সানারপাড় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।


আরও খবর

ঢাকাসহ দেশের ১৭ অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত আত্রাইয়ের গাছিরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। আবহমান গ্রাম-বাংলায় খেজুর রস ছাড়া যেন শীতের আমেজ‘ই পাওয়া যায়না। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে বসে সুস্বাদু খেজুর গাছের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। তাই শীতের শুরু থেকেই গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহের জন্য নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে এখন গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কে কত আগে খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় চলছে আত্রাইয়ের গাছিদের মাঝে। বৈচিত্রপূর্ণ ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় জন্মভ’মি বাংলাদেশ। এ দেশের এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা।

ক্যালেন্ডারে শীতের ঘোষণা দিলেও মানতে নারাজ আবহাওয়া ও পরিবেশ প্রকৃৃতি এখন আর পঞ্জিকার অনুশাসন মানছে না। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই গাছ থেকে রস সংগ্রহের পর্ব শুরু হবে। এবার কিছুটা আগেই নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় প্রান্তিক জনপদের গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সাথে অনুভ’ত হচ্ছে মৃদু শীত। আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে। খেজুর রস ও গুড়ের জন্য আত্রাই উপজেলা এক সময় খ্যাতি ছিল। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে, ক্ষেতের আইলে, ঝোপ-ঝাড়ের পাশে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ।

কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরন করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুরের গুড়। গ্রামীন জনপদে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে পুকুরের পাড়ে রাস্তার ধারে পরিবেশ বান্ধব খেজুর গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই। এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়ে। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন।

যার সাধ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা মনে হলেও বাস্তব। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। এ গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এ ছাড়া খেজুরর পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরী হয়। এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার। কিন্তু জয়বায়ু পরিবর্তন, কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ এখন উপজেলা জুড়ে বিলুপ্তির পথে।

নাটোরের লালপুর উপজেলা থেকে আসা গাছি কালাম মিঞা ও তার সহকর্মীরা জানান, আমরা পেশাগত কারণে প্রায় প্রতি বছরেই আত্রাই উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস এর জমিতে তাবু গেড়ে ওই এলাকার খেজুর গাছ মালিকদের কাছ থেকে ৪ মাসের জন্য গাছ ভেদে ৫থেকে ৭কেজি করে খেজুরের গুড় দিয়ে গাছ গুলো আমরা নেই। চাহিদা মত খেজুর গাছ না পাওয়ার কারণে রস কম হওয়ায় আশানুরুপ গুড় তৈরি করতে পাড়ি না। তারপরও এবছর প্রায় ২ শ’টির বেশি খেজুর গাছের মালিকদের সাথে চুক্তি করেছি। বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে না দিয়ে জীবন-জীবিকার জন্য এই পেশা ধরে রেখেছি। তবে যে ভাবে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যেই এই এলাকায় আর আমাদের ব্যবসা হবে না। বর্তমান বাজারে আখের গুড় চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পন্ন খেজুরের গুড়ের দাম এবছর কিছুটা বেশি হবে এমনটাই আসা করছেন গাছিরা। শীত একটু বেশি পড়তে শুরু করলে আত্মীয়-স্বজন আনা নেয়া ও পিঠা-পুলির উৎসবে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সে সময় আমাদের লাভ একটু বেশি হয়। যে পরিমাণে শ্রম দিতে হয় সে পরিমাণে আমরা লাভ করতে পারি না। তবুও পেশাগত কারণে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাপশ কুমার জানান, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য ও অপেক্ষার পালা। এ জন্য মৌসুমে আসার সাথে সাথে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে। এদিকে উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য তথা জীবনধারায় মিশে আছে। এই ঐতিহ্যকে যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে।


আরও খবর